![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৌন্দর্য সচেতনতা ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি। কিন্তু এই আধুনিক যুগে ছেলেরাও কম যায় না। নাগরিক র্কপোরেট পেশা ছাড়াও অনেক কারণেই দৈহিক গঠনের প্রতি নজর দেয়া হয় না। যারা ফিট থাকতে চান তাদের কাছে মেদ ভূঁড়ি এক মারাত্মক বিড়ম্বনা। একটু ফিটিং কাপড় পরলেই বেড়িয়ে আসছে ভূঁড়ি।
তবে শুধু দেখনদারিই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ভূঁড়ি। হৃৎপিন্ড, শ্বাসযন্ত্র, গলব্লাডার এমনকি মস্তিস্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। হার্ট অ্যাটাক, ডিমেনশিয়া (মস্তিকের রোগ), ডায়াবেটিস, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের অন্যতম কারণ এ অতিরিক্ত মেদ। তাই সুস্থ ও সবল থাকতে হলে ভুঁড়ি দূর করা জরুরি। খুব সহজেই এই বিড়ম্বনাকে তাড়ানো যায়। এর জন্য দরকার ইচ্ছা ও অধ্যবসায়।
ফিগার ঠিক রাখার জন্য নিম্নলিখিত হেলথ টিপস মেনে চলতে পারেনঃ
১. নিয়মিত ও পরিমিত খাদ্যভাস গড়ে তুলুন। খাদ্য তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার বৃদ্ধি করুন, আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে আনুন, ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার সম্পুর্ণ বন্ধ করুন। খাবারের শুরুতে ১-২ গাস পানি পান করুন। খাবার শেষে অন্তত ১/২ ঘণ্টা পর পানি পান করবেন। রেডমিট, দোকানের কেনা মিষ্টি, ঘি, ডালডা, ডাল ও ডাল জাতীয় খাবার কম খাবেন। ফলমূল ও শাক-সবজি বেশি করে খাদ্য তালিকায় রাখুন। একবার বেশি করে খাওয়ার চেয়ে অল্প অল্প করে বার বার খেতে পারেন। রাত্রে আহার তাড়াতাড়ি করা উচিত ও আহারের ১-২ ঘণ্টা পর ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২. নিয়মিত ও পরিমিত নিদ্রা সুস্বাস্থ্য ও ফিগারের জন্য খুবই প্রয়োজন। দিনে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। প্রত্যহ ৬-৭ ঘন্টা পর ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩. যাদের মেদ বা ভুঁড়ি জমেছে তারা নিয়মিত ও সঠিক ব্যায়াম করতে পারেন। তার জন্য আপনি একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন। মনে রাখবেন ভুল ব্যায়াম ও অনিয়ন্ত্রিত জিম এক্সারসাইজ আপনার সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৪. প্রতিদিন সমতল জায়গায় হাঁটুন। মনে রাখবেন হাঁটা সর্বোৎকৃষ্ট ব্যায়াম। নিয়মিত অন্ততঃ ১-২ ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫. প্রাতঃকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন ও সকালে স্কুল, কলেজ বা অফিসে যাওয়ার পূর্বে গোসল সেরে নিন।
৬. লিফটের পরিবর্তে সিড়ি ব্যবহার করুন।
৭. সাইক্লিং, সাঁতারের সুযোগ থাকলে নিয়মিত করুন।
৮. দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চলাফেরার সময় সোজা ও সঠিকভাবে করুন। মনে রাখবেন চলাফেরা শারীরিক কাজের ক্ষেত্রে আপনার শরীরের অবস্থানগত ভুলের কারণে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার বসা, শোয়া, কম্পিউটিং, দৈনন্দিন কাজ অথবা প্রফেশনাল কাজে কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে আপনি একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন।
৯. দেহ-মন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যে কোন প্রতিকুল মানসিক চাপে নিজেকে দূরে না সরিয়ে ধৈর্য সহকারে মোকাবেলা করুন।
১০. সর্বোপরি সুস্থ ও সুন্দর চিন্তা করুন ও প্রাণ খুলে হাসুন, এতে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে
লেখা- Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
মাথাল বলেছেন: আচ্ছা, ঠিকাসে।