নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্কারফেস

স্কারফেস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একান্ত সাক্ষাত্কারে নিহত বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের ছেলে : রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না : হত্যাকাণ্ডের কথা শেখ হাসিনা জানতেন

০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

একান্ত সাক্ষাত্কারে নিহত বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের ছেলে : রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না : হত্যাকাণ্ডের কথা শেখ হাসিনা জানতেন পিলখনায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির হত্যকাণ্ডে নিহত তত্কালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া পিলখানায় এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। রাকিন আহমেদ বলেছেন, যারা পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ অফিসার খুন করতে সহযোগিতা করেছে, তারাই খুনিদের পালিয়ে যাওয়ারও সুযোগ করে দিয়েছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে আমার দেশ-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে রাকিন আহমেদ বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতেন; তাই তিনি সেদিন পিলখানা যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করেন। প্রধানমন্ত্রী খুনিদের সঙ্গে সমঝোতা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিদ্রোহ দমনে সেনাবাহিনী না পাঠানোর কারণ হিসেবে শেখ হাসিনা ও তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদকে একে অপরকে দায়ী করেছেন।

নেপথ্য নায়কদের আড়াল করায় বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার সুষ্ঠু হচছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, খুনিদের প্রতি তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও তার প্রতিখুনিদের এত দরদ কেন ছিল?

২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যকাণ্ডের সময় ভাগ্যক্রমে স্কুলে থাকায় বেঁচে যায় সাবেক মহাপরিচালকের ছেলে রাকিন আহমেদ। একই সময় রাকিনের বোনও স্কুলে ছিল। দুই ভাই-বোন এখন লন্ডনে পড়াশোনা করছেন। রাকিন এখানে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন এবং হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নও উত্থাপন করেন।

২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যকাণ্ডের বিষয়ে তার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে ওই ঘটনায় বাবা-মাকে হারানো রাকিন আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তার দুই চোখ বেয়ে অঝর ধারায় পানি ঝরছিল।

ক্ষুব্ধ রাকিন আহমেদ বলেন, ‘কার স্বার্থে পরের দিন বিকালে সেনাবাহিনীকে দূরে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল? কারা মাইকিং করে জনগণকে সরে যেতে বলেছিল?’ তিনি নিজেই আবার এ প্রশ্নের উত্তর দেন। তার মন্তব্য, ‘আমি মনে করি, খুনিদের পালানোর সুযোগ দিতেই সেনাবাহিনীকে দূরে সরিয়ে নেয়া হয় এবং মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলা হয়।

এরপর রাকিন আবারও প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনারাই বলুন, একটি মিলিটারি ফোর্সের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হয়নি কেন?’ এ প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন রাকিন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, আব্বু (মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ) এবং কর্নেল গুলজার টেলিফোন করে সেনাপ্রধান ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যে, যারা গণ্ডগোল করছে, তারা ডিজঅর্গানাইজড (অসংগঠিত)। মাত্র এক প্লাটুন সেনা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন।’ কিন্তু সেনাবাহিনীকে কেন উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হলো না—এ প্রশ্ন রাখেন রাকিন আহমেদ।

এ বিষয়ে সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকে তিনি কোনো প্রশ্ন করেছিলেন কি না—জানতে চাওয়া হলে রাকিন আহমেদ অত্যন্ত আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘ঘটনার দুই দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেননি কেন। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি সেনাবাহিনী পাঠাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ রাজি হননি। একই প্রশ্ন তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকে করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমতি না দেয়ায় অ্যাকশনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া সম্ভব হয়নি।’

রাকিন পাাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, এখন আপনারাই বলুন, আসলে কী ঘটেছিল। প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধান দুজন দু’রকম বলছেন। রাকিনকে প্রশ্ন করার আগে তিনি নিজেই পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিন দুপুরে কয়েকজন ডিএডিকে ডেকে এনে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করলেন। ওই বৈঠকে সেনাপ্রধানও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান তখন কেন আমার বাবাকে বৈঠকে ডাকলেন না। মহপরিচালক ছাড়া কিসের বৈঠক করলেন তারা? তখন কি তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমার বাবা বিডিআর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল কোথায়? প্রধানমন্ত্রী কোনো রকমের সমঝোতা বৈঠক করলে তো সেখানে মহাপরিচালককে উপস্থিত থাকতে হবে।

মহাপরিচালক ও অন্যান্য অফিসারদের ছাড়াই খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ। কিন্তু সেটা করলেন না কেন—এ প্রশ্ন রেখে রাকিন আহমেদ বলেন, এখানেই বোঝা যায়, হত্যাকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করা হয়েছে।

রাকিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি জানতেন। তা না হলে তিনি আগের দিন প্রোগ্রাম ক্যানসেল (বাতিল) করলেন কেন?’ রাকিন বলেন, বিষয়টি ডিজিএফআই অবশ্যই জানত। সেটা প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি প্রোগ্রাম ক্যানসেল করেন এবং আসেননি। এ বিষয়টি বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদকে জানানো হলো না কেন?’

রাকিন বলেন, কর্নেল গুলজার আহমেদসহ কয়েকজন সেনা অফিসারকে ঘটনার মাত্র তিন দিন আগে এখানে ফোর্সড ট্রান্সফার (বাধ্যতামূলক বদলি) করা হলো কেন?

রাকিন প্রশ্ন করেন, যেখানে পিলখনার ভেতরে এত বড় ঘটনা ঘটছে, সেনাবাহিনীকে যেতে দেয়া হলো না, সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকজন মহিলা সংসদ সদস্যদের নিয়ে কীভাবে রাতে অন্ধকারের মধ্যে নিরাপদে ভেতরে ঢুকলেন। তখন কি আমার বাবার খোঁজ নিয়েছিলেন? তখন কি তিনি জানতে চেয়েছিলেন, মহাপরিচালক ও অন্য অফিসাররা কোথায়? তিনি বলেন, খুনিদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও তার প্রতি খুনিদের কেন এত দরদ ছিল?

রাকিন আহমেদ বলেন, এসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়েছে এবং সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে। ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত এ বিচার তারা মেনে নেবে না বলেও উল্লেখ করেন রাকিন। তিনি বলেন আরও অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব প্রশ্নের উত্তর ছাড়া কখনোই বলা যাবে না, তদন্ত এবং বিচার হয়েছে।

রাকিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া এত বড় হত্যকাণ্ড ঘটতে পারে না। রাজনৈতিক প্রটেকশন না থাকলে হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হতো না। তার বাবা একজন সত্ অফিসার ছিলেন উল্লেখ করে রাকিন আহমেদ বলেন, বিডিআরের অনেক দুর্নীতি বাবার দৃঢ়তার কারণে দূর করতে পেরেছিলেন।’ এটি অবিকল আমাদেশ পত্রিকার ২ মার্চ সংখ্যা থেকে তুলে ধরা হয়েছে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

চৌকশ বলেছেন: রাকিন তোমার জন্য রইলো সহমর্মিতা । আমরা অভাগা বাঙালীরা ঐ ঘটনার জন্য লজ্জিত । আমরা তোমার বাবার জন্য কিছূই করতে পারি নাই ।

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: রাকিন সাহেব বলেছে...........

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, আব্বু (মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ) এবং কর্নেল গুলজার টেলিফোন করে সেনাপ্রধান ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যে, যারা গণ্ডগোল করছে, তারা ডিজঅর্গানাইজড (অসংগঠিত)। মাত্র এক প্লাটুন সেনা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন।’ কিন্তু সেনাবাহিনীকে কেন উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হলো না—এ প্রশ্ন রাখেন রাকিন আহমেদ।
এ বিষয়ে সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকে তিনি কোনো প্রশ্ন করেছিলেন কি না—জানতে চাওয়া হলে রাকিন আহমেদ অত্যন্ত আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘ঘটনার দুই দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেননি কেন।


তা রাকিন সাহেব যদি অল্প কয়েকজন এই বিদ্রোহ করছিল তাহলে সারাদেশে ৫৮০০+ এর মতো বিডিআর কে সাজা দেওয়া হলো কেন?


আর আপনার কথায় সবথেকে বেশি মজা পেয়েছি?


বিডিআরের অনেক দুর্নীতি বাবার দৃঢ়তার কারণে দূর করতে


তাহলে তত্ববধায়ক সরকার এর সময় এরপোর্ট এ যে ৬০০ কোটি টাকা পাচার এর সময় ধরা পড়েছিল তা কার ছিল?

ডালভাত কর্মসূচির ৫০ কেজি চালের বস্তা কেমনে ৫১ হয়?


পিলখানার যত পুকুর আছে তা কার নামে লিজ ছিল?

দরবার হল ৫ বছরের জন্য কাকে লিজ দেওয়া হয়েছিল নামমাত্র মূল্যে?

রাইফেলস স্কয়ার এর ২২ টি দোকান কার নামে ট্রান্সফার হয়েছিল?

রাতারাতি একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কার জন্য হয়েছিল?


আর সবথেকে আর একটা আপনাদের জন্য খেলার মাঠ . গলফ.. টেনিস কোর্ট থাকলে ও বিডিআর সদস্য দের সন্তান দের জন্য ছিল না একঠি ও মাঠ


২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ পিলখানা থাকালীন আমার অভিজ্ঞতা..... ও কিছু অপ্রিয় কথা


Click This Link

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

স্কারফেস বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রেই আপনার সাথে আমি সহমত পোষন করলাম

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

খাািলদ বলেছেন: মিঠুন রানা, আপনার সাথে অনেক ক্ষেত্রেই একমত।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: বিডিআর বিদ্রোহের কিছু জানা অজানা তথ্য, ছবি সহ ৩ পর্বে।

Part 1 - কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে?
Click This Link

part2 - বিডিআর বিদ্রোহ। উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি।
Click This Link

Part 3 - জেনারেল সাকিলের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, কিছু সত্য বেরিয়ে আসা।
Click This Link.

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: বিডিআর বিদ্রোহের কিছু জানা অজানা তথ্য, ছবি সহ ৩ পর্বে।

Part 1 - কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে?
Click This Link

part2 - বিডিআর বিদ্রোহ। উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি।
Click This Link

Part 3 - জেনারেল সাকিলের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, কিছু সত্য বেরিয়ে আসা।
Click This Link.

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

ইসপাত কঠিন বলেছেন: মিঠুন বিশ্বাস রানা @ আপনি রাকিনের কথায় যত মজা পেয়েছেন আমি আপনার কথায় তার চেয়েও বেশী মজা পেয়েছি। কারন শুনবেন? তাহলে শুনেন।

আপনি বললেন এয়ারপোর্ট থেকে ৬০০ কোটি টাকা ধরা পড়ার কথা। আগে প্রচলন ছিলো ৬ কোটি টাকার গল্প। আপনার এখানে টাকার পরিমানটা ভালোই উচ্চলম্ফ মারলো। আহা বেশ বেশ বেশ। ৬০০ কোটি টাকা যদি ১০০০ টাকার নোটে হয় তাহলে পাটিগনিত বলছে ১০০ টি নোটের একটি বান্ডিলে ১০০০০০ টাকা থাকায় ৬০০ কোটি টাকা ৬০,০০০ বান্ডিলে ছিলো। আর যদি তা ৫০০ টাকার নোটে হয়, তাহলে ১,২০,০০০ টি বান্ডিলে ছিলো। এখন আপনি এবং আপনার সাথে সহমতপোষনকারীরা আপনাদের কল্পনার ডানাটা মেলে ধরে দেখুন ৬০০০০ বা ১২০০০০ টি বান্ডিল কতটুকু জায়গা নেয়? কি, মাথা ঘুরছে? আপনি দেখবেন এবার আপনার পাঠকরা কিভাবে আপনার উপর বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে শুরু করে। আর মানুষ দেশ থেকে ডলার/পাউন্ড/ইউরো নিয়ে যায়, টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কখনো দেখিনি। আমি বেশ কয়েকবার দেশের বাইরে গিয়েছি। সাথে কিছু টাকা থাকতো যেটা নিয়ে যেতাম যাতে দেশে ফেরার পরে বিমানবন্দর থেকে বাসায় যাওয়ার ট্যাক্সি ভাড়া দেওয়া যায়। এখন বলেন উনি এতগুলো বাংলাদেশী টাকা নিয়ে বিদেশে কি করবেন? গল্পটি হাস্যকর নয় কি? আর এই একবিংশ শতাব্দীতে যেখানে এক ক্লিকেই মিলিয়ন ডলার এখান থেকে ওখানে চলে যায় সেখানে মানুষ নগদ টাকা নিয়ে যাবে? এই প্রশ্নটি একবারো কি আপনার মাথায় এসেছে?

চালের বস্তার ওজন নিয়ে আপনি বলেছেন। চালের বস্তায় চালও থাকে, বস্তাও থাকে। ৫০ কেজির চালের বস্তা থেকে বস্তা সরিয়ে নিলে চালের ওজন কি ৫০ কেজি থাকে? না, থাকে না। তখন বিক্রয় করার সময় ওজনে কম পড়ার কথা কি? আপনার কথামত চাল+বস্তার ৫০ কেজি ওজন হলে বিক্রয় করার সময় যদি ক্রেতাকে ওজনে কম দেওয়া হত, তখনো কিন্তু আপনারা শোরগোল তুলতেন ওজনে কম দিচ্ছে বলে। এটা কিন্তু বাদ দিতেন না। কি, বাদ দিতেন?

পিলখানার পুকুর, দরবার হল, রাইফেলস স্কয়ারের দোকান যার নামে লিজ দেওয়া ছিলো তার নামে কি নীতিমালা মেনে লিজ দেওয়া হয়েছিলো? তিনি কি সর্বোচ্চ বিডার ছিলেন না ছিলেন না? এ বিষয়টি আমার বিস্তারিত জানা নেই। হয়ত ঘটনাটি সত্য, হয়ত মিথ্যা। কিন্তু ৬০০ কোটি টাকার গল্পটা এ অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলটিতে মাত্র একজনই ছাত্র ছিলো, তাই না?

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: @ইসপাত কঠিন .........

আমি যা বলেছি তা আপনাকে প্রমান দেখাতে পারব................

আর আপনাকে বলি .......... ৬০০ কোটি টাকা কে ২০ ডলার আর ১০০ ইউরো তে কনভার্ট করে দেখেন তো কয় বান্ডিল হয়......... আসা করি তা একটা বড় সুটকেসে আটবক যাবে ..............?
আমি টাকার অংক টা বলেছি আজ পর্যন্ত শুনলাম না কেউ বলে ২০০০০/৬০০০০ ডলার আটকা পড়েছে?

পত্রিকার শিরোনাম ছিল ৬০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আটক

আপনাকে আর একটা তথ্য দেই .... ইস্পহানি মির্জাপুর এর কত কোটি টাকা বাজয়াপ্ত হয়েছিল তত্বাবধায়ক এর আমলে .... তা কি জানেন?


আর চাল না?

আরে ভাই চাল থাকে ৫০ কেজি?

কাগজ কলমে ও ৫০ কেজি ............. বাট এই চাল তিনজন (সৈনিক) কে ভাগ করে দিত বিক্রি করার জন্য

৫০/৩=১৬.৬৭ বাট গ্যাঞ্জাম লাগত তাই তা ধরা হত ১৭ কেজি করে

দেন এই এক কেজি বিক্রি হত দামে মানে মাপে কম দেওয়া গত?

কিন্তু কাগজ কলমে ৫০ কেজি এবার হিসাব করেন কত মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়েছিল?

আর একটা কথা অপরেশন ডালভাত মুনাফা ঘরে একটা শূন্য সবসময় কম হত কেন?

যেমন ধরেন একজন ২৫০ টাকা হাতে পেত বাট কাগজে থাকত ২৫০০
কিছু বুঝেন?

আর একটা কথা বলি এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল অলাভজনক হিসাবে কারন সৈনিক রা তো বেতন পায়ই ব্যারাকে বসে থাকে........ তাইলে লাভ আইলো কই থেকে?


আরে ভাই নিলাম ই হয় নাই




দরবার হলের নূন্যতম ভাড়া ছিল ৮০০০০/ টাকা অনান্য কিছু বাদে শুধু দরবার হল .............
মাঝে মাঝে তা ৫০০০০০/ পর্যন্ত হতো আনুমানিক
খুব কম শিডিউল পাওয়া যেত ........ তা ভাই ৫ বছরে ২ কোটি টাকায় নিলাম করে দেওয়া হয়েছিল .......

মাসে ১০-১২ টার বেশি প্রোগাম হত......... তাহলে ( ১২*১০)*৫=

৬০০*৮০০০০০= ?


খাটত সৈনিক
পাহারা দিত সৈনিক
পাকিং করত সৈনিক
দেখাশুনা করত সৈনিক
নিরাপতা দিত সৈনিক
ডেকোরেশন করত সৈনিক
সবই করত ........... শুধু খাবার পরিবেশন ছাড়া

তয় লিজ দেওয়ার দরকার কি ছিল ভাই ..... কারন লিজ দেওয়ার পর ও সব কাজ ওদের ই করতে হতো?



৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

ইসপাত কঠিন বলেছেন: মিঠুন বিশ্বাস রানা @ ৬ থেকে ৬০০ টা ভালোই ছিলো। যাই হোক, এক পিস প্রমান এখানে এ্যাটাচ করে দেন। আর ৬০০ কোটি টাকা ডলারে কনভার্ট করে (তৎকালীন ডলারে ৭০ টাকা ধরে) ২০ ডলারের বান্ডিল বানালে হয় ৪২৮৫৭ টি বান্ডিল। আর ইউরো ১৪০ টাকা রেট ধরে ১০০ ইউরোর বান্ডিল বানালে হয় ৪২৮৫ টি বান্ডিল। ভাইজান, আপনি কখনো ৫০০ টাকার নোটে ২ কোটি টাকা দেখেছেন একসাথে? আমি দেখেছি। পরিমানটা আমার দেখা আছে। আপনার অন্তত এই অভিজ্ঞতা নেই। থাকলে গল্প বানানোর আগে একটু চিন্তা করে নিতেন।

ডালভাতের চাল কি ফেরি করা হত? নাকি এক একটা আউটলেটে বিক্রয় করা হতো? আউটলেটে ৫০ কেজির বস্তা ৩ ভাগে ভাগ করে বিক্রয় করতো? বাহ বাহ। বেশ বেশ। আপনাদের মত কিছু লোকই বলেছিলো দরবার হলে ডিজি পিস্তল দিয়ে গুলি করেছিলো যেখান থেকে বিদ্রোহের উৎপত্তি।

আপনার এলাকার মধ্যে একটা স্থাপনার নিরাপত্তা কে দিবে? উল্টা-পাল্টা পার্কিং জনিত কারনে ট্রাফিক জ্যাম হলে ঝামেলা কাদের হবে? কাদের দূর্নাম হবে? সরকারী রেশনটাই.............. আর বললাম না। বেশী আক্রমনাত্নক হয়ে যাবে।

তো ২/১ পিস প্রমান এইখানে পেস্ট করে দিয়েন পারলে। ভালো লাগবে।

১০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: @ইসপাত কঠিন ভাই আপনি একটা পক্ষ নিয়ে বসে আছেণ ....

আপনাকে আর কি বলব.............

কোন প্রমান ছাড়া আমি আপনাকে কোন কথা বলি নাই?

টাকার ব্যাপারে আপনি ২৪-০৬-২০০৮ সালের আমার দেশ .. দৈনিক সংগ্রাম .... আর যায়যায়দিন এর পেপার টা পড়ে দেখেন?
আমি ই আপনাকে লিংক দিতাম কিন্তু ২০০৯ সালের আগের কোন আপডেট নাই।


এবরি আসি চাউল? জ্বি ভাই আপনি ১০ টি বস্তা চাউল ধরে কত ? তিনজন আউলেট এ ভাগ করে দেওয়া হত? এবার আপনি হিসাব করেন?
আর প্রমান আপনি ঐ সময় যে কোন বিডিআর সদস্য যারা আছে তাদের সাথে কথা বইলা দেখেণ?

জ্বি ভাই আমর কথাও তাই নিরাপত্তা দিব... পার্কিং দিব সবই করব তয় নিজের ডিম পাড়া মুরগী খালি অন্যের কাছে ডিম পাড়ার জন্য বর্গা দেয় কেউ ? যে ডিম কেন দিন সে খাইতে পারব না?


আরে ভাই রেশন না আপনি আর কি আক্রমন করবেন?

বিডিআর সদস্য রা আগে ৬০% রেশন পেত যা ২০০৯ এর পরে সেনাবাহিনির মতো ১০০% করা হয়েছে......


ভাইয়া ক্যান্টমেন্ট এ একজন মেজর কে সাইকেল চালয়া অফিস এ যেতে দেখেছি?
বাট বিডিআর যে লাইফ স্টাইল থাক ............ আর বললাম না। বেশী আক্রমনাত্নক হয়ে যাবে।


আর একটা কথা বিডিআর / বিজিবি তে যে ড্রেস টা পড়ত (২০০৯)না পরতে লজ্জা লাগে ........ বলে নাম ও ড্রেস চেঞ্জ করল......
তা ভাই যদি এতই কলুসিত হযে থাকে এই বাহিনি
তা এখানে না আসা যায় না?
নাকি তিনবছর এর (বর্ডার আর ...... ) ....... ছাড়া যায় না?

১১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

ইসপাত কঠিন বলেছেন: মিঠুন বিশ্বাস রানা@ যখন স্বার্থের পক্ষে কথা বলবে তখন আমার দেশ রেফারেন্স আর যখন বিপক্ষে বলবে তখন আমার দেশ বর্জনীয়। কিসের রেফারেন্স দিলেন? আমার দেশ, সংগ্রাম আর যায়যায়দিন। নিজের রেকর্ড থেকে নিজেই গুনেন আমার দেশ পত্রিকারে গত ২ মাসে কয়টা গালি দিলেন?

আপনার বিডিআর যে কি জিনিস তা ভালো করে জানা আছে। কেন? ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ টিভিতে কি বলেছিলো ভুলে গেছেন? আর ১০ বস্তা, ওজন এইসব যা বলতে চান পরিষ্কার করে বলেন। যুক্তিতে যখন নেমেছি তখন শেষটা দেখে ছাড়বো।

আপনার বাবার কাছে জিজ্ঞাসা করুন উনার ইউনিট থেকে সরাকারী ব্যায় ব্যাতীত অন্যান্য কত জায়গায় উনাদের জন্য টাকা খরচ করা হত। আপনার বাবার ইউনিটের লাইনের যে ক্রোকারীজ আছে, তা কিন্তু ইউনিটের ফান্ড থেকে কেনা। আপনাদের বাসার যে টাইলসের টয়লেট এটাও প্রাইভেট ফান্ড থেকে কেনা। আপনার বাবার কাছ থেকে প্রাইভেট ফান্ড জিনিসটা কি জেনে নিবেন। আর এই প্রাইভেট ফান্ডের টাকা আসমান থেকে আসে না। আপনার পাশের অমুক তমুক বিপদে পড়েছে, বিডিআর টাকা দিয়ে সাহায্য করলো, এর ওর মেয়ের বিয়েতে সহায়তা দিলো। এইসব টাকাও সেই প্রাইভেট ফান্ডের টাকা। এই টাকা আসমান থেকে ঝরে ঝরে পড়ে না। আপনার ঐ জমি লিজ, দরবার হল, ইত্যাদি থেকে আসে। আপনার ডিম দেওয়া মুরগী বর্গা দেন নি। শুধু যখন খেয়েছেন, চোখ বন্ধ করে খেয়ে গেছেন। টাকা কোথা থেকে আসে জানতে চান নি। এতটা কঠিন হতে চাই নাই। কিন্তু আপনার ইউনিট পরিচালনার এই খুঁটিনাটি গুলো না জানালে বুঝতেন না। জানি না এখনো বুঝবেন কি না?

প্রজন্ম চত্তরে পতাকা মাথায় দেওয়া প্রোফাইল ছবি দিয়ে আমার দেশ পত্রিকার রেফারেন্স টানতে আপনার খারাপ লাগলো না?

বিজিবি ছেড়ে যাবে না। সম্ভাব্য শত্রুদের এত সুযোগ দেওয়া হবে না। আপনার ভালো লাগলে থাকেন নাইলে যা খুশি করেন।

আর চাল ডাল বিক্রয়ের সময় ১ বস্তা ৩ জনরে ভাগ করে বিক্রয় করতে দেওয়ার গল্প বলেন না। এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলার পরও যারা অস্বীকার করে বলে তারা ভেতরে জীবিত এবং ভালো আছে, তাদের স্বাক্ষ্য আমারে শিখানোর দরকার নাই।

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫০

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: @ ইসপাত কঠিন আমি একবার ও বলি নাই এই হত্যাকান্ড সর্মথন যোগ্য ........

আমার জ্ঞান খুবই সীমিত .......... আমি যা জানি তাই আপনাকে বলেছি।
আমি দীর্ঘ জীবনের অধিকাংশ সময় যেখানে কাটিয়েছি যা দেখেছি আতম আপনাকে তাই বলেছি।

আর আমার পরিবার খুবই সীমিত তাই একজন বিডিআর সৈনিক এর আয় কত তা আপনি মনে হয় ভাল করেই জানেন ?
তাই ২ কোটি টাকা দেখার সৌভাগ্য আমর হয় নাই..... আপনার হয়েছে শুনে ভাল লাগলো।

আর বিডিআর এর কোন ক্রোকারীজ আমরা ভোগ করতে পারি নাই ....
দুধ ডিম হ্যা একটা ডেয়রী ফার্ম ছিল তয় তার সুবিধা খুব কম সৈনিক এর কপালে জুটত......

টাইলস কোন সৈনিক এ বাসায় ছিল না ..... টাইলস এর কাজ ২০০৮ এর নভেম্বর ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল ..... আমাদের বাসায় টয়লেট টাইলস শুরু করে ২০০৯ এর ফ্রেবুয়ারি তে ..... য়া কম্পিলিট হয় নাই ... তাই ভোগ করতে ও পারি নাই.............

(তবে যে কন্ট্রকটর কাজ করছিল তার কাছে শুনেছিলাম প্রতি বাসায় বরাদ্দ ৭৫ হাজর টাকা যা ৪৫ হাজারে করা হয়েছে।)

আর ভাই আমি বলেছি এই বিদ্রোহ ই হত না .............
যদি বিডিআর বিদ্রোহ অনেক বার হয়েছে ১৯৭২ .... ৮০ এর দশকে ....৯০ এর দশকে .... তখন যদি সেই সব দাবি মেনে বিডিআর কে স্বায়ত্ব শাসিত করত ........ তাহলে এতগুলো মেধাবী অফিসার এর প্রাণ যেত না......




যেমন ভাই আনসার বিদ্রোহ র পর কিন্তু আনসার এর অফিসার নিয়োগ হয় বিসিএস এর মাধ্যমে.....

ভাই বিডিআর কিন্তু সামরিক বাহিনী নয়........
পুলিশ
আনসার
ফায়ার সার্ভিস
এর মতো কাজ করে পয়সা নেয়.......


দরবার হলের ক্যালকুলেশন টা আমি বলেছি.........
বিডিআর যে দরবার হল লিজ থেকে ৫ বছরে ২ কোটি টাকা পেয়েছিল
কিন্তু যেহেতু সবই নিজেরা করে তাই ৫ বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা পেত
তাহলে লিজ দেওয়ার দরকার কি?

আর ভাই আপনাকে শেষ একটা কথা বলি ?

আশা করি আপনি বুঝবেন..........

ভাই আমার পরিবারে দুজন মুক্তিযোদ্ধা আছে আমার বাবা সহ তাই প্লিজ যুদ্ধঅপরাধী বিষয় এ মুক্তিযোদ্ধা (বর্তমানে অবশ্য বিদ্রোহীর সন্তান) চেতনা লালন করি ... তাই প্লিজ আঘাত করবেন না ।



ভাই ২০০৯ বিদ্রোহে যারা মারা গেছে সেনা ও বিডিআর এবং সিভিল মানুষ সহ ৭৪ জন ..... তার জন্য অবশ্যই বিচার হোক আমি এটা চাই .... যারা খুন লুটপাত করেছে তাদের সর্ব্বোচ সাজা দিক.....

কিন্তু সারদেশে ৫৮০০ জন মানুষ যে তার ফল ভোগ করছে বিনা অপরাধে তার কি হবে.........

আমি শুধু আমার বাবার কথাই বলি । ঐ একটি দিন যদি ঘটনা টা না ঘটে পরের দিন ঘটত তাহলে কিন্তু আজ আমি আর বিদ্রোহীর সন্তান হতাম না । আমার বাবা ও জেলে থাকত না।

ভাই মনে যদি কোন কারনে দু:খ দিয়ে থাকি তাহলে আন্তরিক ভাবে দু:খিত

আর ভাই আমি আমার দেশ সংগ্রাম যায়যায়দিন এর কথা বলেছি ওদের গালি দিই নাই ।


তবে পারলে কোন একদিন আপনার সাথে দেখা করব

আমার মেইল এডরেস

[email protected]


১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

ইসপাত কঠিন বলেছেন: মিঠুন_রানা_বিশ্বাস ভাই @ কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে কাজের ধরনটাই এমন। কন্ট্রাক্টর এর মধ্যে থেকেই লাভ করে। আনসারে কিন্তু গুটিকয়েক সেনা অফিসার ছিল যা বর্তমানেও আছে। বিজিবি'র সাথে পুলিশ, আনসারের তুলনা করাটা মারাত্মক বোকামী। যুদ্ধের সময় বিজিবি সীমান্তে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। বিজিবি সীমান্তে প্রতিরোধের মাধ্যমে যত সময় অর্জন করবে, মূল প্রতিরক্ষা তত মজবুত হবে। একই সময়ে সীমান্তে কর্মরত গোয়েন্দারা শত্রুর রনকৌশল সরন্জামাদি সম্পর্কে তথ্য দিবে সীমান্ত যুদ্ধ অবলোকন করে। এরপর বিজিবি ব্যাটালিয়ন সমূহ সেনাবাহিনীর অধীনে এসে লাইট ইনফ্যান্ট্রী ব্যাটালিয়ন হিসেবে যুদ্ধ করবে। এজন্যই বিজিবির ব্যাটালিয়নসমূহকে লাইট ইনফ্যান্ট্রী ব্যাটালিয়নের আদলে সংগঠিত করা আছে। এবং তাদেরকে লাইট ইনফ্যান্ট্রী ব্যাটালিয়নের আদলে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। এখন আপনিই বলেন, সামরিক প্রশিক্ষন কে ভালো দিবে? সামরিক বাহিনীর অফিসারবৃন্দ? নাকি আলাদা ক্যাডার? পুলিশের অবস্থা তো জানেন। অস্ত্র লোড করতে করতেই ঘটনা শেষ হবার উপক্রম হয়। এখন বিজিবির যার যার সামরিক অফিসারের অধীনে কাজ করতে ইচ্ছা নেই তাদেরকে কে বিজিবিতে যেতে বলেছে? কতিপয় বিজিবি জওয়ানের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থ আগে কি না? আর হ্যাঁ, মিঠুন ভাই, বিডিআরে যে সবাই সাধু ছিলো, তা নয়। ঘাপলা ছিলো অল্প কয়েকজনের। তার জন্য এভাবে বিদ্রোহ করে, এতগুলো মানুষ হত্যা করে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আর যারা এই কাজ করেছে, তারা কি সীমান্তে থাকতে কখনো ঘুষ খায় নাই? আপনার বাবা মেডিক্যাল শাখায় থাকায় আপনি হয়তো অনেক কিছুই দেখেন নি।

৬০০ কোটি/৬ কোটি টাকার বিষয়টা ভূয়া। মিসেস শাকিলের পরিবার লন্ডনে থাকে। সেখানে তাদের নিশ্চয় একটা ব্যাংক একাউন্ট আছে সেখানে। ব্যাংক একাউন্টে এক ক্লিকেই টাকা ট্রান্সফার করা যায়। সেখানে এত টাকা এত ঝুঁকি নিয়ে কে টেনে নিয়ে যায় বলেন? আমার এরকম সুযোগ থাকলে, আমি যদি অসৎ হতাম, তাহলে অন্তত এইরকম বলদ মার্কা কাজ করতাম না। যাই হোক, আমার পোলাও খাওয়ার টাকা থাকলে পোলাও খায়, ভাত খাওয়ার টাকা থাকলে ভাত খাই, আর টাকা না থাকলে খাই না। দিনের তবুও দিনের শেষে আয়নার সামনে দাঁড়ালে চোরের প্রতিবিম্ব দেখা যায় না। ২কোটি টাকা যেটা দেখেছি সেটা মানুষের বেতন-ভাতা। রক্ত পানি করে আয় করা বেতন ভাতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.