![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দেখিনি, আমি জানিনি, আমি শুনিনি অনেক কিছু............. আমি চাইনি, আমি পাইনি, তবু ঘুরেছি.............................. তোমার পিছু।
গলগন্ড একটি সাধারন রোগ এবং সাধারনত মারাত্মক নয়। থাইরয়েড গ্ল¬ান্ড ফুলে গেলে এ রোগ হয় এবং এর সংগে থাইরয়েডের অধিক সক্রিয়তা বা কম সক্রিয়তা যুক্ত থাকতে পারে। গলগন্ড এবং থাইরয়েড সমস্যা সাধারনত পুরুষের চেয়ে নারীর মধ্যে বেশি দেখা যায়। এর কারন এখনো স্পষ্ট নয়। অধিকাংশ গলগন্ডের সঙ্গে অন্যান্য থাইরয়েড রোগ যুক্ত নয় এবং এসব গলগন্ডকে তুচ্ছ গলগন্ড বলা হয়।
কারন ও লক্ষন সমুহ:
এ অবস্থার পেছনে অনেক কারন আছে। সবচেয়ে বেমি দৃষ্ট রোগকে গ্রেভের রোগ বলা হয়। থাইরোটক্সিকোসিস বা অধিক সক্রিয় থাইরয়েডের লক্ষন সমুহ নিম্ন রুপ:
ওজন কমে যাওয়া, তাপ সহ্য না করতে পারা, বুক ধরপরানি সহ দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঘাম হওয়া ও অস্থিরতা। তাছাড়া গেভের রোগের জন্যে থাইরোটক্সিকোসিস হলে চোখ বড় বড় হয়ে যায়। ফলে দৃষ্টি বিষ্ফোরিত হয়। বেশির ভাগ লোকের মধ্যেই থাইরয়েড সমস্যার জন্যে এ অবস্থা দৃষ্ট হয়। কম সক্রিয় থাইরয়েডের পেছনে রয়েছে দেহের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইমিউন পদ্ধতি দারা থাইরয়েড আক্রান্ত হওয়া। থাইরয়েড কেন এত প্রভাবিত হয় তা জানা যায়নি। কম সক্রিয় থাইরয়েডের একটি বিশেষ ধরন হল হাশি খোটের রোগ এবং একটি এমন কম সক্রিয়তা, যা গলগন্ডের সাথে যুক্ত থাকতে পারে।
থাইরয়েড গ্ল¬ান্ডের কম সক্রিয়তার লক্ষন সমুহ নিম্নরুপ:
ওজন বৃদ্ধি, চুল পাতলা হয়ে যায় এবং ঠান্ডা সহ্য করতে না পারা। গর্ভবতি হলে ছোট গলগন্ড সকলের মধ্যেই দেখা যায়। এটি মারাত্মক নয়। অন্যান্য হরমোন জনিত পরিবর্তনের প্রতি থাইরয়েড অত্যন্ত সংবেদনশীল। আর অবশ্যই এজন্যে গর্ভ কালে হরমোন জনিত পরিবর্তন হয়। সন্তান হওয়ার পরে গণগন্ড প্রায় সর্বক্ষেত্রে সর্বদা ভালো হয়ে যায়।গলগন্ডের অন্যান্য কারন গুলো সবার মধ্যে দেখা যায় না। থাইরয়েডের ক্যান্সার দেখা যায়, তবে তা বিরল ঘটনা। সবশেষে বলতে হয় একটি ভাইরাস দারা থাইরয়েডে ইনফেকশন হতে পারে যার ফলে গলগন্ড হয়। এই অবস্থাকে থাইরয়েডিটিস বলা হয়। ঔষধের সাহায্যে এ অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়া যায়। যখন থাইরয়েড গ্ল¬াড ফুলে যায় তখন কন্ঠমনির সমরেখার নিচে সেটি দেখা যায়। গলগন্ডের আকার খুব ছোট থেকে অনেক বড় হতে পারে। সাধারনত গলগন্ডের লক্ষন সমুহ অত্যন্ত তুচ্ছ। লোকের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রধান কারন হলো হয় তাদের থাইরয়েডের অধিক অথবা কম সক্রিয়তার লক্ষন থাকে নয়তো গলগন্ড দেখা যায়না।
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা:
থাইরয়েড গ্ল¬াডের বৈশিষ্ট্য হলো, কিছু গলার সময় এটি উপরে ও নিচে নড়াচড়া করে। এ নড়াচড়া পর্যক্ষেন করে ডাক্তার নিশ্চিত হতে পারেন যে অন্যান্য সমস্যা নয়, তাইরয়েড ফুলে যাওয়াই প্রকৃত সমস্যা। ডাক্তার শুধু হাত দিয়ে ফোলা অনুভব করবেন না। তিনি নির্দিষ্ট জায়গায় কান রেখে শুনবেন যে অধিক সক্রিয় গ্ল¬াডে অত্যাধিক রক্ত প্রবাহের ফলে কোন শব্দ হচ্ছে কিনা। এর পরে তিনি রোগীর রক্ত পরীক্ষা করবেন। রক্তে থাইরয়েড হরমোনের স্তর নির্ধারনের জন্যে এ রক্ত পরীক্ষা করা হয়। স্তর উচু হলে বুঝতে হবে যে রোগীর থাইরোটক্সিকোসিস আছে। যদি থাইরয়েড কে চাঙ্গা করার জন্যে পিটুইটারি গ্ল¬াড অত্যাধিক কাজ করে তাহলে কারন হল মাইক্লোয়ে ডেসা। সাধারন গলগন্ডের চেহারা অসুন্দর। এ গলগন্ডের আকার ছোট করা যায়। সে জন্যে ১৮ মাস বা তার বেশি সময় থাইরয়েড হরমোনের একটি কোর্স মুখে সেবন করতে হবে। যদি গলগন্ড বিরাট সমস্যা হয় ও অস্বাভাবিক হয় কিংবা নিচে বুকের দিকে বিস্তৃত হয় এবং কিছু গিলতে অসুবিধা হয় তাহলে অস্ত্রোপাচার করা আবশ্যক। কম সক্রিয় থাইরয়েডের জন্যে গলগন্ড দেখা দিলে মুখে সেব্য থাইরয়েড হরমোনের সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। এটা এমন একটি চিকিৎসা যা আজীবন চালিয়ে যেতে হবে। বেশি সক্রিয় থাইরয়েডের চিকিৎসা করা যেতে পারে ট্যাবলেটের সাহায্যে। এ ট্যাবলেট গ্ল¬াডের সক্রিয়তা দমন করে। থাইরয়েড হরমোন গুলো থাইরয়েড গ্ল¬াডে গিয়ে জমা হয়। ট্যাবলেট থাইরয়েড হরমোন জমা হতে ও নিঃসৃত হতে দেয় না। এজন্যে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে গলগন্ড বড় হয়ে যেতে পারে। অবশ্য একমাস বা দুমাস পরে গলগন্ড আকার ছোট হওয়া শুরু করে। যদি বার বার এ অবস্থা হয় তাহলে থাইরয়েডের বেশির ভাগ অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে অপসারন করা যেতে পারে। এ চিকিৎসায় খুব ভাল ফল হতে পারে। অন্যথায় রোগীকে তেজস্ক্রিয় আয়োডিনের নিয়ন্ত্রিত মাত্রা পান করতে দিয়ে বেশি সক্রিয় থাইরয়েড টিস্যু ধ্বংস করা যেতে পারে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৫
সায়েন্স জোন বলেছেন: পাগলের চিকিৎসায় নিয়োজিত
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৮
গিট্টু মিয়া বলেছেন: গুড
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২০
নিয়েল হিমু বলেছেন: পজিটিভ আরো কিছু তথ্য পাওয়া গেলে ভাল লাগত ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৯
গিট্টু মিয়া বলেছেন: বাপরে বাপ ডাকতারের পোলা