নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুকতাদির নাহিয়ান

আপনি ততক্ষন ই বুদ্ধিমান যতক্ষণ আপনি কাউকে বোকা ভাবছেন না

স্কিজোফ্রেনিয়াক

আমি আছি ..আবার আমি নেই

স্কিজোফ্রেনিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোর জন্য , প্রিয়তা - ০২

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

চার তালার আবেগ শূন্য ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে মল চত্বরের সবুজ মাঠ পর্যন্ত সাড়ে সাত মিনিটের পথ । আমার দিনের শ্রেষ্ঠ সাড়ে সাত মিনিট । হাতে খোকনের চা নিয়ে এই সময় টুক নিজের মতো করে তোকে দেখতাম । বাচ্চাদের মতো হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলতে বলতে তুই হেটে বাসে উঠতি । আমার চা ঠাণ্ডা হয়ে আসতো , হাতের সিগারেট ততক্ষনে পুড়ে ছাই । আমার কাছে মনে হত নীল সমুদ্রের এক টুকরো ফেনিল স্রোত আমার পাশ কেটে গেলো ! ইদানিং ওই সাড়ে সাত মিনিট আমি অসম্ভব মিস করি প্রিয়তা।



মধ্য শ্রাবণের কোনও এক দিন ।বৃষ্টির ছাঁট পড়া ঝাপসা গ্লাসের ভেতর দিয়ে ছাতা হাতে তোকে হেঁটে যেতে দেখলাম । বৃষ্টির ফোঁটা গুলো তোর চারপাশে হই চই করে পড়ছিল । সেদিন পাখির ডানায় করে এক চিলতে হ্যালোজেন রোদ পাঠিয়েছিলাম তোর কাছে ।আর সব কিছুর মতোই তুই বুঝতে পারিস নি । একা আমি বিষণ্ণ ভেজা ঘাসের মধ্য দিয়ে হেঁটে বিদায় নিলাম । জানিস প্রিয়তা এই শহরে অমন অসহ্য সুন্দর বৃষ্টি হয় না । শহর বন্দী মনে তাই নাগরিক ফুল ও ফোটে না ।জানি ওই দিন গুলো কখনও ফেরত পাবো না। তাই নিজের সস্তা আবেগ গুলো কে সময়ের পলিথিনেই আবদ্ধ করে রাখি ।



ঘর অন্ধকার । মোম নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে । রুদ্র'র কবিতার ভাষায় বলতে গেলে এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি । তুই তো জানিস অন্ধকার আমার ভালো লাগে ।



সেদিন কথার মাঝখানে হটাত আমাকে চমকে দিয়ে বললি "আমাকে বিয়ে করবি ? " কিছু একটা ছিল তোর গলায় , আমার সমস্ত পৃথিবীটা ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল । তোর আবেগে আমি ঠিক অভ্যস্ত না । তোর সাথে সারাদিন ঝগড়া করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি । আমার আবেগ গুলো কে ঝালমুড়ির ঠোঙ্গার মতো দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দিয়ে দুষ্টামি ভরা হাসি তে মাখা মাখি হবি , তাতেই আমার দিন-রাত সুন্দর হয় । আমি সেদিন হাসতে হাসতে না বলেছিলাম । কিন্তু কারন টা তোকে বলা হয় নি ।



প্রিয়তা , কিছু কিছু মানুষ প্রবলভাবে ভালোবাসার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় । সেই ভালোবাসার জন্য তাদের কোনও কারনের প্রয়োজন হয়না। হটাত কোনও কুয়াশা হয়ে অদৃশ্য ভালোবাসার চাদরে প্রিয় মানুষ টাকে জড়িয়ে রাখা কিংবা নিশাচর পাখি হয়ে সারারাত তার নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে থাকাতেই তারা আনন্দ পায়। নিজে রেনকোট গায়ে দিয়ে প্রিয় মানুষ টাকে অবিরাম ভালবাসার বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে তারা ছেলেমানুষের মতো খুশি হয়। কিন্তু শত চেষ্টা করেও তাদের গায়ে সেই বৃষ্টির ফোঁটা তুই ছোঁওয়াতে পারবি না। তাদের কে ছায়া মানব বলে। তারা আছে আবার নেই । পৃথিবীর কোলাহলে তারা একলা হাটে। সম্ভবত আমি তাদের দলের একজন । তোকে আমি ভালবাসি কিনা জানি না । তোর জন্য আমার অনুভুতি তার থেকেও বেশি কিছু । সব অনুভুতি কে তো ছকে ফেলা যায় না তাইনা? তোর আগে তোর প্রেমে পড়া টাকে কে আমি বেশি ভালবাসি ।আমি আমার কল্পনায় তোকে আমার মতো করে সাজিয়ে নিয়েছি ।তবে মাঝে মধ্যে প্রচণ্ড বেয়াড়া ইচ্ছা জাগে , তোর ভেতরের মানুষটাকে নিজের করে পাওয়ার । পরের মুহূর্তে হেসে উড়িয়ে দেই , যার নাম আমি দিয়েছি "অধরা" তাকে ধরতে চাওয়াটা নিজের অযোগ্যতাকে পূর্ণতা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না ।



আমি জানি এটা পড়ে মনে মনে বলবি " তুই এমন কেনো ?"আমার সবটুকু অতীত বর্তমান-আর ভবিষ্যত এই ছোট্ট এক টুকরো বাক্যের মধ্যে লীন হয়ে গেছে। নায়াগ্রার গর্জন আর অতলান্তিকের গভীরতা নিয়ে বুকের ভেতর আজো বেজে যাচ্ছে " তুই এমন কেনো " ।" তুই এমন কেনো " ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: ভাল লাগলো, শেষটা বেশি সুন্দর

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫৭

স্কিজোফ্রেনিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.