নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহব্বত-২য় ও শেষ পার্ট (ছোট গল্প)

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩





নিরবিচ্ছিন্ন উত্তেজনা ,কামনার জ্বালা তো দীর্ঘস্থায়ী হয় না, হতে পারে না।তাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্র্ম হলো না।অবসাদ ভর করলো তাদের দুজনার মনে।দেহজ কামনায় বিতৃষ্ণায় মন ভরে ওঠলো। কারো মধ্যে ই কামপ্রকাশের তীব্র আকর্ষণ থাকলো না।ব্যপারটা তারা অনুধাবন করা সত্ত্বেও নিজের মধ্যে গোপন রাখলো।।কামলালসার প্রতি তাদের কেমন ক্লান্ত একটা অনুভূতি।তবে স্বীকার করতে উৎসাহী নয় কেউই। তবে কামলালসা তাদের মধ্যে আগের মত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে না।



নিজেরাই ভেবে বুঝে নিতে চেষ্টা করে ।কি হলো?সম্প্রতি তাদের প্রেম কি স্বাদহীন হয়ে পড়েছে?না। আসলে যেকোন বস্তু যত মনোরঞ্জন কারীই হোক না কেন তার চাহিদা সীমাহীন নয়।পার্থিব সব স্বাদ সীমাবদ্ধ।যে পুরুষটা প্রথম মিলনের দিনে ইস্পাতের মত তীক্ষ্ণ ছিল এক সময় সে ইস্পাতে মরিচা ধরে।কিংবা পুরুষটার কাছে নারী আর বিদ্যুৎ স্ফুলিংগ সৃষ্টি করতে পারে না। একে অন্যের কাছে যেন চাওয়াপাওয়ার আর কিছুটি অবশিষ্ট নেই।প্রেমর মনমুগ্ধকর কথা গুলো কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে।





তাদের প্রেমে মরিচিকা ধরেছে খুব দ্রতই।সকল কৌশলই বোধ করি তাদের কামস্পৃহাকে আর আগের অবস্থায় নিতে সক্ষম নয়।তারা প্রতিনিয়ত কাম লালসা জাগিয়ে তোলার,যৌন ক্রিয়ায় নতুন কোন পন্থা ও কৌশল আবিষ্কারে তারা লিপ্ত হলেও হতাশ হতে হল।



ওসব কামকাজে পুলকিত হয়না মন।বরঞ্চ মনে হয় ব্যাপারগুলো অসঙ্গত।



দৈহিক চাহিদা মেটাতে তারা প্রায়ই সঙ্গমে লিপ্ত হয়।কিন্তু চিত্তাকর্ষক মুহুর্তগুলি খুব অল্পকালই স্থায়ী হয়। অবসাদ অবর্ণনীয় ক্লান্তিতে দেহ দ্রুত অসার হয়ে যায়।আকর্ষণের পরিবর্তে দেহে মনে জাগে বিতৃষ্ণা।



এমন সুখান্বেষণের উপায় উদ্ভাবন করতে করতে হঠাৎ রুমানার মাথায় নতুন একটা মতলব আসে।স্বামীর হাত দুটো ধরে আবেগের সঙ্গে বলল



‌‌'ওগো চল বাইরে কোন বড় রেস্তোরায় গিয়ে রাতের খাবারটা খেয়ে আসি।'



স্বামী আজাদ ভাবল স্ত্রীর মনে নির্ঘাৎ কোন গোপন রহস্য উকি দিচ্ছে।নইলে হঠাৎ রেস্তোরায় যাবার এমন তীব্র ইচ্ছা কেন?



রুমানা বলল ‍' রেস্তোরা বলতে এমন কোন পরিবেশ চাই যেখানে পুরুষরা তাদের বান্ধবী নিয়ে হাজির হয়।ড্রিংকস, সাক্ষাৎ আর রঙ্গরসিকতা সবই চলে্ ।আর সেটি অবশ্যই সমুদ্রের তীরে। সমুদ্রসৈকতের পারে।



আজাদ মুচকি হেসে বলে" বড় বড় রেস্তোরায় এমন সব খাবার থাকে, সেখানে প্রেমিক প্রেমিকার জন্য রক্তে মাতন জাগে।'



- হ্যা তোমার অনুমান নির্ভুল।ওসব জায়গায় রূপসী মহীলার হাট বসে। ওরকম পরিবেশে আগেও তো গিয়েছো্ ।



- আরে এসব কি বল প্রিয়তমা। আমি তোমার স্বামী। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে লোকুচুরি কাম্য নয়। সঙ্গত নয়। তোমার টিপ্পনী আমার পৌরষে আঘাত হানবে না।



তুমি যখন অভয় দিচ্ছ তখন বলেই ফেলি। আমি সেখানে অবিবাহিতা মানে তোমার প্রেমিকা সেজে হাজির হব। তুমি প্রচন্ড কামাতুর যুবকের ভূমিকায় থাকবে।



আজাদ হেসে তার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানায়। সেদিন সন্ধ্যাতেই তারা রেস্তোরায় যাবে। মনের মত বড় একটি রেস্তোরায়। সে বলল হ্যা পার্টিতে গিয়ে মজার লোটার মত ভাল একটা জায়গা আমার জানা।সেখানে তুমি আর আমি নবপ্রেমের জন্ম দিব।



আজাদ আর রুমানা হাত ধরাধরি করে সন্ধ্যায় রেস্তোরায় হাজির হয়।চারিদিকে প্রেমিক প্রেমিকার ভিড়। সবার মনে খুশির জোয়ার।



আজাদ সাহেব তুলনামূলক সস্তাদামের একটা কক্ষ ভাড়া নেয়।



বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউ। সমুদ্রের বুকে ভেসে থাকা বিশাল জাহাজ। জলকেলিতে মগ্ন কপোতকপোতি। প্রেমে মত্ত তারা্ ।অন্যদিকে খেয়াল করার ফুসরত টুকু নেই। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। চাঁদের রুপালি আলো আর সগারের প্রেম চলছে যেন। সমুদ্রের বুকে পূর্ণিমার জোয়ার। সমুদ্রের বুকটা ফোলে ওঠেছে যেন।চাদের আকর্ষণে পৃথিবীর বুকে জোয়ার ওঠেছে সেই জোয়ারে আজাদ রুমানার মনে কামনার জ্বালা ধরেছে। তারা খুজে পেল তাদের হারিয়ে যাওয়া সমুদ্র বিলাস।সমুদ্রস্মৃতি ।হৃদয়ে কত প্রেম আকুতি নিয়ে তারা দীর্ঘ তিনটি মাস না ছুয়ার প্রেমে মত্ত ছিল। আজ যেন সে পাগলপারা প্রেম এল। আজ তারা পরস্পরকে কামনার সপ্তসর্গে ভাসাবে।



আজাদ তার স্ত্রীর হাত ধরে ভাড়া করা ঘরটায় ঢুকে।



একটু পরেই একটা বয় দুপ্লেট মুখরোচক খাবার দিয়ে যায় তাদের প্রেম নিকুঞ্জে।সঙ্গে দুবোতল শ্যাম্পেইন।



বয়টি বিদায় নেয়ার পর আজাদ দরজায় শিটকিনি তুলে দেয়। গালে ছোট্ট একটা টোকা দিয়ে রুমানাকে বলে পানাহার পর্ব সেরে নেয়াই ভাল।



রুমানা শ্যাম্পেইনের পুরো বোতলটাই গলায় ঢেলে দিল। মদের নেশায় অল্প অল্প তাকে গ্রাস করে নিল। মদের দৌলতে শরীর ক্রমেই গরম হতে লাগলো। আড়ষ্টতা দূর হলো।



মদের নেশায় আজাদের মধ্যেও উত্তেজনার সঞ্চার হয়। নেশার ঝোকে অতীতের সব স্মৃতি চাঙ্গা হয়ে ওঠলো। সে হাত বাড়িয়ে স্ত্রীর হাতটাকে নিয়ে আবেগে গদগদ হয়ে ঘনঘন চুম্বণ দিতে লাগলো।



স্বামীর উন্মাদনা রুমানার মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে একেবারে তুঙ্গে ওঠে গেল। সে এমন সব ইঙ্গিত করে স্বামীকে বুকে টেনে নিল যা নির্লজ্জ সুখের লোভে আচ্ছন্ন। কাম্য সুখশান্তি লাভের গভীর প্রত্যাশায় তাকে দেহদান করতে সে রীতিমত মরিয়া হয়ে ওঠলো।



কামোন্মাদিনী স্ত্রীর কামপিপাসা আজাদের মধ্যেও সঞ্চারিত হতে দেরী হল না।সে বেসামাল স্ত্রীর জানুতে ক্ষুধার্ত বাঘের মত সজোরে থাবা বসিয়ে দিল।আবেগে অভিভূতা রুমানা স্বামীর ওপর বারবার নুয়ে পড়ে চুম্বণের মাধ্যমে সোহাগ জানাতে লাগল।



রুমানা কামলালসার প্রাবল্যে কত কথাই না বলতে লাগলো। অর্থহীন উদ্ভট আর অত্যশ্চর্য সব কথা। একসময় স্বামীর গলাটা জড়িয়ে ধরে আবেগের সঙ্গে বলল 'আজাদ একটা কথার জবাব দিবে? আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করছে। আমার আগে তোমার কি কোন অনেক প্রেমিকা ছিল?"



বহু আকাঙ্খিত মুহুর্তে অনাকাঙ্খিত প্রশ্ন শুনে রীতিমত স্তম্ভিত আজাদ।স্ত্রীর কাছে স্বামীর এমন সৌভাগ্যের ব্যাপার কোন স্বামীর মুখ ফোটে বলা কখনো সম্ভব? নাকি বলা উচিৎ।



স্ত্রীর পীড়াপীড়িতে সে আমতা আমতা করে বলে ওঠলো ' এমন আকটা মধুর মুহুর্তে কেন এ উদ্ভট প্রশ্নটা করছ।যাক গে শুন বহু নয় মাত্র কয়েকজন ছিল'।



রুমানা-তাহলে সংখ্যাটা শয়ের বেশি।



আজাদ- বললাম তো মাত্র কয়েকজন।তা তো হবেই।



রুমানা- সবসময় কি ললনাদের সমানভাবে পেতে।



আজাদ- আরে না। কোন সময় প্রচুর সমাগম হতো। ললনাদের লাইন লেগে যেত।আবার কোন কোন বৎসর খুব নগন্য। হাতে গুনা দুতিনজনকে নিয়েই সারা বছর কাটিয়ে দিতে হত।



রুমানা- ছি ওরাতো অনেক পুরুষদের সঙ্গে মেশে। তোমার একটু ও ঘৃণা হলো না ?সবার সান্নিধ্য কি একইরকম উপভোগ করতে।



আজাদ- আরে না।তাদের শরীরে ঘ্রাণ আলাদা্ ।দেহজ সৌন্দর্যে ও আছে ভিন্নতা। তাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো ও পৃথক।



রুমানা তাদের মধ্যে কি কোন গৃহ বধু ও ছিল?



আজাদ-হা ছিল? মাত্র দুজন।



রুমানা:-তাদের কেমন লেগেছে।



আজাদ-ভাল। তারা ব্যতিক্রমি। অনেকের তুলনায় অনেক ভাল। তবে আমার কিন্তু বারবনিতা মানে বাজারের মেয়ে মানুষদের প্রতিই বেশি আকর্ষণ ছিল।



রুমানা-আজাদ কি করে পারলে তুমি ?ছিঃ ছিঃ কি জঘন্য রুচিরে বাবা!



আজাদ-আরে পরুষ মানেই বহুগামী। রুচির পরিবর্তন আনতে হয়। এক জিনিস কত আর ভাল লাগে।



স্বামীর পারভার্সন এ রুমানার গায়ে কামনার উত্তাপ জাগে।তার প্রেম জেগে ওঠে আগের মত।সেই যে সময়ে সাগর কিনারায় চুটিয়ে প্রেম করেছেন সে সময়টার মত।



আজাদ: আচ্ছা তোমার কি আমি ছাড়া কারো সঙ্গে প্রেম করার অভিজ্ঞতা নেই।পুরুষে পুরুষে কেমন পার্থক্য বলতো জানু।



রুমানা-আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।



রুমানার কামনা তখন তুঙ্গে । প্রচন্ড অবেগে জড়িয়ে ধরে আযাদকে বলে কারো সঙ্গে প্রেম অভিজ্ঞতা নেই।সে অতর্কিতে আজাদ এর গলা জড়িয়ে ধরে আবেগ মধুর স্বরে বলে ওঠে আমি তোমাকে যে কতটা ভালবাসি তা বলে বুঝাতে পারব না প্রিয়তম।ইসসসসসসসস।হোল্ড ইউর টাঙ এন্ড লেট মি লাভ।



ছোট্ট রুমটা তখন প্রেমের লীলায় মত্ত। আজাদ রুমানা কথামত প্রচন্ড কামুক যুবকের সংলাপ আওড়িয়েগেছে মাত্র। সে শতভাগ সফল। তাইতো তাদের প্রেমের নবজোয়ার লাভ করলো। তখনো আকাশে পূর্ণিমার রাত। আলোয় উদ্ভাসিত। চাদের হাসির বাধ ভেঙেছে। সমুদ্র উত্তাল। সমুদ্রবুকে ভাসছে জাহাজ। আযাদের বুকে রুমানা। পৃথিবীতে চাঁদেও চলছে লীলা।মহব্বতের জোয়ারে ভাসছে যেন সবই।ধরাতে বুঝি সবই মিথ্যা। সত্য শুধু মহব্বত।মহব্বত বারবার নবজীবন লাভ করে যেমন পূর্ণিমা ঘটে।



মহব্বত-১ম পার্ট



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর গল্প কথা
ভাললাগা থাকল +

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ম কমেন্টে ও প্লাসে অনেক ধন্যবাদ প্রভাবশারী ব্লগার পরিবেশ বন্ধু। শুভকামনা থাকলো । B-)

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৫

মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: :P :P :P :!> :!> :!> :!> :!>

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: :P :P :P

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৩

ফেরেশতা চেয়ে পুণ্যবান বলেছেন: চটি পড়লাম নাকি?

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এএটা একটা লুল গল্প।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: রোজা রমজানে কাম-আকাম :|

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রেম-অপ্রেম বলেন। যে গল্পই লিখি পাবলিক ভাবে বাস্তব।এটাআর তা ভাবতে পারবে না। নায়ক নায়িকাকে শ্যাম্পেইন খাইয়ে সেক্স করিয়ে ছেড়েছি।এএবার তো গল্প ভাববে নাকি?

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


প্রথম মন্তব্যের পর আমার আর কিবা বলার থাকতে পারে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.