বাস্তবতা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

জীবনের একটা নতুন মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি।সেটা আমার কাছে একদমই নতুন।পথ টা অপরিচিত।গন্তব্য সামনে এগিয়ে যাওয়া।পথটা অনেক লম্বা।অনেক দূরের ও বটে। তবুও থেমে থাকা চলবে না।থেমে গেলে সব শেষ হয়ে যাবে।পুড়তে হবে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায়।যেটা যে কারো জন্য খুব কষ্টের। একটা নতুন পরিবেশ,নতুন জায়গা। চেনা মুখগুলোকে ছেড়ে আসা, নতুন মুখগুলোর মধ্যে থেকে খুজে ফেরা সেইরকম কিছু মুখ যারা কখনো পুরোনো হবে না।জানি পথটা কঠিন। কাটায় ভরপুর।পদে পদে কাটার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত আমি। এই মানবমন বড় ই রহস্যময়। কখনো তা ভোরের সূর্যের আলোর মত ঝলমল করে কখনো তা ঢাকা পড়ে কালো মেঘে। কিন্তু জীবন কারো থেমে থাকে না।তা চলতে থাকে অবিরাম। একটা ছোট শিশু জীবন টাকে যেভাবে দেখে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের কাছে তা ঠিক উল্টো। কারো কাছে জীবন অনেক আনন্দময়। কারো কাছে খুব কষ্টের। কোন কিছুই সহজলভ্য নয়। এমন কি কারো সহানুভূতি পাওয়াও।

একটা অনুপ্রেরণা মূলক বাণী যেমন মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে।

তেমনি বিদ্রুপ অবহেলা মন টাকে বিষন্ন করে তোলে। কিন্তু মানুষ তো সমালোচনা করবেই।

সমালোচনা জীবনের অঙ্গ। এটি সাথে করে নিয়েই জীবনে চলতে হবে।

আজকে যাদের চোখে তুমি অত্যন্ত গুরুত্বহীন

হয়ত একদিন তারাই তোমার জন্য গর্ববোধ করবে। আজকের অপরিচিত মুখগুলো হয়ত একদিন হয়ে উঠবে অনেক পরিচিত।হয়ত বা অনেক ঘনিষ্ঠ।মানুষ বেচে থাকে আশা নিয়ে। আশাহত মানুষের কাছে জীবন টা বন্ধুর, কন্টকময়।অনেক ক্ষেত্রে দুর্বিসহ।



বোকা লোকেরা অযথাই নিজেকে বিপদে ফেলে। অন্যের জন্য।স্বার্থপর পৃথিবী তাদের কিছুই দেয়না।পৃথিবী চতুর দের জন্য। দিনশেষে তারাই রাজত্ব করে।

পরিচিত মুখগুলো ফেলে এসেছি বহুদূরে।

কলেজ লাইফে এক কবির বন্ধু হতে চেয়েছিলাম। কবি চায়নি।

কবিকে বলেছিলাম কেন, সে বলেছিল ভাই সেটা অনেক দায়বদ্ধতার ব্যাপার। বন্ধু অনেকেই তো হয়।কিন্তু বেষ্ট ফ্রেন্ড হয় কয়জন।?

আমার খুব খারাপ লেগেছিল। পরে বুঝেছি যে সে সত্যি। নতুন পথ, নতুন প্লাটফর্ম।

অতীত সর্বদা মধুর,কোন কোন ক্ষেত্রে পীড়াদায়ক। আমরা অতীত ভুলতে পারিনা।সেটা সম্ভব ও নয়।কিন্তু কন্টকময় ভবিষ্যতের জন্য ও প্রস্তুত থাকতে হবে।খারাপ সময়কে উতরে যেতে হবে।

নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

০ টি +০/-০