![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে গত এক যুগ ধরে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। এমনকি বৈশ্বিক মন্দার সময়ও বাংলাদেশ একই হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বাংলাদেশে এক স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। এসব কারণেই বাংলাদেশ আজ বিনিয়োগের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। গত সাত বছরে দেশের বিদ্যুত খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বিদ্যুত। অথচ সাত বছরে আগে এ হার ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ। এখনও বিদ্যুত খাতে বিনিয়োগের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগ গ্রহণে প্রযুক্তি ও মেধাগুণে পূর্ণ প্রস্তুত। বিনিয়োগের এমন অনুকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ অতীতে দেশে দেখা যায়নি। বর্তমানে চীন ও ভারতের পরেই শীর্ষ বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ উঠে এসেছে। গত এক বছরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বেড়েছে ২৭ শতাংশেরও বেশি। গত ছয় বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। গড়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৬.৪ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৯.৭ শতাংশ হারে। ছয় বছর আগে মূল্যস্ফীতি যেখানে ছিল দুই অঙ্কের ঘরে, গত মার্চে তা ৬.১ শতাংশে নেমে এসেছে। ছয় বছর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যেখানে ছিল ৬৫০ কোটি ডলার, বর্তমানে তা ২,৯০০ কোটি ডলারে উঠে এসেছে। অধিক সংখ্যক মানুষ দরিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসার কারণেই বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। দরিদ্র মানুষের আয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং খরচ করার সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য সরকার সব ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে নতুন বিনিয়োগের জন্য জমির সঙ্কট রয়েছে। সেই সঙ্কট দূর করার জন্য বিদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য এক শ’ অর্থনৈতিক জোন করছে সরকার। বাংলাদেশ সবচেয়ে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে খাদ্যশস্য উৎপাদনে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে যেখানে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল মাত্র এক কোটি ১১ লাখ টন। যেখানে বর্তমানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৮২ লাখ টন। বাংলাদেশ শুধু খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি, বিদেশে চাল রফতানিও শুরু করেছে। অথচ গত ৪৪ বছরে দেশে আবাদি জমি কমেছে প্রায় ছয় শতাংশ। এটা সম্ভব হয়েছে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং সরকারের যুগোপযোগী গৃহীত পদক্ষেপের কারণে
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
মহা সমন্বয় বলেছেন: আশা জাগানিয়া খবর।
ধন্যবাদ।