নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে,,,,,,,একদিন হঠাৎ

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪২





একদিন হঠাৎ খুব সম্ভবত হুমায়ুন আহমেদের প্রথম ঈদের নাটক। প্রযোজক মুস্তাফিজুর রহমান ।দুইজন কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ আর হুমায়ূণ ফরীদি এই নাটকের প্রাণ ।ফরীদি অভিনয়ে আউটস্টান্ডিং বোধ করি তার সমমানের কোন অভিনেতা সেসময়ে বাংলানাটকে ছিলনা পরবর্তীতে ও আসেনি।আর হুমায়ূন আহমেদ তখন উদীয়মান নক্ষত্র। তার আগমনে অন্যরা ম্লান হতে শুরু করেছে ।



স্বচ্ছল ডাক্তার ফরিদ (কাজী খুরশিদুজ্জামান উৎপল) স্ত্রী সোমা (ডলি জহুর), ছোট বোন মিলা (অরুনা বিশ্বাস), ছেলে কাজল (অভি) এবং বদমেজাজী বাবা (আরিফুল হক) ফরিদের মধ্যবয়স্ক, অবিবাহিত এবং কিঞ্চিত পাগলাটে স্বভাবের মামাকে (আলী যাকের) সঙ্গে নিয়ে বাস করেন। বাবাকে প্রচন্ড ভয় পান ফরিদ, সংসারের চাবিকাঠি এখনও বাবার হাতেই এবং বাবা প্রায়ই নানারকম অদ্ভুত নিয়মকানুন জারি করেন। এসব নিয়ে সোমা প্রচন্ড বিরক্ত।ফরিদের বাবা তার নাতির স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন।



ফলশ্রুতিতে লজিং মাস্টারের আভির্ভাব ওই পরিবারে। নর কঙ্কাল হাতে নিয়ে মাথার চুল তেলে লেপ্টানো। লজিং মাস্টার কাজলকে প্রচীন ভারতীয় কায়দায় গুরু শিষ্য পদ্ধতিতে পাঠ দান করবেন।এই চরিত্রে ফরিদী বাংলা নাটকের নতুন মাইল ফলক।



ফরিদের বাবা তার পাগলাটে শ্যালককে একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। তার দৃঢ় বিশ্বাস শ্যালকের মাথা খারাপ এবং তার পাগলামীর মাত্রা দিনেকে দিন বাড়ছে।এক পর্যায়ে তাকে তালাবন্ধ করে রাখার হয়।



কাজলকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য মাস্টার একদিন তাকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় ছেড়ে দিয়ে আসে যাতে সে নিজেই পথঘাট চিনে ফিরে আসতে পারে।



এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফরিদের বাবা মাস্টারকেও মামার সাথে একই ঘরে তালাবন্ধ করে রাখেন। দুই ঘন্টা থানা-পুলিশ, হাসপাতাল সব খোঁজাখুজির পর কাজল নিজেই বাড়ি ফিরে আসে।



এর ফাঁকে ঘটতে থাকে অসংখ্য মজার ঘটনা।



এই নাটককে হুমায়ুন আহমেদের মাস্টারপিস বলা যায়। ঈদের নাটকের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে হাসানো আর এই কাজে নাটকটা ছিল দারুন সফল। এটা হুমায়ুন আহমেদের নাটকের কমন ফরমেটের উপরই করা হয়েছে। তার তৈরী করা কিছু চরিত্র আছে, যেগুলি আরও বহুবার বিভিন্ন জায়গাতে ব্যবহার করেছেন। সবশ্রেনীর দর্শক প্রাণ খুলে হেসেছে নাটক দেখে।



বিটিভির নাটকে নানা সীমাবদ্ধতার কারনে প্রযোজকের ভূমিকা খুব বেশি থাকে না। মুস্তাফিজুর রহমান একটা দুর্দান্ত স্ক্রিপ্ট পেয়েছেন এবং চরিত্রগুলিতে একদম সঠিক অভিনেতাদের কাস্ট করতে পেরেছিলেন।



অভিনয়ের কথা বলতে গেলে এক নম্বরে আসবে হুমায়ুন ফরিদী। এক কথায় বলা যায় - আউটস্ট্যান্ডিং। যাই হোক, আশির দশকে তার প্রচুর দুর্দান্ত পারফর্মেন্সকে মাথায় রেখেও বলতে হবে, একদিন হঠাৎ নাটকটা তার সবচেয়ে ভাল কাজগুলির অন্যতম।



হুমায়ুন ফরিদীর পর আসবে আলী যাকের এবং আরিফুল হকের কথা। আরিফুল হক আর আলী যাকেরের শালা দুলা ভাই রসায়ন দারুন ভাবে উপভোগ্য। বাংলা নাটকের মামা চরিত্রে আলী জাকেরই বোধ করি সেরা ।



ডলি জহুরের কাজ ছিল খুব সীমিত। উৎপল, অরুনা বিশ্বাস ঠিকঠাক। অন্যান্য সহঅভিনেতারা ভালই। অভি প্রযোজক মুস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। নাটকে একটা ফুটফুটে বাচ্চা প্রয়োজন ছিল, সেই প্রয়োজন সে মিটিয়েছে। এর বেশি তাকে নিয়ে বলার তেমন কিছু নাই।



মাহমুদা খাতুন রহিমার মার চরিত্রে যে কিনা বাড়ির কাজের বুয়া দারুন হাস্য রসের অবতরাণা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।



এ নাটকে বুয়ার খেদমতে গৃহকর্তী ব্যস্ত।কাজের লোকটিও বুয়ার ফমরমায়েস শুনতে শুনতে ক্লান্ত। অনেকেই বুয়া চরিত্রকেই প্রধান ভেবে বসতে পারেন। তার হুকুম দারী মালিকের চেয়ে কম নয়। মরা কঙ্কাল দেখে তার অজ্ঞান হওয়া দেখে দর্শকরা হাসতে হাসতে আমারে মাইরালার মতন অবস্থা।



হুমায়ূন আহমেদ কাজের বুয়া আর মালিকের রসায়নটা হিউমারাসলি তুলে ধরলেও সেখানে নিদারুণ বাস্তবতা ফুটে ওঠেছে।



ফরীদি,আলী জাকের ঘরে তালা বন্দি ফরীদির টয়লেট চেপেছে মামার কাছে টয়লেট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে আর হাটছে।ফরীদির হাটা ভঙ্গি আর চেহারা।



আলী জাকের পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দিয়েছে পত্রিকায় এক স্বাস্থকর্মী মহীলার আগমন তাকে পাত্রী মনে মামার খুশি আর ধরে না ।খুশি হওয়ায় মিলিয়ে যায় যখন মামাকে টিকা দিয়ে দেন। ফরীদিকেও তা নিতে হয়। টিকা নেয়ার সময় ফরীদির এক্সপ্রেশন।



ফরীদির শিক্ষাদান পদ্ধতি।নরকঙ্কাল রাতের বেলা দেখে নিজেই ভড়কে যান। সেটি চাদাবৃত করে ভয়ে হিমশীতল হয়ে ঘুমান। কাজের বুয়া রহীমার মা চাদর খুলে কঙ্কাল দেখে ফিট খান।জ্ঞান ফিরে আবারও কঙ্কাল দেখে আরেক দফা ফিট খান।

এই দেখে দর্শকরাও ফিট খাওয়ার অবস্থা ।



গভীর রাতে মামারখাট ভেঙে নিচে পরে যাওয়া।সর্বশেষ যে ছেলেকে ট্রাকে চাপা পড়ারর ভয়ে বাড়িতে পুরানো ভারতীয় রীতিতে শিক্ষা দান তাকে চিড়িখানায় একা ছেড়ে দিয়ে মাস্টর মশাই ঘরে বসেআছেন।বাসার সবাই চরম বিচলিত। থানা পুলিশ অনেক খুজাখুজি করেও সবাই যখন ব্যর্থ ।কাজলএকাই বাসায় এসে হাজির।নাটকের শেষ মিলি আর লজিং মাস্টারের মিলনের মধ্য দিয়ে। যে মিলি মাস্টারকে বাক্যবানে বিদ্ধ করেছে সেই মিলি লজিংমাস্টারের প্রেমে ফিদা।মাস্টর মশাই রাতের তারা দেখায় আর কবিতা আবৃত্তি করে।



এই এক খানি নাটক দেখলেই অনধাবন করা সম্ভব বাঙলা নাটক কতটাউচু মানের ছিল ।আর হুমায়ূনআহমেদ ও হুমায়ূন ফরীদি দুজনের সমন্বয়ে নাটকটা কতটা উপভোগ্য ও প্রাণবন্ত হয়েছে। হালের বস্তপচা নাটকের চেয়েএ নাটকটি বারবার দেখা ঢের ভাল এট লিস্ট প্রাণ খুলে হাসা যায়। বিস্ময় নিয়ে ফরীদির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।হুয়াট এ গ্রেট এক্টর হি ওয়াজ।



হুমায়ূন আহমেদ অমর কথা শিল্পী ।আগামী ১৯ শে জুলাই তার মৃত্যু বার্ষীকি ।তাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।আজ ফরীদিও নেই হুমায়ূন আহমেদও নেই। রয়ে গেছে তাদের অমর সৃষ্টি।তাদের বিদেহী আত্নার প্রতি শুভকামনা থাকলো।তারা আমাদের অসামান্য আনন্দদায়ক মুহূর্ত উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন।





মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

বোকামন বলেছেন:
এই এক খানি নাটক দেখলেই অনুধাবন করা সম্ভব বাঙলা নাটক কতটা উঁচু মানের। দারুণ বলেছেন !! আমি যোগ করে দিতে চাই ... ছিল

পোস্টে ১ম ভালোলাগা :-)
কেমন আছেন কবি ?

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার ঠিক করে দিলাম। ভাল আছি ।প্রথম কমেন্টে ও প্লাসে অনেক ধন্যবাদ ।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০

এস আর সজল বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা। স্যারকে অনেক অনেক মিস করি। ভাবতেই কেমন জানি লাগে ১টা বছর হয়ে গেলো স্যার নাই। :(

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সময় দ্রুতই ফুরিয়ে যায়।মানুষ ও।কিন্তু তাদের কর্মগুলি থেকে যায়।তাদের মনে করিয়ে দেয়। কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।হুমায়ূনআহমেদ চির জাগরুক থাকবেন আমাদের হৃদয়ে ।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৫

খালিদ মুহাম্মদ ইফতেখার আবেদীন বলেছেন: কাজল হুমায়ূন আহমেদের ছোটবেলার নাম । অভি-কে এই চরিত্রটিকে খুবই চমৎকার মানিয়ে গেছে । সত্যি বলতে সেই এই নাটকটির প্রাণ । হুমায়ূন আহমেদ ও প্রযোজন মুস্তাফিজুর রহমান দুজনে প্রথম 'এইসব দিন রাত্রি'-র মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন । এখন আর সে ধরনের সৃষ্টি আর দেখা যায় না ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এই সব দিন রাত্রি বা ঐ্ সময়টাতে অনেক ছোট ছিলাম ।একদিন হঠাৎ পরেও দেখেছি। দেখে অবাক হয়েছি আনি্দিত ও হয়েছিএমনএকটি নাটক পুরো উপমহাদেশেই বিরল ।অনেক হিন্দি মুভি দেখার চেয়ে এটি দেখলে নির্মল বিনোদন পাওয়া সম্ভব

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: স্যারকে অনেক অনেক মিস করি।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত। তিনি ই প্রথম তুই রাজাকার গালির প্রবর্তক। বাংলা নাটকে তার অবদান অনস্বীকার্য । কমেন্টে ধন্যবাদ ।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার পোস্টের চমৎকার একটা সংযোজন।
বাসায় গিয়ে নাটকটা দেখতে হবে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও ভাল লাগায় ধন্যবাদ।

দেখার মত নাটক। একবার নয় বারবার। প্রিণ্ট খারাপ হলেও দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন ।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: নাটকটি দেখার লোভ সামলাতে পারছিনা।
কিন্ত এখন কাজে, এই অপেক্ষা দেখি বেশ কষ্টের।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কষ্টের অপেক্ষা শেষ হবে শীঘ্রই

শুভকামনা জানবেন ।

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: স্যারের সৃষ্টি কর্মগুলো যত দেখি ততই তাঁর অভাববোধ করি

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত । তার লিখা গুলো একবসায় পড়ে শেষ দিতাম। হি ওয়াজ এ মিরাকল। বিজ্ঞানের ছাত্র এত সহজ ভাষায় লিখতেন অথচ সেগুলো কতটা জীবন্ত আর আকর্ষনীয়।

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০১

রোমেন রুমি বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ এক কিংবদন্তী ।
আর ফরিদি আমার কাছে কোনদিনই মৃত নয় !

ধন্যবাদ
সেলিম ভাই ।
শুভ রাত্রি ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত। শুভরাত্রি আপনাকে ও। ধন্যবাদ কমেন্টে ও ভাললাগায় ।

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৫

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট সেলিম ভাই। সময় করে দেখব নাটকটা।
++++

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। মিস করবেনা না। দারুণ ভাল লাগবে ।

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমরা এমন একজন মানুষকে হারিয়েছি যে আর কখনও আমরা দ্বিতীয় এমন কাউকে আর পাবো না।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত কান্ডারী। ২ জন গ্লামারাস ম্যান হারিয়েগেল। নিস্ব হলো নাট্যাঙ্গন । ধন্যবাদ কমেন্টে। নিরন্তর শুভকামনা ।

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নাটকটা আমারো অনেক ভালো লেগেছে। প্রথমবার দেখে প্রাণ খুলে হেসেছিলাম।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ।

নির্মল বিনোদনের খোরাক নাটকটি ।নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্রিয়তে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার পোষ্ট।
++++++++++++++++++++++++

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও ভাল লাগায় ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামননা থাকলো ।

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: নক্ষত্র চলে গেল ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত নক্ষত্র চলে গেল না ফেরার দেশে। কমেন্টে ধন্যবাদ ।

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++

কঙ্কাল দেখে বুয়ার ফিট হওয়ার সিন এখনও চোখে ভাসে :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ২য় ফিট টায় বেশি মজা পেয়েছে,,,বেচারা লজিং মাস্টার কি যে ভয় পেয়েছিল।রহিমার মা ই বোধ করি ১ম হিট বুয়া চরিত্র। পরে অনেক নাটকেই বুয়া চরিত্র এনেছেন হুমায়ূন।কে উ বোধ করি রহিমার মাকে ছাড়িয়ে যায় নি। মাহমুদা খাতুন ও হয়তো এতদিনে মরে গেছেন ।

কমেন্টে ধন্যবাদ ।

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

অদৃশ্য বলেছেন:





নাটকটির অনেক দৃশ্যই এখনো চোখে ভাসে... হুমায়ূন ফরিদী আলি যাকের আরিফুল হক ও কাজের বুয়ার অনবদ্য অভিনয়, সে সময় ফেট ফাটা টাইপের হাসির নাটক ছিলো এটি...

হুমায়ূন আহমেদ নাট্যজগৎ কে নতুন রাস্তা দেখিয়ে গ্যাছেন, নাটকে আমার কাছে হুমায়ূন আহমেদই সেরা, মানুষকে হাসাতে হাসাতে কাঁদাতে তার মতো এতো সহজভাবে আর কেউ পারেননি...

আর ফিরীদি সেই প্রথম থেকেই আমার প্রিয় ছিলেন এখনো আছেন... তার অভিনয়, এক্সপ্রেশন আর কন্ঠ... অসাধারণ...

চমৎকার লিখা... খুব ভালো লেগেছে

শুভকামনা...

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার কমেন্টে ও ভাল লাগায় ধন্যবাদ।দু ই কিংবদন্তীর জন্য ই থাকলো শুভকামনা।

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: চরম একটা পোস্ট দিয়েছেন ভাইয়া, নাটকটা দেখতেই হবে। অনেকগুলা প্লাস!! +++++ :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে আর অনেকগুলো প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর স্মৃতি কথা এবং হুমায়ুন আহম্মদের নাট্য সমালোচনা
তাই রইল শুভকামনা

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ । নিরন্তর শুভকামনা ।

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আলাপচারী বলেছেন: আর কি কখনো কবে এমনি সন্ধ্যা হবে !!!! - রবীন্দ্রনাথ

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। রবীন্দ্রনাথে কিন্তু দুই হুমায়ূনের ই মুগ্ধতা ছিল...ফরীদি রবীন্দ্রনাথ আত্নস্থ করেছিলেন,হুমায়ূন তার নাটকে রবীন্দ্রসংগীত ব্যবহার করেছেন দারুণ ভাবে ।নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৬

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: তাদের বিদেহী আত্নার প্রতি শুভকামনা থাকল...........

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত । কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। জীবন সায়াহ্নে দুজনই সীমাহী ট্রাজেডীর নায়ক। ফরীদির ব্যথা পাহাড়সম।

২০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৯

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর একটি নাটক। আপনার উপস্থাপনাও যথেষ্ট ভাল হয়েছে। নাটকের অভিনেতা, অভিনেত্রিরা আমার বেশ পছন্দের। তাঁদের মনকাড়া অভিনয়ে + চমৎকার স্ক্রিপ্টে বেশ প্রানবন্ত একটি নাটক। আগের নাটকগুলো ভীষণ মিস করি।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মানুষ বাঁচে কর্মের মধ্যে..তারাও বেচে থাকবেন তাদের চমৎকার সব কাজের জন্য।কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ ।

২১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট সেলিম ভাই :)

প্রিয় মানুষকে নিয়ে পোস্ট , তাই প্রিয়তে নিতে হলো ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্রিয়তে নেয়াতে :) ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

২২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

~মাইনাচ~ বলেছেন: অনেক আগের, দেখেছিলাম কিনা ঠিক মনে পড়ছেনা। ডাউনলোড করে নিলাম, দেখে ফেলব।

লেখায় মাইনাচ B-)

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও ,মাইনাচে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।কাল জয়ী কথা শিল্পী হুমায়ূন তার রসবোধ ছিল দারুণ ।অথচ রসায়নের মত নিরস একটা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি।

২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

রহস্যরাজপুত্র হুমায়ুন আহমেদের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী।

কাল তার প্রতিষ্ঠিত ‌''শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের'' অনুষ্ঠানে যাওয়া ইচ্ছা আছে...

কিন্তু শুক্রবার, জুমা, ইমামতি সব মিলিয়ে কতটা সম্ভব হবে জানিনা।

ধন্যবাদ কবি...

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একেতো রমযান তারপর জুমআ আরআমার বাসাউত্তরা...বোধ করি যাওয়া সম্ভব হবে না।আর কি কি অনুষ্ঠান হচ্ছে ওনাকে নিয়েআপনার জানা আছে কি?

২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

নস্টালজিক বলেছেন: অনেকবার দেখা- একদিন হঠাৎ! দূর্দান্ত একটা নাটক!


প্রিয় লেখকের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী-তে শ্রদ্ধাঞ্জলী!

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। খুব দ্রুত একটি বছর চলে গেল। প্রিয় লেখক আর লিখবেন না নতুন কোন লেখা। তিনি কুদ্দুস বয়াতি শাহ আব্দুল করিম দের মত গায়কদের আধুনিক শ্রুতাদের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। বারী সিদ্দীকির অসাধারণ কিছু গানের জনপ্রিয়তা তার হাত ধরে ই।

২৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪০

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: আসলেই অসাধারন একটা নাটক। অনেক বার দেখেছি। ডাউনলোড করা আছে মাঝে মাঝেই কিছু অংশ দেখি। অসাধারন একটা নাটক।
ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য।
প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা।এই নাটকটার স্টাইলেই তিনি অরেকগুলো নাটক লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন।যেখানে শালা দুলাভাই,চাকর মনিব,নায়ক নায়িকা সব ধরনের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন...নাটকগুলো হাস্যরসের সৃষ্টি করতোআর দর্শকরাওউৎসবের মতন তা উপভূগ করতেন..বাংলা নাটকে তার যে নিজস্ব ঢং তার যে রস সেগুলো মানুষ ভুলবে না কোনদিন। তিনিআজীবন মানুষের ভালবাসায় ধন্য হবেন।

২৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি হিমু ,মিসিরআলী, বাকের ভাই,এগুলো মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে এক কথায় কালোত্তীর্ণ....এমন লেখক আর আসবেন কিনা জানি না।গ্রাম বাংলাকে এত দরদ দিয়ে এত সুন্দর করে আর কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারবেন কি না সন্দেহ আছে।

২৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৭

গাধা মানব বলেছেন: স্যারকে অনেক বেশি মিস করি। :(

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্যারকে আমরা সবাই মিস করি..স্যার দারুণ অভিমানিএকজন মানুষ ছিলেন আর অনেকএকা। শাওনকে অনেখে সমালোচনা করলে ওআমি বলব শাওন তার একাকিত্বের সঙ্গী হয়েছে। কমেন্টে ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: স্যার এর জন্য খুব খারাপ লাগে ।
কি এমন হত আরো কয় বছর বাচলে ?
ভাল লাগল সেলিম ভাই আপনার পোস্ট ।
৮০ দশকের হুমায়ূন আহমেদের মতন নাটক এখনও পর্যন্ত আর হয় নাই ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত সুপ্রিয় ব্লগার ।সেলিমআলদীন ও দারুন সব নাটক লিখেছেন। নিজেকে দূর্ভাগা ভাবি সেই সময়কার নাটকগুলো বুঝে দেখতে পারিনি। থান্ডার ক্যাটস টমএন্ড জেরী দেখে চরমআনন্দ পেতাম।৮০র দশকে সেরা সব নাটকগুলো গেছে।এজন্যই ফরীদি আফজাল আজও মহানায়ক। ফরীদি তোআনপ্যারালাল। হুমায়ূনআহমেদ নিজেইএকটা যুগ। শাওনের সঙ্গে বিয়ের পর তার কাজের মান পেরে যায়। কোথাও কেউ নেই,বহুব্রীহি,এইসব দিন রাত্রি অয়োময় বিবাহএকদিন হঠাৎ এগুলো মাস্টর পিচ। তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো অচাম। মিসিরআলী হিমু বাকের ভাই,ছোট মির্জা। দারুণ। শুভকামনা হুমায়ূন আহমেদ।

২৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: অনেক ভালো একটা পোস্ট দিয়েছেন ভাই।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ । নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

৩০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৭

পাকাচুল বলেছেন: অনেকবার দেখেছি এই নাটকখানা। অসাধারণ।

ধন্যবাদ।

৩১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: এইমাত্র দেখে শেষ করলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি নাটক রিকমেন্ড করার জন্য।

৩২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩১

লাস্ট সামুরাই বলেছেন: অসাধারণ স্কি্রপ্ট। এই ধরণের স্ক্রিপ্ট আমরা এখন আর পাই না। মাঝখানে ফেরদৌস হাসান কিছু ভালো হাস্য রসাত্মক স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন কিন্তু এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না অথচ নাটক তৈরি হচ্ছে ভুরি ভুরি। আমার মনে হয় স্ক্রিপ্ট রাইটার, পরিচালক, প্রযোজকরা আরও একটু সচেতন আর সময় নিয়ে কাজ করলে এই ধরণের স্ক্রিপ্ট আমরা আরও পেতাম।

নাটক নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ দারুণ হয়েছে। আর একজন হুমায়ূন আহমেদ বা ফরিদী আমরা পাবো না। এটাই সৃষ্টির রহস্য। কখন, কোথায়, কিভাবে যে অবিস্মরণীয় কিছু সৃষ্টি হয়ে যায় সেটা পুনরায় একই ফমর্ূলায় আর কখনও তৈরি করা যাবে না।

আপনার দেয়া লিংক থেকে নাটকটি আবার দেখলাম। সেই আগের মতই মজা পেলাম। সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার এত বছর পরেও যে এই নাটকের কিছু কিছু অংশ আজও মনে আছে এটাই এই নাটকের এবং এর কলাকুশীলবদের স্বার্থকতা।

তবে একটা কথা মনে হলো, বাংলা নাটক কি তার স্বর্ণযুগ ফেলে এলো নাকি আবার কারও কারও সৃষ্টিশীলতায় আমরা কালজয়ী কিছু নাটক পাবো। বাংলা নাটক দীর্ঘজিবী হোক।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.