![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুজনের একজন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, আরেকজন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
গতকাল রাতে টকশোতে...................
কাজী জাফর সংশয় প্রকাশ করেছেন : সরকার কে চালাচ্ছে বা কী হচ্ছে তা বলা কঠিন। সরকার আসলে পানি ঘোলা করতে অথবা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে। হয়তো এর মধ্যে কোন একটা নীল নকশা আছে।
আ স ম আবদুর রব : বর্তমান সরকারের সময়ে উন্নয়ন হয়েছে। তবে অপ্রয়োজনীয় কাজে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উৎপাদনের দিকে নজর না দিয়ে অন্য কাজ বেশি করেছেন।
তাদের মন্তব্য থেকে...................
== যে কোন রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করাটা বাঞ্ছনীয়। কোন আদর্শকে প্রতিহত করার জন্য দলকে নিষিদ্ধ করা বা নিবন্ধন বাতিল করা সঠিক পথ নয়।
==অধ্যাপক গোলাম আযমকে ৯০ বছর কারাদন্ড দেয়ার পর বিভিন্ন মন্তব্য হয়েছে। একদিকে প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করলেন। অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হলো। পরবর্তীতে সরকার নিজেই আবার ফাঁসির জন্য কোর্টে আপিল করেছেন।
==হাসিনা পুত্র জয় বলেছে তার কাছে তথ্য আছে। আমি (জাফর) তখন বলেছিলাম তার কাছে নীল নকশা আছে।
== ৬০ কোটি টাকা খরচ করে বিলবোর্ড লাগানো হয়েছিল। তারা মনে করেছিল তাদের লাভ হবে। কিন্তু এতে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে শুভ লক্ষণ জনগনের সমালোচনার পড়ে বিলবোর্ড খোলে ফেলা হয়েছে।
==গ্রামাঞ্চলের সমালোচনা সম্পর্কে হাসিনা ওয়াকিফহাল নয়। তাই তিনি গ্রামে মানুষ সরকারের প্রতি কতটা অসন্তোষ্ট তা জানেন না। অধিকারের সম্পাদক ড. আদিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এভাবে গ্রেপ্তার দু:খজনক।
==হেফাজতের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। অথচ এর আগে কোন কারফিউ জারি করা হয়নি, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি, এমনকি সমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণাও দেয়া হয়ন্যি। সেদিন তিনদিক থেকে হামলার কারণে অনেক মানুষ শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে। সেদিন রাতে কি ঘটেছিল। কতজন মারা গিয়েছিল এ ব্যাপারের সরকার কিছুই করেনি। তবে গুজব উঠেছে হাজার হাজার লোক মারা গিয়েছে। ডিএমপির কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেছিলেন, ১১ টি লাশ পেয়েছি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী, শেখ সেলিম বলেছেন একজনও মারা যায়নি। যদি লোক মারা গিয়ে থাকে তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই রাতে দেড় লাখ গোলা বারুদ খরচ করা হয়েছে। যেখানে দেড় লাখ গোলা বারুদ খরচ করা হয়েছে। সেখানে কোন লোকই মারা যায়নি এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সে হিসেবে শেখ সেলিমদের রাজনীতিতে থাকার উচিত নয় বলে আমি মনে করি।
==সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর চেয়ে একশ’গুণ বড় রনি এই সরকারের মধ্যে রয়েছে। এবং এক রনি নয় বহু রনি রয়েছে। এখান থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। সরকার দলের হলেও রনি টকশোতে চলমান সমস্যা তুলে ধরতেন। সরকারের সমালোচনা করছেন। কিন্তু তিনি এমন একটি বিমরুলে পা দিয়েছেন, যিনি দরবেশ। তার সাংবাদিকরা তার পেছনে লেগেছিল। রনির উচিত ছিল তার মাথা ঠান্ডা রাখা। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একশনে যাওয়া সমর্থন যোগ্য নয়। তবে সরকার এখানে এক ঢিলে দুই পাখি মারছে। সরকারের দেখাচ্ছে এমপি হলেও তাকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না।
==দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে চায়। সংবিধানের ১৫ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনের রাস্তা কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তা বন্ধ হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়কও নাই অন্তবর্তীকালীন সরকারও নাই।
==বিরোধীদলকে বাদ দিয়ে যদি নির্বাচনের চিন্তা করা হয় তা হবে আগুন নিয়ে খেলা করা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন পাতানো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহণ করবে না। নির্বাচন হলে পাতানো হবে। একবার বাংলাদেশে আগুন জ্বলে উঠলে যে বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ থাকবে তা বলা মুশকিল। সেভেন সিস্টারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভারত ও মার্কিন যুদ্ধরাষ্ট্রের ভূমিকাও দেখতে হবে।
==সরকার বুঝে গেছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা হারবে। যেমনটা ইঙ্গিত দিয়েছে পাঁচ সিটি নির্বাচনে। সুতরাং সরকার চাচ্ছে যেভাবে ক্ষমতায় আসা যায়। সবার অংশগ্রহণে গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে আপত্তি কোথায়?
==সোনালী ব্যাংক, ডেসটিনি, পদ্মাসেতু, সাভারের ঘটনার চেয়ে রনির ঘটনা কি বড় ছিল? ১৯৭২ সালের পর অনেকগুলো মিডিয়া বন্ধ করা হয়েছে। এভাবে কিন্তু কেউ ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। হিসেব নিকাশ দিতে হয়েছে। অধিকারের সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে স্বৈরাচারি আচরণের বহিঃপ্রকাশ করেছে।
==প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের উদাহারণ দেন। দুর্নীতি করার পরও যে দেশে দেশ প্রেমিক উপাধী পাওয়া যায় সেদেশে কীভাবে সম্ভব?
==প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ না দিয়ে জনগণকে ট্রেনিং দেব। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এরকম কথা কখনোই প্রত্যাশিত নই।
==প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আপনাকে অবশ্যই স্থিতিশীল মানসিক অবস্থায় আসতে হবে। উত্থান পতন ও গণতন্ত্রেও স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখুন। গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা না বলে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। ডেসটিনি, হলমার্ক, হত্যা গুম, খুন, সব বিষয়ে ভাবুন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো চরমভাবে সীমালঙ্ঘনের করা বলছে। বিরোধীদের উপর ফ্যাসিবাদী আচরণ করা হচ্ছে। আলো নিভিয়ে হেফাজতের উপর হামলা করা হয়েছে। এ ধরনের আগ্রাসি মনোভাব বাদ দিতে হবে।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
ম্যাংগো পিপল বলেছেন: ++++++
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭
জয় শান্ত বলেছেন: http://Cash4Visits.com/ref.php?refId=281061