নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ মুজিব বর্ষ ২০২০

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৭




আজি হতে শতবর্ষ আগে
কেঁদেছিলো সদ্য প্রসূত এক নবজাতক
যেন তিমির আঁধার দূর করার অঙ্গীকার,
মুক্তির আবির দু'চোখে মেখে,
শিশুটি জন্মেছিল— এই বঙ্গদেশে
প্রথম ক্রন্দণ তাঁর
যেন সারা বাংলার বঞ্চিত মানুষের
ক্রন্দণ রোল মনে করে,
একদিন কন্ঠে তাঁর পরাধীন বাংলার
মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির কথা— দৃপ্ত শপথ
হ্যামিলনের সেই বাঁশি হয়ে যেন বেজে ওঠে
মহান একাত্তরে— রক্তাক্ত প্রান্তরে
বাংলার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে মুক্তি পাগল জনসমুদ্রে
অনেক বেদনা বঞ্চনা শয়ে।

আজি হতে শতবর্ষ আগে
হে মহান অধিপতি,
স্বাধীন বাংলার অকূতভয় মহান স্থপতি,
তুমি জন্মেছিলে এই দেশে পরাধীন বাংলায়
আর্ত পীড়িত বাংলার মানুষের সেবায় আত্ননিবেদিত হয়ে
অপার ভালোবাসা লয়ে বুকে
তুমি সুদীর্ঘ ছাব্বিশ বছর কারানির্যাতিত
এই বাংলাকে ভালোবেসে,
সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায়,
তোমার পরিবার কাটিয়েছে তুমিহীনা কতো বিনিদ্র রাত
শত বঞ্চনা সাথে লয়ে !!

গল্প কবিতা রূপালী পর্দায় টিভি নাটকে মুক্তিসেনাদের স্মৃতি চারণে
ব্যথাতুর সমুদ্দুর এই দু'চোখে আজও যেনো ভেসে ওঠে—
পাক হানাদার হিংস্র হায়েনার জুলুম অত্যাচার
তুমি কি তবে জন্মেছিলে সেদিন
মাতৃভূমির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার দৃঢ় প্রত্যয় লয়ে বুকে!
জন্মেছিলে যে দিন তুমি কি তবে দিয়েছিলে চিৎকার সেই-দিন
শত জালিমের বুক বিদীর্ণ করে,
এদেশে পাক-হানাদারবধ কাব্য রচনার
দৃপ্ত শপথ কন্ঠে লয়ে!
আজি হতে শতবর্ষ আগে।

তুমি কী ভেবেছিলে কোন এক কবি
নিবে হাতে কলম তুলে স্বাধীন বাংলায়— ২০২০ সালে
তোমার জন্মের ও শতবর্ষ পরে
কেবলই তোমায় স্মরণ করে
কলম ফেটে যার ঝরবে আগুন
ঠিক যেমন তোমার কন্ঠ থেকে দ্রোহের বহ্নি শিখা ঝরে।

হে বঙ্গবন্ধু !
হে স্বাধীনতার মহান স্থপতি !
কবিগুরুর কথা তুমি ভুল প্রমাণ করেছিলে
সাড়ে সাত কোটি বাঙালির ঐক্য গড়ে
ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় মহা-কাব্যিক বিজয়ী বীর প্রমাণ করে ,
হে বঙ্গবন্ধু !
তোমায় নিয়ে লিখবো বলে
নিয়েছি আজ কলম তুলে হাতে অপরাজেয় বাংলায়;
কোন ভুলতো করি নাই
তাই প্রশান্তির ছোঁয়া যেন লাগে বুকে।

হে স্বাধীনতার মহান স্থপতি,
শুভ জন্মদিন তোমায় নিরন্তর শুভকামনা
হৃদয়ের গহীন থেকে
করতেছি আজি তোমার বন্দনা
মহান স্রষ্টার অশেষ কৃপায়
আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস— এই কবিতা খানি লিখে,
কবিতা খানি মোর করিতেছি নিবেদন
শুধুই তোমার তরে
পরম শ্রদ্ধাভরে—
লহ গো মোর শ্রদ্ধাঞ্জলিখানি

আজি হতে শতবর্ষ আগে,
তুমি জন্মেছিলে তাই
আজ স্বাধীন বাংলাদেশ— আমরা স্বাধীন জাতি,
লাল-সবুজ পতাকা বাংলার আকাশে উড়ে
কোন সন্দেহ নাই।

মুজিববর্ষ এসেছে আমরা সবাই
তাই আবারো উঠেছি জেগে অনন্ত যৌবনে
ভোরের রবির মতো ভালোবাসার অনুরাগে
লাল-সবুজ পতাকায় আমরা উঠিবো মেতে—
বসন্তের মাতাল সমীরণে, পাহাড়ি ঝর্ণার মতো
উছলিয়া উঠে জলে— টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অববাহিকা হয়ে
বঙ্গোপ-সাগরের উত্তাল ফেনিল বুকে
জল কল্লোলে আনন্দ উৎসবে।


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা। নিরন্তর শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন

১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধরে নিন এটা নিয়েই শুরু হলো । তারাপর বেচে থাকলে পুরো মুজিব বর্ষে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা হবে ।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন:

তোমার ঐ তর্জনীর ইশারায়
সকল অপশক্তি যেন ভেঙে চুড়ে যায়;
পাকস্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রের সকল নীলনকশা
মাকড়শার পাতা জালের মতো
যেন দূর্বল— ক্ষীণকায়।
তুমি চাইলেই যেন জোয়ার ওঠে ..
তুমি চাইলেই ভাটা ..
বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ যেন
একই সূত্রে বাঁধা ।
( এটা নমুনা ) আমি লিখবোতো দেখি কতো পারো পড়তে ।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

নৃ মাসুদ রানা বলেছেন: অসাধারণ অনুধাবন...

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্রপ্রিয় ব্লগার আমার জীবনেও স্ট্রাগলিং আছে প্রতিবাদ মুখর বিপ্লবী অকূতভয় সে ইতিহাস। এই কবিতার লিংক আমার ঢাবি ক্যাম্পসের ওয়েব পেজে লিংক দিয়েছি । একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানি এটির এপ্রোভ করেছে স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গ বন্ধুকে নিয়ে এটাই আমার এযাবৎ লেখা সেরা কবিতা। কবি নজরুল কবিগুরুকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন শত বর্ষ আগে । কবি গুরু লিখেছেন ১৪০০ সাল । বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে বিদ্রোহী কবি আর কবিগুরুকে করেছেন চলার পথে দীর্ঘ সংগ্রামের পাথেয় ।দুই কবির কল্পিত কবিতা বঙ্গ বন্ধু তিনি যেন স্ক্রিপ্ট পাঠ করতেন নিজের জীবনের কবিদ্বয়ের লেখা থেকে তাইতো বঙ্গবন্ধু একজন কবি । তবে আমি কবি গুরু এবং নজরুল দুজনের চেয়ে ভাগ্যবান তার বঙ্গ বন্ধু নিয়ে কবিতা লিখতে পারেন নি। আমি পারছি । একথা দ্ব্যর্থহীন চিত্তে আমি বলতে পারি বঙ্গবন্ধু কবি গুরু বিদ্রোহী কবি নজরুলকে আমি ধারণ করতে পারি । কবি গুরুর এরিস্টোক্রেসি নজরুলের সাম্য দ্রোহ আর বঙ্গবন্ধুর দেশ প্রেম বাংলার মানুষের ভালবাসা আমার আছে, তাই এ কবিতা লিখা হলো আমার কলমে ।

কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা নিরন্তর শুভকামনা ।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে মু্ই কি হনুর দেশে এসব লাভ নেই । এরা যদি বুঝতো তাহলে আর ব্যাঙের মতো লাফাতো না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.