![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিমান ছিনতাই এর ঘটনা নিয়ে তেমন কোনও বিশ্লেষন করে পোস্ট দেই নাই। আমি কোনও বিশ্লেষকও না, আবার সেলিব্রেটিও না। মিন্তু তারপরও কয়েকটা ছোট ভাই আজ নক দিয়ে বলতেছে ভাই কিছি লিখলেন না। যাই হোক মূল কথায় আসার আগে কাল থেকে আজ পর্যন্ত কয়েকটা সরকারি বানী শুনে আসি।
বানী নাম্বার
১ঃ আসামির হাতে খেলনা পিস্তল ছিলো।
২ঃ আসামি গুলি ছুড়েছিলো।
৩ঃ আসামি নিবৃত করতে যৌথ কমান্ডো গুলি করে।
৪ঃ আসামি গুলি করে নাই, পটকা ফুটিয়েছে।
৫ঃ আসামির বুকে বোম্ব ছিলো।
৬ঃ পিস্তলটা খেলনা ছিলো কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না, যা তদন্ত সাপেক্ষ।
৭ঃ এয়ারপোর্টে সিকিউরিটি ব্রিচের প্রমান পাওয়া যায় নাই।
আমার প্রশ্ন ও বিশ্লেষনঃ
১ঃ খেলনা পিস্তল নিলো কিভাবে? যেখানে এয়ারপোর্টের সিকিউরিটি ব্রিচের প্রমানই পাওয়া গেলো না। তাহলে অবশ্যই এয়ারপোর্টের সিকিউরিটি কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘাপলা আছে বা তারা দূর্নীতিবাজ।
২ঃ যদি খেলনা হয়ে থাকে তাহলে কমান্ডো বাহিনি ছাড়া গুলি ছুড়লো কে? আচ্ছা মানলাম পটকা ফুটিয়েছে। তো পটকাটা নিলো কিভাবে? আবারও সেই সিকিউরিটির প্রশ্ন।
৩ঃ আসামি বুকে যদি বোম্ব থাকে তাহলে তার বডিতে যখন শুট করা হলো তাহলে তো সেটা ব্লাস্ট হওয়ার কথা। সেটা হলো না ক্যানো? এবার আসি সব থেকে ইন্টারেস্টিং ম্যাটারে। আসামির বুকে বোম্ব বাধা থাকলো আর এয়ারপোর্টে মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পরলো না। পায়ুপথের ভিতর থেকে সোনা বের করে নিয়ে আসে, আর বুকের বোম্বটা ধরা পরলো না? অবাক করা ব্যাপার।
৪ঃ আজকে মন্ত্রী মহোদয় বললেন পিস্তল খেলনা কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। সিরিয়াসলি ম্যান? আসামি মারা যাওয়ার পর তার হাতের পিস্তল আর্মি এবং এয়ারফোর্সের কমান্ডো দল হাতে নিয়ে বুঝতেই পারলো না এটা খেলনা না কি আসল? এটা কি সম্ভব? এটা বুঝার জন্য এখন উচ্চ পদস্থ তদন্ত কমিটি করতে হবে যে শুধু পিস্তলটা আসল না কি নকল এটা বুঝার জন্য?
মন্ত্রি আবার বললেন সিকিউরিটি ব্রিচের প্রমান পাওয়া যায় নাই। ভালো কথা। কিন্তু তাহলে এই ব্যাপারগুলো ঘটলো কিভাবে? তাহলে অবশ্যই কোথাও না কোথাও সিকিউরিটি লিকেজ আছে। এটা স্বীকার করতে এতো বাহানা ক্যানো?
পরিশেষে, এদেশে ঘটনা ঘটে, তদন্ত কমিটি গঠন হয়, তারপর কোনও এক অজানা কারনে সেই তদন্ত রিপোর্ট আর কখনোই প্রকাশ পাই না। আর সব থেকে বড় কথা। গত ১০ বছরে লীগের অর্জন ধুলিঃশাত করার জন্য কিছু কিছু মন্ত্রীর অহেতুক কথা কাল হয়ে দাড়িয়েছিলো, এই নতুন মন্ত্রীসভার কয়েকজনও তাদের সিনিয়রদের থেকে নিজেকে বদলাতে পারি নাই। যেমনটা পারে নাই আমাদের শিল্পমন্ত্রী। সেই সাথে যুক্ত হলো বিমান প্রতিমন্ত্রী। আগামী ৫ বছর ভালো কাজের উৎসাহ যেমন দিবো তেমনি খারাপ কাজ আর কথার জন্য ধুয়ে ছেড়ে দিবো। যেমন উৎসাহ দিয়েছিলাম দুই শিক্ষামন্ত্রীকে এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁস না হওয়ায়।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ছোট ছোট সমস্যা থেকেই বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই সমস্যা ছোট থাকতেই সমাধান করা দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৭
আরোগ্য বলেছেন: ভাষার মাসে সরকারি কতৃপক্ষ ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। কি রেখে কি বলছি কোন সংযোগ নেই।