নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তথ্য চাই তথ্য চাই !! আমি ভালোবাসি তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এবং এর বাস্তবায়নে যাতে সরকারী-বেসরকারী প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সততা-ন্যাপরায়নতা ফিরে আসে, সেটাই আমার কামনা এবং আন্দোলন।

২০০৯ সালের তথ্য অধিকার আইনের সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সরকারী-বেসরকারী প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সততা ফিরে আসুক, এটাই আমার কামনা!!

তথ্য অধিকার

আমি একজন ফ্রীল্যান্স সাংবাদিক, পত্রিকায় ও ব্লগে লেখাই আমার নেশা।

তথ্য অধিকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গিয়েছিলাম একদিন তথ্য কমিশনে!!!! যতসব অনিয়ম--

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৩

গিয়েছিলাম একদিন তথ্য কমিশনে!!!



দেখলাম, প্রত্নতত্ত্ব ভবনের তিনতলায় ভাড়া করা একটি ফ্লোরে কাচেঘেরা অফিসটি ছিমছাম। খোঁজ নিয়ে জানলাম, ৭৬টি পোস্ট থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছে ৪৪টি পোস্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।



কী দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় যে, একগ্লাস পানির জন্য আমি হাপিত্যেশ করেও পাইনি এই অফিসে। কারণ এমএলএসএস এর ১২/১৪টি পোস্ট থাকলেও বর্তমানে একজন এমএলএসএসও নেই তথ্য কমিশনে? অথচ এমএলএসএস নয় এমন ৩জন হতভাগা চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারীকে জোর করে এমএলএসএস বানিয়ে সারা অফিসেই খাটিয়ে মারা হচ্ছে!!



এক অফিসারের রুমে বসে দেখেছি, পানি্র জন্য তিনি বহুবার কলিং বেল টিপেও সেই তিন অভাগার একজনকেও হাজির করতে পারেননি, ফলে আমি পানি পাইনি বলে খাইনিও!



শুনলাম, এবারও এই অফিসে লোকনিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকায়। কিন্তু এমএলএসএস এর পদে একজন লোকও চায়নি তথ্য কমিশন। কিন্তু কেনো, কেউ এর জবাব দিতে পারেনি।



কৌতূহল সামলাতে না পেরে আমি ''ইচ্ছের বিরুদ্ধে এমএলএসএস পদে'' চর্কির মতো ঘোরা সেই কৃত্রিম পিয়ন বেচারাদের সাথেও আমি কথা বলেছি, তাদের নিজপদের স্থলে এমএলএসএস পদে খাটানোয় তারাও চরম অসন্তুষ্ট। অথচ বাড়তি বেতন বা ভাতাও কিছু পায়না তারা। এদের একজন আবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ প্রসেস সার্ভার পদের, যা তার জন্য লজ্জাকরও!



অনেকের সাথেই কথা বলে জেনেছি, এই অফিসের কাজের জন্য সরকার প্রতিবছর ৭কোটি টাকার কম-বেশী থোক বরাদ্দ দিলেও প্রতিবছর ৩/৪কোটি টাকা খরচ না হয়ে ফেরত যায়। ফলে গতবছর থেকে এই টাকার পরিমাণও সরকার কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।



২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত তথ্য কমিশনে একজনও পিয়ন নেই আবার টাকাও কাজে লাগেনা বলে ফেরত যায়, শুনে হতভম্ব হলাম আরকি? তবু ভালো যে, এই টাকা লুটপাটের অভিযোগ নেই। তবে কী কাজ করছে কমিশন যে, বছরশেষে কোটি কোটি টাকা ফেরত দিতেও হচ্ছে কেনো? আবার ১২/১৪ টি এম এল এস এস পদ থাকলেও কোনো পিয়ন পদায়ন না করে বরং ৪৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজে ১২/১৪ জনের কাজে বিনাপয়সায় খাটিয়ে মারছে মাত্র এই তিন হতভাগাকে? কিন্তু কেনো!!!



বার্ষিক বরাদ্দ ৭কোটি টাকা অথচ এমএলএসএস নিয়োগ করেনা কেনো–? এটা আমাকে খুব ভাবিয়েছে যেহেতু একগ্লাস পানি খেতে পারিনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসে পিয়নের অভাবেই!! অথচ ৩ গরীব বেচারাদের ওপর দিয়ে ১২/১৪জনের কাজ হাসিল করে নেয়া হচ্ছে অন্যায়ভাবে?



প্রধান তথ্য কমিশনারের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ শিক্ষিত ছেলেটি এমএলএসএস হিসেবে কাজ করলেও অন্য ২জনের ১জন দুই তথ্য কমিশনারের জন্য নিয়োজিত এবং আরেকজন সচিব সাহেবের জন্য ব্যস্ত। অন্য অফিসাররা সারাক্ষণ বেল দিলেও বা ডাকলেও তাদের নাগাল না পেয়ে হতাশ শুধু নয় অপদস্ততাবোধই নয় চরম হতাশাও বোধ করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।



বিষয়টি সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত যে, কেন নবগঠিত তথ্যকমিশন যথাযথ কাজ না করেই এতো টাকা ফেরত দেয় আর পিয়ন না নিয়ে অন্য কর্মচারীদের পিয়ন বানিয়ে খাটিয়ে মারছে? সরকারে সদিচ্ছার কি তবে মূল্য দিতে পারছেনা, এই কমিশম? এতে কী রহস্য আছে, তা বের হওয়া দরকার।



আবার শুনলাম, একজন মহিলা তথ্য কমিশনার যিনি রাত-দিন কমিশনের কাজের বদলে এনজিও'র কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং ব্যক্তিগত কাজেও তথ্য কমিশন ও তার কর্মকর্তাদের খাটিয়ে মারেন।



শুধু তাই নয়, তিনি প্রতিমাসেই কয়েকবার করে বিদেশ টুর করে শুধু টাকা কামানোর ধান্ধাই করে থাকেন। ব্যাপারটা এতোই ওপেন সিক্রেট ও সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, অনেকেই তার প্রতি বিরূপ মন্তব্য করতেও ছাড়েন না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বলেন কি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

তথ্য অধিকার বলেছেন: একবার গিয়ে আরো যোংরা যৌন কাহিনী শুনে আসেন-

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.