নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নত দেশের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে দেশের ঔষধ

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২২


বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত সর্ব ক্ষেত্রে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের ১৩৩টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রফতানি করছে। গার্মেন্টস শিল্পের মতোই এ শিল্পের অগ্রগতি উল্লেখ করার মতোই। এতোদিন বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের প্রায় ৯৫ শতাংশ ১২শ’ কোটি টাকার কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে অনেক টাকা ব্যয় হয়। কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করা গেলে বড় একটি খরচ থেকে দেশ বাঁচবে। ওষুধ শিল্পের সম্ভাবনার দ্বার আরও খুলে যাবে। পোশাক শিল্পের পরই ওষুধ রফতানি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হচ্ছে দেশ। দেশের অন্যতম উদীয়মান শিল্প হচ্ছে ওষুধ। অভ্যন্তরীণ ৯৭ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ১৩৩টি দেশে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হচ্ছে। এখন ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামালও দেশেই উৎপাদনের কাজ শুরু হচ্ছে। এতে ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত দেশের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বর্তমানে কাঁচামাল উৎপাদন করছে। এ পর্যন্ত ৪১টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নিয়েছে। আরও দুটি আবেদন করেছে। দেশেই ইতোমধ্যে বেক্সিমকো, স্কয়ার, অপসোনিন, ইনসেপ্টা, এক্মিসহ ৩৫টি প্রতিষ্ঠান কাঁচামাল উৎপাদন করছে। সূত্র মতে, বিদেশে রফতানির পাশাপাশি দেশের বাজারে এখন বছরে ১৬ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি হয়। বর্তমানে ক্যান্সারের মতো রোগের কিছু ওষুধ ছাড়া অন্য কোন ওষুধ খুব বেশি আমদানি করতে হয় না। কাঁচামাল আমদানি করতে না হলে দেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের শতভাগ চাহিদা পূরণ যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি স্বল্পমূল্যে ওষুধের সরবরাহেরও সুযোগ মিলবে। যদিও ক্যান্সারের দুর্লভ ও ব্যয়বহুল ওষুধ এখন দেশেই তৈরি হয়। ক্যান্সার ওষুধের বাজার বেশ বড়। বিশ্ববাজারের তুলনায় কম দাম, উৎপাদন, গুণগতমান, উচ্চমানের ওষুধ প্রস্তুতকরণ, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদের ক্ষেত্রে এ শিল্প নিজেদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৭ বছর ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের মেধাস্বত্ব আইন মানার বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকছে না। ডব্লিউটিও’র এ সিদ্ধান্তের প্রাণ ফিরে পাবে দেশের ওষুধ শিল্প। ওষুধের উৎপাদন এবং রফতানী বাড়বে; আরো কর্মসংস্থান হবে হাজার হাজার নারী-পুরুষের। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশীয় ৪৬ কোম্পানির প্রায় ৩০০ ধরনের ওষুধ যাচ্ছে বিদেশে। এভাবে ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত দেশের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

একটি পেন্সিল বলেছেন: রপ্তানি করে আয়ের হিসাবটা কেমন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.