![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিকূল আবহাওয়া, বন্যা, খরায় ভালো ফলন না হওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত, পোকার আক্রমণে ফলনহানি, উচ্চফলনশীল জাত চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন না হওয়ায় কৃষকের ক্ষতি এমন অসংখ্য শিরোনাম পত্রিকার পাতায় আমরা প্রায়ই দেখে থাকি। কৃষিবিদ ড. মোঃ নাজমুল হক শাহিন দীর্ঘ ১৯ বছরের নিরলস সাধনায় দেশী ধানের জাত হতে ট্রান্সগ্রেসিভ সেগ্রিগেন্ট ব্রিডিং এর মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল, বৈরী আবহাওয়ায় চাষ উপযোগী ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন নুতন ইনব্রিড ৮৫০ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। নতুন ধানের জাতগুলো আউশ, আমন ও বোরো মওসুমে চাষোপযোগী হবে। ধানের জাতগুলো নিচু থেকে উঁচু জমিতে চাষ করা যাবে। হাওরে চাষোপযোগী অনেক ধানের জাত এতে অন্তর্ভুক্ত আছে। ধানের চাল সাদা, লম্বা চিকন, মাঝারি চিকন ও মাঝারি রকমের মোটা এবং খেতে সুস্বাদু। এই ৮৫০টি ধানের জাতের মধ্য বেশ কয়েকটি রফতানিযোগ্য সুগন্ধি ধানের জাতও রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব এবং কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে ও দুর্গাপুর, নেত্রকোনা এবং খুলনা ফার্মের কৃষি স্বাস্থ্যসেবা কিনিকে গবেষণা করে দেখা গেছে, উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলো নাইট্রোজেন সার ব্যবহারে সাশ্রয়ী। কোনো ধরনের নাইট্রোজেন সার ব্যবহার না করে শুধু গোবর, এমওপি ও টিএসপি সার প্রয়োগ করে ব্রি-ধান ২৯ অপো হেক্টরপ্রতি একটন বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। ধানের জাতগুলো তাপমাত্রা, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা সহনশীল। এ ছাড়া এ ধানগুলোর পুষ্টিমানও অনেক বেশি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইসস্টিটিউটের পরীগারে খাদ্যগুণ বিচারে উদ্ভাবিত ধানের নতুন জাতগুলোতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ পরীক্ষায় ধানগুলোর চালে সর্বোচ্চ আয়রনের পরিমাণ ৫৮.০৮ পিপিএম, যা পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত বিদ্যমান আয়রনসমৃদ্ধ ধানের জাত অপো সাত গুণ বেশি। বাংলাদেশ এর মাধ্যমে অর্জন করবে সর্বোচ্চ ফলনশীল দেশী ধানের ইনব্রিড জাত। উদ্ভাবিত নতুন ধানের জাতগুলোর জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে প্যাটেন্ট করে বাংলাদেশ সরকার দেশের জাতীয় সম্পদে অন্তর্ভুক্ত করে ধান গবেষণাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের কৃষি ও অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কৃষক পাবেন খাদ্যনিরাপত্তা ও উন্নত জীবনযাপন এবং পৃথিবীতে সূচিত হবে ‘দ্বিতীয় সবুজ বিল্পব’।
©somewhere in net ltd.