নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
পি এসসির পরীক্ষার ক্ষেত্রে এতদিন প্রিলিমিনারী, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হত ।কিন্তু ৩৪ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পর্যায় থেকে ই কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা শুরু হয়।সাধারণ ক্যাডারের ৪৪২টি পদের মোট দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারী ৩৪তম বিসি এস এর বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।২,২১,৫৭৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় পাশ করে ১২০৩৩ জন।
দেশে ০.৩১ % মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটা ৩০%।মোট ৫৬ শতাংশ পদ কোটায় নিয়োগ বাকী ৪৪% মেধায়।
গত বি এনপি শাসণ আমলে কোটার শূন্যস্থান মেধা থেকে নেয়া হত।
শেখহাসিনা সরকার কোটা খালি রেখেই নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করেন।এবং সর্বশেষ তার সরকার প্লিলিতেও কোটা সিস্টেম চালু করলেন পি এসসির মাধ্যমে। কোটা মানে ই দূর্নীতি ও মেধাহীনতা। ৫৬ শতাংশ কোটায় স্বজনপ্রীতি আত্নীয়করণ ও দলীয়করনের উৎসব চলে।
মোদ্দাকথা কোটা ব্যবস্থা প্রিলি পর্যায়ে চালু করে এ ই সরকারের সময় পিএসসির ইতিহাসে দলীয়করণের আর দূর্ণীতির ক্ষেত্রটাকে অনণ্য উচ্চতায় নিয়েগেলেন। ৩০তম বিসিএস থেকে ভাইভা নম্বর ১০০ থেকে ২০০ করা হয়। ২৭,২৮,২৯ এ তা ছিল ১০০ নম্বর। দূর্ণীতি করার জন্যই এ পরিবর্তন কোন সন্দেহ নাই। তাই করা হয়েছে। প্রিলী পরীক্ষার আগে ই পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করে নিয়োগ প্রক্লিয়া চালু করা হয়েছে আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ করাদের নিয়োগের পথ প্রশস্ত করার জন্য। আর এখন প্রিলি থেকে ই কোটা।
২৮তম বিসি এস এর কথা মনে আছে লিখিততে প্রায় ৮হাজার কোয়ালী ফাই করলে ৭হাজার কত তম অবস্থান নিয়ে পুলিশ ক্যাডার পেয়েছে কোটায়। অথচ মেধায় ৩০১ তম ব্যক্তিটিও কোন জেনারেল ক্যাডার পদ পাননি কোটা না থাকায়।
আর এখন ৮০ নম্বর পেয়েও প্রিলিতে চান্স পাবেন না কোটাহীন পরীক্ষার্থী। আর ৫০% শতাংশ নম্বর পেয়ে টিকে যাবেন কোটা পাওয়ারা।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা প্রয়োজন। অন্যগুলোতে কমানো প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৪২ বছর পার হয়েছে। কোন মুক্তিযোদ্ধা এখন প্রতিযোগী নন। তাদের সন্তান ও নাতিদের দৌরাত্ন চলছে।অনেক রাজাকার ও নাকি মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। অন্যরাতো আছেনই।সেই প্রশ্নবিধ্যদের জন্য কোটা আবার সেটি প্রিলি থেকে ই। এটি আর কিছু নয়। এ সরকারের অনিয়ম ও দূর্নীতির বহিপ্রকাশমাত্র।
যারা প্রচন্ড পড়ালেখা করেন পরিশ্রম করেন ভাল পরীক্ষাও দেন তারা হতাশ হয়ে ফেরেন নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে।কোটা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই অযাচিত কোটার অবসান চায় মেধাবী পরীক্ষার্থীরা। দেশকে শুধুমাত্র দলীযকরণ আর কালোটাকার লোভে মেধাহীন প্রশাসন ব্যবস্থা সৃষ্টির চেয়ে বড় কোন অপরাধ হতে পারে না।৩০তম থেকে বর্তমান পর্যন্ত করা অনিয়মগুলোর প্রভাব প্রশাসনে একদিন পরবে ই।দূর্ণীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দূর্ণীতির পাহাড় গড়ার কারণে ক্ষমতাসীনদের পস্তাতে হবে।
মোদ্দা কথা এ অনিয়মের সমাপ্তি হওয়া উচিৎ।প্রত্যেক ছাত্রদের এ অনিয়মের বিরুদ্ধে রূখে দাড়ানো কর্তব্য বলেই মনে হচ্ছে।পড়ালেখা ও পরিশ্রম করে চাকুরী হবে না ।চাকুরী হবে শুধু কোটায় এটি ঠিক নয়।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কেটা মানে মেধাহীনতা কোটা মানে দূর্নীতি। দূর্নীতির পক্ষে লিখাও দূর্নীতি।
কমেন্টে ধন্যবাদ ।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মেধাশুন্য তাবেদের ও অযোগ্য রাষ্ট্রীয় প্রশাসন গঠনে রাষ্ট্রযন্ত্র আজ বদ্ধপরিকর।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ওদের রুখে দেয়া সচেতন মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। জয়বাংলা বলে চুরি করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?কমেন্টে ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
রাজনীতির ভাষা বলেছেন: লেখককে সুন্দর লেখার জন্য,
আর নষ্ট ছেলে ও 'কুনোব্যাঙ' কে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকে ও কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।আমার হিসেবে ভাল ও মন্দ দুটা দলআছে। জয় বাংলাআর বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ..দই দলের কোন মূল্য নেই।হয় ভাল নয় খারাপ ।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৩
নাওেয়দ বলেছেন: আসল মুক্তিযোদ্ধারা কেউ সার্টিফিকেট বিক্রি করে না।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার অফিসেইআছে মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু সনদ নেননি।খয়রাত করা পছন্দ করেন না।
সুন্দর লিংকএ ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৪
একিউমেন০৮ বলেছেন: এই পোষ্টকে স্টিকি করা হোক। কোটা বাতিল করা হোক।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ।এটা বার্নিং ইস্যু
৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বি এনপি শাসণ আমলে কোটার শূন্যস্থান মেধা থেকে নয়, টাকার বিনিময়ে নেয়া হত।
আমার নিজের দেখা।
০.৩১ % মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটা ৩০%?
পৃথিবীর কোথাও জনসংখার অনুপাতে কোটা রাখা হয় না,
কোটা রাখা হয় সুধুমাত্র পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠির জন্য, আদিবাসিদের জন্য, অনুন্নত রিমোট এলাকার জন্য।
আর যুদ্ধফেরত প্রাক্তন যোদ্ধাদের (ভেটারেনস) জন্য।
Click This Link
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা পিছিয়ে পড়া জাতি? এখন কিসের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়। দেশের ৬০ভাগ মানুষের ধারণা দূর্নীতি বেড়েছে। েবিসিএস নিয়েমে পিএসসি এখনইতিহাসের সর্বকালের সেরা চোরের ভূমিকায়।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভাই, আমি এতো কিছু বুঝি না
আমার কথা কোটা বাতিল করতেই হবে.।
নইলে আমার মতো মেধাবিরা কি করবে?
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে, তাই বলে আমাদের অবহেলা করে?
মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় একটা করে ফ্লাট দিক, মাস মাস ৫০০০ টাকা দিক, আমার আপত্তি নাই, কিন্তু তাই বলে দেশের মেধাবিদের মেধার অবমূল্যায়ন করে কেন তাদের এই সম্মান?????????????????????????????????????????
সরকার যা খুশি করুক, কিন্তু আমাদের মতো সাধারন ছাত্রদের মেধার উপরে কেন এই হস্তক্ষেপ?
তাদের যদি জজ্ঞতা থাকে তবে তারা কম্পিটিশন করুক না কেন আমাদের সাথে???????????????????????????????
এমনিতেও ভার্সিটি তে যখন ভর্তি হই তখনও কিন্তু এই কোটা এর জন্য তাদের কিছু সিট ছেড়ে দিছিলাম।
তাদের তো একবার করে চান্স দিছিলাম, তবে এখন আবার কেন???????????????????
সো, আমার কথা, কোটা বন্ধ করতেই হবে
এই লিঙ্ক দেখেন।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মুক্তিযোদ্ধা নয়। তার চ্যাটের বাল। তাদের সম্মান করার কিআছে? মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। তাদের বয়সএখন ৫৭ র বেশি তার চাকুরী চাইলে দেয়া যায় ।
৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভাই, আমি এতো কিছু বুঝি না
আমার কথা কোটা বাতিল করতেই হবে.।
নইলে আমার মতো মেধাবিরা কি করবে?
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে, তাই বলে আমাদের অবহেলা করে?
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এ ই সরকারে আমলে জনতা ব্যাংক ইসলামী শরীয়া ব্যাংকিং এর উপর কয়েকজন অফিসার নিয়োগ দেবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয়। অনেকেই সেটিতে অংশ নেয় না্ ।ইসলামী শরিয়া কিচুটা জামাতি ঘরানার নাম পদ কম তাই অনেকেই এপব্লাই ই করে নি। সেই পরীক্ষায় অল্প কয়েকজন প্রতিযোগীর মধ্যে মাত্র হাজার খানেক ভাইবাতে কোয়ালিফাই করে এবং সাড়ে নয়শত লোকের চাকুরী হয়।মানেটা কি দাড়ালো।বিরাট একটা মেধাবী অংশ বঞ্চিত হলো। এ ই সরকার ক্ষমতায় আশার পর বিআরসি রিক্রেয়েটমেনট ভেঙে দেয় যার মাধ্যমে ব্যাংক সেক্টরে লোক নিয়োগ দেয়া হত। এবং সবচেয়ে স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নিয়োগে বি আরসি ছিল একনম্বর। পিএসসির মত বিতর্কিত নয়। এ ই সরকার সেটি ভেঙে জনতা সোনালী অগ্রণীর যদু মধুদের মাধ্যমে নিয়োগের সূচনা করেছে ।নিয়োগ বাণিজ্যে তথা দূর্নীতির ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। এ ই সরকার দূর্নীতিবাজ সরকার। ওদের টার্গেট ই ছিল দূর্ণীতিকে ফুালয়ে ফাপয়ে তোলা। এ ই জন্য দেশের আজ এ ই অবস্থা ।
৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভালো লিখেছেন।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দূর্ণীতর জন্য এ সরকার ১০০ তে ১০০ ভাবে।৩০, ৩১,৩২,৩৩ ৩৪ সবগুলো বিসিএস এর রিভিউ করলে প্রকৃত তথ্য বেড়িয়ে আসবে। অথচ ২৭ তমের মাত্র ১০০ নমাবর ভা্ইবাতে উত্তির্ণ হওয়ার পরেওমিথ্যার অভিযোগে চাকুরী কনফার্ম হওয়ার পরও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ সংখ্যালঘুদের বাদয়ে ১/১১ ও বর্তমান সরকার। বঞ্চিতদের চাকুরী সিনিয়রিটি সহ ফিরিয়ে দেয়ার মৌখিক প্রতিশ্রতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন না করে প্রধানমন্ত্রী প্রতারণা করেছেন।তাদের প্রতারণার কারণ ছিল নিয়োগ বাণিজ্য।টাকা নিয়ে ব্যাবসা রগদে শুরু করা।দ্বিতীয় নিয়োগের অস্বচ্ছতা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সেটির দ্রুত নিয়োগ দিযে সরকার তাদের হীনমন্যতার প্রমান দিয়েছেন।দূর্ণীতিবাজরা আর কি দিবে দেশকে। কালোকে কাল বলা একজনদেশপ্রেমিকের দায়িত্ব।
১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪১
কাঙাল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যখন বন্ধ করার সময়, তখন এই মন্ত্রণালয় চালু করা হয়। তাইনা?
এই জিনিষ কতদিন চালু থাকবে, সেরকম কোন দিকনির্দেশনাও নাই, তাই চলতে থাকুক। মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স যখন ৬০ এর কাছাকাছি, তখন প্রশ্ন আসে তাদের সন্তানদের সুযোগ দিতে হবে। তারপর আসে পোষ্যদের......
এভাবেই চলছে,
দেখা যাক কোথায় গিয়ে ঠেকে।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেখার কিছু নে ই ভ্রাতা আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে এসব খয়ের খাদের বিরুদ্ধে।দেশের মেধাবীরা ধুকে ধুকে মরে আর মাথামোটাদের চাকুরী দিয়ে প্রশাসনের বারোটা বাজানো হয়্ ।নিজেরা আঙুর খোলে কলাগাছ। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান!
১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ১০০ % একমত ।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ।শুভকামনা ।
১২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: কুমার সাহা নামে একজন অনলাইনে লিখেছেন, ‘অতি দুঃখ ভারাক্রান্ত হূদয়ে লিখছি। আমি সুনীতি কুমার সাহা। আমি ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় লিখিত (সাধারণ ও কারিগরি) ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার রেজি: নম্বর ০২২৫২৭। আমার প্রথম পছন্দ ছিল কৃষি ক্যাডার। কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে আমাকে পিএসসি কর্তৃক কোনো পদে সুপারিশ করা হয়নি (উল্লেখ্য, কোটা প্রার্থী না থাকায় পিএসসি ৭০টি পদ খালি রাখে)। গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কৃষি ক্যাডারে ২২০টি পদের বিপরীতে ১৩৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পিএসসি কর্তৃক ১৫০ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। যে ১৪ জন বাদ পড়েছেন, হয়তো তাঁদের কেউ কেউ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি বা পুলিশ প্রত্যয়ন পাননি বা ৩১তম বিসিএসের আগে অন্য কোনো ভালো পদে কর্মরত আছেন। আমার দুঃখ, এই জায়গায় ৮৪ পদ খালি থাকা সত্ত্বেও আমার চাকরি পাইনি। আমার সমস্ত পরিশ্রমের ফলাফল কোটা সংরক্ষণজনিত নিয়মের কারণে শূন্য। যাঁরা এসব নিয়ম তৈরি করেন, তাঁরা কি একবারও ভেবে দেখেছেন আগামী ১০-২০ বছর পর আমাদের দেশের প্রসাশনের কী অবস্থা হবে?’
পার্থ নামে আরেকজন লিখেছেন: ‘আমি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গতকাল প্রকাশিত বিসিএস ৩৪তম প্রিলিমিনারির ফল বের হয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ৭৫+ পেয়েও সাধারণ পরীক্ষার্থী চান্স পায়নি অথচ কোটার কারণে ৫৯+ পেয়েও অনেকে চান্স পেয়েছে। মেধার বিচারে ৫৯=৭৫ হতে পারে না। ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয়ে চরম হতাশ ও বিপথগামী হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একসময় মেধাশূন্য হয়ে যেতে পারে।
সদ্য প্রকাশিত বিসিএস রেজাল্ট, ৩২তম স্পেশাল বিসিএস এবং সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে (সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, আইসিবি ইত্যাদি) শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের আবেদন করার যোগ্যতা কি সাধারণ প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক নয়? কোটা কি শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধির জন্য দায়ী নয়?’
১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল কমেন্টে ধন্যবাদ। খুব কষ্ট হয় যখন চোখের সামনে অনেক মেধাবী পরিশ্রমী মানুষের ব্যর্থতা দেখি আর বলদদের দৌরাত্ম দেখি। দেশের উন্নয়ন হতে হলে মেধার বিকল্প নাই। যে ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার অবস্থা কি আর যে কোটা না থাকায় অনেক মেধা নিয়েও চান্স পেলনা ব্যাপারটা কতটুকু প্যাথেটিক। শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে কোটার দৌরাত্ন থামানো উচিৎ ২য় শ্রেণী তয় শ্রেনী ৪র্থ শ্রেনীতে কোটা আপ্লাই করা যায়। তাতে বেশি ক্ষতি নাই ।ক্ষতি হলো যারা দেশকে নেতৃত্ব দিবেন তারা যদি দূর্ণীতি আশ্রয় নিয়ে টাকা দিয়ে কোটায় ঢুকে দূর্ণীতির চরমে পৌছে যায় দেশের কি হবে ভাবেন তো। আগে ভাইবাতে গিয়ে কোটারা সুযোগ পেতেন।প্রিলি লিখত দুটি স্টেজ পার হওয়ার পর। আর এখন প্রিলি থেকেই শুরু।তীব্র ঘৃণা জানাই।নিন্দা জানা ই ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
নষ্ট ছেলে বলেছেন: স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আর এই কঠিন কাজটা করার জন্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে মেধাবীদের বিকল্প নাই। যারা কোটার পক্ষে তারা আসলে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে রাখতে চায়। তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলেও দেশপ্রেম নাই।