নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
আক্কেল আলী ভীষণ টেনশনে। সামনে ঈদ শপিং। প্রত্যেকবার ঈদ আসার সঙ্গে সঙ্গে জিনিসপত্রে দাম আকাশে ওঠে। সেটা নাগাল পেতে গেলে হিমসিম খেতে হয়।অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে নাগাল পাওয়া গেলেও বেতন বোনাস সব শেষ হয়ে গেলে ও আসল জিনিসের নাগাল পেতে কপাল লাগে কপাল।
মোদ্দা কথা টাকা দিয়ে বাঘের দুধের সন্ধান পওয়ার কথা থাকলেও ভেজালমুক্ত জিনিস পাওয়া দুষ্কর। সবকিছুতে এখন প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে। আর ব্যাপারটা গোপন থাকলে ও একটা কথা ছিল।জেনেশুনে আমি বিষ করেছি পান এই অবস্থা। জানা কথাই ফলের মধ্যে বিষক্ত কার্বাইড দেয়া। তারপরও সেটি কেনা লাগে।
মাছ কিনবেন একই অবস্থা ওগুলোতেও ফরমালিন দেয়া। আর সেগুলো মনিটরিং হয় না ঠিকমতন। মনিটরিং এর নামে হয় প্রহসন। নিযুক্ত লোকদের পকেট পুজা হয়। তা্রা ভাল রিপোর্ট দেন।তারপর তারাও ফরমালিন যুক্ত ফল মাছ খেয়ে স্বাস্থ্যের বারটা বাজান। আক্কেল আলী নিজেই রাসায়নিক পদার্থমুক্ত ফল খাওয়ার জন্য একটা ফল বাগান করার কাজে হাত দিয়েও বেশ হতাশ । কে বা কাহারা রেগুলার বেসিসে তার বাগান থেকে ফলের চারা চুরি করে নেন।চারা কিনতে গিয়েও ঝামেলা।ভাল প্রজাতির নাম করে নিম্নমানের চারা বিক্রি নার্সারী গুলোর স্বাভাবিক ধর্ম। আম্রমল্লিকা নামের আম গাছে যে আম ধরেছে সেগুলো তেতুলের চেয়ে টক্ ।মেয়েরা শুনলে রাগ করতে পারে।ইদানিং চটপটির চাহিদা কমে গেছে!! আগে প্রেমিক প্রেমিকার কমন খাবার ছিল চটপটি আর ফুসকা। সেগুলোতে তেতুলের টক থাকাতে মেয়েরা সেগুলোর প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে ।শফি হুজুরের পবিত্র বয়ান মোবারকের পর তেতুল ফল গুলান ব্যাপক নাজুক পরিস্থিতি পার করছে। আবার এটাও হতে পারে তেতুলকে প্রতিদন্ডি ভেবে মেয়েরা ওটাকে বয়কট করেছে!
সুতরাং গাছ রূপন করে ফরমালিন মুক্ত ফল খাওয়া সুযোগ হলেও ফরমালিন যুক্ত মানুষের কারণে তার সম্ভাবনা ক্ষীণ তর হয়।
দাম দিয়ে সেমাই কিনে নিয়ে এসে পত্রিকায় দেখবেন কোন ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাইয়ে কি পরিমান ফরমালিন আছে তার বিশদ বিবরণ। ব্রান্ড দেখে নিশ্চিৎ হতে পারবেন।তবে কোনটাতেই শতকরা ২০ভাগের কম নেই।
আক্কেল আলী মেধা আকাশ সমান!তিনি ফরমালিন মুক্ত মাছ খাওয়ার জন্য নিজেদের বিলে মাছ চাষের একটা প্রজেক্ট খুলে ফেলেছিলেন প্রায়।সেই বিষয়ে মিটিং এ ব্যাপক আশার সঞ্চার হওয়ার পর তা ফুটো বেলুনের মত চুপসে যেতে সময় লাগে না। মাছের পোনা ছাড়লে কি হবে। জেলেরা সেগুলো মেরে সাফ করে দিবে। ফলে পুরো টাকাই জলে যাবে।জেলেদের থামানোর কোন উপায নেই। তাদের বাধা দেয়ার একটাই রাস্তা আর সেটি হলো তাদের ভাল অংকের টাকা দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ।হুমকি ধমকি তারা থোরাই কেয়ার করেন।তারা নিজেরাই সমাজের প্রতিষ্ঠিত হুমকি দাতা। বাচ্চা মাছ ধরা নিষেধ এই সব নিয়ম তারা মানেন না। আইন আদালত তারা পরওয়া করেন না। মাছ আছে যেখানে জেলে যাবে সেখানে। যদিও সরকারী আইনে সব নিষেধ।তাই আক্কেল আলী পিছপা হন।তবে একটা ব্যাপার ঠিকই মাথায় ঘুরপাক খায় এক উত্তর চকে যদি হাজার বিশেক টাকার মাছের ডিম ফোটানো যায় লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ উৎপাদন সম্ভব।গ্রাম তো মাছে স্বয়ংসম্পূ্র্ণ হবেই তা রপ্তানীও করতে পারবে। সম্ভাবণা থাকলেও অসম্ভব সব কিছু কিছু সংখ্যক ফরমালিন যুক্ত লোকের কারণে।সারা দেশে এ ই কথা প্রয়োগ করলে ব্যাপার ক্রিস্টাল ক্লিয়ার শুধুমাত্র সঠিক উদ্যোগ ও মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হলেই দেশকে সোনার দেশে পরিণত করা কোন ব্যাপারই নয়।
আক্কেল আলী আগে শোল মাছ খেতেন না। এখন খান কারন তাজা মাছ তাতে ফরমালিন নেই। টাকি মাছ। তাজা বাইম । ছোট মাছ কৈ,শিং মাগুর টেংরা ইত্যাদি খান। যদিও শিংমাছ কৈ মাছ ইত্যদি এখন দেশী গুলো পাওয়া যায় না।সব চাষের হাইব্রিড ।সেখানেও ভেজালের ঘনঘটা। আর নদী ডোবা জলাশয়ের পানি গুলোতে বিষাক্ত বজ্র বিশেষ করে কল কারখানার উদ্বৃত্ত কেমিকাল বজ্র পদার্থ মাছগুলোকে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকি করে রেখেছে। পাঙ্গাস মাছ তাজা হলেও খান না। ওগুলো নাকি নর্দমায় চাষ করা হয়। তবে মাথায় একটা হিসেব ঠিকই তার ঘুরঘুর করে।আর তা হলো কয়েক হাজার টাকা হলেই মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা।
তবে জমানা পড়েছে চোর বাটপার আর ভন্ড লোকের। সৎ ব্যবসা তারা বোঝেনা। তার এক চাচাত ভাইতো বলেই বসল শেষমেষ জেলে পেশা ।মানইজ্জত কিছু থাকবে?
কি আমার ইজ্জত পয়সা দিয়ে বিষ কিনবে তারপরও ইজ্জত বিকিয়ে দিতে রাজি নয়।প্রাণের চেয়েও মান বড় আমি বোঝাব শাহেনশাহে।একটা কথা আছে না।
মৎস প্রকল্পের মধ্যেই হারান মামা তার কাহিনী শুরু করে দেন।আক্কেল আলীদের বিশাল পেরাই বিল নিয়ে।সেখানে নবুদ্দি জেলে মাছ ধরত।আক্কেল আলীর দাদার কাছ থেকে ও বর্গা নিত।তার কাছ থেকে কিভাবে একজন মাছ চুরি করত তার প্রসিদ্ধ কাহিনি। প্রসিদ্ধ চোর পেয়ারআলী। কালো কুচ কুচে গায়ের রং। ছয়ফুট লম্বা।সে শেষ রাতে গায়ে কালি মেখে তেল মেখে পেরাই বিলে গিয়ে হাজির। তখন সবাই ঘুমে।নবুদ্দি জেলে ও ঘুমে ঘুমে মাছ পাহাড়ায়। পেয়ার আলী প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় একটা গামছা কাচা দেয়া।বিশেষ ধরণের কাছ বাধা। এ ধরণের বাধায় পুরো কোমরটা দেখা যায় শুধু লজ্জাস্থান বাদে।
তিনি কিভাবে গিয়ে নবুদ্দি জেলের পিছনে গিয়ে তার নাঙ্গা পুচ্ছ দেশে জিভ দিয়ে চেটে দিত ।ঘুটঘুটে অন্ধকারে নবুদ্দি কাউকে খুজে না পেয়ে পিচাশ পেত্নী মনে করে ওরে বাবারে মারে বলে চিৎকার দিয়ে বিল ছেড়ে চলে আসত।আর এই ফাকে নৌকায় জিয়ে রাখা বড় বড় শোল বোয়াল কাতলা চুরি করে নিয়ে আসত।তার সুঅভিনিত সরস বর্ণণা । হারান মামার সরস বর্ণনা এতই প্রনবন্ত যে আক্কেল আলী নিজে পুচ্ছ দেশে পেয়ার আলীর ভোজা জিভ এর ছোয়া পেয়ে শিহরিত হয়ে ওঠে ।মাছ চাষ করলেই মাছু গুলো চুরি হওয়ার আশংকা!
আক্কেলআলী খেয়াল করেছে।গ্রামের লোকজন জমির দালালি ব্যবসায় মজেছে।পুরোটা গ্রামে বেশ কয়েকটা কেরাম বোর্ড সেট করা আছে। সব যুবক বৃদ্ধ বিভিন্ন বোর্ডে কেরাম খেলে বেড়ায় ।মুখে হাত্তি ঘোড়া মারে আর কোন কাজে কেউ নাই।বেশ কয়েকটা দোকান। সেখানে রঙিন টিভি। ডিশ লাইন আছে। মিনি হলের মতন শেড দেয়া সেখানে সব লোক দল বেধে থাকে।
হিন্দিু মুভি হিন্দি সিরিয়াল দেখে কলকাতার বাংলা চ্যানেল দেখে আর কাজ করার সময় তাদের কাউকে পওয়া যাবে না একজনও নয়।আফটার অল ভন্ডদের জমানা চলছে।তাই ইনকাম বলতে জমির দালালি। আর সেটাকে কেন্দ্র করে কোন্দল ও মাথা চারা দিয়ে ওঠেছে ব্যাপকভাবে। থানা পুলিশ নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার। বাগান করতে গিয়ে কোন লেবার না পেয়ে আক্কেল আলী একা তা করতে গিয়ে জান ত্রাহি ত্রহি অবস্থা। অথচ গাছের চারা চুরি করার লোকের অভাব নেই।আক্কেলআলীর আফসোস দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে।এ ই করে ই গ্রামের রাস্তায় ব্যাপক গাড়ির সমারোহ। বালিথা গ্রামের বাতাসে নাকি কাড়ি কাড়ি টাকা ওড়ে।
তবে আক্কেল আলী নিশ্চিৎ টাকা দিয়ে ভেজালমুক্ত জিনিস খাওয়া যাবে না। সেটা খেতে হলে নিজে কৃষি কাজ করা লাগবে। চাষবাস করে খেলেই মুদু মাত্র ফ্রেশ জিনিস পাওয়া যাবে। ওটা করতে গেলে আবার বংশের ইজ্জত হ্যাম্পার হয়।গ্রামের আত্নীয় স্বজন তাদের মানইজ্জত থাকে না। তবে সব্জি বাগান থেকে সব্জি নিয়ে খেয়ে ফেলতে তাদের জুড়ি মেলা ভার তাদের ইজ্জতের তাতে কিছু যায় আসে না।
আসলে সমস্যাগুলো দারুণ চেইনে একটার সঙ্গে একটা জড়িত একবার বাবার সঙ্গে আক্কেল আলী গেছেন কাচা বাজার করতে । ঈদের কাচা বাজার এক লোক কাচা বাজারে গোলআলু ভর্তি থলেতে পা লাগিয়ে ব্যথায় কাকিয়ে ওঠে।আক্কেল আলীর অপরাধ আর বিস্ময়বোধ এক সঙ্গে কাজ করে।ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যাওয়া ঘটনা। সে তো প্রতরণা ছাড়া আর কিছু না। লোকটির দিকে মাথা ঝুকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে গেলে পরে খেয়াল করে তার পকেটের মোবাইল নেই।তার মানে ব্যাটা মোবইল চোর!
অবশ্যএবার ঈদে আক্কেল আলীর কিছু হারায় নি ।তার বাবার মোবাইল হারিয়েছে। খুব সাবধানে বাজারে যাওয়া লাগবে । ঈদের আগে চুরি ছিনতাই বেড়ে যায়। বেড়ে যায় মিল্কভিটা দুধের দাম।এক লিটার মুধের দাম হয়ে যায় ১০০টাকা। তারপরও পাওয়া যায়না। গাড়ী ভাড়া বাড়ে। জিনিস পত্র ও সব আকাশ ছোয়া দাম।তবে মান খানেক আগে বেতনের সব টাকা পকেট মার হওয়াতে আক্কেল আলীএখন তফিলে টাকা রাখে আফটার তফিল ব্যবহার সুন্নত ।আর সুন্নতে হেফাজত। পকেমার পকেট মানিব্যাগ সব মারলেও ওটা মারতে পারবে না। তবে ছিনতাই কারীর কবলে পড়লে ভিন্ন কথা। সেটা এড়াতে দিনের বেলা সব কাজ কম্প্লিট রাতের বেলা নো শপিং নো বাইরে যাওয়িং।এটা ঢাকার শহর অনেক খুনিও এখানে রিকশাওয়ালার বেশে। ভাব মারতে গেলে জানের আশংকা ।
তাই ট্রাকওয়ালা থেকে রিকশাওয়ালা সবাকে খুব সতর্ক ভাবে সামলাতে হয়।আক্কেল আলীর ব্যাপক ভয় সে বাদে পৃথিবীর সবাই ব্যাপক ক্ষমতাবান। তাদের ক্ষমতার তাজাল্লিতে কোন ঠাসা আক্কেল আলী।
কত আর সতর্ক থাকা যায়। দেশি মুরগী কিনতে গেলে পাকিস্তানী কক মুরগী ধরিয়ে দিবে। ল্যাংড়া আম বলে লুলা আম ধরিয়ে দিবে। চালের ভিতরে পাথর ঢুকিয়ে দেবে। আর ফরমালিন তো আছেই। আর এই ফরমালিনযুক্ত ফল খাবার খেয়ে সবাই ফরমালিন ফিগার অর্জন করেছে। ফরমালিন ঢ্যাপসা ফিগারের মানুষ দিয়ে ঢাকা ছেয়ে গেছে।বাচ্চারা সব ব্রয়লার মুরগীর মতন। সবার লিভার হার্ট বোধ করি ফরমালিনাইজড হয়ে সংরক্ষিত।
ঈদ মানে খুশি। ঈদের খূশিতে সব চেয়ে খুশি ছিনতাই কারীরা। পকেট মারেরা তারা গাড়ীতে শপিং মলে ওত পেতে থাকবেন।তাদের দৃষ্টি এড়াতে চাইলে আপনাকে ফকিরের বেশে রাস্তায় বেড় হতে হবে। আগের দিনে রাজা বাদশাহরা ফকির বেশে রাজ্য ঘুরে বেড়াতেন।তার আমাদের জন্য অনুস্মরনীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন!
অবশ্য এখনকার রাজারা তা করতে পারবেন নাওটা করতে গেলে পাবলিকের কাছে ধরা খাওয়া মাস্ট।দেশের মানুষ এখন আমেরিকার রাজাকেও চিনেন।খ্যাপা পাবলিকের হাতে পড়লে আবার ভিটামিন খাওয়ার সুযোগ আছে। ভিটামিন থাকে মাইরের মধ্যে।
ঈদের বাজার করা নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তা। দেশের যে অবস্হা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ,কাঁচাবাজার, রাস্তা ঘাট সব জায়গায় অনিয়ম আর দুই নম্বরী দেখে আক্কেল আলীর আক্কেল গুরুম অবস্থা।তবে একটা জিনিসে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন আর সমৃদ্ধি লক্ষ্য করে আক্কেল আলীর মনে ব্যাপক শান্তি। সেটা হলো বিলবোর্ডের উন্নয়ন। বিল বোর্ডে কত সুন্দর করে সব উন্নয়নের কথা লেখা আছে।সেগুলো পড়লে যে কারো মন ভাল হয়ে যাবে। মনে হবে স্বপ্নের সরকার আর স্বপ্নের পুরীতে তাদের বাস। একটা কথা মাথার মধ্যে ব্যাপক ঘুর পাক খায়। সব উন্নয়ন কি বিলবোর্ডের মধ্যে ই সীমাবদ্ধ থাকে কিনা কে জানে।
ঈদ। একদিনের আনন্দ। সেটাকে কেন্দ্র করে বাসে লঞ্চে ফেরিতে ট্রেনে যে নিরানন্দ ময় অবস্থার সৃষ্টি হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।ঠেলাঠেলি ধস্তধস্তি,ছিনতাই পকেট মার,উচ্চমূল্যে টিকেট,ব্যাপক যানজট,জিনিস পত্রের লাগামহীন দাম বাপরে বাপ।আসলে ত্যাগে ই যে সুখ; সেটা প্রমানের জন্য এত ত্যাগ তিতিক্ষা।
বিয়ের বাজারেও নাকি ভেজাল আছে। গোপনে বিয়ে করা অনেক মেয়ে বিয়ের রেসে থাকে। সেগুলো কপালে জুটলে জানে পানি থাকবে নানে।দেখা গেল বাসর ঘরে বউয়ের সঙ্গে তার প্রেমিক ফ্রি। হায়রে ভেজাল আক্কেল আলীর মত ভেজালমুক্ত লোক কি দুনিয়াতে একটাও নাই।
আক্কেল আলী হতাশ হয়ে হাটছেন রাস্তার পাশে ফুটপথেএকজন নঙ্গু ভাবা গভীর ঘুমে। পথচারীরা তার নাঙ্গা কীর্তি দেখছে। কারো বেজায়আগ্রহ। কারো চোখে ঘৃণা।কারো চোখে ভয়।দ্রুত সেটিকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।একজন পথিক মাথায় সাদা টুপি।মাথা নিচু করে হাটছেন। জিকির করছেন নিশ্বব্দে। পকেট থেকে রুমাল বের করে নঙ্গু বাবার লজ্জাস্থান ঢেকে চলে গেলেন সামনের দিকে।আক্কেল আলী বিমুগ্ধ নয়নে লোকটিকে দেখছেন।পৃথিবীর সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যাক্তিটি দেখলেন বোধ হয়।সাদামাটা পোষাকে সাদামাটা চেহারার লোক। হৃদয়ের ঐশ্বরযে তিনি সবচেয়ে ধনী।আক্কেল আলীর চোখে স্বপ্ন ।একদিন এমন লোকরা হয়ত দেশটাকে ভেজাল মুক্ত করবেন। তারপর ভাবতে থাকেন এদেশে এখন ও ভাল মানুষ আছে।মনের মানুষটার কথা খুব মনে পরছে। ঈদে ওর সাথে বেড়ানো খুব ইচ্ছা আক্কেল আলীর।
-----------------------------------
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ কাটুক আনন্দে। এইআনন্দ আরো নতুন নতুন আনন্দ নিয়ে আসুক সবার জীবনে। সবার সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি। ঈদ মোবারক।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ । ঈদ মোবারক
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ঈদ শুভেচ্ছা সেলিম ভাই ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও ঈদ শুভেচ্ছা মামুন ভাই
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩
সায়েম মুন বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা কবি!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রিয় কবি আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা ।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন:
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১১
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: ঈদ মোবারক
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
শফি হুজুরের পবিত্র বয়ান মোবারকের পর তেতুল ফল গুলান ব্যাপক নাজুক পরিস্থিতি পার করছে। আবার এটাও হতে পারে তেতুলকে প্রতিদন্ডি ভেবে মেয়েরা ওটাকে বয়কট করেছে!
খুব ভালো বলেছেন
শেষ প্যারাটা দারুণ তাৎপর্যময়।
একজন পথিক মাথায় সাদা টুপি। মাথা নিচু করে হাঁটছেন। জিকির করছেন নিঃশব্দে। পকেট থেকে রুমাল বের করে নঙ্গু বাবার লজ্জাস্থান ঢেকে চলে গেলেন সামনের দিকে। আক্কেল আলী বিমুগ্ধ নয়নে লোকটিকে দেখছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যাক্তিটি দেখলেন বোধ হয়। সাদামাটা পোশাকে সাদামাটা চেহারার লোক। হৃদয়ের ঐশ্বর্যে তিনি সবচেয়ে ধনী। আক্কেল আলীর চোখে স্বপ্ন। একদিন এমন লোকেরা হয়ত দেশটাকে ভেজালমুক্ত করবেন। তারপর ভাবতে থাকেন এদেশে এখনও ভাল মানুষ আছেন।
রম্য গল্প তো, আরেকটু খাটো হলে ভালো হতো।
সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে সেলিম ভাই।
ঈদের শুভেচ্ছা থাকলো।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই অনেক ধন্যবাদ । চমৎকার কমেন্ট ও পাঠে্ । লিখাটি দীর্ঘ হয়েছে। সমস্য জর্জরিত দেশের সমস্যা বলতে গেলে পোস্ট দীর্ঘ হতে বাধ্য। সাদা মনের মানুষ ছাড়া এদেশের উন্নয়ন কিভাবে হবে।
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল লেগেছে, তাই প্রথম প্লাস আমি দিয়েছি।
শুভেচ্ছা।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্ঙ্কু কমেন্টে ও প্রথম প্লাসে অনেক ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্র ক্সি দিয়ে চালাচ্ছি তাই সবার কমেন্টের উত্তর দেয়া গেল না। সুযোগমত সবার জবাব দেয় হবে। কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ।আর শুভকামনা থাকলো ।
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২১
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাইজান ++++
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ও ইদের শুভেচ্ছা।
১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী। নিরন্তর শুভকামনা ও ঈদ শুভেচ্ছা।
১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৯
গ্রীনলাভার বলেছেন: ঈদ মোবারক।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও ঈদ মোবারক।
১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৩৪
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: ঈদ মোবারক সেলিম ভাই ভালো থাকবেন।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও ঈদ মোবারক । ভাল থাকবেন।
১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সবাইকে ঈদেোবারক ।কান্ডারীকে ধন্যবাদ দারুণ ভাবে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর জন্য। প্রক্সি ইউজ করার কারণে অনেক প্রিয় ব্লগারকে স্পেশাল ঈদ শুভেচ্ছা পাঠাতে পারিনি ।
১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ঈমো মানে ঈদ মোবারক
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও ইমু । ঈদ বানান এখন নাকি ইদ হয়েছে।
১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
টুম্পা মনি বলেছেন: ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ঈদ মোবারক।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: টুম্পা মনি । আপনাকেও ঈদ মোবারক।
১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঈদ মোবারক।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লিটন ভাই আপনাকে ও ঈদ মোবারক।
১৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
সোহানী বলেছেন: বরাবরের মতই ভালো লিখেছেন.......
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রশংসায় ও ভাললাগায়। নিরন্তর শুভকামনা জানবেন।
১৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
কিছু লাইন বেশ ফানি হৈসে, মজা পাইসি ||
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নির্মম সত্য একটু ফান করে বলার চেষ্ট করেছি। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন ।
১৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৭
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: ভাল লিখেছেন... পোস্টে ভালো লাগা
ঈদ মোবারক সেলিম ভাই
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকে ও ঈদ শুভেচ্ছা। প্রশংসায় ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর গল্পকথা
পাঠকের ভাললাগা থাকেল
সুদ্ধ ঈদ মোবারক
সব হৃদয়ে জেগে রইল ।।