![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু মাথাপিছু জাতীয় আয় বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় ঠাঁই দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বীকৃতি দেবে জাতিসংঘ। তার আগে জাতিসংঘের বোর্ড সভায় এটি অনুমোদিত হতে হবে। এই বিরাট স্বীকৃতি পাওয়া থেকে এখন সামান্য দূরে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া তিনটি সূচকের মধ্যে একটির নির্দিষ্ট মান অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ, বাকি দুটিও নিঃশ্বাস-দূরত্বে। মাথাপিছু আয় আরো বাড়িয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে সামান্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হলেই জাতিসংঘের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'মধ্যম আয়ের দেশ' হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৩১৪ ডলার। পর পর তিন বছর মাথাপিছু আয়ের গড় এক হাজার ৪৫ ডলার হলেই বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ডে তা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। এ বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৯২৬ ডলার। জাতিসংঘের বাকি দুই সূচকের একটি হলো মানবসম্পদ সূচক (এইচএআই)। এ সূচকে ন্যূনতম ৬৬ বা তার বেশি অর্জন করতে হবে বাংলাদেশকে। মূলত জনগোষ্ঠীর পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নকে মূল্যায়ন করে জাতিসংঘ। এসব ক্ষেত্রে যত অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে বাংলাদেশের অবস্থানও তত বাড়বে। জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসাবে বর্তমানে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৩.৮-এ। অর্থাৎ মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশকে আর মাত্র ২.২ পয়েন্ট এগোতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশের অভিধা থেকে মুক্তি পেতে তৃতীয় শর্ত অর্থনৈতিক সংকট সূচক (ইভিআই)। এটা নির্ভর করে কৃষি উৎপাদন, পণ্য ও সেবা রপ্তানি, প্রচলিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও জিডিপিতে সম্পূর্ণ পণ্য উৎপাদন ও আধুনিক সেবার অংশীদারত্ব ও ছোট অর্থনীতির প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর। তবে শর্তটি বেশ ভালোভাবেই উত্তরণ করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের শর্ত অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে ৩২ বা তার চেয়েও কম অবস্থানে থাকতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫ দশমিক ১-এ।
©somewhere in net ltd.