নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউসুফ-যুলায়খা প্রণয় কাহিনী ১ম পার্ট

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫২

প্রকৃতপক্ষে বিশ্ব-ইতিহাস এবং অতীত অভিজ্ঞতার মধ্যে ভবিষ্যত জীবনের জন্য বিরাট শিক্ষা নিহিত রয়েছে।



সুরা ইউসুফে ইউসুফ -যোলায়েখা প্রণয় কাহিনীর উল্লেখ আছে। আগেই বলে রাখা ভাল ইউসুফ আঃ স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতেন। সেটির উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারতেন।



ইউসুফ আঃ সহ হযরত ইয়াকুব আঃ এর বার জন পুত্র সন্তান ছিল। তাদের প্রত্যেকেরই সন্তান সন্ততি হয় এবং বংশ বিস্তার লাভ করে। ইয়াকুব আঃ এর উপাধি ছিল ইসরাইল। তাই বারটি পরিবারের সবাই বনী ইসরাইল নামে খ্যাত হয়।



ইউসুফের ১০ জন বৈমাত্রীয় ভাই ছিল। বাবা ইউসুফকে বেশি স্নেহ করতেন বিধায় অন্য দশ ভাই তাকে হিংসা করতো। এবং তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়।



সুরা ইউসুফের ১১ নম্বর আয়াত-তারা বলল ঃ পিতা ব্যাপারকি, আপনি ইউসুফের ব্যাপারে আমাদেরকে বিশ্বাস করেন না? আমরা তো তার হিতাকাংখী।১২) আগামীকাল তাকে আমাদের সঙ্গে প্রেরণ করুন- তৃপ্তিসহ খাবে এবং খেলাধূলা করবে্ এবং আমরা অবশ্যই তার রক্ষনাবেক্ষণ করব।১৩) তিনি বললেন ঃ আমার দুশ্চিন্তা হয় যে তোমরা তাকে নিয়ে যাবে এবং আমার আশংকা যে ব্যাঘ্র তাকে খেয়ে ফেলবে এবং তার দিক থেকে গাফেল থাকবে ।



ইয়াকুব আঃ স্বপ্নে দেখেছিলেন যে তিনি পাহাড়ের উপর আছেন। নীচে পাহাড়ের পাদদেশে ইউসুফ আঃ। হঠাৎ দশটি বাঘ এসে তাকে ঘেরাও করে ফেলে এবং আক্রমন করতে উদ্যত হয় কিন্তু একটি বাঘই এসে তাকে মুক্ত করে দেয়। অতপর ইউসুফ আঃ মৃত্তিকার অভ্যন্তরে গা ঢাকা দেন। বাঘে খেয়ে ফেলার আশংকা তাই বাবার মনে জেগে ওঠে।



আসলে ভাইয়েরা তাকে নিয়ে দূরে এক অন্ধকার প্রাচীন কূপে ফেলে আসে। এবং বাবাকে জানায় যে ইউসুফকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে।



ঘটনা চক্রে একটি কাফেলা কূয়ার কাছে পৌছে যায় । কাফেলাটি সিরিয়া থেকে মিশর যাচ্ছিল।পথ ভুলে জনমানবহীন জঙ্গলে এসে উপস্থিত হয়। কূপে পানি তুলতে গিয়ে তারা ইউসুফকে পায় এবং উদ্ধার করে। তারা ইউসুফকে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যায়।



তফসীরে কুরতবীতে বলা হয়েছে: কাফেলার লোকেরা তাকে মিশর নিয়ে যাওয়ার পর বিক্রয়ের কথা ঘোষণা করতেই ক্রেতারা প্রতিযোগিতামূলকভাবে দাম বলতে লাগলো।শেষ পর্যন্ত ইউসুফ আঃ এর ওজনের সমান স্বর্ণ, সমপরিমান মৃগনাভি এবং সম পরিমান রেশমী বস্ত্র দাম সাব্যস্ত হয়ে গেল। আযীযে মিশর এ দাম দিয়ে তাকে ক্রয় করলেন।



কোরআনের বক্তব্যে বোঝা যায় এটি কোন দৈবাৎ ঘটনা নয়; বরং বিশ্বপালকের রচিত অটুট ব্যবস্থাপনার অংশমাত্র।তিনি মিসরে ইউসুফ আঃ কে ক্রয় করার জন্য এ দেশের সর্বাধিক সম্মানিত ব্যাক্তিকে মনোনিত করেছিলেন। ইবনে কাসীর বলেন ঃ যে ব্যক্তি ইউসুফ আঃ কে ক্রয় করেছিলেন তিনি ছিলেন মিশরের অর্থমন্ত্রী।তার নাম কিতফীর কিংবা ইতফির বলা হয়ে থাকে ।তখন মিশরের সম্রাট ছিলেন আমালেকা জাতির জনৈক ব্যক্তি রাইয়ান ইবনে ওসায়দ। তিনি পরবর্তীকালে ইউসুফ আঃ এর হাতে মুসলমান হয়েছিলেন।



ক্রেতা আযীযে মিশরের স্ত্রীর নাম ছিল রাঈল কিংবা যুলায়খা। আযীযে মিসর কিতফীর ইউসুফ আঃ সম্পর্কে স্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন তাকে বসবাসের উত্তম জায়গা দাও- ক্রিতদাসের মত রেখো না এবং তার প্রয়োজনাদির সুবন্দোবস্ত কর।



হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন দুনিয়াতে তিন ব্যক্তি অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং চেহারা দেখে শুভাশুভ নিরূপনকারী প্রমাণিত হয়েছেন। প্রথম আযীযে মিসর। তিনি স্বীয় নিরূপন শক্তি দ্বারা ইউসুফ আঃ এর গুণাবলী অবহিত হয়ে স্ত্রীকে উপরোক্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন।২য়, হযরত শোআয়েব (আঃ) এর কন্যা যে মুসা আ; সম্পর্কে বলেছিলেন পিতা তাকে চাকর রেখে দেন।কেননা উত্তম চাকর ঐ ব্যক্তি যে সবল সুঠাম ও বিশ্বস্ত। হয়। ৩য় হযরত আবু বকর সিদ্দীক, যিনি ফারূকে আযম রা: কে পরবর্তী খলিফা মনোনীত করেছিলেন। ( ইবনে কাসীর)।



কোরআনে আয়াতের অর্থ এমনি ভাবে আমি ইউসুফকে সে দেশে প্রতিষ্ঠা দান করলাম। এতে ভবিষ্যৎ ঘটনার সুসংবাদ রয়েছে যে , যে ইউসুফ এখন কৃতদাস হিসেবে আযীযে মিসরে গৃহে প্রবেশ করেছে অতি সত্ত্বর সে মিসরের সর্বপ্রধান ব্যক্তি হবে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভ করবে।



যে মহীলার গৃহে ইউসুফ আঃ থাকলেন বড় হলেন যৌবন প্রাপ্ত হলেন ,সে ই যুলায়খা তার প্রকৃত প্রেমাসক্ত হয়ে পড়লেন এবং তার সথে কুবাসনা চারিতার্থ করার জন্য তাকে ফুসলাতে লাগলেন।সে গৃহের সব দরজা বন্ধ করে দিলেন এবং ইউসুফকে বলল শীঘ্র এসে যাও তোমাকেই বলছি।



সুদ্দী ইবনে ইসহাক প্রমুখ তফসীরবিদ বর্ণনা করেন যে, এ নির্জনতায় যুলায়খা ইউসুফ আঃ কে আকৃষ্ট করার জন্য তার রূপ ও সৌন্দর্যের উচ্ছসিত প্রশংসা করতে লাগলো। সে বললঃ তোমার মাথার চুল কত সুন্দর। ইউসুফ আঃ বললেন ঃ মৃত্যুর পর এই চুল সর্বপ্রথম আমার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এরপর যুলায়খা বললঃ তোমার নেত্রদ্বয় কতই না মনোরম।ইউসুফ আঃ বললেনঃ মৃত্যুর পর এগুলো পানি হয়ে আমার মুখমন্ডলে প্রবাহিত হবে।যুলায়খা আরও বললঃ তোমর মুখ মন্ডল কতই না কমনীয়। ইউসুফ আঃ বলেন এগুলো সব মৃত্তিকার খোরাক।।



আল্লাহ তায়ালা ইউসুফ আঃ এর মনে পরকালের চিন্তা এত বেশি প্রবল করে দেন যে ভরা যৌবনেও জগতের যাবতীয় ভোগ বিলাস তার দৃষ্টিতে তুচ্ছ হয়ে যায়। সত্য বলতে কি পরকালের চিন্তাই মানুষকে সর্বত্র সব অনিষ্ট থেকে নির্লিপ্ত রাখতে পারে।



(পুরুষদের দেখলে মেয়েদেরও জিভে জল আসে..পুরুষরাও তেতুল)



মারেফুল কোরআনের আলোকে

চলবে

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: চলুক। আমি কোরানের আলোকে বিস্তারিত তথ্য পাই নাই। কেবল ইউসুফ-জোলায়খা কাব্য গ্রন্থ পড়তে পেয়েছিলাম।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ প্রথম কমেন্টে।বিস্তারিত সত্যকাহিনি তুলে ধরার প্রয়াস নিলাম।কোর আন ও হাদীসের বাইরে যাবনা।এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাদীস গুলো বলা হবে। পোস্টটি হবে দারুণ শিক্ষনীয়। ইউসুফ জুলেখা কাহিনির সঙ্গে জানা যাবে অনেক কিছু ই। ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: এখানে কিশোর বয়সে হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর স্বপ্নের কাহিনীটা বললে হয়তো আরো পরিষ্কার হত।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সত্যি বলেছেন চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত করার । ও সহজ ভাষায় লিখার। ইউসুফ আঃ ঘটনা জানার পর অনেকে স্বপ্ন নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু। অবশ্য যারা জ্ঞান অন্বেষণ করতে চান। জানতে চান তারা দারুণ উপভোগ করবেন এতে কোন সন্দেহ নাই।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪২

দি সুফি বলেছেন: ইউসুফ-জুলেখা প্রেম কাহীনি পুরোটাই মিথ্যে। ইউসুফ (আঃ ) কখনই জুলেখার প্রেমে পরেন নি, বরং জুলেখা চেয়েছিল তার কুবাসনা চারিতার্থ করতে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে ধন্যবাদ।দেখা যাক পুরো জিনিস জানার পর কি হয়।
ভাল থাকবেন।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালো লাগলো !

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও ভাল লাগায় ধন্যবাদ্ । নিরন্তর শুভকামনা ।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চলুক পোস্টের গাড়ি । সাথে আছি ।
++++++++++

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৭

পাকাচুল বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্কায়

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। পরের পর্ব পেয়ে যাবে সপ্তাহ নাগাদ। পোস্টটি নারীপুরুষ সবার জন্যই উপভোগ্য এবং শিক্ষনীয় হবে।নিরন্তর শুভকামনা ।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: হুমম...জানা ঘটনা আমার জানলাম

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জানার মাঝে ও অজানা আছে
আছে অনেক কিছু
শেষ হয়নি পোস্ট
আছে বাকি কিছু।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পুরুষদের দেখলে মেয়েদেরও জিভে জল আসে..পুরুষরাও তেতুল :P

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখানে তো একজনের কাছে তেতুল পরের পর্বে দেখা যাবে সকল মেয়ের কাছেই তেতুল।এটা একটা সত্য কাহিনী।

৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ছোটবেলায় কাহিনীটা মন রংগিলা করে দিত

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী। পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্টে।পরবর্তী অংশ প্রকাশ করার প্রয়াস আছে। সময় করে ওঠতে পারছিনা। কিছুটা ব্যস্ততা আছে।শুভকামনা থাকলো ।

১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। সত্যি সুন্দর......।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। কমেন্টে ও প্লাসে। ভাল থাকবেন সবসময় এই কামনা থাকলো।ওয়েট এন্ড সি।

১২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: পবিত্র কোরআনের খুব আকর্ষনীয় একটি অধ্যায়ে হাত দিয়েছেন ।


চালিয়ে যান ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও উৎসাহ দানে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

অদৃশ্য বলেছেন:





কিছুটা পড়ে গেলাম... মজা পেয়ে গেছি... পরে অবশ্যই শেষ করে যাব...



শুভকামনা...

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সত্যটাই লিখার চেষ্টা করলাম ।জানার মত অনেক কিছুই আছে। ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.