নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা ব্যবস্থার সংস্কার সময়ের দাবী, নয় কি?

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

বিক্ষোভের মুখে ১০ জুলাই ফল পুনর্মূল্যায়নে সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।প্রথম প্রকাশিত ফলে উত্তিীর্ণ ১২ হাজার ৩৩ জনের সবাইকে সংশোধিত ফলে রাখা হয়েছে।কোটার কোন একজন সর্বনিম্ন ৫২ নম্বর পেয়ে চান্স পেয়েছিল।ওই ৫২ নম্বরধালীকে রাখতে গিয়ে বাকি ৩৪ হাজার ২১৭ জনকে নতুন করে নিতে হল।



কলেবর বৃদ্ধির ব্যাপারটি কিন্তু এটি ই প্রমাণ করলো যে বেশি নম্বর পেয়ে চান্স না পাওয়ার অভিযোগ সত্যি। এ ই সত্য দাবী নিয়ে পথে নেমে কথাও শুনতে হল।তাদেরকে স্বাধীনতা বিরুধী শক্তি তকমাও দেয়ার অপচেষ্টা হলো।আর ছাত্রলীগ তাদের নির্লজ্জের মত বেধরক মার মারলো।



১২,০৩৩ জনের লিখিত পরীক্ষা নেয়া মৌখিক পরীক্ষা নেয়া যতটা সময়সাপেক্ষ ব্যয়বহুল তার চেয়ে ঢের বেশি ব্যয়সাপেক্ষ ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ৪৬,২৫০ জনের পরীক্ষা নেয়া।



তাছাড়া প্রিলির রেজাল্ট প্রমাণ করে ৪৬২৫০তম ব্যক্তি কোটা থাকায় চান্স পেলেও ৭হাজার তমরা কোটা না থাকায় বাদ পরেছিলেন।



প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া কিন্তু দূর্নীতি আর অনিয়মের ক্ষেত্রকে বাড়িয়ে দেয়। এই ক্ষেত্রে তা দশগুণ বেড়ে গেল। মেধাকোটায় প্রতিযোগীতাও বাড়লো। কোটায় প্রতিযোগিতা অপরিবর্তিত থাকলো।





একই মানের প্রশ্নে ভাল পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হওয়া আর তুলনামূলক অনেক পিছনে থেকে ভালপদে পদায়ন অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অশোভন।





শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা বিসিএস এর ক্ষেত্রে মেনে নেয়া যায়না। ৩০ তম বিসিএস বিশ্লেষণ করলে সেখানে সরকার দলীয় লোকজনের নিয়োগের ব্যাপারটি সুস্পষ্ট দেখা গেছে। তা ওপর কোটার অনৈতিক প্রভাব তো আছেই। মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করলেই ফেল। আবার অনেকে ২০০ নম্বরের মধ্যে ১৮০ নম্বর পেয়ে যান অনায়াসে উৎকোচ দিয়ে কিংবা প্রভাব শালী মহলের ফেভার নিয়ে। ফলে লিখিত পরীক্ষায় ভাল করার পরও মৌখিক পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়ে অনেক পিছনে পরা অসম্ভব নয়।২৫ তম তেমৌখিক পরীক্ষায় ছিল ২০০ নম্বর।সন্দেহাতিত ভাবে সেখানে যে পরিমান দূর্নীতির সুযোগ ছিল ঠিক ততটা কিন্তু ২৭,২৮,২৯ এ ছিল না।কারণ এ তিনটি বিসিএস পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ছিল ১০০ নম্বর।



সেটিকে আবার বাড়ানো হয় ৩০ তম তে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার ।দূর্ণীতি বাড়ানো ও মেধাবীদের বঞ্চিত করা।



দেখুন কেউ ৮০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় মোট ৪৫০ পেলে আর মৌখিক পরীক্ষায় ১৮০ পেলে তার মোট নম্বর ৬৩০। আর লিখিততে ৫০০, মৌখিকে ৮০ পেলে তার মোট নম্বর ৫৮০। ফলে কম নম্বর নিয়ে নির্বাচিত। আর কোটা হলে তো কথাই নেই।



১০০ নম্বর মৌখিকে হলে ।লিখিত পরীক্ষার নম্বর ৯০০।৯০০ তে সমান অনুপাতে নম্বর পেলে তার লিখিত মোট নম্বর ৫০৬.২৫ আর মৌখিকে পূর্বহারে ৯০ নম্বর পেলে মোট ৫৯৬.২৫। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৫৬২.৫ লিখিততে আর মৌখিকে ৪০ নম্বর পেলেও তার মোট নম্বর ৬০২.৫ নম্বর। একই হারে নম্বর হওয়া সত্ত্বেও শুধু মৌখিক নম্বর ১০০ জায়গায় ২০০ করাতে লিখিত পরিাক্ষায় ভাল করায় চান্স মিলে গেল মেধাবীর। এটা শুধুই একটা বিশ্লেষণ মাত্র।





মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ৩০ ভাগ। উল্লেখ্য এটা একসময় ছিল শতকরা ১০ ভাগ।সেটি বেড়ে ৩০ হওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত ছিল।মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিনাতনি কোটা অন্তর্ভূক্ত হওয়া ছিল পুরোপুরি হাস্যকর একটি ব্যাপার।



জানা যায় কোটা অপূর্ণ থেকে যায় ।এটিও কি কোটা সংস্কারের পক্ষে যুক্তি নয়?



তাছাড়া গত সরকারে সময়ে কোট মেধা থেকে পূর্ণ করা হত। এ ই সরকার সেটি বন্ধ করেছে। ফলে কোটা ফাকা ঠিকই থেকেছে। একজন মেধাবীর চাকুরীর সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।অভিযোগ করা হয় সে সমস্ত জায়গায় দূর্নীতি করে জোট সরকার নিয়োগ দিত। দূর্নীতি হত তার প্রমাণ কি? আর হলেও তো একজন বাংলাদেশের নাগরিক চাকুরী পেতেন। আর এখন সেটি হচ্ছে না ।



মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্যদের ও নাতিনাতনীদের জন্য বিশেষ বিসিএস । আবার তাদের

তাদের জন্য ৩০ ভাগ কোটা রাখা।সঙ্গে আরো অন্য কোটা মেলে ৫৬ ভাগ কোটা আর ৪৪ ভাগ মেধাকোটা ।



প্রশাসন হয়ে যাচ্ছে মেধাহীন।মেধাহীনেরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মেধাহীন নেতৃত্ব দেশের উন্নয়নে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।



২০লক্ষ টাকা ঘুস দিয়ে চাকুরীতে ঢুকলে তারা তো দূর্নীতি করাই স্বাভাবিক।তাই নয় কি? তাই বলি দূর্নীতি বান্ধব নিয়ম আর নয়।



তা ই এ অবস্থার সংস্কার সাধন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। এটা আন্দোলন এর জন্য নয়্ দেশের স্বার্থে এ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা জরুরী। তাই কোটা হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ ভাগ বাকিটা মেধায় নিয়োগ হওয়াই যৌক্তিক মনে করি। এতে সাধীনতার পক্ষ পক্ষ বিপক্ষ টানা অবান্তর। অনেক শিবির কর্মী মুক্তিযোদ্ধার নাতি আছেন।আবার অনেক রাজাকারের নাতি এতদিনে দেশ প্রেমিক হয়ে গেছেন। ছোট বেলায় পড়েছি জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভাল। আমাদের কর্মমন্ত্রে দীক্ষিত হতে হবে। জন্ম নিয়ে বাড়বাড়ি না করি। কোটা নিয়ে বি্জ্ঞ ব্লগাররা কি ভাবছেন?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১২

পাকাচুল বলেছেন: বিসিএস এর পুরো পদ্ধতিটাই পছন্দ নয়। ২-৩ বছর লাগে একটা পরীক্ষা শেষ করতে।

প্রচলিত কোটা প্রথা সমর্থন করছি না।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেএ পদ্ধটিরও সংস্কার করা দরকার। যে কোন সরকারী চাকুরী সব মিলে 3 বছর লাগে ।ব্যাপারটা বিরক্তিকর ।সহমত ।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৬

জায়েদ ইকবাল বলেছেন: আ বিসিএস এর পুরো পদ্ধতিটাই পছন্দ নয়। ২-৩ বছর লাগে একটা পরীক্ষা শেষ করতে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত। কমেন্টে ধন্যবাদ ।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩১

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সরকারের দুর্নীতির কথা তুলে মুখে ফেনা তোলে আমাদের মধ্যবিত্ত সুশীল সমাজ। অথচ মধ্যবিত্ত এই সুশীলদের মানসিকতা আসলে ফকিরনির পুতদের মতোই। দরিদ্রদের মানসিকতা এদের থেকে হাজার গুণ উত্তম।

মধ্যবিত্তরাই বিসিএস কেরানী হয়ে ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ নিতে মড়িয়া হয়ে উঠে। দরিদ্ররা নয়। মধ্যবিত্ত শিক্ষিতদের উচিত ছিল সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। কিন্তু সার্টিফিকেট ধারী শিক্ষিত (মূলত অশিক্ষিত) চুদির ভাইরা সমাজ পরিবর্তন তো দূরের কথা, সমাজের সুবিধা নেওয়ার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছে। আর যেসব মধ্যবিত্ত বিসিএসে আবেদন করেননি তাদের কেও এই আন্দোলনের পক্ষে এবং কেও বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সব শালার মানসিকতা ফকিরনিরপুতদেরই মতো। সে জেনারেল কোটাই হোক আর অন্য কোটাই হোক। আমাদের মনে রাখতে হবে মধ্যবিত্ত এই আচুদা শ্রেণীই বিসিএস কেরানী হয়ে সমাজটাকে লাটে উঠিয়েছে। ফালতু যতসব।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.