নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঘুরে যেতে পারে অবহেলিত মানুষের ভাগ্য!!

২৮ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৪



শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোন অথরিটি। সম্প্রতি জেলার প্রস্তাবিত এলাকা সমূহ পরিদর্শন করেছেন অথরিটির এডভাইজাররা। অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার খবর শুনে আনন্দ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে। শরীয়তপুরের জাজিরা ও গোসাইরহাট উপজেলায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠনো হয়েছিল। প্রস্তাবের আলোকে বিগত বুধবার, 27 জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০টায় গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের চর জালালপুর মৌজার একটি প্রস্তাবিত এলাকা পরির্দশন করেন বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোন অথরিটির এডভাইজার অভিশেক মুখার্জি ও টি সত্য মুর্তি। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসির উদ্দিন, শরীয়তপুর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জণ দেবনাথ, আলাওলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন। ওই মৌজায় প্রায় ২ হাজার ৩শ একর খাস জমি রয়েছে। তার মধ্য থেকে প্রায় সাড়ে ৭শ একর জমিতে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে, অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের জন্য পরিদর্শনের খবর শুনে সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দ ও উদ্দিপনার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু পরিদর্শণের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না আসার কারণে মানুষের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

সেই সময় পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোন অথরিটির এডভাইজার অভিশেক মুখার্জি বলেন, একটি অর্থনৈতি অঞ্চল গঠনের জন্য আমরা ইনিশিয়াল সাইড অ্যাসেসমেন্ট করতে এসেছি। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা একটি প্রতিবেদন দেব। সরজমিন ঘুড়ে প্রস্তাবিত এলাকা অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে পজেটিভ মনে হয়েছে।

এ এলাকায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন সম্ভব। চর জালালপুর এলাকাটি শরীয়তপুর তিনটি উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী চাদপুর জেলার মধ্যবর্তী স্থান। এছাড়া পাশে বড় নদী থাকায় কম খরচে যে কোনো পণ্য বা কাঁচামাল পরিবহনে সুযোগ রয়েছে।

‘ইপিজেড’ হলে গোসাইরহাট বাসীর কি কি লাভ হতে পারে। কর্মসংস্থান হবে 50 হাজারের ওপরে। এর মধ্যে দেখা যাবে, বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি হবে পোশাক শিল্পে, চাকরির সংস্থানও সবচেয়ে বেশি পোশাক শিল্পে। এ শিল্পে মোট 50 হাজারের মধ্যে কর্মসংস্থান হবে প্রায় 20 হাজরের। জাপান, ফ্রান্স, জামার্নি এবং আমেরিকাসহ অনেক দেশ ওইসব ইপিজেডে বিনিয়োগ করবে।


এবার অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করা দরকার। ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে গিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। নদী ও পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন গড়া যাবে না। কারণ এতে বসতি ভাঙা পড়তে পারে। প্রত্যেক শিল্পকারখানায় ইটিপি/এসটিপির সুবিধা থাকতে হবে যাতে বর্জ্য অন্যত্র যেতে না পারে। এসব অঞ্চলের পাশে জলাধার



সরকার অধিক জনসংখ্যার বাংলাদেশের সস্তা শ্রমকে কাজে লাগাতে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য কাজ শুরু করেছ। নতুন গড়ে তোলা এসব অর্থনেতিক জোনে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার জাতীয় অর্থনীতিতে উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধির সঞ্চার করতেই দেশজুড়ে এই অর্থনৈতিক জোট প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু
সরকারের এ প্রক্রিয়া ও আহব্বানে ইতিমধ্যে দেশে বিদেশে পড়েছে সায় সাড়াও। যার ধারাবাহিকতায় রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভুটান ও তৎসংগ্লন্ন দেশগুলোকে ঘিরে এ প্রক্রিয়া প্রকল্পের বাস্তবায়ন চিন্তার প্রতিফলন প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে আন্ত:এশিয়ার যোগাযোগ ও অংশদারিত্বের সূযোগকে কাজে লাগাতে হানড্রেট ইকোনমিক্স জোন প্রতিষ্টার কর্মসূচী ঘোষনা করেছেন।

পরিশেষে আমরা আশা করি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.