![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্য দেবতার সম্মানে চালু হয় রোববারের ছুটি ।
আজ থেকে ১৬৯২ বছর আগে খ্রিস্টীয় ৩৬১ সনের এই দিনে দেয়া হয়েছিল রোববারের ছুটি পালনের নির্দেশ। রোমান সম্রাট কন্সতান্তিন সূর্য দেবতা "সলিস ইনভিক্টি" (Solis Invicti) বা "অপরাজেয় সূর্য"-এর দিবস তথা রোববারকে (Sunday) সাপ্তাহিক ছুটির দিন পালনের ফরমান জারি করেন।
গোটা রোমান সাম্রাজ্যে জারি করা হয় এই ডিক্রি। সে যুগে ইউরোপ, এশিয়া মাইনর, লেভান্ট (প্রাচীন বৃহত্তর সিরিয়া ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল) ও উত্তর আফ্রিকা রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সম্রাটের ফরমানে বলা হয়" রোববারের এই মহান দিনে শহরগুলোর বিচারক বা প্রশাসক ও জনগণ বিশ্রাম নেবে এবং সব কর্মশালা বন্ধ থাকবে।"
আর এভাবেই সেই থেকে মহান নবী হযরত ঈসা (আ.)'র আদর্শ বা শিক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও সূর্য দেবতার সম্মানে গোটা খ্রিস্টান বিশ্বে রোববারে ছুটির প্রথা চালু হয় এবং পাশ্চাত্যে ও ইউরোপীয়দের সাবেক উপনিবেশভুক্ত অনেক দেশে এখনও তা চালু রয়েছে।
রোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রধান সরকারি দেবতা হিসেবে সূর্যের পূজা করা হত এবং রোমান সেনাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হত এই দেবতার নামে। তাই আসলে রোববার মুশরিকদের ছুটির দিন।
কন্সতান্তিন খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করলেও খ্রিস্ট ধর্মের খাঁটি বিশ্বাস তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন না, বরং ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণের পরও তার মুদ্রাগুলোয় সূর্যের প্রতীক খোদিত থাকত।
কন্সতান্তিন সূর্য দেবতার উতসবের দিন তথা ২৫ শে ডিসেম্বরকে ক্রিস্টমাস হিসেবে ঘোষণা করে এ ধারণা দেন যে, এই দিনে হযরত ঈসা (আ.) জন্ম নিয়েছিলেন, যদিও অনেকেই মনে করেন এই মহামানবের জন্ম হয়েছিল অন্য কোনো দিনে।
উল্লেখ্য, পল নামের একজন ইহুদি খ্রিস্ট ধর্মের বড় পুরোহিত হিসেবে আবির্ভূত হয়ে এ ধর্মে ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদার মতবাদ চালু করেন।
সুত্র -- রেডিও তেহরান
©somewhere in net ltd.