নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময় এসেছে এই বিশ্বাসের প্রতিদান দেয়ার

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০


দেশের এক-দশমাংশ ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা ও গাছপালা বেষ্টিত মনোরম দৃশ্যের এ ভূমিতে রয়েছে বাঙালি ও ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দৃষ্টিনন্দন পাহাড় এবং সবুজের সমারোহে প্রাণ জুড়িয়ে যায় ভ্রমণপিপাসুদের। সাজেক ও নীলগিরিতে হাত বাড়ালেই যেন ছোঁয়া যায় মেঘের শরীর। অ্যাডভেঞ্চার আর রোমান্সের ছড়াছড়ি এখানকার প্রতিটি ট্যুরিস্ট স্পটের পরতে পরতে, তাই দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ রয়েছে এই তিন পার্বত্য জেলাকে ঘিরে। দেশে পর্যটনশিল্পের বিকাশে অপার সম্ভাবনার উৎস হতে পারে তিন পার্বত্যজেলা, পর্যটনের জন্য পাহাড়ে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা। পর্যটন বাণিজ্যের যথাযথ সম্প্রসারন হলে এ অঞ্চলটি হয়ে উঠবে সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস। বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে এ খাত হতে তিন জেলা থেকেই বছরে প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশের বিশাল সম্পদ এই তিন জেলা। কিন্তু সম্প্রতি কুচক্রিদের প্ররোচণায় জেএসএস এবং ইউপিডিএফের পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বৃদ্ধিতে নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে পর্যটকরা সেখানে যেতে চাইছে না। অশান্ত পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত হয়েছিল ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’। চুক্তিতে পাহাড়িদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করে তারা নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবি করছে। সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তির বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা হলেও পাহাড়ে হানাহানি বন্ধের যে শর্ত দেয়া হয়েছিল তা বন্ধ করেনি এই অঞ্চলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ হয়নি বলেই পাহাড়ে পর্যটনের যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে তা কোনভাবেই কাজে লাগানো যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য এলাকায় বেশকিছু পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এ সব পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে উঠা হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকান ও যানবহন ব্যবস্থাপনায় শত শত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও অনগ্রসর কৃষি পদ্ধতির জুম চাষ যাদের একমাত্র আয়ের উৎস সেই পাহাড়িরাই লাভবান হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তারপরও কুচক্রিদের প্ররোচণায় সাজেক, কাপ্তাই ও পাবর্ত্য এলাকায় যাতে পর্যটকরা না আসে এ জন্য পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলো নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। জায়গায় জায়গায় পর্যটনবিরোধী পোস্টার লাগিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে পর্যটনের নামে নাকি স্থানীয় উপজাতিদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পর্যটকদের ভয়ভীতি দেখানো, বিভিন্ন হোস্টেল ও রিসোর্টের মালিকদের কাছ থেকে উচ্চ হারে চাঁদা আদায়, বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞা জারি ইত্যাদি অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ স্থানীয় পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন পদ্ধতি ব্যাপকভাবে বদলিয়ে দিলেও অধিকহারে ভ্রমণপিপাসু মানুষের আগমনে সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তারে বাধার সৃষ্টি হওয়াতেই পার্বত্য এলাকায় পর্যটন শিল্পের বিরুদ্ধে পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলো নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে আশার কথা, তাদের এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা, সরকার অনতিবিলম্বে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কঠোর হস্তে সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা দমন করে এ অঞ্চলে পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে অপমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে সচেষ্ট হবে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সক্ষমতায় স্থানীয় জনতার রয়েছে অবিচল আস্থা – সময় এসেছে এই বিশ্বাসের প্রতিদান দেয়ার।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দু:খের কথা হলো শন্তু লারমা ঢাকাতে পাঁচ তারকা হোটেলে আয়েসী জীবন যাপন করেও মাথা থেকে জঙ্গি চিন্তা ভাবনা দূর করতে পারছে না।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:
পোষ্টের জন্য আপনাকে ফুলের শুভেচ্ছা।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

জীবন সাগর বলেছেন: খুব ভাল একটা পোষ্ট। আপনার সাথে একমত। দেশের এই পর্যটন শিল্প ধরে রাখতে সরকারের দৃষ্টি আবশ্যিক। পর্যটকদের সুন্দর ভ্রমণের নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.