নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাদ্দাদের জন্ম মৃত্যু বেহেশত নির্মান ও কিছু ধর্মকথন

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২০

তাওরীখের কিতাবে লিখিত আছে, একদিন আল্লাহ পাক হযরত আযরাইল (আঃ) কে জিঞ্জাসা করলেন যে, হে আযরাইল।তুমি দীর্ঘকাল যাবত জীবনের জান কবজের দায়িত্বপালন করছ। কোন জান কবজের সময় কখনও কি তোমার অন্তরে দয়ার উদ্রেক হয়েছে? কখনও কি কারও প্রতি দয়া দেখিয়েছ?



আযরাইল আঃ বললেন-হে মহান রব। জান কবজ কালে সকলের উপরই আমার রহম আছে। কিন্তু সর্বদা আপনার হুকুমের প্রাধান্য দিয়ে থাকি।



আল্লাহ পাক বললেন কার প্রতি তোমার সর্বাধিক দয়া হয়েছিল?



আযরাইল আঃ বললেন হে আমার রব। আপনার নির্দেশে আমি একদিন একটি নৌকা ধ্বংস করেছিলাম । যখন নৌকার তক্তাসমূহ। ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেললাম,তখন নৌকাটি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেল। নৌকার যাত্রীদের সকলের জান কবজ করা হলো। একজন মহীলা একটি তক্তা ধরে ভেসে থেকে একটা দ্বীপ পর্যন্ত চলে গেল। দ্বীপে পৌছার পর উক্ত মহীলার একটি পুত্র সন্তান জন্ম হলো। নব্য প্রসুত সন্তান দেখা মাত্র মহীলাটি তার সমস্ত দুঃখ দূর্দশা ভুলে গেল। কিন্তু তখনই নির্দেশ পেলাম যে ,মাতার জান কবজ করতে হবে।তখন এ কথা ভেবে কেদেছিলাম যে, এখন শিশুটির কি অবস্থা হবে? শিশুটির মৃত্যু ছাড়া কোন উপায় নেই অথবা কোন হিংস্র জন্তু তাকে খেয়ে ফেলবে।



দ্বিতীয়বার আমার দয়ার উদ্রেক হয়েছিল শাদ্দাদের প্রতি। কেননা সে কয়েক বছর চেষ্টা করে প্রাসাদটি তৈরি করেছিল অথচ সে প্রাসাদটি একনজর দেখা হতে বঞ্চিত রয়ে গেল। সে যখন প্রথম কদম ফেলছিল তার বানানো বেহেশতে। দ্বিতীয় কদম ফেলার আগে তার জান কবজের হুকুম আসে।অন্তরে আফসোস নিয়েই তাকে দুনিয়া হতে বিদায় নিতে হয়েছে।



আল্লাহপাক বললেন, হে আযরাইল। শাদ্দাদই ছিল সেই শিশু যার প্রতি তোমার দয়ার উদ্রেক হয়েছিল। তার মাতার মৃত্যুর পর আমি সূর্য ও বায়ুকে নির্দেশ দিলাম যে, তোমরা গ্রীষ্ম ও শীতের দ্বারা তাকে কষ্ট দিয়ো না। তার এক আঙ্গুল হতে দুধ আর এক আঙ্গুল হতে মধুর ঝরণা প্রবাহিত করে দিয়েছিলাম। এভাবেই আমি তার জীবন রক্ষা করি।



অতপর তাকে বিশাল দেশের প্রতাপশালী বাদশাহ বানিয়েছি। কিন্তু সে এ নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে খোদায়ী দাবী করেছে। তাই আমার আযাব তাকে গ্রাস করেছে।



আল্লাহ পাক স্বয়ং পবিত্র কোর আন পাকে উল্লেখ করেছেন যে, হে মুহাম্মদ। শাদ্দাদ পৃথিবীতে এমন প্রাসাদ নির্মান করেছিল পৃথিবীর কোন বাদশাহ কোনদিনই তেমন প্রাসাদ নির্মান করতে পারে নি।



চল্লিশ গজ নিচ থেকে মর্মর পাথর তার প্রাসাদের ভিত্তি স্থাপন করা হল। তার উপর স্বর্ণ ও রৌপ্য নির্মিত ইট দিয়ে প্রাচীর তৈরি করা হয়। সোনা ও রূপার দ্বারা অপূ্র্ব বৃক্ষসমূহ। ফল তৈরিকরা হয়েছিল মণি মুক্তা ও হীরা জহরতের তৈরি বিভিন্ন ধরণের ফল শোভা পাচ্ছিল।

-----------------------------------

পৃথিবীর সমস্ত নামকরা রাজা বাদশাহ বরবাদ হয়েছেন।আযাবে গ্রেফতার হয়েছেন।অনেকে নিজেকে খোদা দাবী করেছেন। যেমন নমরূদ ফেরউন শাদ্দাদ প্রমুখ।তারা আল্লাহর আযাবে পতিত হয়েছেন।



পক্ষান্তরে নবী ও রাসুলগণ ছিলেন দরিদ্র। সবচেয়ে দরিদ্র ছিলেন ঈসা (আঃ)।তার সম্বল ছিল তার পরনের কাপড় একটা লোটা আর বালিশ।নবীরা দিনের পর দিন না খেয়েও থেকেছেন।কষ্ট করেছেন। বিনিময়ে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করেছেন।



নবীরা হয়েছেন সফল।আর নাফরমান বাদশাহরা হয়েছেন ধ্বংস।এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়ার ব্যাপার আছে।



বর্তমানেও দেখা যায় দেশের শাসক বর্গ অন্যায় দূর্নীতির মাধ্যেমে টাকার পাহাড় গড়েছেন। অহংকারী হয়েছেন। দেশেরউন্নয়ন হয়নি।দেশবাসী বিরক্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।



অথচ মানুষের বুদ্ধি আছে বিবেক আছে। শুধু মাত্র নবীদের জীবনাদর্শ মানলেই সফলতা। আর নমরূদ ফেরউনের আদর্শে ধ্বংস পতন।



তবে হাদীসেএমন ওআছে। যখন মানুষ গোমরাহীর চরমে পৌছে যায় তখন তাদেরউপর অত্যাচারী বাদশাহ চাপিয়ে দেয়া হয়।তখন কোন বুজুর্গএর করা দোয়াও আল্লাহ কবুল করেন না। তাই ধমকের সুরে বলা হয়েছে তোমরা জালিমকে জুলুম করা হতে নিবৃত্ত করতে থাক সৎ কাজের আদেশ দাও অসৎকাজে বাধা প্রদান কর।



মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৬

বোকামন বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম।

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ওয়ালাইকুম ছালাম। কমেন্টে ও প্রথম ভালো লাগায় অনেক ধন্যবাদ। শদ্দাদের জন্ম মৃত্যু ঘটনাকি যে কাউকে চমকে দেয়ার মত।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তাওরীখের কিতাবে লিখিত আছে!

তাওরীখ না তাওরিত?

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বইটিতে তাওরীখ এর উল্লেখ ও পেয়েছি। ঘটনাটি এতই প্রসিদ্ধ যে ঘটনাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কমেন্টে ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালো লাগলো ঘটনা টা জেনে ! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ সেলিম ভাই !

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার কমেন্টে প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১০

এক্সপেরিয়া বলেছেন: ঘটনাটি সুন্দর.....সর্বোচ্চ পদে গেলে সব ভূলে যায়....

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত। কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভাল লিখেছেন

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বোকামন বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম।


ভালই লিখেছেন ভাই।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০

বাংলার হাসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন

২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ।শুভকামনা থাকলো নিরন্তর।

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৪

নাম বলবো না বলেছেন: আমাদের এত-শত ভালো কথা শুনার টাইম নাই।

২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: টাইম না থাকা সত্ত্বেও পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ঘটনাটা জেনে ভালো লাগলো! প্লাস!

২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১০| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: হুম জানলাম ধন্যবাদ

২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা।

১১| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

জয় সুমন বলেছেন: ভালো লাগলো ।

২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১২| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪

মামুন হতভাগা বলেছেন: তোমরা জালিমকে জুলুম করা হতে নিবৃত্ত করতে থাক সৎ কাজের আদেশ দাও অসৎকাজে বাধা প্রদান কর।
++++++++

২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা।

১৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:১০

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ সেলিম ভাই।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১০

বাঘ মামা বলেছেন: আপনার হাদিস কোরআন নিয়ে ভালোই দখল আছে দেখছি,যথেষ্ট সময় দেন মনে হয়, খুব ভালো লাগলো বিষয়টা।

একটা সহজ সুত্র হলো যত উপরে উঠবেন ততই নিচে পরার ভয় ও ভয়াবহতা বেশি।
উপরের তলার মানুষ গুলো টাকার পাহাড় ঠিকি করে কিন্তু আমার মনে হয় কি জানেন -সন্ধ্যা বেলায় কিছু রিক্সাওয়ালাদের দেখি রাস্তার একপাশে দাড়িয়ে হাতে একটা বিড়ি নিয়ে যখন তার পকেট থেকে দশ টাকা বিশ টাকা সেই খুচরা নোট গুলো ভাজ করা আর গুনে পকেটে রাখার সময় মুখের একটা তৃপ্তির হাসি লেগে থাকায় যেই সুখ সেটা ঐ উপরের তলার মানুষটার মধ্যে আছে কিনা আমার সন্দেহ।

শুভ কামনা সবার জন্য

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ বাঘ মামা ।ভাগ্যিস উপরের তলার পাবলিক নই আমি। মরার আর পরা কি?

খাটি একট কথা বলেছেন মেহনতি মানুষের ই সুখে তাকা উচিৎ।তার মেহনতের স্বল্প টাকায় সততা আছে।খ্যাতির বিড়ম্বণাও তার নেই।

শুভকামনা নিরন্তর ।

১৫| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪৯

না পারভীন বলেছেন: প্রাণ ছুঁয়ে গেল । আগে থেকে জানতাম , আজ লেখনীর জোরে অসাধারণ লাগল ।+++

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।

১৬| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১৫

দি সুফি বলেছেন: ঘটনাটা আগে থেকেই জানা ছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +++
দুনিয়ার মোহে সবাই ভুলে যায় যে, একদিন তাকেও এই পৃথীবি ছেড়ে চলে যেতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হবে!
আর নারীর ক্ষমতায়ন নিয়াও কিন্তু একটা হাদীস আছে। ;) আমরা কিন্তু আসলেই বিপদে আছি।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত কমেন্টে ও ভাল লাগায় ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১৭| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

আবুল মোকারম বলেছেন: শায়ের বলেনঃ
উও নম্রুদ ফেরাউন জাল্লাদ দ'নো
জাহান্নাম গয়া হ্যাঁয় এ শাদ্দাদ খাজা!!!

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন শায়েরী। ধন্যবাদ পাঠে ও কমেন্টে ।

১৮| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

আসফি আজাদ বলেছেন: জুলুম এবং অসৎ কাজে নিঃসন্দেহে অনেক মজা...নিষিদ্ধ কিছুর মজা...না হলে এমন হবে কেন?
ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত। মজা মজায় জীবন বরবাদ। ব্যার্থতার ইতিহাস ।

১৯| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

আত্নভোলা বলেছেন: শাদ্দাতের পুরা জীবন বিতান্ত এবং তার সম্পর্কে সম্পুর্ন পোস্ট দিলে আরও ভাল হত।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। সেটি আরও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

২০| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গুরু প্লাসে ধন্যবাদ । নিরন্তর শুভকামনা ।

২১| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

শহিদশানু বলেছেন: এ সংক্রান্ত সত্য ঘটনাটি জেনে ভাল লাগলো। লেখকে ধন্যবাদ। এ ধরনের তথ্যবহুল লেখা আরো চাই ।

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে ধন্যবাদ । এধরণের লিখা লিখতে উৎসাহ বোধ করছি।

২২| ২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

মধুমিতা বলেছেন: আমিও সাদ্দাদকে নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলামঃ Click This Link

কোরআনে আমি সাদ্দাদের বর্ণনা ও নাম সরাসরি পাইনি।

"আল্লাহ পাক স্বয়ং পবিত্র কোর আন পাকে উরে।রখ করেছেন যে, হে মুহাম্মদ। শাদ্দাদ পৃথিবীতে এমন প্রাসাদ নির্মান করেছিল পৃথিবীর কোন বাদশাহ কোনদিনই তেমন প্রাসাদ নির্মান করতে পারে নি। "

-------- আপনি এটার রেফারেন্সটা দিতে পারবেন? আমার লেখায় এড করে দিতাম।

লেখাটা ভালো লাগল। এরকম লেখা আরো লিখবেন আশাকরি।

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপাতত।কাসাসুল আম্বিয়া সিদ্দিকীয়া পাবলিকেশন ।পাতা-৮৮ রেফারেন্স দিতে পারেন। কোর আনের আয়াতের ব্যাপারে হাফেজদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যাবে। উল্লেখিত বইখানি নির্ভরযোগ্য।

২৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যখন মানুষ গোমরাহীর চরমে পৌছে যায় তখন তাদেরউপর অত্যাচারী বাদশাহ চাপিয়ে দেয়া হয়।তখন কোন বুজুর্গএর করা দোয়াও আল্লাহ কবুল করেন না।

--
আমরা কি তেমন ক্রান্তিকাল পার করছি!!!!!!!!

তোমরা জালিমকে জুলুম করা হতে নিবৃত্ত করতে থাক সৎ কাজের আদেশ দাও অসৎকাজে বাধা প্রদান কর।

হে আল্লাহ আগ্রহী সকলকে হেকমত, সাহস আর প্রয়োজণীয় বল দিয়ে সাহায্য কর যাতে তারা তোমার আদেশ পালনে দৃঢ়তা াবলম্বন করতে পারে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

২৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভালো লাগল!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল লাগায় ও পাঠে।

২৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

আমিভূত বলেছেন: ভালো লাগলো ,আগে কিছু জানতাম নতুন করে ভালো মত জানলাম ।

শুভ কামনা ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

২৬| ২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আহ! আমাদের শাসকরা যদি এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিত!!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত। সেটি হয়না বলেই আমাদের দূরাবস্থারও শেষ হয় না শেষ হয় না শাসকদের নাজেহাল হওয়া। কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।

২৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

শাহেদ খান বলেছেন: জানা ঘটনা, তবু পোস্ট পড়ে আবার ভাল লাগল।

শুভেচ্ছা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুভেচ্ছায় ও কমেন্টে ধন্যবাদ।সুপ্রিয় ব্লগার ভাল থাকবেন সব সময় এ ই কামনা ।

২৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

হুসাইন বিন জিয়া (হুসাইন আহমাদ) বলেছেন: আল্লাহ পাক স্বয়ং পবিত্র কোর আন পাকে উল্লেখ করেছেন যে, হে মুহাম্মদ। শাদ্দাদ পৃথিবীতে এমন প্রাসাদ নির্মান করেছিল পৃথিবীর কোন বাদশাহ কোনদিনই তেমন প্রাসাদ নির্মান করতে পারে নি।- ------------------------------------- ----------- একথা কুরআনের কোথায় আছে ? এমন ডাহা মিথ্যা কথা আপনি বললেন কী করে ? এটা বানোয়াট কাহিনী।

২৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

হুসাইন বিন জিয়া (হুসাইন আহমাদ) বলেছেন: একটি ভিত্তিহীন কাহিনী : দুই ব্যক্তির রূহ কবজ করতে মালাকুল মাউতের কষ্ট হয়েছে
প্রিন্ট সংস্করণশেয়ার
লোকমুখে প্রসিদ্ধ- আল্লাহ মালাকুল মাউতকে জিজ্ঞেস করলেন, হে মালাকুল মাউত! বনী আদমের রূহ কবজ করতে কি তোমার কখনো কষ্ট হয়নি? মালাকুল মাউত উত্তরে বললেন, জী, দুই ব্যক্তির রূহ কবজ করতে আমার কষ্ট হয়েছে। এক. একবার জাহাজ ডুবে গেলে এক মহিলা কাষ্ঠখ- ধরে সমুদ্রে ভাসছিল। এমতাবস্থায় তার একটি ছেলে সন্তান প্রসব হয়। এমন সময় ঐ মহিলার মৃত্যুর সময় চলে আসে। তো ঐ সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর দিকে তাকিয়ে তার মায়ের জান কবজ করতে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। দুই. শাদ্দাদের জান কবজ করতে আমার কষ্ট হয়েছিল; যখন সে তার দুনিয়ার জান্নাত বানায় এবং সেখানে প্রবেশ করার মুহূর্তে এক পা ভেতরে দেওয়ার সাথে সাথে আরেক পা বাইরে থাকা অবস্থায়ই তার মৃত্যুর পরওয়ানা চলে আসে আর আমি তার জান কবজ করে নিই।
আল্লাহ বললেন, ওহে মালাকুল মাউত! সমুদ্রের মধ্যে যে শিশুর মায়ের জান কবজ করতে তোমার কষ্ট হয়েছিল সে শিশুটিই ছিল শাদ্দাদ!
কেউ কেউ কিসসাটিকে এভাবেও বলে- (সংক্ষেপে) ...জনমানবশূন্য মরুভূমির মধ্যে সদ্যভূমিষ্ঠ দুগ্ধপোষ্য শিশুর মায়ের জান কবজ করতে... এবং এক অশীতিপর বৃদ্ধ কামারকে তার লাঠির নিচের অংশে লোহা লাগিয়ে দিতে বলছিল, যাতে লাঠিটি অনেক বছর টেকসই হয়। এমতাবস্থায় বৃদ্ধের মৃত্যু চলে আসে আর আমি তার জান কবজ করি। তো এ কথা শুনে আল্লাহ বলেন, ঐ শিশু ও এই বৃদ্ধটি একই ব্যক্তি।
কেউ কেউ এভাবেও বলে, আল্লাহ মালাকুল মাউতকে জিজ্ঞাসা করলেন, বনী আদমের রূহ কবজ করতে তোমার কখনো কান্না আসেনি? মালাকুল মাউত উত্তরে বললেন, হে আমার রব! বনী আদমের রূহ কবজ করতে গিয়ে আমি একবার কেঁদেছি, একবার হেসেছি এবং একবার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছি। ...জনমানবশূন্য মরুভূমিতে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মায়ের জান কবজ করতে গিয়ে শিশুটির কান্না ও অসহায়ত্ব দেখে কেঁদেছি। আর ভয় পেয়েছি এক আলেমের জান কবজ করতে গিয়ে। আমি যখন তার জান কবজ করতে যাই তো তার কামরা থেকে এক নূর বের হয় তা দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। আল্লাহ বললেন, ঐ আলেমই হল মরুভূমির ঐ শিশু; তাকে আমি লালন-পালন করেছি।
(মালাকুল মাউত বলেন,) আর এক ব্যক্তি মুচির কাছে তার জুতা দিয়ে বলল, এটা এমনভাবে সেলাই করে দাও যাতে এক বছর পরতে পারি। সে ঐ জুতা পায়ে দেয়ার পূর্বেই তার জান কবজ করেছি আর হেসেছি- কয়েক মুহূর্ত তার হায়াত নেই আর সে এক বছরের জন্য জুতা ঠিক করছে।
যাইহোক এগুলো সবই ভিত্তিহীন কিসসা-কাহিনী। কোনো নির্ভরযোগ্য সনদে তা বর্ণিত হয়নি।
ইতিপূর্বে এক সংখ্যায় আমরা শাদ্দাদের বেহেশত কেন্দ্রিক কিসসা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম- শাদ্দাদের বেহেশতের কাহিনীর কোনো ভিত্তি নেই, এর কোনো অস্তিত্ব নেই। (আলইসরাঈলিয়্যাত ওয়াল মাউযূআত ফী কুতুবিত তাফসীর ২৮২-২৮৪)। তেমনি এই ঘটনায়ও আমরা শাদ্দাদের বেহেশতের আলোচনা দেখতে পাচ্ছি। সুতরাং তা কখনোই সত্য হতে পারে না।
এছাড়াও এ ঘটনায় আমরা আরেকটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি, শাদ্দাদের মত নাফরমানের জান কবজ করতে মালাকুল মাউতের কষ্ট হচ্ছে; সে তার আল্লাহদ্রোহিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে চাচ্ছে এবং আল্লাহদ্রোহিতায় লিপ্ত রয়েছে অথচ মালাকুল মাউত তার জান কবজ করতে কষ্ট পাচ্ছেন। এটি এ ঘটনা বাতিল হওয়ার আরেকটি প্রমাণ।
আল্লাহ আমাদের এ জাতীয় অলীক কিসসা-কাহিনী বলা ও বিশ্বাস করা থেকে হেফাজত করুন।

৩০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

হুসাইন বিন জিয়া (হুসাইন আহমাদ) বলেছেন: {{{ বিশুদ্ধ তথ্য পড়ুন }}}
একটি ভিত্তিহীন কাহিনী : দুই ব্যক্তির রূহ কবজ করতে মালাকুল মাউতের কষ্ট হয়েছে

লোকমুখে প্রসিদ্ধ- আল্লাহ মালাকুল মাউতকে জিজ্ঞেস করলেন, হে মালাকুল মাউত! বনী আদমের রূহ কবজ করতে কি তোমার কখনো কষ্ট হয়নি? মালাকুল মাউত উত্তরে বললেন, জী, দুই ব্যক্তির রূহ কবজ করতে আমার কষ্ট হয়েছে। এক. একবার জাহাজ ডুবে গেলে এক মহিলা কাষ্ঠখ- ধরে সমুদ্রে ভাসছিল। এমতাবস্থায় তার একটি ছেলে সন্তান প্রসব হয়। এমন সময় ঐ মহিলার মৃত্যুর সময় চলে আসে। তো ঐ সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর দিকে তাকিয়ে তার মায়ের জান কবজ করতে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। দুই. শাদ্দাদের জান কবজ করতে আমার কষ্ট হয়েছিল; যখন সে তার দুনিয়ার জান্নাত বানায় এবং সেখানে প্রবেশ করার মুহূর্তে এক পা ভেতরে দেওয়ার সাথে সাথে আরেক পা বাইরে থাকা অবস্থায়ই তার মৃত্যুর পরওয়ানা চলে আসে আর আমি তার জান কবজ করে নিই।
আল্লাহ বললেন, ওহে মালাকুল মাউত! সমুদ্রের মধ্যে যে শিশুর মায়ের জান কবজ করতে তোমার কষ্ট হয়েছিল সে শিশুটিই ছিল শাদ্দাদ!
কেউ কেউ কিসসাটিকে এভাবেও বলে- (সংক্ষেপে) ...জনমানবশূন্য মরুভূমির মধ্যে সদ্যভূমিষ্ঠ দুগ্ধপোষ্য শিশুর মায়ের জান কবজ করতে... এবং এক অশীতিপর বৃদ্ধ কামারকে তার লাঠির নিচের অংশে লোহা লাগিয়ে দিতে বলছিল, যাতে লাঠিটি অনেক বছর টেকসই হয়। এমতাবস্থায় বৃদ্ধের মৃত্যু চলে আসে আর আমি তার জান কবজ করি। তো এ কথা শুনে আল্লাহ বলেন, ঐ শিশু ও এই বৃদ্ধটি একই ব্যক্তি।
কেউ কেউ এভাবেও বলে, আল্লাহ মালাকুল মাউতকে জিজ্ঞাসা করলেন, বনী আদমের রূহ কবজ করতে তোমার কখনো কান্না আসেনি? মালাকুল মাউত উত্তরে বললেন, হে আমার রব! বনী আদমের রূহ কবজ করতে গিয়ে আমি একবার কেঁদেছি, একবার হেসেছি এবং একবার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছি। ...জনমানবশূন্য মরুভূমিতে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মায়ের জান কবজ করতে গিয়ে শিশুটির কান্না ও অসহায়ত্ব দেখে কেঁদেছি। আর ভয় পেয়েছি এক আলেমের জান কবজ করতে গিয়ে। আমি যখন তার জান কবজ করতে যাই তো তার কামরা থেকে এক নূর বের হয় তা দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। আল্লাহ বললেন, ঐ আলেমই হল মরুভূমির ঐ শিশু; তাকে আমি লালন-পালন করেছি।
(মালাকুল মাউত বলেন,) আর এক ব্যক্তি মুচির কাছে তার জুতা দিয়ে বলল, এটা এমনভাবে সেলাই করে দাও যাতে এক বছর পরতে পারি। সে ঐ জুতা পায়ে দেয়ার পূর্বেই তার জান কবজ করেছি আর হেসেছি- কয়েক মুহূর্ত তার হায়াত নেই আর সে এক বছরের জন্য জুতা ঠিক করছে।
যাইহোক এগুলো সবই ভিত্তিহীন কিসসা-কাহিনী। কোনো নির্ভরযোগ্য সনদে তা বর্ণিত হয়নি।
ইতিপূর্বে এক সংখ্যায় আমরা শাদ্দাদের বেহেশত কেন্দ্রিক কিসসা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম- শাদ্দাদের বেহেশতের কাহিনীর কোনো ভিত্তি নেই, এর কোনো অস্তিত্ব নেই। (আলইসরাঈলিয়্যাত ওয়াল মাউযূআত ফী কুতুবিত তাফসীর ২৮২-২৮৪)। তেমনি এই ঘটনায়ও আমরা শাদ্দাদের বেহেশতের আলোচনা দেখতে পাচ্ছি। সুতরাং তা কখনোই সত্য হতে পারে না।
এছাড়াও এ ঘটনায় আমরা আরেকটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি, শাদ্দাদের মত নাফরমানের জান কবজ করতে মালাকুল মাউতের কষ্ট হচ্ছে; সে তার আল্লাহদ্রোহিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে চাচ্ছে এবং আল্লাহদ্রোহিতায় লিপ্ত রয়েছে অথচ মালাকুল মাউত তার জান কবজ করতে কষ্ট পাচ্ছেন। এটি এ ঘটনা বাতিল হওয়ার আরেকটি প্রমাণ।
আল্লাহ আমাদের এ জাতীয় অলীক কিসসা-কাহিনী বলা ও বিশ্বাস করা থেকে হেফাজত করুন।একটি ভিত্তিহীন কাহিনী : দুই ব্যক্তির রূহ কবজ করতে মালাকুল মাউতের কষ্ট হয়েছে

লোকমুখে প্রসিদ্ধ- আল্লাহ মালাকুল মাউতকে জিজ্ঞেস করলেন, হে মালাকুল মাউত! বনী আদমের রূহ কবজ করতে কি তোমার কখনো কষ্ট হয়নি? মালাকুল মাউত উত্তরে বললেন, জী, দুই ব্যক্তির রূহ কবজ করতে আমার কষ্ট হয়েছে। এক. একবার জাহাজ ডুবে গেলে এক মহিলা কাষ্ঠখ- ধরে সমুদ্রে ভাসছিল। এমতাবস্থায় তার একটি ছেলে সন্তান প্রসব হয়। এমন সময় ঐ মহিলার মৃত্যুর সময় চলে আসে। তো ঐ সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর দিকে তাকিয়ে তার মায়ের জান কবজ করতে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। দুই. শাদ্দাদের জান কবজ করতে আমার কষ্ট হয়েছিল; যখন সে তার দুনিয়ার জান্নাত বানায় এবং সেখানে প্রবেশ করার মুহূর্তে এক পা ভেতরে দেওয়ার সাথে সাথে আরেক পা বাইরে থাকা অবস্থায়ই তার মৃত্যুর পরওয়ানা চলে আসে আর আমি তার জান কবজ করে নিই।
আল্লাহ বললেন, ওহে মালাকুল মাউত! সমুদ্রের মধ্যে যে শিশুর মায়ের জান কবজ করতে তোমার কষ্ট হয়েছিল সে শিশুটিই ছিল শাদ্দাদ!
কেউ কেউ কিসসাটিকে এভাবেও বলে- (সংক্ষেপে) ...জনমানবশূন্য মরুভূমির মধ্যে সদ্যভূমিষ্ঠ দুগ্ধপোষ্য শিশুর মায়ের জান কবজ করতে... এবং এক অশীতিপর বৃদ্ধ কামারকে তার লাঠির নিচের অংশে লোহা লাগিয়ে দিতে বলছিল, যাতে লাঠিটি অনেক বছর টেকসই হয়। এমতাবস্থায় বৃদ্ধের মৃত্যু চলে আসে আর আমি তার জান কবজ করি। তো এ কথা শুনে আল্লাহ বলেন, ঐ শিশু ও এই বৃদ্ধটি একই ব্যক্তি।
কেউ কেউ এভাবেও বলে, আল্লাহ মালাকুল মাউতকে জিজ্ঞাসা করলেন, বনী আদমের রূহ কবজ করতে তোমার কখনো কান্না আসেনি? মালাকুল মাউত উত্তরে বললেন, হে আমার রব! বনী আদমের রূহ কবজ করতে গিয়ে আমি একবার কেঁদেছি, একবার হেসেছি এবং একবার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছি। ...জনমানবশূন্য মরুভূমিতে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মায়ের জান কবজ করতে গিয়ে শিশুটির কান্না ও অসহায়ত্ব দেখে কেঁদেছি। আর ভয় পেয়েছি এক আলেমের জান কবজ করতে গিয়ে। আমি যখন তার জান কবজ করতে যাই তো তার কামরা থেকে এক নূর বের হয় তা দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। আল্লাহ বললেন, ঐ আলেমই হল মরুভূমির ঐ শিশু; তাকে আমি লালন-পালন করেছি।
(মালাকুল মাউত বলেন,) আর এক ব্যক্তি মুচির কাছে তার জুতা দিয়ে বলল, এটা এমনভাবে সেলাই করে দাও যাতে এক বছর পরতে পারি। সে ঐ জুতা পায়ে দেয়ার পূর্বেই তার জান কবজ করেছি আর হেসেছি- কয়েক মুহূর্ত তার হায়াত নেই আর সে এক বছরের জন্য জুতা ঠিক করছে।
যাইহোক এগুলো সবই ভিত্তিহীন কিসসা-কাহিনী। কোনো নির্ভরযোগ্য সনদে তা বর্ণিত হয়নি।
ইতিপূর্বে এক সংখ্যায় আমরা শাদ্দাদের বেহেশত কেন্দ্রিক কিসসা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম- শাদ্দাদের বেহেশতের কাহিনীর কোনো ভিত্তি নেই, এর কোনো অস্তিত্ব নেই। (আলইসরাঈলিয়্যাত ওয়াল মাউযূআত ফী কুতুবিত তাফসীর ২৮২-২৮৪)। তেমনি এই ঘটনায়ও আমরা শাদ্দাদের বেহেশতের আলোচনা দেখতে পাচ্ছি। সুতরাং তা কখনোই সত্য হতে পারে না।
এছাড়াও এ ঘটনায় আমরা আরেকটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি, শাদ্দাদের মত নাফরমানের জান কবজ করতে মালাকুল মাউতের কষ্ট হচ্ছে; সে তার আল্লাহদ্রোহিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে চাচ্ছে এবং আল্লাহদ্রোহিতায় লিপ্ত রয়েছে অথচ মালাকুল মাউত তার জান কবজ করতে কষ্ট পাচ্ছেন। এটি এ ঘটনা বাতিল হওয়ার আরেকটি প্রমাণ।
আল্লাহ আমাদের এ জাতীয় অলীক কিসসা-কাহিনী বলা ও বিশ্বাস করা থেকে হেফাজত করুন।

৩১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



''আল্লাহ পাক স্বয়ং পবিত্র কোর আন পাকে উল্লেখ করেছেন যে, হে মুহাম্মদ। শাদ্দাদ পৃথিবীতে এমন প্রাসাদ নির্মান করেছিল পৃথিবীর কোন বাদশাহ কোনদিনই তেমন প্রাসাদ নির্মান করতে পারে নি।''

@সেলিম আনোয়ার,
আপনার পুরো পোস্টটি আমার পড়া না হলেও শাদ্দাদ নামের আল্লাহ দ্রোহী ব্যক্তির নামে সমাজে প্রচলিত কিসসাটা জানা আছে। বিনীতভাবে আপনাকে এই পোস্ট থেকে নেয়া উপরে কোটকৃত লাইন দু'টি নিয়ে আমার মতামতটা একটু কষ্ট করে বিবেচনা করার অনুরোধ রাখব।

-আল কুরআনের কোথাও একথা আছে বলে আমরা পাই নি। কুরআনের কথা নয় এমন কথাকে কুরআনের বক্তব্য বলে প্রচার করা সন্দেহাতীতভাবে মস্ত বড় অপরাধ। না জেনে কেউ যদি অন্যকে আঘাত করে তবু যেমন আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি ব্যথা অনুভব করবেন; তেমনি না জেনে কুরআনের নামে অন্য কিছু প্রচার করলেও জঘন্য অপরাধ কিন্তু সংঘটিত হয়েই যায়। সুতরাং, এক্ষেত্রে বিষয়টি না জেনে করে থাকলে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। এবং ধর্মীয় অনুভূতিসম্পন্ন প্রচলিত এই জাতীয় কিছু গল্প যার কোন ভিত্তি কুরআন হাদিসে পাওয়া যায় না, কিংবা যেগুলো কুরআন হাদিসের বিশ্বাসের সাথে যায় না- এগুলোকে সতর্কতার সাথে এড়িয়ে যেতে হবে।

আশা করি, আমার কথাগুলো আন্তরিকভাবে ভেবে দেখবেন এবং কষ্ট নিবেন না। আপনি এই ব্লগের পুরনো, জনপ্রিয় এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমাদের পক্ষ থেকেও আপনাকে শ্রদ্ধা। আপনার মঙ্গল কামনা করছি।

আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.