নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
বাবা যেন ঝড়ের ক্ষণে
পাকা বাড়ির ছাদ ,
নিরাপদ আশ্রয়ে তার
পরম সুখে করতে পারি বাস।
সকল সুখে সকল দুখে
আর কেহ নয় পাবোই তাকে
তার বিহনে শূন্য সবই
তিনিই যেন এই মাথার তাজ।
তাঁর মাঝে দেখি যেন প্রতিপালকের ছায়া
নিজের প্রয়োজন তুচ্ছ করে বিলান তিনি মায়া।
দাদা দাদীর প্রতি তাঁর অনুরাগ
যেন দৃষ্টান্ত দেবার মতো,
অন্যায্য সব দাবির পরও
সারাজীবন তিনি ছিলেন তাদের অনুগত।
পরিশ্রম যেন বাবার জীবনের ব্রত
রাত দিন নেই তাঁর
তিনি যেন সদা কাজে নিয়োজিত ।
অপ্রিয় সত্য বলায়, তার জুড়ি নাই,
অন্যায়ের সাথে তিনি কখনো আপোষ
করেন নাই।
যা চেয়েছি তাই পেয়েছি এমন আমার বাবা
এই দিনে শ্রদ্ধাঞ্জলী তাই,
বাবার মতো পরম শ্রদ্ধেয়
এই জীবনে মা ছাড়া আর কেহ নাই।
(বাবা দিবসে বাবার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।)
১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন কমেন্ট । কবিতায় বাবাকে উপস্থাপন করতে হলে অনেক গুলো কবিতা লিখতে হবে তবু একজন বাবাকে বর্ণনা করা পূর্ণতা পাবে কিনা জানিনা । ব্লগ ম্যাগাজিনের বিষয়ে কি বলবো জাদিদ আবার কোন সন্নাসী ধরে নিয়ে আসে নিয়ে আসে এ বিষয়ে । কবি নজরুল পূণর্জন্ম বলিয়া যদি কিছু থাকে কুকুর হয়ে জন্মাতে চেয়েছেন কবি নয় । কারণ কুকুর হলে শরৎবাবুর মঠে খাবারের নিশ্চয়তা আছে কবির নেই । বঙ্গবন্ধু শেষ সময়ে কবিকে যথাযথ সম্মানে এ দেশের নিয়ে এসেছিলেন । আর জাদীদের কাছে তো সেলিম ভাই । কতো কবি তার কাছে আছে কে জানে। গেয়ো যোগী ভিখ পায় না কথা আছে না । কত পড়ালেখা আমি করি সেটা কি আর তিনি জানেন? আমি কতটুকু খুতখুতে স্বভাবের সেটা তিনি বুঝেন না। তিনি জানে সেলিম ভাই কবিতা পোস্ট করার আবার সম্পাদনা করে । বুঝে না কেন করে। কবিতা নিয়ে আমার অতৃপ্তি তিনি বুঝবেন কি করে।
২| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৮
ওমেরা বলেছেন: একেবারে বাচ্চার মত হয়েছে বাবাকে নিয়ে কবিতাটা মানে সন্তান যত বড়ই হোক বাবা মায়ের কাছে বাচ্চাই থাকে।
ভালো লাগা কবিতায়।
১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাবার কাছে সন্তান সবসময় বাচ্চা । বাবা নিয়ে লিখতে হলে বাচ্চা হয়ে লিখতে হয় ।
৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০০
মুক্তা নীল বলেছেন:
সেলিম ভাই ,
বাবাদের নিয়ে যতো কথা বলি না কেন বলে শেষ করা
যায় না । সকল বাবাদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা । বাবাকে
নিয়ে এত চমৎকার লেখার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা
রইলো ।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
করোনা বাবাদের ভয়ে রেখেছে, সন্তানদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: করোনা বাবাদের ভয়ে রেখেছে, সন্তানদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে।
ইয়েস।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে একজন বাবার বৈশিষ্ট্য কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
ছেলে কি ছেলে থাকা অবস্থায় বাবার কষ্ট বোঝে?
ছেলেরা সচরাচর বাবার কষ্ট বোঝে না; যখন বুঝতে পারে ততদিনে সে নিজেই বাবা হয়ে গেছে (একটা প্রচলিত প্রোভার্ব)। তখনই সে বুঝতে পারে, বাবাকে সে কত যন্ত্রণা ও কষ্ট দিয়েছিল।
পৃথিবীতে মায়ের তুলনায় বাবার অবদানকে খুব সামান্যই হাইলাইট করা হয়। আমি নিজে বাবা হয়ে যাওয়ার পর বাবাদের প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ব বেড়ে গেছে। একবার বাবাকে হাইলাইট করতে যেয়ে শেষ পর্যন্ত মায়ের কাছে ফিরে আসতে হয়েছিল, আপনি সেটা জানেন।
কবিতায় ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই+
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বহুদিন পর আপনার আগমনে ধন্য হলো আমার ব্লগবাড়ি। আপনি সেই সব সিনিয়র ব্লগারদের অন্যতম যারা সিনিয়রদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেছেন । এটা আমার উপলব্ধি ।
সুন্দর কমেন্টে ও পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার বাবার অ্যাজমা অনেক ভয়ে আছি
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আল্লাহ শেফা দান করুক ।
৮| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। দারুন শ্রদ্ধাঞ্জলি। ঠিকই তো বাবা যেন বৃক্ষের মত। যে হারিয়েছে সেই বোঝে এর অভাব।
কবিতায় ভালো লাগা।
শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
কমেন্টে ও পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
৯| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩১
জাফরুল মবীন বলেছেন: আমার জ্ঞানার্জনে আমার বাবা উৎসাহ ও পাশে থাকা আজও গভীরভাবে অনুভব করি।বাবাকে হারিয়েছি ৪বছর আগে।বাবার স্পর্শ এখন আরও বেশি করে পেতে ইচ্ছে করে।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাবার স্থান কেউ পূরণ করতে পারে না । আপনার বাবা ভাল থাকুক না ফেরার দেশে ।
১০| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর একটি কবিতা।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাজীব নুর
কমেন্টে ও পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
১১| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো বাবার প্রতি আপনার শ্রদ্ধাঞ্জলি। সালমান যেন তার বাবা সম্পর্কে এরকমই ভাবে।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: করুণাধারা,
কমেন্টে ও পাঠে অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।
১২| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
জুন বলেছেন: বাবার কথা মনে হলে এখনো আমার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে সেলিম আনোয়ার। অনেক ভালো লাগা রইলো কবিতায়।
১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মেহজাবিন জুন আপু কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।
১৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
অজানা তীর্থ বলেছেন: "বাবার কাছে সন্তান সবসময় বাচ্চা । বাবা নিয়ে লিখতে হলে বাচ্চা হয়ে লিখতে হয়।" সুন্দর +
১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্ট এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কবিতার জাদুকর সেলিম আনোয়ার ভাই,
আপনার কবিতাটি প্রিয়তে রাখছি। বাবা মা নিয়ে এমন কবিতা আমার কাছে শুধু নয় বা্ংলাদেশের সকল মাতাপিতা ও সন্তানের কাছে অমূল সম্পদ। যদি সুস্থ থাকি যদি বেঁচে থাকি আমি কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের কাছে অনুরোধ করবো এই কবিতা যেনো সামহোয়্যারইন ব্লগ ম্যাগাজিনে ছাপা হয়। অবস্যই যেনো ছাপা হয়।
একজন বাবার কাছে সবচেয়ে প্রিয় শব্দ কি আপনি জানেন। - তার সন্তানের মুখের প্রথম শব্দ। একজন বাবা তার জীবনে অনেক কথা শুনেন সময়ের স্রোতে ভুলেও যান কিন্তু আমরণ তিনি তার সন্তানের মুখের প্রথম শব্দ মনে রাখেন। আর এটিই একজন বাবার জীবনের ইমোশনের শুরু। বাবা সারাদিনের সকল শ্রম কষ্ট দুঃখ ভুলে যান যখন তার সন্তানের কাছে তিনি ফিরে আসেন। পিতা পুত্র, পিতা কন্যা সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে শক্ত মজবুত সম্পর্ক। পিতা এমন এক শক্তি যেখানে আমরা জীবনের সকল বীরত্ব খোঁজে পাই। পিতা হচ্ছেন মাথার উপরের ছায়া।
সন্তানের জন্য পিতা প্রাণ দিয়েছেন এমন অসংখ্য ইতিহাস আছে তারমধ্যে আমি শুধু একটি নাম বলছি - সম্রাট বাবর প্রাণ দিয়েছেন তার পুত্র সম্রাট হুমায়ূনের জন্য। পৃথিবী যতোদিন টিকে থাকবে মানব সভ্যতা যতোদিন টিকে থাকবে সম্রাট বাবরের এই বলিদান পৃথিবীর মানুষ জন্য শ্রদ্ধাভরে স্বরন করবেন।
জীবন বিনিময়
কবি গোলাম মোস্তফা
-------------------------------------------------------
বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর-
পুত তাহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর!
চারিধারে তার শনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার।
রাজ্যের যত বিজ্ঞ হেকিম করিবাজ দরবেশ
এসেছে সবাই, দিতেছে বসিয়া ব্যবস্থা সবিশেষ,
সেবাযত্নের বিধিবিধানে তু্রটি নাহি এক লেশ।
তবু তার সেই দুরন্ত রোগ হটিতেছে নাক হায়,
যত দিন যায়, দুর্ভোগ তার ততই বাড়িয়া যায়-
জীবন-প্রদীপ নিভিয়া আসিছে অস্তরবির প্রায়।
শুধাল বাবর ব্যগ্রকনেঠ ভিষকবৃন্দে ডাকি,
‘বল বল আজ সত্যি করিয়া, দিও নাকো মোরে ফাঁকি,
এই রোগ হতে বাদশাজাদার মুক্তি মিলিবে নাকি?
নতমস্তকে রহিল সবাই, কহিল না কোনো কথা,
মুখর হইয়া উঠিল তাঁদের সে নিষ্ঠুর নীরবতা
শেলসম আসি বাবরের বুকে বিঁধিল কিসের ব্যাথা!
হেনকালে এক দরবেশ উঠি কহিলেন—‘সুলতান,
সবচেয়ে তব শ্রেষ্ট যে-ধন দিতে যদি পার দান,
খুশি হয়ে তবে বাঁচাবে আল্লা বাদশাজাদার প্রান।’
শুনিয়া সে কথা কহিল বাবর শঙ্কা নাহিক মানি-
‘তাই যদি হয়, প্রস্তুত আমি দিতে সেই কোরবানি,
সবচেয়ে মোর শ্রেষ্ঠ যে ধন জানি তাহা আমি জানি।’
এতেক বলিয়া আসন পাতিয়া নিরিবিলি গৃহতল
গভীর ধেয়ানে বসিল বাবর শান্ত অচঞ্চল,
প্রার্থনারত হাতদুটি তাঁর, নয়নে অশ্রু জল।
কহিল কাঁদিয়া- ‘হে দয়াল খোদা, হে রহিম রহমান,
মোর জীবনের সবচেয়ে প্রিয় আমারি আপন প্রাণ,
তাই নিয়ে প্রভু পুত্রের প্রান কর মোরে প্রতিদান।’
স্তব্ধ-নীরব গৃহতল, মুখে নাহি তার বাণী,
গভীর রজনী, সুপ্তি-মগন নিখিল বিশ্বরাণী,
আকাশে বাতাসে ধ্বনিতেছে যেন গোপন কী কানাকানি।
সহসা বাবর ফুকারি উঠিল—’নাহি ভয় নাহি ভয়,
প্রার্থনা মোর কবুল করেছে আল্লাহ হে দয়াময়,
পুত্র আমার বাঁচিয়া উঠিবে—মরিবে না নিশ্চয়।’
ঘুরিতে লাগিল পুলকে বাবর পুত্রের চারিপাশ
নিরাশ হৃদয় সে যেন আশায় দৃপ্ত জয়োল্লাস,
তিমির রাতের তোরণে তোরণে ঊষার পূর্বাভাস।
সেইদিন হতে রোগ-লক্ষণ দেখা দিলে বাবরের,
হৃষ্টচিত্তে গ্রহন করিল শয্যা সে মরণের,
নতুন জীবন হুমায়ুন ধিরে বাঁচিয়া উঠিল ফের।
মরিল বাবর – না, না ভুল কথা, মৃত্যু কে তারে কয়?
মরিয়া বাবর অমর হয়েছে, নাহি তার কোন ক্ষয়,
পিতৃস্নেহের কাছে হইয়াছে মরনের পরাজয়!