নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যস্ত মানুষ https://www.facebook.com/sajjadustc

সাাজ্জাাদ

আমিতো গিয়েছি জেনে ,প্রণয়ের দারুণ আকালে,নীল নীল বনভূমি ভিতরে জন্মালে,কেউ কেউ এভাবে চলে যায়,চলে যেতে হয়..................... কেউ কেউ এভাবে চলে যায়বুকে নিয়ে ব্যাকুল আগুন।

সাাজ্জাাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জার্নি বাই নৌকা....উইথ দালাল ....টু ইতালি। - (পর্ব ৫)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

আগের পর্ব গুলো পড়তে নিচে ক্লিক করুন।
জার্নি বাই নৌকা....উইথ দালাল ....টু ইতালি।
জার্নি বাই নৌকা....উইথ দালাল ....টু ইতালি। (পর্ব - ২)
জার্নি বাই নৌকা....উইথ দালাল ....টু ইতালি। (পর্ব -৩)
জার্নি বাই নৌকা....উইথ দালাল ....টু ইতালি। (পর্ব -৪)

পর্ব ৫



আনলাকি ১৩ বোধ হয় একেই বলে।১৩তম দিনের দিন মাঝি ঘোষণা দিলো, ট্রলার আর আগে যাবে না।তারা এখন গভীর সমুদ্রে আছে,সামনের পানির অবস্থা দেখে তাদের ধারনা হচ্ছে,সামনে তিমি মাছের আখড়া।ওখানে তিমি ঘোরাফেরা করছে।আর সামনে যাওয়া যাবে না।এমনবস্থায় ট্রলার আগে গেলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ট্রলারের সাগরেদও দেখি ওস্তাদের সাথে তাল মিলিয়েছে।আপাতত কাজ হচ্ছে ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে থাকা।কতদিন লাগবে তা ও ঠিক নাই।ট্রলার চললে মনে হয় যেন ট্রলার দাড়িয়ে আছে,আর ট্রলার দাড়িয়ে থাকলে মনে হয় যেন পৃথিবী যেন থমকে আছে।অদ্ভুত অনুভুতি।মোটামুটি ট্রলারের সেই ঘটনার পর থেকেই রঞ্জু নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে।সে চিন্তা করে রেখেছে মরবই যখন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পৃথিবীর আনন্দ উপভোগ করে মরব।


মাঝিদের গতিবিধি কেমন যেন সন্দেহজনক মনে হতে লাগল।২ দিন ধরে একই জায়গাই দাড়িয়ে আছে।কেউ একজন বলছিল, ওই সব তিমি টিমি কিছুই না।আমাদের ট্রলার পথ হারিয়ে ফেলেছে।সবার মাঝে মৃদু গুঞ্জন শুনা গেল। এ তো দেখি মরার উপর খারার ঘা। যা হবার হোক, ট্রলার পথ খুজে পাক আর না পাক রঞ্জু তার নিজের পথ খুজে পেয়েছে।
দিন যায়...হঠাত করে ট্রলার এর একজনের চোখে পড়লো খুব দূরে আলো দেখা যাচ্ছে।জলচে-নিভচে।কিন্তু জলার আর নিভার মদ্দে ছন্দ নেই।আলো একবার ছোট আর একবার বড় দেখা যায়।ট্রলারের সবাই বাতি নিভিয়ে ধীরে ধীরে এগুতে লাগলো।এই টুকু পথ পাড়ি দিতে তাদের দেড় দিনের মতো লাগলো।


রাতের বেলা একটা ব্যপশা,গুমোট এলাকায়,বড় বড় প্রবাল এ ভরপুর জায়গায় তাদের সবাইকে নেমে যেতে বলল।রঞ্জু নেমেই টের পেল যে তার গলা সমান পানি আর হাটতে গিয়ে পা কেটে যাচ্ছে প্রবালের কারনে।ট্রলার এর সবাই কার আগে কে নামবে এই নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হল।মাঝি শুধু একবার সবাই কে সতর্ক করে দিলো যে, ইটালির নেভাল গার্ড এই সময় সমুদ্রে চেকিং চলে।সবাই যেন সাবধান থাকে।

নামার পরপরই সবাই নিকটবর্তী তীর কে লক্ষ্য করে দৌড় দিল।শুধু রঞ্জু ছিল ব্যতিক্রম।এত লোক এক্ সাথে এক জায়গা দিয়ে ডুকলে সমস্যা।তাই সে কিছু দূর ঘুরে তীরে উঠবে চিন্তা করলো।তার সাথে আছে সেই লোকটা যার সাথে তার ট্রলারে পরিচয় হয়েছিল আর অসুস্থতার সময় তাকে সাহায্য করেছিল।

রঞ্জু অনেকক্ষণ হল তীরবর্তী একটা বড় প্রবালের পিছনে,কোমর পানিতে মাথা নিচু করে বসে আছে।সমুদ্র থেকে নেভাল গার্ডের লোকজন খুব পাওয়ারফুল সার্চলাইট নিয়ে পাহারা দিচ্ছে।লাইট তার কাছাকাছি আসা মাত্র মাথা নিচু করে ফেলে আর লাইট চলে গেলে মাথা তুলে মুখ হা করে শ্বাস নেয়।


রঞ্জু প্রবালের আড়াল থেকে বের হল টিক মধ্য দুপুরে।ও কোন রিস্ক নিতে চাচ্ছে না।সাথে থাকা লোকটাকে বলল আলাদা হয়ে যেতে। লোকটা ওকে অনুনয় করলো যাতে ওকে আলাদা না করে।ও তাকে নিজের ভাইএর মতো মনে করে।ও যেখানে যায় লোকটা সেখানে যেতে রাজি।কিন্তু রঞ্জু এসব ইমোশন কে পাত্তা দিলো না।

শহরে ঢুকার মুখে দুজন আলাদা হয়ে গেলো।রঞ্জু কিছুদুর হেটে গিয়ে পৌছাল একটা বাস স্ট্যান্ড এ।সেখানে সে দুজন রমনির পথ আঁটকে ইশারা করে বুঝাতে চাইল যে ও ক্ষুধার্ত।রমনি দুজন প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিল।পরে রঞ্জু বুঝাল যে সে কয়েকদিন ধরে না খেয়ে আছে।খুব খারাপ অবস্থা।তখন মেয়ে দুটোর খুব মায়া হল।তারা তাকে ২ টা বার্গার কিনে দিলো,সাথে কিছু টাকা ও ফোন নম্বরও দিলো।এবং বলল যে কোন সাহায্য লাগলে তাদের যেন এই নম্বরে কল করে।

বার্গার খেয়ে রঞ্জু বাহিরে বের হতেই পুলিশ এর গাড়ি এসে তার সামনে থামল এবং তার চুলদাড়ি দেখে তাকে সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেলো।

(আগামি পর্বে সমাপ্য)।

কেমন হচ্ছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাকু হাসান বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই ভাল লিখেছেন । আমার মনে হচ্ছিলো আমিই যেন সেখানে ছিলাম । আগামি পর্বের অপেক্ষায় ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

সাাজ্জাাদ বলেছেন: রাকু হাসান ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মনে মনে আপনাকেই খুজচিলাম।
আপনার ভাল লাগছে জেনে খুশি হলাম।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে এটা নিজের চোখে দেখছি। খুব জীবন্ত আর কষ্টের কাহিনী।।।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

সাাজ্জাাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আমার ব্লগে স্বাগতম।

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবশেষে শেষ হল জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দোলা-- দুর্বিষহ যাতনাময় জার্নি বাই বোটের পালা!

এবার তো দেখি জল কুমির ডাঙ্গায় বাঘের হাল!!!
নেমেই কট!

আগামী পর্বের অপেক্ষায় - - -

++++++++++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

সাাজ্জাাদ বলেছেন: বাহ, কতো সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন।
মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: আবারো রুদ্ধশ্বাসে পঠন, এবং পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা। তবে রঞ্জু শেষ পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছাতে পেরেছে দেখে ভালো লাগলো। আপনার লেখা ভালো হচ্ছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

সাাজ্জাাদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারা কয়েকজন রেগুলার কমেন্ট করেন বলে লেখার সময় আপনাদের কথা মাথায় থাকে।
পাশে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।৷

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব ঘটনা নিয়ে একটা নাটক দেখেছিলাম ইউটিব এ। সেইম ঘটনা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

সাাজ্জাাদ বলেছেন: সেইম ঘটনা? কি বলেন ভাই?
নাটকের নামটা দিতে পারবেন।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

পাকাচুল বলেছেন: পাঁচ পর্ব একসাথে পড়লাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

সাাজ্জাাদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পাশে থাকবেন।
ভালো থাকুন।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা আর কষ্টের !

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

সাাজ্জাাদ বলেছেন: সত্যিই বাস্তবতা অনেক কঠিন।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্যে।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুবই রিস্কি। নিজের জানের রিস্ক না নেয়াই ভাল।
তারচেয়ে দেশে রিক্সা চালায় খাওয়া ভাল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

সাাজ্জাাদ বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই খুবই রিস্কি। হতাশ মানুষের দুর্বল মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে কিছু নোংরা মানুষ এদেরকে মিসগাইড করে।
ভালো থাকবেন।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: খুব ভালো লাগছে লেখাটা। ইউরোপ আসলে একটা মোহ। কিচ্ছু নেই। দেশে এর চেয়ে বেশী ইনকাম করা সম্ভব। যারা এ ভাবে বিদেশে যায় তাদের ধারনা থাকা উচিত।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

সাাজ্জাাদ বলেছেন: অল্প কথায় অনেক দরকারি কথা বলেছেন।
যারা যায় তারা আসলে না বুঝেই যায়।
বুঝলে দেশে অনেক সুন্দর জীবন গড়তে পারত।

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কঠিন বাস্তবতা। পড়ে ভালো লাগলো। জীবন অনেক কঠিন। তাই এই সব রিস্ক না নেয়াই ভালো। আপনার জন্য শুভ কামনা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

সাাজ্জাাদ বলেছেন: সত্যিই কঠিন বাস্তবতা। না বুঝে-শুনে কতোগুলো জীবন অকালে ঝরে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ মিতা।
ভালো থাকবেন।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

মিখু হোসাইন তিতু বলেছেন: আমার বড় জনেও গিয়েছিল-
তবে টু ইত্যালি আর যাওয়া হয়নি।

৭ মাস ফ্রি খেয়ে বিনা পয়সায় প্লেনে চলে আসছে... !:#P

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

সাাজ্জাাদ বলেছেন: তাই নাকি ভাই।
উনার অভিজ্ঞতা টাও আমাদের সাথে সেয়ার করুন।
সবাই উপকৃত হবে।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৪

সোহানী বলেছেন: সব পর্ব একসাথে পড়লাম। অনেক ভালো লাগলো সাথে খুব মন খারাপ হয়ে গেল এসব তরুনদের জন্য।কতজন বেচেঁ ফিরে জানি না তবে দিনের পর দিন এভাবেই জীবন বাজি রেখে চলে আসে দেশ ছেড়ে। কানাডায় কিন্তু বিশার অংশ রিফিউজি। আফ্রিকা, শ্রীলংকা বা আরব দেশ থেকে স্রোতের মতো করে আসছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় হয়তো ভালো আছে তারা।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

সাাজ্জাাদ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এসব রিফিউজি দের খবর শুধু কয়েকবছর যাবত আমরা জানতে পারছি। এর আগের বিশাল অধ্যায় আমাদের সবার অজানা।
যারা বেঁচে থাকে তারা অনেকদিন এর ক্ষত বয়ে চলে।
আফ্রিকা, শ্রীলংকা বা আরব দেশ ছাড়াও বাংলাদেশ কিন্তু এই তালিকার উপরের দিকে আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.