নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
জুয়েল।
জি আন্টি।
তুমি কোথায়?
আন্টি পাত্রী দেখতে ঢাকার বাইরে এসছি।
তুমি তোমার বাসায় না ঢুকে আমাদের বাসায় আসবা।
এখনতো রাত সাড়ে নয়টা বাজে।পাত্রি দেখে এসে বাবা মার কাছে রিপোর্ট করতে হবেনা।
না তুমি বাসায় আস দেখ তোমার বোন কি করেছে?
আগামীকালকে আসি আন্টি?
না। এখনই আস।
মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হয়।ড্রাইভারকে বলে গাড়ী তার বোনের শ্বশুড় বাড়ী নিতে।তারপর সোজা সেখানে।ঢুকেই দেখে বোনের শাশুড়ী রুদ্র ধারণ করে আছে।জুয়েল বাসায় ঢুকা মাত্র।বোনের দেবর বউ কাঁদতে কাঁদতে এসে বলছে।মা আমি আর একদিন ও এ বাসায় থাকবো না। জুয়েলের বোনের নামে একগাদা অভিযোগ উত্থাপন করলো।করে আল্টিমেটাম। হয় উনি থাকবে নয় আমি থাকবো।বাড়ীর ছোট বউ বড় বউকে বের করে দিবে।বেয়াদব নাম্বার ওয়ান।লাবনী যূথীকে অনেক হিংসা করে ।তার হিংসা করার কারণ নিজে চাকুরী না পাওয়া ।বেচারা যূথী চাকুরী করে বাসায় লাবনীর মত সময় দিতে পারে না। সে নিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বণায় যূথী।
লাবনী কথা বলছে কাদছে আর জুয়েলের গায়ের উপর এসে পড়ছে।জুয়েল এর আগেও দেখেছে।ভাবী তার গায়ে এসে পড়তে চায়।বাড়ী চাদপুর।এর আগে আরেকটা নালিশের মতন হয়েছিল। জুয়েল তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে দাওয়াতের বাহানায় বোনের শশুড়বাড়ী যায়। সেবার বোনের শশুড় শাশুড়ী দুজনেই তাকে জোর করে দুপুরের খাবার খেতে বলে।খাবার খাওয়ার সময় বুঝলো খাওয়াটা আসল উদ্দেশ্য নয়। আসল উদ্ধেশ্য তাকে এটা দেখানো যে তার বোন আলাদা খায় আর বাসার সবাই আলাদা খায়।সেদিন ও চুলায় ভাত বসানো নিয়ে হালকা বিবাদে হয়েছে।
বোনের কষ্ট দেখে জুয়েলের বুকটা ভেঙে যায়।বোনের শাশুড়ীর সে কি মায়াকন্না।তিনি বোধ হয় আর বাঁচবেন না।যে কোন দিন মরে যাবেন।সরাসরি জুয়েলকে বলছেন তোমার বোন যা করে আমি হয়তো মরে যাব।বোনের শ্বশুড় মশাই ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়েই বললেন বোনের বাড়ি যখন মন চায় আসবা।বুড়ির কথায় বুঝা চাচ্ছে জুয়েলের বাবা মা তার বাসায় যায়না সে মনোকষ্টে আছে।তাদের কথা শুনিয়ে গায়ের জ্বালা মেটাতে পারলে শান্তি পেতেন।তাছাড়া তার বিয়াই বিয়াইন মেয়ের অপরাধর স্বীকার করে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলে তার মনটা শান্ত হতো। এক্ষেত্রে তার কথা হলো ছেলের মা হলো দা মেয়ের মা হলো কুমড়া।দা ইচ্ছা মতো কুমড়ো কাটবে। এটাই স্বাভাবিক।দজ্জাল শাশুড়ী
প্রফেশনে লাইলি বেগম প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক।জুয়েলের মনে অনেক কষ্ট।মনের কষ্টে একবার লাইলি খালাকে বলেছিলেন একজন মেয়ে হয়ে মেয়েকে অত্যাচার করেন।একজন মা হয়ে একজন মা কে অত্যাচার করেন।বুড়ী তার কথায় অনর রুমেনের মত ছেলে বলেই যূথী এখনও এ বাসায় আছে।তার সোনার টুকরো ছেলে।
তার সোনার টুকুরো ছেলের কান্ডকীর্তি সাক্ষাৎ ইবলিসের চেয়েও খারাপ। তিনি প্রচন্ড গরমে ফ্যান বন্ধ করে দিয়ে ড্রুয়ংরুমে যেয়ে ঘুমান।তার শিশু সন্তান সহ যুথি গরমে রাত কাটায়।বাসায় কাচা বাজার করার দায়িত্ব যুথীর যেহেতু সেও একটা চাকুরী করে।যুথী মাঝখানে দুইটা বিশাল অন্যায় করেছে।এক লাবণী ,(যুথীর দেবরের বৌ)। রুমেনের সঙ্গে বেশ ঢলাঢলি সম্পর্ক বিধায় অধৈর্য হয়ে বেশ্যা বলে গালি দিয়েছে।দু্ই রুমেনকে নাকি যুথী পড়া পানি খাইয়েছে।মহা অন্যায় নিজের স্বামীকে পড়া জিনিস খাইয়েছে।বশ করতে চেয়ে কেন? এ ই নিয়ে বিচার। জনি ভাই এর বউ যদি পড়া পানি খাওয়ায় তাহলে সেটা দোষের নয়।যুথীকে দেখিয়ে রুমেন লাবণীর সঙ্গে খূব ঘণিষ্ঠতা দেখায়।যুথী অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়া সময় হয় না।তার খালাতো বোনদের সকল চিকিৎসা খরচ ও তাদের নেয়া আনার দায়িত্ব রুমেনের। শিশু সন্তানদের পড়া লেখার খরচও দেয় যুথী।স্বামী শাশুড়ী দেবর দেবর বৌ সবার মানসিক নিরযাতনে যুথী মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।তার মলিন চেহারা দেখে জুয়েল দারুণ কষ্ট অনুভব করে।এর মধ্যে লাইলী বেগম যখন বলে যে কোন সময় আমি হয়তো মরে যাব।জুয়েল মনে মনে প্রচন্ড বিরক্ত হয়।বিড়বিড় করে। মর বুড়ী ।ষাট বছর বয়স হয়েছে আর কত বাচবি।আমার বোনটাকে মেরে ফেলছিস ।অল্প বয়সে আর তুই বুড়ী বয়সে এত বাঁচার শখ কেন?
স্পষ্ট মনে আসে এর আগে বাসায় যাওয়ার পর রুমেন যুথীকে জানিয়ে দেয় যূথীর বাসার কেউ যেন রুমেনদের বাসায় না আসে।তারপরই লাইলী বেগমের ফোন রাত সাড়ে নয়টায় ।জুয়েলকে বাসায় তলব।লাইলী বেগমের ধারণা জুয়েল আসবে না ।কিন্তু জুয়েল ঠিকই এসেছে।তার বোনকে সাহস দেয়া জন্য।জুয়েলকে যুথীর শশুড় যখন তখন বাসায় আসার কথা বলেই ছেলেকে ডেকে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে দেয়।জুয়েল প্রচন্ড জেদে আক্কাস মোল্লাকে জানিয়ে দেয় আঙ্কেল এটা আপনার বাসা ।আপনি যেদিন সরাসরি না করবেন সেদিন আমি আসবো না। এটাতো দুলাভাইয়ের বাসা নয়।তিনি আমাকে আসতে না করেছিলেন আমি শুনিনি।ওনি এ বাসার কে?আক্কাস মোল্লা রাগে কটকট করে ওঠলেও নিজেকে সংযত করে। এটা তোমার বোনের বাসা যখন খুশী তখন আসবা।জুয়েল তার বোনের একমাত্র মেয়ে পুতুলকে নিয়ে আদর করে।পুতুলের মনটাও ভীষণ খারাপ করেছিল।এতক্ষণে মামা তার কাছে এসেছে।তার সাথে খেলছে।পুতুলের আনন্দ আর ধরেনা ।মামা পকেট থেকে লজেন্স এনেছে।মিমি এনেছে।তার মামার কাছে অনেকগুলি বায়না জমে আছে।এক নম্বর তাকে ফ্যান্টাসি কিংডমে নেয়া লাগবে।আর তাকে একটা পুতুল কিনে দিতে হবে।মামা তার সব আবদার শুণে।পুতুলের নিশ্পাপ চেহারার দিকে তাকিয়ে জুয়েলের চোখে পানি বের হয়ে আসে।রুমেনের ওপর ভরসা করা যায়না। পুতুলের ভবিষ্যৎ তার বোন যুথীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। পুতুলকে কোলে তুলে নেয়।অনেক আদর করতে থাকে।ওর মধ্যে জনি ভাইয়ের ছেলেটাও ছোটে আসে।জুয়েল তাকেও লজেন্স দেয়।তাকে আদর করতে গেলে পুতুল বিরক্ত হয়।রাগ করে। জুয়েল হাসে।পুতুলের নরম গালটা টিপে দেয়।পুতুলকে কোলে নিয়ে করিডোরে হাটতে থাকে।জানালা দিয়ে বাতাস আসছে।দারুণ আরামদায়ক ও উপভোগ্য।
১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রথম কমেন্টে ও ভাল লাগায় ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
নেইল পলিস বলেছেন:
ভাইয়া খুব্বি সুন্দর হয়েছে গল্পটি। আপনি খুবি সুন্দর লিখেছেন।
১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্লগে সুস্বাগতম। কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
বলাক০৪ বলেছেন: লিখতে থাকুন, গল্পে দন্দ্ব সুন্দরভাবে এসেছে। আরো লিখলে হাত পাকবে। শুভকামনা।
১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++
১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: সবসময়ই তো সবাইকে শুভকামনা জানান এবার জন্যেও শুভকামনা থাকল
৪র্থ প্লাস ++++
১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো্
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প ভাল্লাগছে ।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্পটা একটা আবেগি বিষয় নিয়ে অথচ......আবেগহীন ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। নারী নির্যাতনের একটা প্রেক্ষপটও আছে্ নালী নির্যাতনের পিছনের ইস্যু আছে। ধন্যবাদ পাঠে ।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্প ভালো লাগল +++
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: ভাল লাগল।