![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহা বিপদ!!! ছার পোকা তো দুনিয়া করতে দিবে না মনে হয়। আমার সব চেষ্টা ব্যর্থ। বন্ধুরা দেখেন আমাকে উদ্ধার করতে পারেন কিনা। আর তো পারিনা।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৮
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: হায় হায়, কন কি? আমার রুচি হবেনা আপনি এসে খেয়ে দিয়ে যান।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ভাই এই ছারপোকা- আমার জীবনটা শেষ করে দিছে। দীর্ঘ ছয় মাস---।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৯
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: আপনি বুঝেছেন ভাই আমার যন্ত্রনা, উদ্ধার পেলেন কিভাবে?
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: পড়ে দেখুন।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: https://www.facebook.com/notes/rajib-noor-khan/শà§à¦·-à¦à¦¥à¦¾-২১/10151667346018502
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২১
রাজীব নুর বলেছেন: গত ছয় মাস ধরে বিছানায় আরাম করে ঘুমাতে পারছি না। প্রতিদিন রাত্রে বিছানায় যাওয়ার পর কি যেন কুট কুট করে কামড়ায়। একদিন ঘুম থেকে উঠে বাতি জ্বালিয়ে দেখি ছোট ছোট অনেক গুলো পোকা। একটা পোকা মেরে দেখি পেট ভরতি রক্ত।এমন পোকা আমি আগে কখনো দেখিনি।সকাল বেলা মাকে বললাম- মা বলল পোকা গুলোর নাম ছার পোকা। এরা রক্ত খায়। দিনেরবেলা আর পোকাদের কথা মনে থাকে না। রাতে বিছানায় যাওয়ার পোকার কামড় খেয়ে- ছার পোকার কথা মনে পড়ে। সামান্য ছোট ছোট পোকা গুলোর জন্য ছয় মাস ধরে ঘুমাতে পারছি না। এই পোকা মারার জন্য সব রকমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে- কোনো কাজ হয়নি, ( ডিডিটি পাউডার ছাড়া ) ।
একদিন বিরক্ত হয়ে বালিশ তোষক সব সরিয়ে দেখি- একশো দুইশো না, পাঁচ শো-সাত শো ছারপোকা। এই ভারি জাজিম তোষক ছয় তলার ছাদে নিয়ে গিয়ে রোদে দেওয়া সম্ভব নয়। এই ছোট পোকা গুলো আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে। আরে...রক্ত খাবি খা, কামড়ানর কি দরকার। কামড়ানোর পর লাল হয়ে ফুলে থাকে সারাদিন। আমার খালাতো বলেন বলেন- টাকা পয়সা বেশি হলে ঘরে ছারপোকার উপদ্রপ হয়। গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে শত শত ছারপোকা মেরে ওদের প্রতিহত করতে পারছি না। রাতে পোকা গুলো আমার শরীরের উপরে হাঁটা হাটি করে- আমি স্পষ্ট টের পাই। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে হাসপাতাল থেকে এক ব্যাগ রক্ত কিনে এনে বাটিতে করে ওদের খেতে দেই।
একদিন খবরের কাগজে দেখি- "বাসের সিটে ছারপোকার উৎপাত ঠেকাতে আগুন দেওয়া হয়েছে।" সেদিন রাগে দুঃখে মধ্যেরাত্রে সুনীলের একটি কবিতা মনে পড়ল- আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ/এই কী মানুষজন্ম?/আমি আক্রোশে হেসে উঠি না,/ আমি ছারপোকার পাশে ছারপোকা হয়ে হাঁটি,/ মশা হয়ে উড়ি একদল মশার সঙ্গে;/খাঁটি অন্ধকারে স্ত্রীলোকের খুব মধ্যে ডুব দিয়ে দেখেছি দেশলাই জ্বেলে/আজকাল আমার নিজের চোখ দুটোও মনে হয় একপলক সত্যি চোখ। /এরকম সত্য পৃথিবীতে খুব বেশী নেই আর।" আমি আর বেশী দিন বাচবো না। এই ছারপোকা আমাকে অতিষ্ট করে দিয়েছে। ঈশ্বরের কি দরকার ছিল- ছারপোকা বানানোর?
মানুষের চোখে রয়েছে যখন একক লেন্স তথন পোকামাকড়ের চোখ অথ্যাৎ যৌগ চোখে রয়েছে অনেক ছোট চাক্ষুষ ইউনিট।একদিন এক পাজি ছারপোকা কানের ভেতরে ঢুকে গেল। হঠাত দেখি মোবাইল চার্জ হয়, কারন অনুসন্ধান করে দেখি- মোবাইলের ভেতরে তিন টা ছার পোকা। ছারপোকা শুধু আমার বাসায় না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা হলে হাজার হাজার ছারপোকা, রাজারবাগ পুলিশ লাইনের প্রতিটা ব্র্যাকে হাজার হাজার ছারপোকা।উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রয়েছে ১৭টি। এমন কি অনেক সরকারী হাসপাতা এবং অফিসেও হাজার হাজার ছারপোকা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছি- এখন সব জাগায় ছারপোকা। দামী এসি বাসে আজকাল অনেক ছারপোকা পাওয়া যায়।কিছু মানুষও ছারপোকার মতন নিষ্ঠুর।
আসুন, ছার পোকা সমন্ধে কিছু যেনে নিই- ছারপোকা সিমিসিডে গোত্রের একটি ছোট্ট পরজীবী পতঙ্গবিশেষ।ইংরেজিতে বলে: Bed bug ।এটি রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে।মূলতঃ এ পোকাটি বিছানা, মশারী, বালিশের এক প্রান্তে বাসা বাঁধলেও ট্রেন কিংবা বাসের আসনেও এদের দেখা মেলে।পুরোপুরি নিশাচর না হলেও ছারপোকা সাধারণত রাতেই অধিক সক্রিয় থাকে এবং মানুষের অগোচরে রক্ত চোষে নেয়। মশার ন্যায ছোট্ট কামড় বসিয়ে এরা স্থান ত্যাগ করে। গত ছয় মাস ধরে বিছানায় আরাম করে ঘুমাতে পারছি না। প্রতিদিন রাত্রে বিছানায় যাওয়ার পর কি যেন কুট কুট করে কামড়ায়। একদিন ঘুম থেকে উঠে বাতি জ্বালিয়ে দেখি ছোট ছোট অনেক গুলো পোকা। একটা পোকা মেরে দেখি পেট ভরতি রক্ত।এমন পোকা আমি আগে কখনো দেখিনি।সকাল বেলা মাকে বললাম- মা বলল পোকা গুলোর নাম ছার পোকা। এরা রক্ত খায়। দিনেরবেলা আর পোকাদের কথা মনে থাকে না। রাতে বিছানায় যাওয়ার পোকার কামড় খেয়ে- ছার পোকার কথা মনে পড়ে। সামান্য ছোট ছোট পোকা গুলোর জন্য ছয় মাস ধরে ঘুমাতে পারছি না। এই পোকা মারার জন্য সব রকমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে- কোনো কাজ হয়নি, ( ডিডিটি পাউডার ছাড়া ) ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: অনেক বড় লেখা। ধন্যবাদ। ডি ডি টি পাঊডার কোথায় পাওয়া যায় ভাই, আর এটার ব্যবহার বিধি জানাবেন, কোন সাইড ইফেক্ট আছে এর?
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: এটা আবার কি জিনিস
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৪
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: ইহা মধ্যযুগীয় কায়দায় আধুনিক যুগে মানুষকে নির্যাতন করিয়া থাকে ...
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
যুবাইরআজাদ বলেছেন: ১/ ভাই ঘরে আগুন দিয়ে সাথে সাথে ফায়ার সাভিসে খবর দিন। ওরা এক মিনিট পরে হাজির হেয়ে যাবে, ততক্ষনে পোকার বংশ সাফ।
অথবা
২/ খাট, কাথা, বালিশ সব একসপ্তাহের জন্য পুকুরে ফেলুন, তার পর দেখেন কি হয়।
আমার জীবনে দ্বিতীয়টি ঘটেছিল, তবে গন্ধ দুর করার জন্য স্প্রে রাখুন।
তবে মাইন খাইবেন না কিন্তু। ভুলে ও এই কাজ করবেন না।
কিভাবে দুর করলেন আমাদের জানাতে ভুল করবেন না।
ভাল থাকবেন।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৮
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: আমি সবই করছি ভাই এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য। কিন্তু কোন উপায় পাচ্ছিনা। সর্বশেষ ডি ডি টি পাঊডার এর নাম শুনলাম আজকে, দেখি এটা দিয়ে ট্রাই করে কিছু হয় কিনা। আপনার কোন আইডিয়া থাকলে আমাকে জনাতে ভুল করবেন না..
-ধন্যবাদ
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৯
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হুমম খোদ আমেরিকা, ব্রিটেনেও এর উৎপাত আছে।
১. তোষক বালিশ ফেলে না দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
২. নতুন তোষক বালিশ আনলেও সেগুলো তে ধরতে পারে দু'ভাবে
ক . আশে পাশের দরজার চিপা, মেঝের ফাটল, বিদ্যুতের সকেটের ছিদ্রে এরা বহুদিন টিকে থাকে। আপনি সব ফেলে মেঝেতে চাদর বিছিয়ে ঘুমালেও, মেঝেতে অন্ধকারের চলে আসবে। এর সমাধান পরে দিচ্ছি।
খ. অন্য কাউকে আপনার বিছানাতে বসতে দিবেন না। ঢাকা শহরের বাসের সিট গুলো, যা কাপড় বা কটনের কাভার, সাবধানে বসুন, এগুলোতে ছারপোকা আছে। হোটেলে রাত কাটাবেন, বাধ্যতামূলক ছার পোকা পাবেন।
৩ . চক মেরে কাজ হবেনা। কেরোসিন কাজ করে কিন্তু তীব্র গন্ধ ছড়াবে। সামনাসামনি মারার জন্য এরোসল জাতীয় স্প্রে খুব কার্যকরী। বাজারে তরল কী ধরনের পেস্টিসাইড আছে জেনে, দেয়াল দরজার যত ফাক ফোকর আছে দিতে হবে, এক সপ্তাহ পর পর অন্তত এক মাস।
৪. গরম পানি, প্রচন্ড গরম বাষ্প খুব কার্যকরী।
৫. নতুন খাট, বালিশ, জাজিম কেনার পর বালিশ এবং তোষক এরকম খাজহীন, ভাজহীন ভিনাইলের কাপড়ে চেইনবন্দী করতে হবে। দর্জির কাছে ভাল শক্ত কাপড় ওর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিন। খাজ, ভাজ যেন না থাকে যাতে ছারপোকা বাসা করতে পারে্ এবং অবশ্য সাদা কাপড়ের হতে হবে। বালিশও এভাবে চেইনবন্দি করে তার উপর কাভার দিবেন।
৬. মেঝে থেকে ছারপোকা যাতে আসতে না পারে, প্রতিটা খাটের পায়া তে এটা বসাবেন, এই সাদা প্লাস্টিক বাটি গুলো যেন ২ লেয়ার হয়, কিছু ট্যালকম পাউডার ছিটিয়ে দিবেন, ছারপোকা পাউডার জাতীয় পদার্থে চলতে পারেনা।
সজাগ থাকবেন, চোখ কান, তোষক উল্টে দেখবেন মাঝে মাঝে, আপনার ঘুম আরামদায়ক হোক।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০১
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। খুবই উপকারি লেখা। ভাল থাকবেন।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৪
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আরেকটা বিষয়, ছারপোক আপনার শরীরের উত্তাপ এবং নিঃশ্বাস থেকে ছাড়া কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে আকৃষ্ট হয়। বাসার যত কাপড় আছে সব এক সাথে একদিনে গরম পানিতে চুবিয়ে রেখে পরে ধুয়ে ফেলতে হবে, যাতে একটি ডিম ও অবশিষ্ট না থাকে্।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০২
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো বলেছেন।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৬
অদ্ভুত বলেছেন: এরা কাপড় আর কাঠের ফাঁকে থাকে। এমনকি জুতা স্যান্ডেলেও থাকে। মশারীতেও অনেক থাকে। গরম পানি, আগুন ছাড়া খুব একটা মরে না। যেদিন অভিযান চালাবেন পুরা বাড়ি ঘরে একসাথে। পরিষ্কার পরিছন্ন থাকলে ছারপোকার উপদ্রব কমে। তোশকে একবার ছারপোকা লাগলে সেটাকে ছারপোকা মুক্ত করা প্রায় অসম্ভব, তাই তোশক পুড়িয়ে ফেলা উচিত। কাঠের আসবাব এমনকি কাঠের ইলেক্ট্রিক বোর্ডের মধ্যেও এরা লুকিয়ে থাকে। কাঠ থেকে বানানো হয় যেমন বইয়ের মধ্যেও থাকে।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২১
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: খুবি ভয়াবহ ব্যপার, জানিনা কি অবস্থায় আছে। আপনাদের কথা শুনে ভয়ে তো খুঁজতেও সাহস পাচ্ছিনা, এখন মনে হয় সব জায়গায় আছে।
ধন্যবাদ ভাই
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: পলিথিন বা Rexin বেড সিট হিসেবে ব্যাবহার করুন। এগুলো New market এ পাওয়া যায়। it is the ultimate solution.
মর্টার নামে একটা কীটনাশক আছে খুবই effective. it will secure u for six month, i applied the insecticide & still enjoying the effectiveness. Anyway u will find it at Gulistan Krishi Market near BRTC terminal.
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: বেড কভারে বিকল্প নাহয় পলিথিন বা Rexin ব্যবহার করলাম কিন্তু তোষক এর বিকল্প কি হতে পারে- এরা তো থাকেই ওখানে। হয় তো সব কিছু নতুন করেই করতে হবে, পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০১
ফুরব বলেছেন: ধরে ধরে খেয়ে ফেলেন কয়দিন পরে দেখবেন খাওয়ার জন্য একটাও অবশিষ্ট নাই।।