নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমিকম্প নিয়ে আমাদের সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৫

২৫ এপ্রিল, ২০১৫।নেপালের লামজুং অঞ্চলের এ ভূমিকম্পে ইতিমধ্যে দেশটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ভারত নেপাল মিলিয়ে প্রায় হাজার দুয়েক মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বহুদূরে সংঘটিত এ ভূ-কম্পন বাংলাদেশের সর্বত্র অনুভূত হয় এবং এর প্রভাবে ক্ষতির খবরও আসছে।



ভূমিকম্পনের শক্তি প্রকাশের জন্য আমরা দুটি শব্দ ব্যবহার করি। একটি মাত্রা (magnitude), অন্যটি তীব্রতা (intensity)। ভূমিকম্পের উৎসস্থলে ভূ-অভ্যন্তরে থেকে কি পরিমাণ শক্তি বের হল তা মাত্রার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। একটি ভূমিকম্পের একটি মাত্রা থাকে। যেমন- এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৫। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির ওপর নির্ভর করে মডিফাইড মার্কারি স্কেল অনুযায়ী একটি ভূমিকম্পের ১২টি তীব্রতা থাকতে পারে। যা রোমান অক্ষরে ১-১২ পর্যন্ত দেখানো হয়। দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতির ওপর ভিত্তি করে তীব্রতা নিরূপণ করা হয়।



ঢাকায় এ ভূমিকম্পের তীব্রতা ৪ বা স্থান ভেদে ৫ অনুভূত হয়েছে। অবকাঠামোর গুণগত মান এবং মাটির শক্তির ওপর তীব্রতা নির্ভরশীল। একই মানের কাঠামো শক্ত মাটির চেয়ে নরম মাটিতে বেশি তীব্রতা অনুভব করবে। বেশি তীব্রতা মানে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা।



একটি ভারি ট্রাক কোনো একটি বিল্ডিংয়ে আঘাত করলে যেমন কম্পন অনুভূত হবে, তার তীব্রতা ৪ হতে পারে। এই তীব্রতায় বাসায় থাকলে সবাই ভূমিকম্প অনুভব করবে। কিন্তু বাসার বাইরে কেউ কেউ অনুভব নাও করতে পারে। ৫ তীব্রতায় বিল্ডিংয়ে ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হবে। জানালায় ফাটল ধরতে পারে।



বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। গত ১৩০ বছরে সংঘটিত দুটি ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বাংলাদেশ। এ দুটি ভূমিকম্পের নাম গ্রেট বেঙ্গল (১৮৮৫) এবং শ্রীমঙ্গল (১৯১৮) ভূমিকম্প। এ দুটি ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল প্রায় ৭। এ অঞ্চলের নিকট অতীতে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প ১৮৯৭ সালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে সংঘটিত হয়। যা মহা ভারতীয় ভূমিকম্প নামে পরিচিত। এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৩। বাংলাদেশ ও এর আশপাশের অঞ্চলে অসংখ্য সক্রিয় ভূতাত্ত্বিক ফাটল বা চ্যুতি রেখা আছে। যে কারণে এ অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



ভূমিকম্প হওয়ার সবচেয়ে আধুনিক তত্ত্ব হলো প্লেট টেকেটোনিক থিওরি ।এ হিসেবে পৃথিবী অনেকগুলো প্লেটে বিভক্ত। একটি প্লেটের সঙ্গে আরেকটি প্লেটের তিন ধরনের বাউন্ডারী দেখা যায়। কনভারজেন্ট,ডাইভারজেন্ট আর ট্রান্সভারজেন্ট বাউন্ডারী। এ প্লেটের সংযোগ স্থলে স্ট্রেস বিল্ড আপ করতে থাকে । এক পর্যায়ে সমস্ত স্ট্রেস রিলিজ হয় আর ভূপৃষ্ঠ কেঁপে ওঠে।

বড় ভূমি কম্পের আগে ও পরে ছোট ছোট ভূমিকম্প হয় । এগুলোকে বলা হয় সিস্টার আর্থকোয়েক।



ভূমিকম্পের সময় কি করবেন? শনিবারের ভূমিকম্পে প্রমাণিত হয়েছে, এ বিষয়ে আমদের জনগোষ্ঠী কোনোভাবেই সচেতন নয়। ভূমিকম্পচলাকালীন সময়ে উঁচু ভবন থেকে সিঁড়ি দিয়ে না নেমে এসে, ভবনে যে যেখানে আছেন সেখানে আশ্রয় নিতে হবে। বড় ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হতে ১৫-২০ সেকেন্ড সময় নেয়। এ সময়কালে ঘর থেকে বের হওয়া কোনোমতেই উচিত নয়।



সাধারণত স্কুলে এবং অফিসে কেউ অবস্থান করলে টেবিল কিংবা চেয়ারের নিচে অবস্থান নেয়া আবশ্যক। এগুলো না থাকলে মাথায় হাত দিয়ে শরীর গুটিয়ে দাঁড়ানো স্থানেই বসে পড়া উচিৎ।



বিল্ডিংয়ের কলাম এবং বিমের সংযোগস্থল ও দরজার নিচের স্থান আশ্রয়ের জন্য অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। কোনো অবস্থাতেই উপর থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়া উচিৎ নয়। কম্পন শেষ হলে তবেই সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে হবে।



কোনোভাবেই লিফট ব্যবহার করা উচিৎ হবে না।



ভূমিকম্প প্রতিরোধে আমাদের অবস্থান ও করনীয় :



নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি সীমিত। যেহেতু আমাদের দেশের স্থাপনাগুলো দুর্বল এবং বিল্ডিং কোড মেনে স্থাপনাগুলো বহুলাংশে তৈরি হয়নি। তাই নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উদ্ধার কাজ সম্পাদনকারী সংস্থাগুলোকে যথাসম্ভব দ্রুত অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য উপে কযেগিী করতে হবে।



নিয়মিত উদ্ধারকর্মীদের সহযোগিতা দিতে আরও অধিকসংখ্যক নগর স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে হবে। উদ্ধার কাজের জন্য আরও হালকা, মাঝারি ও ভারি যন্ত্রাংশ সরবরাহ আবশ্যক।



রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী অবকাঠামো তৈরির কাজ তদারকির জন্য আরও ক্ষমতা প্রদান ও আধুনিকায়ন করতে হবে। যথাযথ তদারকির ব্যবস্থাপনা আবশ্যক।



ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনলে এর প্রায়োগিক দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।



আরবান ডেভেলপমেন্ট ডায়রেক্টরিয়েটকে ভূমিকম্প দুর্যোগ সংযোজিত নগর ভূমি ব্যবহার মানচিত্র তৈরির জন্য দক্ষ করে তুলতে হবে এবং এর ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে।



নগর লাইফ লাইন সিস্টেম (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি) ঢাকাসহ অন্যান্য শহরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুর্বল। তাই লাইফ লাইন সিস্টেমসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।



দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে প্রশিক্ষিত টেকনিক্যাল জনশক্তি নিয়োগ এক্ষেত্রে দারুন কার্যবরি ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক একটি ক্যাডার তৈরি করা অযৌক্তিক হবে না ।



ভূমিকম্প শুধু যে মানবসৃষ্ট অবকাঠামোর ক্ষতি করে সেটি নয় । এর ফলে একটা এলাকার জিওমরফলজি চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে । এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ব্রহ্মপুত্র নদী তার পুরোনো গতিপথ বদলে ফেলেছে (১৮৮৫সালের ভূমিকম্পে) । যমুনা প্রধান পানি প্রবাহ হয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র দূর্বল হয়ে গেছে । এমনি ভাবে ভূমিকম্পের ফলে পর্বত হ্রদে আর সমুদ্র পর্বতে পরিণত হওয়া অসম্ভব নয় ।



ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়ার কোন প্রযুক্তি এখনো আবিষ্কার হয়নি । আর এটি বন্ধ করার কোন পদ্ধতিও মানুষের জানা নেই। তবে এর ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে জিওকোড মেনে ভেজাল মুক্ত স্থাপনা তৈরির কোন বিকল্প নেই । জনসচেতনতা মানুষদের সমূহ ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে ।



তথ্য সূত্র নেট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট , আসলে ভূমিকম্পের সময় মানুষের সচেতনতা বোধই পারে একমাত্র কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি এবং জানমালের নিরাপত্তা বিধান ।।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একজন জিওলজিস্ট হিসেবে ভূমিকম্প বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র ।

চমৎকার কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ ।সুপ্রিয় ব্লগার ।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

রিকি বলেছেন: একটা জিওলজি ভাই পেলাম বহুকাল পর....আহা কি যে খুশি লাগছে. :) :) ভাই জিওকোড মেনে বিল্ডিং করলে কি আর এত ধুকপুকানি থাকে...এখানে তো properly কেউ Compaction test,Consolidation test পর্যন্ত করে না....এখন পর্যন্ত আমরা যে সুস্থভাবে বেঁচে আছি এটা তো পরম করুণাময়ের হাজার শুকরিয়া. একটা 7 অথবা 7.5 এর ঝাঁকি খেলে ভাই শহরগুলোই Swatch of no ground হয়ে যাবে..! :-B

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথার্থ বলেছেন সুপ্রিয় রিকি। শুধু বিল্ডিং মজবুত হলেই হবে না ।যে ভূমির উপর অবকাঠামো গুলো দাড়িয়ে তার কতটুকু ধারণ ক্ষমতা সেটিও পরিক্ষা করতে হবে ।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৭

তিথীডোর বলেছেন: Very informative post, thanks!!!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে আর পাঠে ধন্যবাদ। এ ব্যাপারে কিঞ্চিত সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস।

অনেকেই ভূমিকম্পের ইনটেনসিটি আর ম্যাগনিচুড বিষয় দুটি গুলিয়ে ফেলে।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০০

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট :> :>

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে আর পাঠে ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামনা ।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০২

রিকি বলেছেন: ভাই কালকের খবর দেখেছেন...media public বলে কি বাংলাদেশে ভূমিকম্পের মাত্রা নাকি 7.5! হল নেপালে...Epicenter নেপালে আর বাংলাদেশে নাকি Magnitude 7.5 ! এক বারের জন্যও কি কেউ বলেছে Intensity নেপালে 9 আর বাংলাদেশে 4 ছিল...মাত্রা তীব্রতার পার্থক্য কি একেবারেই ভূমিকম্পে হারিয়ে গেছে ! ভাই এই দুঃখে কাল থেকে ভূমিকম্পের Magnitude আর Intensity ব্যাখ্যা সহ স্কেল নিয়ে পোস্টই লিখে ফেলেছি আর ব্লগে দিয়ে দিয়েছি....! B-)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে এ বিষয়ে জ্ঞান তাদের নেই ।তাই পার্থক্য বুঝতে পারে না । যারা বুঝেনা তারা কি জাজমেন্ট করবে । ভাল করেছেন ওব্যাপারে পোস্ট দিয়ে । আপনার পোস্ট পরে তারা মাত্রা আর তীব্রতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করবে আশা করি ।

আমি সন্দেহ আবহাওয়া অধিদপ্তরে কোন ভূবিজ্ঞানী আছেন কিনা।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১২

আবু শাকিল বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন এবং তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট।

কবি কে পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

সেলিম ভাই সালাম জানবেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ । আপনার খবর কি? কেমন আছেন ?

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//এর ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে জিওকোড মেনে ভেজাল মুক্ত স্থাপনা তৈরির কোন বিকল্প নেই । জনসচেতনতা মানুষদের সমূহ ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।//

ভালো কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তথ্যপূর্ণ এবং সময়োপযোগী একটি লেখা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

যদি একটা ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয় ঢাকার ভিতরে তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ বিল্ডিং ভেঙে যাবে । অথচ জিওকোড মেনে ভূমির ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিল্ডিং বানালে একটিও ধ্বংস হবে না ।

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

তিথীডোর বলেছেন: আমাদের স্থপতিদের আর নগরপরিকলপনা কারীদের এগিয়ে
আসতে হবে এই ব্যাপারে!.. সব হাইরাইজ এবং পুরান বিলিডং গুলো পরিক্ষা করে দেখতে হবে ফাটল বা সেটেলমেনট হয়েছে কিনা ফাউনডেশনে, যেসব বিলিডং হেলে গেছে সেগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে হবে, সবাইকে সতরক থাকতে হবে যে- ভুমিকমপের সময় লিফট না নিয়ে সিড়ি নিয়ে নামতে হবে.. বুয়েটের আরকিটেকচারের প্রাক্তন ডীন মুবাশশের আলি স্যার এ ব্যাপারে অনেক কিছু লিখেসেন ফেসবুকে .. প্লীজ সবাই সতর্ক হন!.. এত দূর প্রবাসে থেকে এ ছাড়া আর কি করবো! ...মতামত দিলাম শুধু.. আললাহ আমাদের সহায় হোন!


২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আর কিই বা করার আছে । অন্তত এসব বিষয়ে লিখে টিখে দায়মুক্তি লাভের অভিপ্রায় । আল্লাহ সহায় বলেই আমাদের ঢাকা অক্ষত থাকে। তবে ফোনে জানতে পারলাম উত্তরার গ্রান্ড সেন্টার বেঁকে গেছে মানে ঝুলে পরেছে। এটা মিন করে বিল্ডিং এর শক্তি আছে মেরামত ত্রুটি নেই কিন্তু ওখানকার ভূমি সাপোর্ট করে অতউঁচু ভবনের । তার মানে জিওকোড মানে নি তারা । আর তার পরিণতি এই ।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মুনাফাখোরদের কাছে জিওকোড কি গুরুত্ব পাবে? ওরা ব্রিজ কালভার্ট থেকেও চুরি করে....

ঈশ্বর নিজ হাতে আমাদেরকে রক্ষা করে চলেছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈশ্বর নিজ হাতে আমাদেরকে রক্ষা করে চলেছেন।
দারুন বলেছেন ।

তবে একটা ব্যাপারকি পৃথিবীটা আমরা মৃত ভাবলেও সেটি কিন্তু তা নয় । তার ভিতরে অবিরাম কাজ চলছে ।কখনো নগ্নীভবন কখনো বা বিচূর্ণিভবন। কোথাও পাহাড় হচ্ছে কোথাও সাগর ।

শুধু আমরাই থেমে থাকছি । নেপালের অমন একটি ভূমিকম্পের ইপিসেন্টার ঢাকায় হলে কয়েক লক্ষ লোক মারা পরবেন ।

তারপরও আমাদের হুশ হবে না । প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে না ।

ভাবখানা এমন জেনে শুনে আমরা মরার প্রস্তুতি মনেমনে নিয়ে রেখেছি ।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৬

রিকি বলেছেন: সেলিম ভাই আবহাওয়া অফিসে গিয়ে ভূতত্ত্ববিদ/ ভূ বিদ আছে কিনা জানতে চাইলে তারা প্রথমত বাংলার পাঁচের মত চেহারা বানাবে then বলবে " ভূতত্ত্ববিদ অথবা ভূবিদ কাকে বলে, খায় না মাথায় দেয়...আমরা খালি জানি ভূতত্ত্ববিদ নামের এক ধরনের Trilobite শ্রেণীর ফসিল গোষ্ঠী আছে...প্রাণ নাই, তবে কাঁকড়া মার্কা অবয়বটা বাকি আছে" !! B-) ভাই ভূবিদ দের দরকার আছে নাকি এই জায়গায় ?!? প্রত্যেকেই তো প্রত্যেক বিষয়ে নিজস্ব যুক্তি দিয়ে পান্ডিত্য লাভ করে বসে আছে...ভূ বিদকে তো ভূয়াবিদ বানিয়ে ফেলে অনায়শেই!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হা হা দারুন বলেছেন।

তবে এদেশটা অদ্ভুত । যার যে কাজ করার কথা সে সেটা করেনা ।বা করার সুযোগ পায় না ।তবে ভূয়াবিদদের সব বিষয়ই পড়তে হয় ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হা হা দারুন বলেছেন।

তবে এদেশটা অদ্ভুত । যার যে কাজ করার কথা সে সেটা করেনা ।বা করার সুযোগ পায় না ।তবে ভূয়াবিদদের সব বিষয়ই পড়তে হয় ।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

সুমন কর বলেছেন: সময় উপযোগী শেয়ার।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামনা ।

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: অত্যান্ত তথ্যবহুল সচেতন বক্তব্য সম্বলিত পোস্ট :
পোস্টের কিছু অংশ ধার নিলাম শেয়ার করার জন্য ।
+++++++++++++++++++

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। পোস্ট দিয়ে কিছুটা দায়িত্বপালন করা হলো আর কি?

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার সচেতনতামূলক লেখা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাললাগায় ও কমেন্টে ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার ।

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটিকে প্রিয়তে নিয়ে গেলাম -- প্রয়োজনীয় পোস্ট

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেয়াতে ধন্যবাদ আর শুভকামনা

১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বাংলাদেশে পৃথিবীর সবকিছুর সেন্টার হোক, ইটিসেন্টার চাই না ভাই 8-|

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হা হা । বাংলাদেশ অনেকের কাছে দূর্যোগের কেন্দ্র ।

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভূমি কম্প বিষয়ে একটি ব্যাপার শেয়ার না করে পারাছিনা ।আমি খনিজসম্পদ অনুসন্ধানে ইটনা থানার প্রজাকান্দি গ্রামে কাজ করছিলাম। কাল্পনিক ভালবাসার ফোন পাবার পরপরই হঠাৎ গ্রামে লোকজনের ব্যাপক ছুটাছুটি ।স্কুলের বিল্ডিং নাকি ধ্বসে পরেছে।কাজ বন্ধ করে আমরাও হাজির হলাম অবস্থা পর্য বেক্ষণে । ঘটনা হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বাচ্চাদেরকে বলেছে আজও 12টার সময় ভূমি কম্প হবে ।কাছাকাছি সময়ে উপরে চেয়ার টেবিল পরার শব্দ হয়েছে ভূমিকম্প মনে করে বাচ্চারা দৌড়ে নিচে নামতে গিয়ে একজন শিশু প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছে ।কয়েকজন নীচে পরে পাপিষ্ট হবার উপক্রম।পুরো এলাহি কান্ড ।স্কুলের শিক্ষিকারা জানেন না ভূমিকম্পের পূর্বাভাস করা যায় না । পুরো গ্রামের লোক জমা হয়েছে ।তাদের আশংকা বিল্ডিং এর কাজ খুব খারাপ হয়েছে ।যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে ।ভূমি কম্প আতঙ্কে ভূগছে এই রিমোট এলাকার লোকেরাও ।

১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: আজ সন্ধ্যায় ১০তলার উপরে ছিলাম। ভূমিকম্পে যা ভয় পাইছি :((

১৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভূমিকম্প হওয়ার সবচেয়ে আধুনিক তত্ত্ব হলো প্লেট টেকেটোনিক থিওরি ।এ হিসেবে পৃথিবী অনেকগুলো প্লেটে বিভক্ত। একটি প্লেটের সঙ্গে আরেকটি প্লেটের তিন ধরনের বাউন্ডারী দেখা যায়। কনভারজেন্ট,ডাইভারজেন্ট আর ট্রান্সভারজেন্ট বাউন্ডারী। এ প্লেটের সংযোগ স্থলে স্ট্রেস বিল্ড আপ করতে থাকে । এক পর্যায়ে সমস্ত স্ট্রেস রিলিজ হয় আর ভূপৃষ্ঠ কেঁপে ওঠে। এই তত্বটিই বর্তমানে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে।। কিন্তু ঘর-বাড়ী থেকে দৌড়ে নামার বা খোলা মাঠের আশ্রয়ের ভুল ধারনা থেকেই গেছে।। যেখানে ৩০সেকেন্ড থেকে একমিনিটের মাথায় সব ভেঙ্গেচুড়ে পড়ে, সেখানে অনুভবের পর পাচতলা থেকে নামতে কতটুকু সময় লাগে??
তার চেয়ে খাটের তলায়ই নিরাপদ আশ্রয় বলে আমি মনে করি।।
আর প্রতিরোধক ব্যাবস্থায় একমত।। ধন্যবাদ।।

১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিন বাটন কাজ করছে না ।কাজ করলে তখন জবাব দিবো ।

২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

কিং ফাহিম বলেছেন: @সেলিম আনোয়ার

ভাই এই ''নেপাল ভুমিকম্প'' নামের এই ব্লগে লিখব কিভাবে বুঝছি না। প্লিজ জানাবেন কৃতজ্ঞ থাকব।

২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

রিকি বলেছেন: ভাই ভূতত্ত্ব তে যে কতগুলো বিষয়ের ক থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত পড়া লাগে এটা কি কেউ জানে...না জানতে চাই... না জানার আগ্রহ দেখায় !!! /:) /:) /:) /:) বেশির ভাগ মানুষ ভাবে ভূতত্ত্ব তে হয় ভূত প্রেত নিয়ে পড়ানো হয়ে থাকে নতুবা পৃথিবীর matter less কিছু নিয়ে পড়ে তারা যা দুনিয়ার কোন ভালো কাজে লাগবে না !!! :(( :(( :(( :(( এজন্যই তো বললাম ভূ বিদকে তো ভূয়াবিদ বানিয়ে ফেলে অনায়শেই !!!! X(( X(( X(( X(( X(( X((

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামনা ।

২২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

X-Men বলেছেন: ভাই "বিল্ডিং কোড" এটার মানে ? এটার মধ্যে কি কি দিকনির্দেশনা দেওয়া থাকে ? কিছু Hint's দিলে ভালো হবে...

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই । তবে আর্থকোয়েক প্রবনতার ও শক্তির উপর ভিত্তি করে এই ব্যাপারটি বিবেচনা করা হয় । যে এলাকার আর্থকোয়েক ভারনাবেলিটি যত বেশি সেখান স্থাপনা গুলো তত মজবুত করা দরকার । কিংবা বেশি উচু বিল্ডিং করতে না করা হয় ।

২৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১

জাহিদ হাসান বলেছেন: ভূমিকম্প কথাটির চাইতে আর্থকোয়াক শুনতে ভাল্লাগে । একটা ফিলিংস আসে :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.