নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউসুফ-যুলায়খা প্রণয় কাহিনী,পার্ট-২সমাপ্ত(মারেফুল কোরআনের আলোকে)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

আয়াত-২৪) নিশ্চয় মহীলা তার বিষয়ে চিন্তা করেছিল এবং সেও মহীলার বিষয়ে চিন্তা করত যদি না সে পালনকর্তার মহিমা অবলোকন করত। এমনিভাবে হয়েছে যাতে আমি তার কাছ থেকে মন্দ বিষয় ও নির্লজ্জ বিষয় সরিয়ে দেই।নিশ্চয় সে মনোনিত বান্দাদের একজন।



আয়াতঃ২৮)অতঃপর গৃহস্বামী যখন দেখলো যে ,তার জামা সামনে থেকে ছেড়া তখন বললঃ নিশ্চয় এটা তোমাদের(নারী) ছলনা।নিঃসন্দেহে তোমাদের ছলনা খুব ই মারাত্বক।



২৯) ইউসুফ এ প্রসঙ্গ ছাড়। আর হে নারী। এ পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।নিসন্দেহে তুমি ই পাপচারিনী।



৩০) নগরে মহিলারা বলাবলি করতে লাগল যে আযীযের স্ত্রী স্বীয় গোলামকে কুমতলব চরিতার্থ করার জন্য ফুসলায়। সে তার প্রেমে উন্মত্ত হয়েগেছে।

আমরা তো তাকে প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে দেখতে পাচ্ছি।



৩১) যখন সে তাদের চক্রান্ত শুনল,তখন তাদেরকে ডেকে পাঠালো এবং তাদের জন্য একটি ভোজ সভার আয়োজন করল। সে তাদের প্রত্যেককে একটা করে ছুরি দিয়ে বললঃ ই উসুফ এদের সামনে চলে এস।যখন তারা তাকে দেখে হতভম্ব হয়ে গেল এবং আপন হাত কেটে ফেলল।তারা বললঃ কখনোই নয়- এ ব্যক্তি মানব নয়। এ তো মহান ফেরেশতা।



৩২) মহিলা বললঃ এ ঐ ব্যক্তি ,যার জন্যে তোমরা আমাকে ভর্ৎসনা করেছিলে।আমি ওরই মন জয় করতে চেয়েছিলাম ।কিন্তু সে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে।আর আমি যা আদেশ দেই ,সে যদি তা না করে,তবে অবশ্য ই সে কারাগারে প্রেরিত হবে এবং লাঞ্ছিত হবে।



৩৩) ইউসুফ বলল হে পালনকর্তা তারা আমাকে যে কাজের দিকে আহবান করে তার চাইতে আমি কারাগার ই পছন্দ করি।যদি আপনি এদের চক্রান্ত আমার উপর থেকে প্রতিহত না করেন ,তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব।এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাব।





মোদ্দাকথা ইউসুফের প্রতি যুলায়খার লালসা ও প্রেম এর কথা সবাই জেনে গেল। এবং হাসি ঠাট্টা শুরু করে দিল। ব্যাপারটা যুলায়খার কাছে অস্বস্তিকর মনে হল। সে তাদের বাক্য বান এড়াতে সকল মহীলাকে নিজের বাড়িতে দাওয়াত করল। সবাইকে খাবার পরিবেশন করা হলো এবং ইউসুফ আঃ কে তাদের সামনে আসার আহবান করল এবং ইউসুফ আঃ আসার সঙ্গে সঙ্গে তার রূপে মুগদ্ধ হয়ে নিজেদের হাত কেটে রক্তাক্ত করল। এবং যুলায়খার কথার সঙ্গে সুর মেলালো । যলায়য়খাও ইউসুফকে দেখে বলে ফেলল যে ইউসুফ তার কথামত তার সঙ্গে সেক্স না করলে তাকে চরম লাঞ্ছিত কারে জেলে পাঠানোর কথা মুখ দিয়ে বের করে ফেলল ।গুপ্ত বাসনা তার ফাস হয়ে গেল।



সকল মহীলা যুলায়খার লালসাকে সমর্থন করল এবঙ ইউসুফকে সে কাজ করার ব্যাপারে প্রলুব্ধ করল।যে তা যুলায়খার মনোবাঞ্ছা পূরণ করা উচিৎ। এঘটনা এটাই প্রমান করে সুদর্শন পুরুষ দেখলে সকল মেয়ের ই লালা ঝরে আই মিন কামনা জাগ্রত হয়্ কারণ এটা কুরআনের অকাট্য দলিল।



ইউসুফ প্রভুর কাছে দোআ করলেন যে মহীলাদের কুমন্ত্রণায় পরে পাপ করা চেয়ে জেলে যাওয়ায় ভাল। কারণ তাতে তিনি পাপামুক্ত থাকবেন। এ আশংকাও ব্যক্ত করেছেন যে তাদের সঙ্গে থাকলে জোলেখার সঙ্গে থাকলে তিনি পাপকাজে লিপ্ত হয়ে পরবেন। একজন নবীও আশংকা করেছেন। তার মানে নারীদের প্রতি পুরুষদের আকর্ষণ জ্ন্মগত ও চিরন্তন বৈশিষ্ট শফি হুজুর ভুল বলেন নি।নারীদের ও তেমনি। যারা উপরে ভাল ভাব ধরার চেষ্টা করেন তারা ভন্ড ।যাই হোক ইউসুফ কারাগারে গেলেন । এতে আযীয় পত্নীর সম্মান রক্ষা পেল আর ইউসুফ ও পাপ থেকে নিরাপদ থাকলেন।




এতে ইউসুফের যুলায়খার প্রতি দূর্বলতায় প্রকাশ পায়। সে আল্লাহর ভয়ে কামপবৃত্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিল। বা আল্লাহ তাকে হেফাজত করেছিলেন।



বাদশাহ একটি স্বপ্ন দেখে উদ্বেগাকুল হলেন এবং রাজ্যের জ্ঞানী ব্যাখ্যাতা ও অতীন্দ্রিয়-বাদীদেরকে একত্রিত করে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করলেন।স্বপ্নটি কারো বোধগম্য হলো না। সবাই উত্তর দিল স্বপ্নটি মিশ্র ধরণের।আমরা এরূপ স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানি না।সঠিক স্বপ্ন হলে ব্যাখ্যা দিতে পারতাম।



এ ঘটনা দেখে দীর্ঘকাল পর ইউসুফ আঃ এর গুণাবলী ,স্বপ্ন ব্যাখ্যার পারদর্শীতা এবং মজলুম হয়ে কারাগারে আবদ্ধ হওয়ার কথা বর্ণনা করে অনুরোধ করলো যে,তাকে কারাগারে তার সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হোক। বাদশাহ এ সাক্ষাতের ব্যবস্থা করলেন এবং সে ইউসুফ আঃ এর কাছে উপস্থিত হলো।



আল্লাহ তায়ালা ইউসুফ আঃ কে স্বপ্ন ব্যাখ্যা শাস্ত্রের পুরোপুরি জ্ঞান দান করেছিলেন।তিনি স্বপ্নের বিবরণ শুণে বোঝে নিলেন যে,সাতটি তরতাজা গাভী ও সাতটি সবুজ শীষের অর্থ হচ্ছেপ্রচুর ফলন সম্পন্ন সাত বছর। এমনিভাবে সাতটি শীর্ণ গাভী ও সাতটি শুষ্ক শীষের অর্থ হলো দুর্ভিক্ষ। প্রথম সাতটি গাভীকে খেয়ে ফেলার অর্থ পূর্ববর্তী বছরে খাদ্যশষ্যের যে ভান্ডার সঞ্চিত থাকবে তা সবই দুর্ভিক্ষের সাত বছর নিঃশেষ হয়ে যাবে। শুধু বীজের কিছু শস্যকণা বেচে যাবে।



বাদশাহর স্বপ্ন এতটুকুই ছিল সাত বছর ভাল ফলন হবে এরপর সাতবছর দুর্ভিক্ষ হবে। তিনি আরও বাড়িয়ে বললেন যে দুর্ভিক্ষের বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে একবছর খুব বৃষ্টিপাত হবে এবং প্রচুর ফসল উৎপন্ন হবে।



বাদশাহ স্বপ্নের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে আদেশ দিলেন যে ইউসুফ আঃ কে কারাগার থেকে বাইরে নিয়ে এস। অতঃপর বাদশাহর জনৈক দূত এ বার্তা নিয়ে কারাগারে পৌছল।



ইউসুফ আঃ দূতকে বললেন ঃ তুমি বাদশাহর কাছে ফিরে গিয়ে জিজ্ঞাসা কর আপনার মতে ঐ মহিলাদের অবস্থা কিরূপ যারা হাত কেটে ফেলেছিল।বাদশাহ আমাকে এ ব্যাপারে সন্দেহ করেন কি না এবং আমাকে দোষী মনে করেন কি না?

কোরআনের আয়াতের অর্থ



৫০) বাদশাহ বললঃ ফিরে যাও তোদের প্রভুর কাছে এবং জিজ্ঞাসা কর তাকে ঃঐ মহীলাদের স্বরূপ কি যারা স্বীয় হাত কর্তন করেছিল। আমার পালনকর্তা তো সবই জানেন।



৫১)বাদশাহ মহীলাদেরকে বললেন ঃ তোমাদের হালহকিকত কি,যখন তোমরা ইউসুফকে ফুসলাচ্ছিলে ? তারা বললঃ আল্লাহ মহান,আমরা তার সম্পর্কে মন্দ কিছু জানি না। আযীয পত্নি বলল ঃ এখন সত্য প্রকাশিত হয়ে গেছে।আমি ই তাকে ফুসলেছিলাম এবং সে সত্যবাদী।



তো ইউসুফ নিষ্পাপ প্রমানিত হলেন। যুলায়খা আর তার সঙ্গীরা দোষী সাব্যস্ত হলেন।

ইউসুফ যুলেখা কাহিনী এটুকুই।



তবে দূর্বল বর্ণনায পাওযা যায় ইউসুফের প্রেমে যুলায়খা পাগালিনীর ন্যয় হয়ে গেলেন।হলেন বৃদ্ধাও।অতপর আল্লাহ তার প্রতি দয়াপরাবশ হন। তাকে তারা রূপ যৌবন ফিরিয়ে দেয়া হয়। ইউসুফ আঃ এর সঙ্গে তার বিয়েও হয় ।এমন কথাও আছে যে বিয়ের পর যুলায়খা স্রস্টা প্রেমে মজলেন। ইবাদত বন্দীগিতে মনোনিবেশের কারনে ইউসুফের কথা অনেকটা ভুলেই গেলেন। একদিন ইউসুফই তার বিবির সান্নিধ্য লাভের জন্য প্রচেষ্টা চালালে যুলায়খা তাকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ইউসুফের মতনই দৌড়ে পালাতে উদ্ধত হলেন। এবং একে একে সাতটি দরজা স্রস্টার কুদরতে খুলে যায়।তবে এটি অনেক দূর্বল বা যয়ীফ বর্ণনা। সাম্প্রতিক সময়ে কোন বইতে এটি খুজে পেলাম না। তবে এটি আমারস্পষ্ট ই মনে আছে ।যখন আমি এ ব্যাপারে প্রচুর পড়াশনা করতাম বা জানার চেষ্টা করতাম কোন এক গ্রন্থে এমনটি পেয়েছিলাম।

----------------------------সমাপ্ত------------------------------



ইউসুফ জুলেখা প্রণয় কাহিনী পার্ট-১

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

কষ্টবিলাসী বলেছেন: প্রেমকাহিনী বা প্রণয় বলা কতটা যুক্তিযুক্ত। প্রেম বলতে যা বুঝায় তা ইসলাম সমর্থন করে না। মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে। এই ক্ষেত্রে সঠিক শব্দ ব্যবহার করা উচিৎ, আমি যদিও জানি না সেই সঠিক শব্দটা কি হতে পারে।

ভাল লেগেছে লেখাটা। অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার নামে কিবা আসে যায়। ইউসুফ জুলেখা নিয়ে প্রেম প্রণয় অনেক কথায় আছে প্রচলিত তাই তাদের সম্পর্কিত কাহিনীর সত্য টুকু তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। শাহ মুহাম্মদ সগীরের অন্য তম বিখ্যাত গ্রন্থ কিন্তু ইউসুফ জোলেখা । এ নিয়ে আরো অনেকেই লিখেছেন। সেগুলো সাহিত্যিক মর্যাদা পেয়েছে।কিন্তু সত্যি জিনিসটা কি তা অনেকের অজানায় রয়ে গেছে।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

দি সুফি বলেছেন: এটাকে কোনভাবেই প্রেম বলা যায় না। এটা কামনা বা কুবাসনা!
আর ইসলাম কখনই বিবাহবহির্ভূত প্রেম-ভালোবাসাকে সমর্থন করে না।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে ধন্যবাদ। ঘটনা কিন্তু এটাই। কুবাসনা হোক। আর সুবাসনা হোক দ্যাট ডাসন্ট মেক এনি ডিফারেন্স। ওটাকে ই সরস করে মনগড়া করে হয়েগেছে বিখ্যাত ইউসুফ জোলেখা প্রেম কাহিনী।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ কি দৃঢ় ঈমান ছিল।

আর এখন আমরাতো পিছে পিছে দৌড়াই ;) ডাকলেতো দৌড়ে দৌড়ে যাই :P

নিজেদের মূল্য এবং জ্ঞানহীনতাই আমাদের পাপাচারে ধাবিত করে।

++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একটা ব্যাপার দেখেন এ ক্ষেত্রে একজন মেয়ে ফুসলিয়েছে ছেলেকে অসৎকাজে ডাকার চেষ্টা করেছে। ছেলেদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ থাকতে পারে। তাই পুরুষরা ই শুধু যৌনতার জন্য দায়ী নয়। তাহলে হাদীসে ওমনটা থাকত না যে ৭ ব্যক্তি আল্লাহর আরশের নীচে ছায়া পাবে একজন সেই যাকে যৌবন কালে কোন মহীলা কুপ্রবৃত্থির জন্য ডাকে আর যুবক তাতে নিবৃত হয় এ ই বলে যে আমি তো আল্লাহকে ভয় পাই। একা নারী বিদ্বেষী পোস্ট নয়। মূর্খরা এটা পড়া থেকে বঞ্চিত হবে।

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং!

দ্বিতীয় প্লাস।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুরা ইউসুফে দারুণ উপবোগ্য কিছু ব্যাপার আছে। ই উসুফ আ: জামা নিয়ে ব্যাপক কাহিনি। তার জামায় রক্ত লাগিয়ে ভাইরা বলল সে মরে গেছে। তার জামা পেছন থেকে টেনে জুলেখা ছিড়ে ফেলল । আবার তার বাবার চোখের অন্ধত্ব দূর হয় তার জামা চোখে লাগানোর পর। জামা দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এ খানে।

কমেন্টে ধন্যবাদ। কি আশায় বাধি খেলা ঘর বেদনার বালুচরে।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

রুপ।ই বলেছেন: কিছু বানান ভূল থাকায় পড়তে অসুবিধা হয়েছে, কিন্তু লেখাটা সুন্দর।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঠিক করে দিলাম। বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে চেক করা সুযোগ হয়নি। সরিআজকে প্লান ছিল বেশিসংখ্যক কমেন্ট করা।আফটার অল বন্ধু দিবস। অনেককে কমেন্ট করি না বলে তারা আমার উপর খ্যাপা ।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২

তাহিতি তাবাসুম বলেছেন: আমি শুনেছিলাম যুলায়খা খোদার কাছে কান্নাকাটি করেছিল এবং এরপর তাকে নাকি ১২ বছেরের বালিকাতে পরিণত করা হয়েছিল।কিন্তু সূরা ইউসুফের কোথাও এই ধরণের কিছু পাইনি। সুরা শেষ হয়েছে বাবা আর ছেলের দেখা হওয়ার মাধ্যমে যেখানে আল্লাহ্‌ অনুমতি দিয়েছিলেন ইউসুফ আঃ কে তাঁর বাবা ইয়াকুব আঃ কে সেজদা দেয়ার জন্য,যেটা ব্যতিক্রম কারণ আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কাওকে সেজদা করার অনুমতি নেই ইসলামে।

অসাধারণ সুন্দর একটা সুরা,যারা অর্থ বুঝে পড়ে না,তারা অনেক কিছুই মিস করবে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হ্যা দারুণ ।সেজদা করার ব্যাপারটা আছে ।পড়তে হেবি মজা লাগে।এত মজার পোস্ট লোকজন পড়বে না। অথচ আমি মানি ইনট্যালেকচুয়াল লোকজন রাই ব্লগার।তারা পোস্টটির মেরিট বুঝবে । অথচ বুঝে নাই।এখান থেকে শিক্ষনীয় অনেক কিছুআছে। যে গুলোআবোল তাবোল গল্প কবিতা দিবে না। আচ্ছা কোন ম্যাসেজ ছাড়া ব্লগ কেমন হয়?

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২১

লাবনী আক্তার বলেছেন: sura yusuf a ki avabei bola ace ki? Mane apni javabe bornona korecen? Ami quran n kasasul ambia poreci apnr kicu kathar sathe melate parcna. Jak, kal sura yusuf ar banglata ami purutai post dibo. Inshaallah.

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এভাবেই আছে।

তার মানে নারীদের প্রতি পুরুষদের আকর্ষণ জ্ন্মগত ও চিরন্তন বৈশিষ্ট শফি হুজুর ভুল বলেন নি।নারীদের ও তেমনি। যারা উপরে ভাল ভাব ধরার চেষ্টা করেন তারা ভন্ড ।

এটুকু আমার লেখা।

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

+++ রইল

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। + এ ও পাঠে। নিরন্তর শুভকামনা ।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০০

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ++

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ । নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পেরেছি আপনার পোস্ট থেকে, প্রিয়তে নিয়ে যাচ্ছি। প্লাস রইলো। :)

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় মণীষা কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। দারুণ একখানি পোস্ট দিয়েছেন দেখলাম। আপনার মধ্যে ব্যাপক সম্ভাবনা উকি দিচ্ছে।আপনি ব্লগের ভবিষ্যৎ জুন রেজোয়ানা অরজুপনি হতে যাচ্ছেন। শুভকামনা থাকলো ।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

সরকার আলী বলেছেন: জুলেখা হযরত ইউসুফ (আঃ)-কে গুণাহের প্রতি আহ্বান করেছিল। সে মুহূর্তে জুলেখার ইচ্ছা ছিল গুণাহ করার আর হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর অন্তরও আকৃষ্ট হয়েছিল গুণাহের প্রতি।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ তো হযরত ইউসুফ (আঃ) সম্পর্কে অভিযোগ তুলে, তাঁর দোষ ধরে থাকে। অথচ আল-কুরআন আমাদেরকে বলতে চাচ্ছে যে, গুণাহ করতে মন চাওয়া সত্ত্বেও শুধু আল্লাহতা'আলার ভয়ে, তাঁর বড়ত্বকে সামনে রেখে গুণাহটি তিনি করেননি; বরং তিনি আল্লাহতা'আলার হুকুমের সামনে মাথানত করে দিয়েছিলেন।

হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর অন্তরে যদি গুণাহ করার ইচ্ছা না জাগত, যদি গুণাহ করার যোগ্যতাই না থাকত, যদি গুণাহ করার আকাঙ্খাই না থাকত, তবে গুণাহের প্রতি জুলেখার হাজারবার ডাক আর হযরত ইউসুফ (আঃ)-এরও বেঁচে থাকার মাঝে বিশেষ কোন মহত্ব বা কৃতিত্ব থাকত না। মহত্ব তো এখানেই যে, গুণাহের প্রতি তাঁকে ডাকা হচ্ছিল, পরিবেশও ছিল মনঃপূত, অবস্থাও সম্পূর্ণ অনুকূলে, অন্তরও চাচ্ছিল; এসব কিছু বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তিনি আল্লাহতা'আলার হুকুমের সামনে মাথানত করে দিয়ে বলেছিলেন: 'আমি আল্লাহতা'আলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি'। -এটাইতো ইবাদত, যার জন্য আল্লাহতা'আলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।

১২| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:৩৫

আমি রুবেল বলেছেন: ইউসুফের কামনানিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা দিতে গিয়ে কি খোদা ঐ মেয়েগুলোকে পাপী বানিয়ে ফেললেন না?
আচ্ছা, ইউসুফ নবী কামনা থেকে মুক্তি চাচ্ছিলেন অথচ দাসত্ব থেকে মুক্তি চাচ্ছিলেননা কেন? তিনি যদি দাসত্বকে বৈধতা দিয়ে থাকেন, তাহলে শেষ নবী সেই সিস্টেমটা বাতিল করলেন কেন মানবতার দোহাই দিয়ে?
সবগুলো দাসই কি দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে সুন্দর জীবন পেয়েছিল মরার আগে? যদি না পেয়ে থাকে তাহলে তারা খোদার রহমত হতে বঞ্চিত বলা যায়, এরপর তিনি কিভাবে অসীম দয়াময় ও পরম করুণাময় থাকেন? যেসব বাচ্চা শিশুকাল হতেই দাসত্ব পেয়েছে তাদের অনেকেই ধর্ম শিক্ষা পায়নি, সেই বাচ্চারা মরার আগ পর্যন্ত বলা যায় ধর্মকর্মও করতে পারেনি, তারা বেহেশ্‌তে যাবে কি? হযরত ইউসুফকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিলেও তাকে দিয়ে কি তৎকালীন দাসপ্রথা বিলুপ্ত করিয়েছিলেন তাকে দাসত্বে যন্ত্রণা উপলব্ধি করানোর পরও? যদি না করিয়ে থাকেন, তাহলে ধর্মজ্ঞান, স্বপ্নজ্ঞান দিলেন কিন্তু ঐ লোকগুলিকে মুক্তি দেয়ার সুমতি ও ক্ষমতা দিলেন না কেন?

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যতটুকু জানি শিশুরা সবাই বেহেশতে যাবে। তারা মুসলিম হিসেবে গন্য।
সব কেনর উত্তর দেয়া সম্ভব নয়।আল্লাহ তায়ালা সব কিছু ই করতে পারেন।করেন না।কেন করেন না সেটা নিয়ে প্রশ্ন করার আমি কেউ নই।তিনি মহাপরাক্রমশালী সত্ত্বা আর দ্বীন মানার মধ্যে উভয় জাহানের সফলতা রেখেছেণ। দেশের স্বৈরাচার প্রধানন্ত্রীর জবাবদিহি করতে যেখানে দেশের সবাই অক্ষম সেখানে স্রষ্টার এগেইনষ্ট এমন প্রশ্ন করা অবান্তরই বলবো ।

১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১১

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.