নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Dr. Dipankar Mondal

Dr. Dipankar Mondal › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোমিওপ্যাথি একটি বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

হোমিওপ্যাথি একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি যা মহাত্মা শ্যামুয়েল হ্যানিম্যান কর্তৃক প্রায় ২০০ বছর পূর্বে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়। হোমিওপ্যাথির মূল কথা হলঃ রোগ নয়, রোগীর চিকিৎসা কর” ।
হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা নীতিতে ঔষধ পরীক্ষণ পদ্ধতি দ্বারা বলা হয়, যে ভেষজ যে রোগ সৃষ্টি হতে পারে সেই ভেষজ দ্বারা সেই রোগ আরোগ্য হতে পারে। হোমিওপ্যাথি ঔষধ সুক্ষ্মশক্তিতে প্রস্তুত হয়ে থাকে। কোন একটি ভেষজ বা ঔষধজ মূল উপাদান বারংবার পানি এবং অ্যালকোহল দ্বারা ডাইলিশন করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছানো হয় যা এক অতীন্দ্রিয় স্তর।

এটি মানুষের ভেতর রোগা আরোগ্যে খুব সুন্দরভাবে ক্রিয়া করতে দেখা গেছে এবং পরবর্তীতে এটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়। বর্তমানে বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে রোগ আরোগ্য ব্যবহার করছে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(Who) কর্তৃক ঘোষিত দ্বিতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি। বিশ্বের প্রথম স্থান অধিকার করে আছে আলোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।
মহাত্মা শ্যামুয়েল হ্যানিম্যান এরপর হোমিওপ্যাথির পরম্পরা ধারা ডাঃ হেরিং, ডাঃ কেন্ট প্রমুখের হাত ধরে পরিপূর্ণতা পেয়েছে।



হোমিওপ্যাথি রোগীর লক্ষণ সাদৃশ্য বিবেচনায় শক্তিকৃত একক ঔষধ প্রয়োগের কথা বলে। হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুযায়ী একই সঙ্গে একাধিক শক্তিকৃত ঔষধ ব্যবহৃত হয় না। যেকোনো শক্তি কৃত ঔষধ প্রয়োগের পর ঔষধের নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়।

হোমিওপ্যাথি কখনোই একটি রোগকে চাপা দেওয়া বা সাময়িক উপশমের কথা বলে না। এটি রোগের গভীর থেকে মায়াজমেটিক দোষকে নির্মূল করার মাধ্যমে শেকড় থেকে রোগকে আরোগ্য করে।

হোমিওপ্যাথিতে মায়াজমের ভুমিকাঃ মহাত্মা শ্যামুয়েল হ্যানিম্যান রোগবীজ হিসাবে তিনটি মায়াজমের কথা বলেছেন। সোরা, সিফিলিটিক ও সাইকোটিক। হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুসারে এই তিনটি রোগবীজ এর অস্তিত্ব ব্যতীত কোন ক্রনিক রোগ আসতে পারে না। এই তিনটি মায়াজম বা রোগবীজ এর প্রাবাল্য অনুসারে এন্টিমায়াজমেটিক বা ধাতুগত চিকিৎসা করা হয়।
সাধারণত কোন রোগে নিতান্তই প্রয়োজন না হলে হোমিওপ্যাথি বায্য প্রয়োগ সমর্থন করে না। বিশেষত যে সকল রোগে বায্য প্রয়োগের ফলে অভ্যন্তরীণ ঔষধের ক্রিয়া উপলব্ধিতে বিপত্তি ঘটে। ফলে পরবর্তীতে ঔষধের ক্রিয়া উপলব্ধি জনিত ভুল তথ্যের কারণে ঔষধ নির্বাচনে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় মনের উপর সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় অর্থাৎ মানসিক লক্ষণের দাম বেশি।

ঘুরে আসুন আমার হোমিওপ্যাথি চিকিতসা ব্লগ থেকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০২

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।

শুভব্লগিং।
শুভকামনা রইল দিপংকর বাবু।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

Dr. Dipankar Mondal বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.