নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Dr. Dipankar Mondal

Dr. Dipankar Mondal › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুস্থতা প্রতিদিন আসুন নিজেকে প্রস্তুত করি

১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৯

বর্তমানের যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্ত আমরা প্রাকৃতিক জীবন আচরণ প্রায় ভুলতেই বসেছি। আর এই সুযোগে রোগগুলোও যেন দল বেঁধে এসে আমাদের শরীরের অন্দরমহলে স্থায়ী বাসা করে নিয়েছে। আজ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস থাইরয়েড, গ্যাসট্রাইটিস, আর্থ্রাইটিস এই সকল সমস্যায় জর্জরিত অনেক মানুষ। অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের জীবন ঔষধ নির্ভর হয়ে পড়ছে এই কারণে।

কিন্তু আমরা ভেবে দেখেছি কি একটু সচেতন হলেই আমরা ঔষধ নির্ভরতা পরিত্যাগ করে সুস্থ থাকতে পারি অনেকাংশে। দৈনন্দিন অসচেতন জীবনযাপন, আহার বিহারের অমিতচারিতা এগুলো পরিত্যাগ করে যদি আমরা স্বাস্থ্যকর এবং সুঅভ্যাস গড়ে তুলি তবে আমরা তেমন একটা রোগগ্রস্তই হবনা। 

এখন আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি সেই রকম কিছু সুঅভ্যাসগুলো যেগুলো আমরা প্রতিদিন অভ্যাস করতে থাকলে ক্রমাগত আমরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারব


সুষম খাদ্যভ্যাসঃ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবজি ও ফল রাখতে হবে যেগুলো ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এগুলো দেহকে সুস্থ ও সবল রাখবে।

পরিমিত পানি পানঃ বডিকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাই বলে অতিরিক্ত পানি পান করা যাবে না। মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করলে সেটিও ক্ষতির কারণ হতে পারে।

নেশা পরিত্যাগঃ কোন নেশাই কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ফল বয়ে আনে না। নেশা আর্থিক ক্ষতি ও শারীরিক ক্ষতি এ উভয়কেই এক সুতোয় বেঁধে দিয়ে জীবনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। তাই সকল প্রকারের নেশা পরিত্যাগ করুন এবং সুস্থ থাকুন।

শ্রম বিমুখতা পরিহারঃ বর্তমানে যান্ত্রিক জীবনে আমরা সকল কাজেই অনেকটা কৌশলী হয়ে গেছি। অর্থাৎ শারীরিক পরিশ্রমের বদলে সহজে কোন কাজ সম্পন্ন করা যায় কিভাবে এই কৌশল কেই আমরা প্রধান পছন্দ হিসেবে রেখেছি। অথচ শরীরকে সুস্থ রাখতে শারীরিক পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। এই কারণে পরিশ্রমের সঙ্গে আমাদের যুক্ত থাকতে হবে। নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে।

রাত্রি জাগরন পরিত্যাগঃ রাত্রি জাগরন শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আয়ুর্বেদ বলছে রাত দশটা থেকে দুইটা এই চার ঘন্টা ঘুমালেই একজন মানুষ পরবর্তী সমস্ত দিন এনার্জি ঠিক থাকতে পারে। সেখানে কেউ আরো দুই ঘন্টা এর সঙ্গে যোগ করে ছয় ঘন্টা ঘুমালেই তা শরীর রিফ্রেশের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এই সময়টা জেগে থেকে পরবর্তী আট ঘন্টা ঘুমালেও শরীর সেই রিফ্রেশনেস পায় না। এই কারণে দ্রুত ঘুমাতে যেতে হবে এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে ঘুম থেকে উঠতে হবে।

মানসিক দুশ্চিন্তা পরিত্যাগঃ যান্ত্রিক জীবনের নানাবিধ জটিলতা বর্তমান সময়ে আমাদের মানসিক অবস্থাকে বিপন্ন করছে। মনকে নির্মল ও পরিশুদ্ধ রাখতে পারলে তা শারীরিক সুস্থতায় ভূমিকা রাখে। মনকে নির্মল পরিশুদ্ধ রাখার জন্য বিভিন্ন শখ, বাগান করা, গান শোনা, পুস্তক পাঠ করা, আউটডোরে খেলাধুলা করা ইত্যাদি নানা ভিডিও সঙ্গ আমরা বেছে নিতে পারি।

প্রকৃতির সান্নিধ্য গ্রহণঃ আমরা প্রকৃতি মাতার সন্তান।  প্রাকৃতিক আলো বাতাস আমাদের গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন মুক্ত আকাশের নিচে হাঁটাচলা করতে হবে। সকালের রোদ শরীরে লাগালে তাতে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। প্রকৃতির সৈন্দর্যের সাথে নিজের মনস্তাত্ত্বিক সৌন্দর্যকে একিভূত করতে হবে।

প্রতিদিন আমাদের দিনের শুরু এবং শেষটা যদি এই সকল রুটিন এর ভেতর দিয়ে আমরা সম্পন্ন করতে পারি তবে নিশ্চয়ই আমাদের শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও ক্রমাগত সুনির্মল হবে। বলা হয়ে থাকে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই আমরা স্বাস্থ্যের যথাযথ পরিচর্যা করলে তখন আমরা সুখী হতে পারব।

ঘুরে আসুন আমার Health Everyday ব্লগ থেকে।


ডা. দীপংকর মন্ডল।

রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.