নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা ও তার ছায়া (ছোট গল্প)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

মন মালিন্য হয়েছে।সুমিত আর তৃণার। সুমিতকে কষ্ট দেয়ার একটা উপায় তার জানা আছে।তাহলে পুতুলকে মিথ্যেমিথ্যি ভুগন্তি দেয়া।আর সে ওটা করে নিজেও অনেক কষ্ট পায় তৃণা।তারপরও করে।তৃণার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরঘুর করে সেটা হলো সুমিত কি তাকে বেশি ভালবাসে নাকি পুতুলকে।অবশ্য তারও মাঝে মাঝে মনে হয় সেও সুমিতকে নয় পুতুলকেই বেশি ভালবাসে।পুতুল তার খেলার পুতুল।একাকিত্বে তার একমাত্র সঙ্গী।ওকে বুকে জড়িয়ে পৃথিবীর সব দুঃখ সে ভুলে যায়।সুমিতের দেয়া অবজ্ঞা গুলিও।তাছাড়া শাশুড়ীর দেয়া কষ্টগুলোর মধ্যে সান্তনা বলতে এই পুতুল।পুতুলমনিকে বুকে নিয়ে সে ঘুম পাড়ানি গান গায়।গল্প শুনায়।রজকন্যা আর রাজকুমারের গল্প।তার রাজকুমার তো সুমিত।সুমিত তাকে একসময় অনেক ভালবাসত।তৃণার জন্য সে সব করতে পারতো সব।এখন মনে হয় পুতুলকে কাছে পেলে আর কিছুই মনে থাকে না সুমিতের।অফিস থেকে এসে আগে পুতুলকে কোলে তুলে নিবে।তারপর সারা শরীর খুটিয়ে খুটিয়ে দেখবে।একটু এদিক সেদিক হলে মুখে বিষন্নতার ছুঁয়া গায়ে একটু নখের আচর বা হাতে সামন্য কোন কাটাছেড়ার দাগ দেখলে আর রক্ষা নেই।তৃণাকে একগাদা কথা শুনিয়ে পুতুলকে কোলে নিয়ে বাসার ছাদে যাবে।ছাঁদে গিয়ে পুতুলকে চাঁদ, জ্যোৎস্না দেখাবে।তারা দেখাবে তারপর রাত দশটায় পুতুলকে নিজে ফিডার খাইয়ে বুকে নিয়ে গল্প শুনিয়ে ঘুমিয়ে পড়বে।পুতুল ছোট্ট হলেও সব বুঝে।সেই রকম সময়ে বাবার কাছেই বেশি আনন্দে থাকে।মার কথা সে ভুলেই যায়।সেদিন আর তৃণার খোজটি পর্যন্ত নিবে না।অফিসে থেকে সুমিত বাসায় ফিরলে পুতুল দৌড়ে বাবার কাছে যাবে।গিয়ে বাবার কাছে হাত দেখিয়ে বলবে বাবা ব্যথা।এই থানে।(ও খ কে বেশীর ভাগ সময় থ বলে)।ব্যথা না পেলেও ওমনটি করবে।সুমিত অফিস থেকে আসার সময় হলে তৃণার সঙ্গে পুতুল ও অপেক্ষা করে ।বাসায় ফিরে সুমিত যদি কখনও ভুল করে তৃণাকে জড়িয়ে ধরে থাকে পুতুল আহলাদী গলায় বলতে থাকে আম্মু ধরে না ।আম্মু ওকে ধরে না।বাবা ব্যথা পায়।আম্মু দাও।(যাও)।সলো।আম্মু ওথানে যাও।বাবা বাবা আমাকে ধল।সুমিত তৃণা আর পুতুলকে জড়িয়ে ধরে থাকে।মেয়ে সেটিও করতে দেবেনা।সুমিত তৃণা দুজনেই হাসে।পুতুলের গাল টিপে দেয়।মুখে গালে চুমো খায়।সুমিতও তৃণাকে বলে।তৃণা সলো ।ওথানে যাও।মেয়ের চোখ ফাকি দিয়ে তৃণার ঠোটে গভীর চুম্বন একে দেয়।পুতুল ছাড়া অন্য কারো দিকে মনযোগ দেয়া যাবে না। তাহলে পুতুল হাত দিয়ে ধরে ডেকে মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করবে।ব্যর্থ হলে কান্না জুড়ে দিবে।



ছুটির দিনে বিকেলে যখন তৃণা ঘরের কাজে ব্যস্ত তখন পুতুলকে পুতুলের মত করে সাজিয়ে বাবা মেয়ে একসঙ্গে বেড়াতে বেড় হওয়া নিত্য রুটিন।অফিস থেকে সুমিত মেয়ের জন্য সবসময়ই কিছু না কিছু কিনে আনবেই।কখনো ভুলে গেলে অফিস পোষাক পরিবর্তন না করেই পুতুলের জন্য ক্যান্ডিবার পেস্টি চকলেট ইত্যাদি আনতে ছুটে যেত সুমিত আর মেয়ের একটু গা গরম হলে তো সেদিন সবকাজ, অফিস বন্ধ করে মেয়ের সেবায় নিবেদিত সুমিত।



সুমিতের উপর তৃণার প্রচন্ড অভিমান হলে।সুমিতের সামনে পুতুলকে ধমক দেয়।গালের মধ্যে চড় দেয়।শরীরে ঝাকুনি দেয় ।সুমিত প্রচন্ড কষ্টে চিলের মত ছুঁ মেরে নিজের মেয়েকে কোলে তুলে নেয়।তারপর পুতুল ঘুমিয়ে পড়লে তৃণাকে আদরে সোহাগে কাছে টেনে নেয়।আর তৃণাকে বুঝাতে থাকে বাচ্চাদের মারতে হয় না।তাহলে অনেক ক্ষতি হবে। মানসিকভাবে অনেক অসুস্থ হয়ে পরবে।ব্লা ব্লা ব্লা।তৃণাও মনে মনে হাসে ভাবে ওমনটা না করলে এমন গভীর ভালবাসা সুমিতের কাছ থেকে সে পায় না আজকাল।দিনের বেলায় সে পুতুলকে অনেক আদর করে।এভাবে আদরে সোহাগে পুতুলের বড় হয়ে ওঠা।

--------------------------------

মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই সুমিতের।ও বড় হচ্ছে।ওকে একসময় বিয়ে দিতে হবে।বিয়ে হয়ে গেলে ওর আলাদা একটা সংসার হবে।সেই সময় সে কি পারবে মেয়েকে ছাড়া একা থাকতে।সেই তৃণার সঙ্গে বনিবনা হয়নি সুমিতের।সুমিতকে ছেড়ে চলে গেছে সে।আর কিছুই সে জানে না।পুতুল বাবার কাছেই থেকে গেছে।।তৃণা ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান।তার চাহিদা গুলি মেটাতে হিমসিম খাচ্ছিল সুমিত।চেষ্টার কমতি ছিলনা।ওর পছন্দের ড্রেসগুলি কেনার সামর্থ্য ছিল না সুমিতের।ছিল না তার সোসাইটি মেনটেইন করার সামর্থ্য।তারপরও সুমিতকে ছাড়ে নি তৃণা।এখন সুমিত বিত্তবান।অর্থ যশ সবই আছে।ড: সুমিতকে সবাই চিনে। বিশ্বের অনেক বিখ্যাত লোকের সঙ্গে তার সখ্যতা পরিচিতি।একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা ধর্মী জার্নালের এডিটর তিনি। এই যে এত প্রতিষ্ঠা তার মধ্যে ব্যর্থতা বলতে একমাত্র তৃণা।তৃণার অনুপস্থিতি। তৃণার চলে যাওয়া।সাত বছরের অনুপস্থিতি।



চলে গিয়ে কি লাভ হয়েছে তার সেই জানে।শুধুই একাকিত্ব টেনে এনেছে জীবনে।তৃণা প্রচন্ড অভিমানি ।তৃণার মন জয় করতে কি না করেছে সুমিত।তৃণার পিছনে ছিল যুবকদের লম্বা লাইন।সবাইকে বাদ দিয়ে তৃণা সুমিতকে বেছে নিয়েছিল জীবন সঙ্গী হিসেবে। আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল হিসেবে।সুমিতের প্রতি তৃণার বিশ্বাস জন্মে ছিল।সুমিত তৃণার বিশ্বাস অর্জন করেছিল ।ভালবাসাও। তৃণা জানত সুমিত কোন সময় অসত্য বলতো না।ভাল হোক মন্দ হোক সে তৃণাকে বলতো।তৃণা কৃত্রিম রাগ দেখালেও সুমিতের প্রতি তার ভালবাসা বেড়ে যেত।সে বুঝতো সুমিতের সঙ্গে এক জীবন পার করা যায় অনায়াসে।তৃণা এটাও নিশ্চিত হয়েছিল সে সুমিতকে ছেড়ে চলে গেলেও সুমিত কখনোই তাকে ছেড়ে চলে যাবেনা।তৃণার রাগ বিরক্তির বিনিময়ে সুমিত ভালবাসাই দিত।তৃণা ছিল কিছুটা নাক উচু স্বভাবের শুধু একটা ব্যাপারে।তার হাজবেন্ড ব্যাক্তিটি হতে হবে সবার সেরা।মেধায় সততায় চরিত্রে যোগ্যতায়।সুমিতের চরিত্র নিয়েও একটা পর্যায়ে ব্যাপক কথা উঠেছিল।কিন্তু সুমিতকেই ভরসা করেছিল তৃণা।তৃণার বাবা বেঁচে নেই।সুমিতের মধ্যে তৃণা তার বাবার ছায়া দেখতে পেয়েছিল।সুমিত তার বন্ধু প্রেমাস্পদ স্বামী বয়সে খুব কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও সে ছিল তার পৃথিবী।তার অভিমানের একমাত্র আশ্রয়।সবসময় বন্ধুসুলভ আচরণ আর প্রেমের মাখামাখি থাকলেও তাকে সে আকাশই মানত।সুমিতের ধৈর্যশীলতা প্রবাদ প্রতীম এটাই তৃণার দৃষ্টিতে সুমিতের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা।যখন পুতুলের জন্ম হলো।পুতুলকে নিয়ে সুমিতের আবেগ উৎকন্ঠা আশংকা ভালবাসা স্নেহ দেখে তৃণা তার বাবার ছায়াই খুজে পেত সুমিতের মধ্যে।তৃণার বাবাও হয়তো তেমনটি আদর করতো। ছোট বেলায় তৃণার বাবা রোড একসিডেন্টে মারা যায়।তা্ই সুমিত আর তৃণার বাবা মেয়ের সম্পর্কে তৃণার উপরও স্মৃতিকাতরতা ভর করতো বাবাহীনতা অনুভূতিও প্রবল ভাবে নাড়া দিত।



-----------------------------------------------------------

সব ঠিক ঠাক মতন চলছিল।একটি মেয়ের উপস্থিতি তৃণা মেনে নিতে পারে নি।যদিও সুমিত বলতো মেয়েটিকে সে পিতার মত স্নেহ করে অন্য কিছু নয়।তারপরও মেয়েটির প্রতি সুমিতের বেশী মাত্রার আসক্তিকে মেনে নিতে পারেনি তৃণা।মেয়েটির বিশাল একটা দেনা শোধ করে দিয়ে সুমিত ব্যাপক আর্থিক অনটনে পড়ে।তার এটা মহত্ব হলেও প্রতিবেশিরা ব্যাপারটা খুব খারাপভাবে নিয়েছে।বিশেষ করে মানুষের বলাবলি চরমে পৌছেছিল।সবার মুখে মুখে ভদ্রবেশি সো কল্ড সজ্জন ব্যাক্তি সুমিত আর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া রুমকির পরকীয়া প্রেম।সঙ্গে আর্থিক অনটন। অসহ্য।তার চেয়ে একা থাকা ঢের ভাল।



সেই থেকে তৃণার একা চলা।দূরে থেকে তৃণার কষ্টই বেড়েছে।সুমিত পুতুল ওরা কিভাবে আছে কি করছে।এসব ভাবা।সঙ্গে কিছু লোলুপ পুরুষ আর সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ব্যাপারটিকে অসহনীয় মনে হতে থাকে।তাই চলে যায় তৃণা।গেলে কি হবে।সুমিতের প্রতি তার ভালবাসা শ্রদ্ধা বাড়তেই থাকে ।মানুষটি তো একাই থাকছে।রুমকির সঙ্গে অবৈধ কিছু থাকলে নিশ্চিয় এতদিনে বিয়ে করে ফেলতো তাতো করে নি। মানসিক দৈন্যে ভরা শত সহস্র পরুষের ভীড়ে সুমিতকে তার ব্যতিক্রম মনে হয়।সুমিত আসলেই অন্য সবার থেকে আলাদা।হাজার মানুষের ভীড়েও সুমিতকে চিনে নিতে একটুও সময় লাগবে না তৃণার।



-----------------------------------------------------

সামনে কুরবানীর ঈদ।ঈদে পুতুল লাল রঙের গরু কুরবানী দেয়ার জন্য বায়না ধরেছে।সুমিতও তার আবদার রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। পুতুল, কুরবানীর ব্যাপারটার একটা মহত্ব আছে।বলতে থাকে সুমিত তার মেয়েকে। এক পরিবারের স্বামী স্ত্রী আর সন্তানের কুরবানীর মধ্যে থেকেই কুরবানীর প্রচলন।ইবরাহীম আঃ তার পুত্র ইসমাইল আঃ আর বিবি হাজেরা।আল্লাহর আদেশে বিবি হাজেরাকে শিশু পুত্র ইসমাইল সহ বনবাসে দিয়ে আসলেন ইবরাহীম আঃ।আবার যখন ইসমাইল আঃ আর বিবি হাজেরাকে ফিরে পেলেন এবার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কুরবানী করার আদেশ দিলেন আল্লাহ পাক।ইবরাহীম আঃ অনেক কিছুই কুরবানী দিলেন কিন্তু স্রষ্টা সন্তুষ্ট হয়নি।পরে তিনি যখন বুঝতে পরলেন ইসমাইলই তার সবচেয়ে প্রিয়। আর তাকেই কুরবানী দিতে হবে।তিনি প্রস্তুত হয়ে গেলেন। প্রস্তুত হয়ে গেলেন বিবি হাজেরা।আর প্রস্তুত বালক ইসমাইল।শয়তানের মিথ্যা প্ররোচণার ফাদে না পড়ে কুরবানীর মহীমায় উদ্ভাসিত হলেন ইবরাহীম।ইবরাহীম স্রস্টার পরীক্ষায় পাশ করলেন।পুরো পরিবারের ত্যাগে স্রস্টা খুশি হলেন। সবাইকে খুশি করার একটা দিন দেওয়া হলো । সেটিই হলো ঈদ-উল-আযহা ।তাকে স্রষ্টা খলিলুল্লাহ করলেন।আর সারা মুসলমান জাতির পিতা হিসেবে তিনিই সম্মান লাভ করলেন।শুধু মাত্র কুরবানীর বদৌলতে ।



কুরবানী দিতে হয় সুন্দর কোন গৃহপালিত পশু।গরু হলে তার দুই বছর বয়স পূর্ণ হওয়া লাগবে। শরীরে কোন খুত থাকা চলবে না। সবচেয়ে ভাল হয় বেশ কয়েকদিন পশুটির পরিচর্যা করে তারপর জবাই দেয়া। আমরাতো কিনেই জবাই দিয়ে ফেলি।আর গরুর চামড়া হল দরিদ্র মানুষের হক।



গল্প শুনে পুতুল দাবী করে এবারের কুরবানী অবশ্যই বাবা মেয়ে আর মা তিনজন মিলেই দিবে।দিতে হবে ব্যাস।পুরো পরিবারের কুরবানী হতে হবে।ছোট্ট পুতুল বড় হয়েছে।যে ছোট্ট বেলায় বলতো আম্মু বাবাকে ধলে না ব্যাথা পায়।সেই পতুল আজ সুমিত আর তৃণার ভেঙে যাওয়া সেতুন্ধন জোড়া লাগাতে চায়।পুতুল উদ্যোগ নেয় মাকে খুঁজে বেড় করার।সুমিতও মনে মনে দারুণ অভাব বোধ করছিল তৃণার।তৃণার অবস্থা আরো বেগতিক।তৃণা প্রায়ই ভাবতো সুমিত ছাড়া পুতুল ছাড়া সে আর একদিনও চলতে পারবে না।



আজ কুরবানীর দিন।লাল রঙের একটা গরু কেনা হয়েছে।বিশাল আকৃতির গরু।সেই গরুকে আল্লাহর নামে কুরবানী করে আসলে মনের সকল কালিমা, পাপ, রিপু, অসততা, অমিল কুরবানী করে দেয়া হবে।নতুন ভাবে পথ চলা শুরু করবে আবার সুমিত তৃণা আর পুতুল।প্রতিটি পদক্ষেপে একসঙ্গে থাকবেন তারা।তৃণা আর কখনোই ছেড়ে যাবে না সুমিতকে।সুমিত শুধু মাত্র তার ।এবং তার একমাত্র সন্তান পুতুলের বাবা।পুতুলের মঙ্গলের জন্য।তৃণার ভালবাসার জন্য নিজের দাম্ভিকতা সবকিছুই আজ কুরবান হবে।সুমিত তৃণার বাবার প্রতিচ্ছবি আর তার সন্তানের বাবা।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

সুমন কর বলেছেন: কোরবানী ঈদের আগেই ঈদ নিয়ে একটি চমৎকার গল্প উপহার দিয়েছেন। ভালো লাগল।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ম কমেন্টে অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা।

কোরবানীর ঈদের ফ্লেভার দিয়ে দিলাম। আর বাবা নিয়ে লিখেও ফেললাম। :)

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইহা আমার চারশতম পোস্ট =p~ =p~

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর গল্প ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা। ভাল থাকবেন সুপ্রিয় মামুন ভাই সব সময়। আর মনে রাখবেন সবসময়। :)

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

৪০০ তম পোস্টে শুভ কামনা জানবেন বড় ভাই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো । :)

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৭

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: খূব ভাল লাগলো।
আপনার ৪০০ তম পোস্টে অনেক অনেক শুভ কামনা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার কমেন্টে ও শুভকামনায় ধন্যবাদ।

আপনাকেও শুভকামনা ।ভাল থাকবেন আর মনে রাখবেন সবসময়।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ৪০০তম পোস্টে শুভেচ্ছা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা ।আর নিরন্তর শুভকামনা। ভালথাকবেন।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

ফারজানা শিরিন বলেছেন: বাবা মেয়ে । :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাবার আদরের মেয়ে ।কমেন্টে ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা । :)

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ইশ!ব্যাপারগুলো যদি এত সহজ হত!!!!!!
গল্প অসাধারণ হয়েছে।৪০০ পোস্ট সেলিব্রেট করতে চা-মিষ্টির আয়োজন থাকলে ভাল হত!!!!!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। নিচে মিষ্টির ব্যবস্থা আছে। চা পরে হবে।ভাল থাকবেন সবসময়। নিরন্তর শুভকামনা।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,

চারশো'তম পোষ্টে ঈদ শুভেচ্ছা ।

"...কুরবানী করে আসলে মনের সকল কালিমা, পাপ, রিপু, অসততা, অমিল কুরবানী করে দেয়া হবে...." গল্পে আপনার এমোন আকাঙ্খা সত্যি হয়ে উঠুক সবার জীবনে ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত। কমেন্টে ধন্যবাদ। দুইজন মুসলমান ৩দিন রাগ করে কথা না বললে তাদের ব্যাপরে ব্যাপক থ্রেট আছে্ আর যদি অনেক কাছের মানুষ হয়ে থাকে তাহলে কি হবে বুঝেন। :)

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপাতত মিষ্টি খান । তৃণা আসলে চা খাওয়াবে।রাগ করে বাবার বাড়ী আছে। তবে আপনাদের চা না খাইয়ে পারবে না অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ। শুটকি মাছ একটু অপেক্ষা করেন। এই কোথায় একটু আসতো মেহমানদের চা খাওয়ানো লাগবে। :)

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাল কথা সেলিম ভাই,কুরবানীর ঈদতো একটু বিরিয়ানীর ব্যবস্থা রেখেন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা । বিরিয়ানীর ব্যবস্থা করা হবে। :)

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: ৪০০ তম পোস্টের শুভেচ্ছা । হ্যাপি ব্লগিং সেলিম ভাই ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও শুভকামনায় ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা। :)

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ৪০০ তম পোস্টের শুভেচ্ছা। ইদুল আযহার প্রথম গল্প পরলাম মনে হচ্ছে। হ্যাপি ব্লগিং।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈদের ব্যাপরটা আমি প্রথম উল্লেখ করলাম। কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা। :)

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ভালো লাগলো সেলিম ভাই :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা। ভাল থাকবেন সবসময় ।

১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বেশ ভালো গল্প। "মাইলফলক" অর্জনের জন্য শুভেচ্ছা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও শুভেচ্ছায় ।ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা।

১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৫

নিক নূরুল বলেছেন: ভাই ৪০০ তম পোস্টের 'আকিকা' হওয়া উচিৎ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আকিকা। বলেন কি? মিষ্টি খাওয়ালামতো। কুরবানীর গরুর টাকা জোটাতে হিমসিম খাচ্ছি।আবার আকীকা দিব কিভাবে? দেখি টাকা পয়সা জমুক তারপর আকিকা দেয়ার চেষ্টা করবো। :)

১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এবার ঈদের প্রথম গল্প তাহলে আপনিই লিখলেন। ভালো লাগলো।

৪০০তম পোস্টের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা। ভাল থাকবেন সবসময়। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো। :)

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৩০

শ্যামল জাহির বলেছেন: ছোট গল্প 'বাবা ও তার ছায়া'য় ভাল লাগা। অভিনন্দন ৪০০তম পোস্ট-এ। ঈদ শুভেচ্ছা!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ঈদ শুভেচ্ছায় ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.