নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীল মুদ্রা

একদিন চমকে যেয়ে নিজেকে আবিষ্কার করলাম ভিন্ন সত্তায়, পৃথিবীতে সবাই একা তাই যত কথা লেখালেখিতে, আমার লেখাই আমার অনুভূতির অনুবাদ......

নীল মুদ্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের কথা-২২

১৬ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

চলছে...



রানাকে আমার জীবনের কিছু গল্প বলেছিলাম, যা না বললেও পারতাম, তার মধ্যে একটি-

আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি এস,এস,সি দেবো-তখন আমার ছোট খালা আমাদের বাসায় কিছুদিন থাকার জন্য আসলো, সিরাজগজ্ঞ থাকতো সে, খালার একটা ছেলের সাথে প্রেম ছিলো ছেলেটা বুয়েটে পড়তো, কিন্তু ছেলেটা যখন ফোর্থ ইয়ারে পড়ে খালার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো, বিয়ে করতে রাজী হলো না। আম্মা ছেলেটাকে ডাকলো বাসায় এবং কয়েক ঘন্টা কথা বললো, ছেলেটা স্বীকার করলো সব, সে বিয়ে করবে না খালাকে, আম্মা রাজী করানোর চেষ্টা করলো। ছেলেটা বললো আমি ভেবে দেখি। এক পর্যায়ে ছেলেটা কতটুকু বদলেছে সেটা বোঝার জন্য আম্মা তাকে প্রশ্ন করলো আমার মেয়েকে বিয়ে করবে ? ছেলেটা খুব বোকার মত রাজী হয়ে গেলো। আম্মার যা বোঝার তা বুঝে নিলো, বাসা থেকে বের করে দিলো তাকে। তারপর খালাকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হলো- এক সময় বিয়ে ঠিক হলো ছেলে আর্টিষ্ট বিটিভিতে চাকরী করে। দেখতেও খারাপ না, অনেকদিন পরে খালার মুখে হাসি দেখলাম সম্ভবত খালারও পছন্দ হয়েছিলো। আমরাও খুশি। খালার বিয়েতে অনেক মজা করলাম, আমাদের বাসায় থাকলো ১০-১৫দিন, তারপর খালু রামপুরায় বাসা নিলো খালাকে নিয়ে নতুন বাসায় যাবে, আমাকে বললো তুমিও চলো আমি খুশি মনে রাজী হলাম। নতুন বাসায় গেলাম সব গোছগাছ হলো খাওয়ার পর আমরা তিন জন গল্প করছিলাম, হঠাৎ খালু বললো সে নাকি হাত দেখতে পারে, আমিতো মহাখুশি আমার হাত দেখে দেন, হাত দেখে অনেককিছুই বললো, আর বললো একটা কথা তোমাকে বলা যাবে না খালার কানে কানে বললো, খালা বললো ওতো বড় হয়ে গেছে সব বোঝে ওকে বলা যায়।

খালু বলে দিলো আমার হাতের রেখায় নাকি আছে আমি খুব সেক্সি। ছোট ছিলাম একটু লজ্জা পেলাম, তারপর দুষ্টু করে হাসলাম।

বিকাল গড়িয়ে রাত হলো খাওয়ার পর শোবার পালা দুইটা ঘর ছিলো, খালারা এক ঘরে আমি অন্য ঘরে, কিন্তু খালুর কি যেনো একটা আঁকাআঁকির কাজ ছিলো আমি যে ঘরে শোব সে ঘরেই আঁকার সরঞ্জাম, খালু চেয়ারে বসে কাজ করছিলো, আমি পাশে বসে দেখছি, আর দু’একটা টুক্টাক্ কথা হচ্ছে। একসময় কাজ শেষ হলো, আমি শুয়ে পড়লাম- খালু মশারিটা ঠিক করে দিলো। হঠাৎ করে সে আমার পাশে বসে দু’হাতে আমার মুখটা ধরে আমাকে কিস্ করতে চাইলো, আমি স্তম্ভিত বিস্মিত এ কি করে সম্ভব। তার জোরের সাথে আমার পেরে উঠা কঠিন, তাও প্রাণপনে চেষ্টা করলাম নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য, আপনি কি করছেন প্লিজ আমাকে ছাড়েন খালা দেখলে খুব কষ্ট পাবে, চিৎকারও করতে পারছি না যদি খালা জেগে যায়! তবে কি হবে? হায়রে মানুষ....

সে আমার মুখটা ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করছে তার মুখের কাছে নিতে আমি আবার বাধা দিতেই সে বললো, তুমি খুব সেক্সি মেয়ে তোমাকে আমার খুব ভালো লেগেছে-তোমার মত একটা মেয়েই আমি চেয়েছিলাম, যদিও তুমি অনেক ছোট হয়তো পেতাম না। আমি বলে উঠলাম এবার আমি সত্যি চিৎকার করবো! আজও জানি না কি করে ঠিক ঐ সময়ে খালা চিৎকার করে উঠলো, সাথে সাথে সে আমাকে ছেড়ে দিলো, দৌড়ে গেলো খালার ঘরে। পরে শুনলাম খালা নাকি খারাপ স্বপ্ন দেখে চিৎকার করে উঠেছিলো। ছোট্ট মনে ভীষন চোট লেগেছিলো। বিয়ের ১৫ দিন পর একটা মানুষ কি করে পারলো সে এমন কাজ করতে!

পরদিন সকালে উঠেই আমি বাসায় যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠলাম, খালা বললো দুপুরে খেয়ে তারপর যাস। খালাকে কিছু বললাম না সে কষ্ট পাবে তার স্বপ্নের গড়া প্রাসাদ ভেঙ্গে যাবে! অস্থির আমি ছট্ফট্ করছি। খালু বললো আর একদিন থাকো, আমি বললাম না। খালা বললো থাক ও যা বলে তাই করে, খাওয়ার পরে বরং দিয়ে এসো বাসায়।

রান্না শেষ খালার গোছল করতে গেলো, ঠিক সেই মূহুর্তে উনি আবার এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো, পৃথিবীটাকে খুব অদ্ভুত মনে হলো, এ কেমন বর্বরতা আমিতো তার ভাগ্নি হই সেটা কি সে ভুলে গেছে ? শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছিলাম।

ভাত খেয়ে রওনা দিলাম ঐ তথাকথিত ভদ্রলোকটির সাথেই।

বাসায় আসলাম তখন মহম্মদপুর থাকি। একেই বলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বাসায় এসে দেখি তালা ঝুলছে। চাবি পাশের বাসায় রেখে গেছে আম্মা। পাশের বাড়ির মেয়েটা আমাকে দেখেই চাবি এনে দিলো।

দরজা খুললাম, উনি পানি খেতে চাইলো, পানি দিতে গেছি এক ঝটকায় সে আমাকে কাছে টেনে নিলো, বললো তোমার ঠোঁটটা খুব সন্দর এই রকম ঠোঁটে কিস্ করতে অনেক মজা, মাত্র একবার দাও দেখো তোমারও ভালো লাগবে। এমন কথা পরে হয়তো শুনেছি আরো কিন্তু ঐ বয়সে তার মুখেই প্রথম শুনেছিলাম, ভাবলাম লোকটা পাগল কি সব বলছে। এসব ভাবতে গিয়ে সেকেন্ডের জন্য হঠাৎ অন্যমনষ্ক হয়ে গিয়েছিলাম, সেই সুযোগে সে ধাক্কা দিয়ে আমাকে বিছানায় ফেলে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। ভাবতে পারি না সে দৃশ্যটি মনে হলে আজও কেমন শিউরে উঠি। তারপর অনেকক্ষণ ধস্তাধস্তি, নিজেকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা, শেষ পর্যন্ত উঠে দাড়িয়েছি, সে পারেনি কিছুই করতে। ঘরের চাবিটা আমার হাতে তখোনো,চাবি দিয়ে মারতে গেলাম আর বললাম আম্মাকে বলে দেবো যদি না ছাড়েন! তখন সে আমাকে ছাড়লো। ভয়ে কষ্টে কেঁদেছিলাম অনেকক্ষণ।

সেই থেকে আমি কোন পুরুষকে আর ভয় পাইনি, আমার বিশ্বাস কোন পুরুষ জোর করে কোন মেয়েকে কিছু করতে পারে না, যদি না তার সায় থাকে।

কাউকে বললাম না ঘটনাটা, খালা অনেক কষ্টের পর সুখ পেয়েছে সে শুনলে কতটাই না কষ্ট পাবে, আজও জানে না খালা সেই ঘটনা। চেপে গেলাম পুরোপুরি।

রানাকে বলা উচিত হয়নি কারণ খালুকে সে অন্য চোখে দেখতে শুরু করলো, আমাকে কথা বলতে দেখলেই সন্দেহ করতো। যেহেতু কেউ জানতো না ঘটনাটা তাই আমার সব সময় নরমাল থাকতে হয়েছে মনের বিরুদ্ধে হলেও।

বড় জটিল জীবন আমার......



চলবে.....

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১

আহসাদুজ্জামান রািহম বলেছেন: ও একটি ম্যানিয়াক

১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:০৮

নীল মুদ্রা বলেছেন: হ্যাঁ হয়তো তাই...

ভালো থাকবেন

২| ১৬ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাম্বা বলেছেন: . :( :( :( :( :( :(

১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:০৯

নীল মুদ্রা বলেছেন: মন খারাপ হবারই কথা, মানুষ কেনো এমন হয়??????????????

৩| ১৬ ই মে, ২০১০ রাত ৯:০৯

শ্রীমান বলেছেন:
হা: হা: হা:......

আর কত পুরুষকে এরকম নি:গৃহীত করবেন?

সব গুলো পরব পরব করেও পড়া হয়ে উঠছে না....
১মটা পড়েছিলাম, মন্তব্যও রাখা ছিল...কি অবস্থা জানি না...


চলুক দেখি কত খালু, চাচা, মামার মুখোশ খুলে আর পতি দেবতার চাঁদ বদন কি দাড়ায়...

১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:৪৭

নীল মুদ্রা বলেছেন: আপনি কি আমার উপর রেগে আছেন?

নিঃগৃহীত কেনো বলছেন? যা ঘটেছে তাইতো বলছি.....

তবে সব পুরুষ এক তাতো নয়।

ভালো থাকবেন,

৪| ১৬ ই মে, ২০১০ রাত ৯:৫১

যাচ্ছেতাই বলেছেন: "সেই থেকে আমি কোন পুরুষকে আর ভয় পাইনি, আমার বিশ্বাস কোন পুরুষ জোর করে কোন মেয়েকে কিছু করতে পারে না, যদি না তার সায় থাকে" এই কথাটা মনে হয় ঠিক না....

১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:৪৯

নীল মুদ্রা বলেছেন: হতে পারে ঠিক না। কিন্তু তখন আমার এই রকমই মনে হয়েছিলো..

ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই মে, ২০১০ রাত ১০:১২

প্রতীক্ষা বলেছেন: উফফফফ কি ভয়াবহ রকমের অসহ্য !

১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:৫০

নীল মুদ্রা বলেছেন: সত্যি ভয়াবহ, কঠিন...তখনও মানুষ সম্পর্কে ভালো করে বুঝতে শিখিনি

৬| ১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৪০

শাহ্‌রিয়ার খান বলেছেন: আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি, পড়ে মন্তব্য করবো।

লেখার ধরন সুন্দর, মোটা মুটি দৃশ্যের আশে পাশে থাকা যায়।

ভালো থাকবেন

১৭ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৫৬

নীল মুদ্রা বলেছেন: লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ভালো লাগলো মন্তব্য শুনে, অন্য পর্ব গুলো পড়ে মন্তব্য দিলে আরো ভালো লাগবে।

আপনিও ভালো থাকবেন

৭| ১৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:৫৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: দম্পত্যে অবশ্যয়ি আড়াল থাকা উচিত। আর মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই যৌন নিপিড়নের শিকার। যা কখনো তারা মুখ ফুটে কাওকে বলতে পারেনা। আর বললেও তার কথা কেও বিশ্বাষ করেনা। এ ভাবেই মেয়েটি একটি আতংকের জীবন বয়ে বেড়ায় আজীবন।

১৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:২৪

নীল মুদ্রা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন- সেটা বুঝেছি পরে...যখন বলা হয়ে গেছে, তবে একটা কথা কি জানেন সব জেনেও অনেক সময় একই ভুল আবার করে মানুষ।

কাউকে বলতে না পারার সময়টা শেষ হোক, আশা করি পরবর্তী প্রজন্ম এগিয়ে যাবে
আমরা আশাবাদী
ভালো লাগে আপনাদের মন্তব্য পড়তে, সবাই কত ভালো...

৮| ১৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:০৮

রাজসোহান বলেছেন: সত্যি , আপনাকে ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছে , আপনি এখনো আছেন দেখে আপনাকে স্যালুট .

১৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:২৯

নীল মুদ্রা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজসোহান, আপনার কথা শুনে মনে আরো শক্তি পেলাম।
একদম সময় পাই না অনেক ব্যস্ত থাকি তবু আপনাদের ।।উৎসাহে লিখছি,

জীবনধারা পাল্টে গেছে আমার এখন আর সেই আমি নাই সবচেয়ে ব্যস্ত নারীদের মধ্যে একজন। ব্যস্ততাই আমাকে ভালো রাখে

আপনার মন্তব্য পেয়ে মনটা ভালো হয়ে গেলো, দু'চোখ কিছুটা ঝাপসা.......
ভালো থাকবেন

৯| ১৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:১২

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: জীবনে সকল কিছু একবারে দেখা হোক,
সময় আর নিয়মের ফ্রেমে বাঁধা জীবনে জানার কিছু নেই, শিখার কিছু নেই।

জীবন থেকে যা জেনেছেন তা আপনাকে শিক্ষিকা করে তুলুক আগামীর জন্য,প্রজন্মের জন্য,আমাদের জন্য।

যেমন ডাক্তার শিখে মৃতের বুক চিরে,যতই নির্মম হোকনা কেনো জানা হলো জীবনকে।

এই কি কম?

ভালো থাকা হোক..

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:০০

নীল মুদ্রা বলেছেন: আপনার কথা শুনে ভালো লাগলো, নিজের জীবন থেকে যা শিখেছি তা আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো অবশ্য্ই সবার জন্য রেখে যেতে......

১০| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৩২

শ্রীমান বলেছেন:
রাগ করিনি তা বলতে লিখলাম...

জোত্সস্নার নীল কষ্টের নীল
ণীলাম্বরীর দেহাবরন নীল
খোঁপায় জড়াতে পারুল নীল
সময় হয়না তোমাতে হতে বিলীন।।

জলাধারে আকাশের প্রতিচ্ছবি, নীল
একটাও আজ ফোটেনি পদ্ম, নীল
পাথর নীলায় দ্যুতির বিচ্ছুরণ, নীল
বলিনা অস্ফুটে তোমাতে হই লীন।।

আধো অন্ধকার ঘুমবাতি নীল
বিছানা বালিশ চাদর সবতাতেই নীল
নিমগ্ন যোগী চমকায় নৃত্য মুদ্রা, নীল
রক্তে আলোড়ণ শীত্কার নেই, হইনা মলিন।।

অসময়ের আমি ভূল দরজায় কড়া নাড়ি
সময় হয়না তোমাতে হতে বিলীন
বলিনা অস্ফুটে তোমাতে হই লীন
রক্তে আলোড়ণ শীত্কার নেই, হইনা মলিন।।

Click This Link

১৭ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫০

নীল মুদ্রা বলেছেন: আমার জন্য লেখা কবিতার জন্য ধন্যবাদ..........যদিও কম হয়ে যায়
তবুও......
মানুষ কত অল্পতেই খুশি তবু তার কত অপ্রাপ্তি

ভালো থাকবেন

১১| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪

কিংশুক০০৭ বলেছেন: জীবনের পথটা আসলেই জটিল।

১৭ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নীল মুদ্রা বলেছেন: হ্যাঁ খুব...এরই মধ্যে আমাদের বসবাস

১২| ১৭ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪১

রাজসোহান বলেছেন: ইয়ে আমি কিন্তু আপনার চেয়ে পিচ্চি , বলতে গেলে আপনিই বড় আপু B-)

আমারে আপনি করে বললে নিজেরে বুড়া বুড়া লাগে :((

১৭ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫২

নীল মুদ্রা বলেছেন: হা হা............ ঠিক আছে তুমি করে বলবো

১৩| ১৭ ই মে, ২০১০ রাত ৮:০১

ঝড়ানিলপাতা বলেছেন: "শ্রীমান" মনে হয় আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারেনি, তাই এমন তাচ্ছিল্য।

"শ্রীমান বলেছেন:
হা: হা: হা:......
আর কত পুরুষকে এরকম নি:গৃহীত করবেন?
চলুক দেখি কত খালু, চাচা, মামার মুখোশ খুলে আর পতি দেবতার চাঁদ বদন কি দাড়ায়... "

আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন আমার এক কাজিন এর বিয়ে হয়। কাজিন এর সাথে আমার বয়স পার্থক্য প্রায় ১৭ বছর। ওনার হাজব্যন্ড তো তার ও বড় হবে।তো বিয়ের কিছুদিন পরে আমাকে ঐ আপু'র শশুর বাড়িতে নিয়ে যায় আপু। কথা ছিলো চলে আসব।কিন্তু আপু'র শাশুরি-ননদ আমাকে জোর করে রেখে দেয়। দুলাভাই ও খুব আদর করত। আপু-দুলাভাই দুজনই চাকরি করে। একদিন দুলাভাই'র মাথা ব্যথা করছিল অসিফ যায়নি। আপু একা অফিস চলে গেসে। দুপুরে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। হঠৎ আমার ঘুম ভেঙে গেল, ওমা দেখি দুলাভাই, আমার বুকে হাত দিয়ে রেখেছে, আমি তো ভয়ে উঠে গেলাম। আমার চিৎকার শুনে আপু'র শাশুরি দৌড়াই আসলেন, ওনাকে দুলাভাই বললেন চাবি খুজছিলাম, ও মনে হয় ভয় পেয়ে ছিৎকার দিসে। আমিও ভাবলাম চাবিইতো খুঁজছিল, কিছু বুঝিনাই।
কিনতু সেই ঘটনা অনেক বছর আমার মনে ডাগ কেটে ছিল, তখন হয়তো বুঝিনি, কিনতু পরে বড় হয়ে টিকই বুঝেছিলাম আসলে উনি কি চেয়েছিল।

আমার এক দুরসম্পর্কের মামা ছিল, যে আমাকে পড়াত।
উনি প্রায়ই সুজুগ পেলেই বুকে হাত দেওয়ার চেষ্টা করত। আমি তো কিছু বুঝি নাহ.....মানে কেন এমন করত বুঝতাম নাহ। পড়া না পারলে তখন বেশি করত। ভাবতাম এটা একটা শাস্তি। পরে একদিন গল্প করার সময় আমার এক স্কুলের এক আপুকে বললাম মামা আমাকে এভাবে মারে, তখন সে বুঝালো এটা এ তার উদ্দেশ্য ভাল না। মা-বাবা কে বলতে বলল, কিনতু আমি মা ক খুব ভয় পেতাম। তাই আর বলিনি, পরে মামা কে কিভাবে তারাব তার একটা উপায় বের করলাম...

পরে বড় হয়েও অনেক আত্মীয় কে দেখেছে সুজুগ পেলেই গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করত।

আমার এক বান্ধবীর সাথে তো তার আপন চাচা ফিসিক্যাল রিলেশন করেছে, যখন সে এসবের কিছুই বুঝত না।

আমাদের সামজে কিছু মানুষ খুব খারাপ থাকে....এদের সংখ্যা ৫%।

তাই বাচ্চা মেয়েদের জন্য মা-দেরই সতর্ক থাকা উচিত। বাচ্চার বাবা ছাড়া আর কাউকেই যেন বিশ্বাস না করে.........

১৮ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:৪৯

নীল মুদ্রা বলেছেন: হ্যাঁ বোন, যারা এর শিকার তরাই বোঝে, আসলেই এমন হয়। তবে আপনার কথা সত্যি এদের সংখ্যা ৫%

ভালোলাগলো আপনার লেখা পড়ে, শাহস করে কজন লিখতে পারে....সমাজটা এতই খারাপ তারা মেয়েদেরই ছি ছি...করে

ভালো থাকবেন

১৪| ১৭ ই মে, ২০১০ রাত ১০:৪৯

রঙ পেন্সিল বলেছেন: একটা ছোট কৌতুহল নিয়ে কিছুদিন আগে নীল মুদ্রার লেখা পড়া শুরু করেছিলাম! এখন ভাবছি, আমাদের অসুখ গুলোর কথা! এই অসুস্থতা কতটা বিস্তৃত!!?? ঝড়ানিলপাতাতো কফিনে পেরাক টুকে দিলেন! তবে একটা শুভ্র আলোক আছে যা দিয়ে এই অন্ধকারকে দুর করবার প্রয়াস আমরা পেতে পারি। এমন অসুস্থ লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম!!
তবে একটা ব্যাপারকি যারা এমন করে তারা এক ধরণের মানসিক বৈকল্যে ভোগে! আমরা চারপাশের লোকজন তিলে তিলে এই অসুস্থতাটাকে বাড়িয়ে তুলি।
যাই হোক, গল্পের নায়িকা- আপনার খালাকে কষ্ট থেকে আপনি বাঁচাতে যেমনটা যুঝলেন, তাতে একটা অন্তর্নিহীত ভাবাবেগ আছে! ভালোটা আপনার আর খারাপদিকটা হলো- সামাজিক রুক্ষতার। অন্যায়টাকে দেখে অন্যায় এর প্রতিবাদ করতে না পারার এই 'হ্যামলেটিয়' জটিলতাটা অন্যকিছুকে প্রমান করুক আর নাই করুক- আপনার চিন্তাশীল মননটাকে ফুটিয়ে তুলেছে! আপনি নিজের কাছে কখনোই পরাজিত হবেন না, এতটুকু ঠিকই বোঝা যায়।

১৮ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:৫৯

নীল মুদ্রা বলেছেন: সেই এমন সংখ্যা যদিও কম তবু তারা আমাদের মাঝেই মিশে আছে।

সত্যি তাই খালার সংসারটা ভেঙে যাক চাইনি, একথা শুনলে থার সাথে সংসার কলা খালার জন্য কঠিন হতো, অবিশ্বাস নিয়ে সংসার করা বড়ই কঠিন।

তখন অনেক ছোট্ট ছিলাম, ছোট বুদ্ধিতে এর বেশি আর ভাবতে পারিনি।

ধন্যবাদ ভালো লাগলো, সত্যি ভালোর সংখ্যাই বেশি

জানেন একটা কথা-অনেক খারাপ মানুষ আমি জীবনে দেখেছি তবু কেনো যেনো মানুষকে আমি বিশ্বাস করি। আর আমি মনে করি মানুষকে মানুষ ভাবি বলেই এখোনো আমি ভালো আছি...

ভালো থাকবেন..

১৫| ১৮ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৩

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: হুম!! আমাদের সমাজটাই এমন হয়ে যাচ্ছে!!
আর সবাইকে সচেতন হওয়া পয়োজন!!!

১৯ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫০

নীল মুদ্রা বলেছেন: হু তা ঠিক। কিন্তু এটাতো যার যার ভাবনার ব্যাপার কে কাকে বলবে...নিজেকেই ঠিক হতে হবে

ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.