নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রাবণ মেঘের দিনে

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২



অবসান!!!!
_________
কাঁদো মেঘবালিকা কাঁদো,
অঘোর বর্ষায় বিভোর হয়ে
ঝরে পড়ে যেন— তোমার অবদমিত অভিমান।
প্রখর সূর্যালোকে— উত্তাপে তোমার প্রস্থান ,
উত্তাল সমুদ্রের বুক হয়ে আকাশে মেঘালোকে ।
যেন সংক্ষুব্ধ হয়েই তোমার এই উত্থান
রমনীর উদ্ধত স্তনের মতো মিলনের অভিপ্রায়ে
তোমার আমার অযাচিত ব্যবধান
দূর করার সুদৃঢ় প্রত্যয়ে
বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে ভূমির উপর
অতঃপর মাটির ভেতর।

স্পর্শের বাইরে থেকে রচিত হোক
গভীর প্রণয়ের সংগত সুনিশ্চিত প্রেক্ষাপট
তুমি কামনার্ত হয়ে ওঠো
তুমি যেন বৃষ্টি স্নাত রক্তজবার মতো শাশ্বত
কামিনীর অনুরাগে
বিকশিত হও, এই অঘোর বর্ষায় শ্রাবণের প্লাবণে।

অতঃপর আমার সুদৃঢ় কামনা
তোমার দেহের ভাঁজে গ্রহণ করে
তুমি পান করো অমৃত সঞ্জীবনী সুধা
তৃপ্তির ঢেকুর তুলে
তুমি সিক্ত হয়ে ওঠো, উর্বর সোঁদামাটির মত।

আমি যেন দোসর গড়ে
তোমার জঠরে প্রবাহিত স্বর্গীয় নদী,
করি জলদান।—

তুমি যেন ঈশ্বর—
তোমাতে ভালোবাসার দ্রাক্ষারস হয়ে ওঠে
সম্ভাবনার মানব ভ্রূণ;
বালুকণা যেমন ঝিনুকের আবডালে গড়ে তোলে মুক্তো।

বৃষ্টির টাপুর টুপুর জলে সতেজ হলো প্রাণ
অঘোর বৃষ্টি যেন অব্যর্থ যৌবনের গান,
তোমার আমার প্রণয়ে অনন্ত প্রতীক্ষার
এবার তবে হোক অবসান ।

ভুত!!!!
___
আমি লিখি দেশের কথা,
দশের কথা৩ হৃদয়ের ব্যাকুলতা
এই মনের গোপন ব্যথা।

আমি ভাবি একা নয়
সবাইকে নিয়েই বেঁচে থাকার নাম জীবন
অন্যথা হলে তা মরণসম ।

তাই যেন লিখে ফেলি
বেঁচে থাকার উপায় , অলঙ্কার অথবা উপকরণ
নিয়ে কাব্য দর্শন অথবা নাতিদীর্ঘ কবিতা।

লেখা শেষ হওয়ার আগেই
যেন চেপে বসে ঘাড়ে একটা ভুত
প্রেমের সবিতা।

অপ্সরা রূপে যেন সুনিয়তি মম
যেন এক সাক্ষাত দেবদূত ,
খুব ভালোবাসি তাকে
তাই যেন লাভা উদগীরনের মত
জেগে ওঠে পৌরুষ অসহায় প্রাণে।

লেখা শেষে হয়— যেন অভিসার
আমাদের দুজনার।

একটা ভুত যেন ভালোবাসি খুব;
পরশে যার লোহা হয় খাঁটি সোনা
মহাদেশ হয়ে ওঠে ধূলিকণা
সমুদ্র হয়ে ওঠে জলকণা
আমার কী দোষ ?

তবুও ভালোবাসি খুব— সেই একটি ভুত ।


হে রাতের পাখিরা!!!!
-------------------
হে রাতের পাখিরা, কিসের সাধনায়?
তোমাদের এই রাতজাগা— জানিনা,
কিসের তাড়নায়? দুচোখে তোমাদের
যেন নিশি জাগা প্রহরী।
তোমরা কি তবে পণ করেছো— দেখবে না স্বপ্ন
নাকি দু’চোখে ঘুম আসে না— তাই
এখানেই তোমাদের নৈঃস্বর্গ বিরচন
নাকি এখানেই আছে তোমাদের— প্রাণপ্রিয়জন
তাই যদি হয়, তোমাদের পথচলা যেন হয় স্বর্গময়।
তোমাদের চাওয়া যেন— পূর্ণতা লাভ করে
ভ্রান্তিগুলো দূর করে তোমাদের পথচলা যেন
আলোর পথে হয়।
তোমরাও যেন নক্ষত্র হয়ে ওঠো—
তোমাদের দেখানো পথে যেন সৎ পথের সন্ধান মেলে
হে রাতাজাগা পাখিরা— এখন সাধনা ক্ষণ
এ যে মহেন্দ্রক্ষণ! তোমাদের এই রাতজাগা যেন সফল হয়।



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর সুন্দর

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ম কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।

২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
সেলিম ভাই ,
আপনার কাছ থেকে শ্রাবণের খুব সুন্দর একটি কবিতা
পাবো বলে আশা করেছিলাম , ভালো লাগলো কবিতা পড়ে

আপনাকে বৃষ্টিস্নাত দিনের শুভেচ্ছা।

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। মাত্রতো শ্রাবণ শুরু হলো প্লাবনরে অবতারণা করে । প্রচেষ্টা থাকবে কবিতা লিখার ।


কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য ।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: তিনটাই অতি মনোরম হয়েছে।

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্ট এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৪

আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: ভূত মরে ভগবান হয়ে গিয়েছে, খুঁজে পাবেন না।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: রাত জাগতে আমার খুব ভালো লাগে। করোনার কারণে অনেক গুলো রাত জাগতে পারছি। কবিতা গুলো ভালো লাগলো ।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন:
এতক্ষণে লেখা হয়ে যেতো
পুরাতন যা ছিল
খুঁজে খুঁজে হয়েছি হয়রান
মনে হলো একটিও নেই
তোমাকে দেয়ার মতো।
কেনই বা দেবো
অতীতের জড়াজীর্ণ পঙক্তিমালা
তুমি শুনেছো তা আগে
চাতকীর মতো খুঁজে খুঁজে
পুরাতন কিছু দিতে ইচ্ছে হয় না
অনেক ঘাঁটাঘাঁটির পর
আমি তাই বদ্ধপরিকর
তোমায় নতুন কিছু দিতে।
তুমি কী দেখনি ?
বাদল দিনের প্রস্ফুটিত নতুন কদম ফুল
সবুজ সতেজ প্রকৃতি যৌবনের অনুরাগে
অরণ্যের সজীবতায় নেই কোন ভুল
শুধু ঢাকা মহানগরীর মলিনতা দেখে
দুঃখ পেয়ো না মেয়ে
অপ্রগলভ ভালোবাসা দিলাম তোমাকে
লোভী পাপীষ্ঠের লালসার গ্রীবায়
কবরের নীরবতা, তুমি এখানে পাবে।
প্রকৃতি আজও সতেজ আছে
তুরাগ নদীর উপচে পড়া জল
নেই আর আগের মতো কলুষিত
যেন সুস্থ পরিবেশ,
নদী গুলোও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে
শুধু মানুষ পারেনি তা
হয়তো পারবে না মরণের আগে
তাই আজ মানব জীবন গভীর সংকটে
যদিও দেশ তলিয়ে গেছে প্লাবন জলে
আশ্রয়হীন মানুষ গড়েছে অস্থায়ী নিবাস
সংকটাপন্ন উঁচু বাঁধের উপর
বেঁচে থাকার তাগিদে অতঃপর
সেখানেও ভেজাল তুমি পাবে।
প্লাবন বিপন্ন মানুষের বেঁচে থাকার আকূতি
ত্রাণ বিতরণ
নতুন কিছু নয়
সব যেন চলে আগের নিয়মে
শুধু বন্যার প্রকটতা বাড়ে
সেখানেও লোভী গ্রীবা নির্মম প্রহসনে।
বেঁচে থাকা মানে টিকে থাকার সংগ্রাম
প্রেম মানে তুমি আমি অবাক মানবতায়
স্বার্থপর চোখ ফাঁকি দিয়ে অনন্ত সঙ্গমে
বিপন্ন পৃথিবীর স্পর্শের বাহিরে ।
প্রেমের উপচে পড়া জলে
তবুও যেন সন্তর্পণে নৌকো চলে
তাতে নেই কোন হেলা,
জলতরঙ্গে যেন আশানিরাশায় নৌকো দোলে
তবুও অব্যর্থ গন্তব্য তার
এভাবেই ক্রম অগ্রসর জীবন কাফেলা।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.