![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলায় একটা কথা চালু আছে ‘কয়লা ধুলে ময়লা যায় না’। একটি দলের চেয়ারপারসন যেন এসব কথা নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, প্রায় ২৫ বছর আগে এই রাজনৈতিক দলটি তার রানিং মেট হিসেবে বেছে নিয়েছিল যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতকে। বড় দল হিসেবে তাদের ছায়া জামায়াতের উপর পড়ার কথা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ঘটনা উল্টো। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন থেকেই জামায়াত দেশে জঙ্গীগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সর্বাত্মক সহায়তা করেছে। ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরও তাদের সে অপতৎপরতা থেমে নেই। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আত্মিক। আত্মার-আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ বিএনপি ও জামায়াত। তার প্রমাণ আমরা অতীতেও পেয়েছি। খুব বেশি দিনের কথা নয়, জামায়াতের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে জিয়া তনয় তারেক রহমান বলেছিলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক পারিবারিক। এছাড়াও তারা বলেছিলেন, দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বরাবরই কটাক্ষ করে এসেছে জামায়াত। বিএনপি চেয়ারপারসন যেন জামায়াতী বচন পুনরাবৃত্তি করলেন গত ২১ ডিসেম্বর। সেখানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। তিনি বলেন ‘আজকে বলা হয় এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অর্জন এই স্বাধীন ভূ-খন্ড ও লালসবুজের জাতীয় পতাকা। এই মাটিতে মিশে আছে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জন আমাদের এই স্বাধীনতা। অথচ এই মহান শহীদদের সরাসরি অবমাননা করে বসলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। শহীদের সংখ্যার সত্যতা নিয়ে কেন প্রশ্ন তুললেন তিনি? উদ্দেশ্য কী? কার স্বার্থ দেখছেন তিনি? বাংলাদেশের নাকি পাকিস্তানের ?
©somewhere in net ltd.