নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

অটোমান সাম্রাজ্য নিয়ে DW পত্রিকার মিথ্যাচার এবং আমার জবাব।।

৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০০



জার্মান ভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা dw এর মিথ্যাচার নিয়ে প্রায়শই ব্লগে পোষ্ট দেখি। এগুলো আমলে নেই নাএখানে দেখুন পাশ কাটিয়ে যাই। কারণ প্রত্যেক পত্রিকা প্রকাশের পিছনে একটি দর্শণ (প্রে-পাগান্ডা) থাকে এবং সে দশর্ণের ভাবধারা প্রচার করতে গিয়ে মাঝে মাঝে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। আজকে আমার নিজ চক্ষু মোবারক দিয়ে একটি সংবাদ দর্শণ লাভ করলাম ( উপরের ছবির দিকে তাকান।

লাল কালি দ্বারা আবৃত অংশে লেখা আছে " ছয় শতাব্দী ধরে অটোমান সাম্রাজ্য মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় রাজত্ব করে।"

আপনারা কি বলেন, অটোমান সাম্রাজ্য কি শুধু মধ্যপ্রাচ্য আর উত্তর আফ্রিকায় বিস্তৃত ছিল? ইউরোপে ছিল না? অটোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্র যেখানে ইউরোপে ছিল সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপ কে পাশ কাটানোর উদ্দেশ্য কি?

এবার আসুন অটোমান সাম্রাজ্যের ব্যাপারে ইতিহাস কি বলে:



অটোমান সাম্রাজ্যের
বিস্তৃতি ছিল উত্তর আফ্রিকার তিউনিসিয়া থেকে ইউরোপের হাঙ্গেরী, রাশিয়ার ক্রিমিয়া থেকে পূর্বে জর্জিয়া পর্যন্ত।আর আরবের ইয়েমেন পর্যন্ত। তাহলে এভাবে বলা যায়, ইউরোপের অস্ট্রিয়ান বর্ডার ও এশিয়ায় রাশিয়া ও ইরান বর্ডার পর্যন্ত।
১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে বিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল।১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩২টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।
দ্বিতীয় মুরাদের ছেলে দ্বিতীয় মুহাম্মদ রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন করেন। ১৪৫৩ সালের ২৯ মে দ্বিতীয় মুহাম্মদ কনস্টন্টিনোপল জয় করেন। উসমানীয়দের প্রতি আনুগত্যের বিনিময়ে ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চকে তার কার্যক্রম চালু রাখার অনুমতি দেয়া হয়। পশ্চিম ইউরোপের রাজ্যগুলোর সাথে বাইজেন্টাইনদের সম্পর্ক খারাপ ছিল বিধায় অধিকাংশ অর্থোডক্স জনগণ ভেনেসিয়ানদের পরিবর্তে উসমানীয়দের অধীনে থাকাকে সুবিধাজনক মনে করে। ইটালিয়ান উপদ্বীপে বাইজেন্টাইনদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল আলবেনিয়ানদের প্রতিরোধ।


১৬৫৪ সালের অটোমান সাম্রাজ্যের মানচিত্র

১৫শ ও ১৬শ শতাব্দীতে উসমানীয় সাম্রাজ্য বিস্তৃতির যুগে প্রবেশ করে। নিবেদিত ও দক্ষ সুলতানদের শাসনের ধারাবাহিকতায় সাম্রাজ্য সমৃদ্ধি লাভ করে। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য রুটের বিস্তৃত অংশ নিয়ন্ত্রণ করার কারণে সাম্রাজ্য অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করে।
সুলতান প্রথম সেলিম পারস্যের সাফাভি সম্রাট প্রথম ইসমাইলকে পরাজিত করে দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে সাম্রাজ্যের সীমানা বিস্তৃত করেন। তিনি মিশরে উসমানীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও লোহিত সাগরে নৌবাহিনী মোতায়েন করেছিলেন। উসমানীয়দের এই সম্প্রসারণের পর পর্তুগিজ সাম্রাজ্য ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে এই অঞ্চলের প্রধান পক্ষ হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
সুলতান প্রথম সুলাইমান ১৫২১ সালে বেলগ্রেড জয় করেন এবং উসমানীয়-হাঙ্গেরিয়ান যুদ্ধের এক পর্যায়ে হাঙ্গেরি রাজ্যের দক্ষিণ ও মধ্য অংশ জয় করে নেয়া হয়। মোহাচের যুদ্ধে জয়ের পর তিনি বর্তমান হাঙ্গেরির পশ্চিম অংশ ও মধ্য ইউরোপীয় অঞ্চল ছাড়া বাকি অংশে তুর্কি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৫২৯ সালে তিনি ভিয়েনা অবরোধ করেন তবে শহর জয় করতে ব্যর্থ হন। ১৫৩২ সালে তিনি পুনরায় ভিয়েনা আক্রমণ করেন তবে গুনসের অবরোধের পর তিনি ব্যর্থ হন। ট্রান্সিলভানিয়া, ওয়ালাচিয়া ও মলডোভিয়া উসমানীয়দের অনুগত রাজ্যে পরিণত হয়।। পূর্বে দিকে উসমানীয়রা পারস্যের কাছ থেকে বাগদাদ দখল করে নেয়। ফলে মেসোপটেমিয়া ও পারস্য উপসাগরে নৌ চলাচলের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আসে।
উসমানীয় সাম্রাজ্য ও ফ্রান্স হাবসবার্গ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং শক্তিশালী মিত্রে পরিণত হয়। ফরাসি ও উসমানীয়রা যৌথ প্রচেষ্টায় ১৫৪৩ সালে নাইস ও ১৫৫৩ সালে করসিকা জয় করে নেয়। নাইস অবরোধের এক মাস আগে এজতেরুগুম জয়ের সময় ফ্রান্স উসমানীয়দেরকে গোলন্দাজ ইউনিট দিয়ে সহায়তা করেছিল। উসমানীয়রা আরো সামনে অগ্রসর হওয়ার পর হাবসবার্গ শাসক ফার্ডিনেন্ড ১৫৪৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উসমানীয়দের বশ্যতা স্বীকার করে নেন।
১৫৫৯ সালে প্রথম আজুরাম পর্তুগিজ যুদ্ধের পর উসমানীয় সাম্রাজ্য দুর্বল আদাল সালতানাতকে সাম্রাজ্যের অংশ করে নেয়। এই সম্প্রসারণ সোমালিয়া ও হর্ন অব আফ্রিকাপর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পর্তুগিজদের সাথে প্রতিযোগীতার জন্য ভারত মহাসাগরে প্রভাব বাড়ানো হয়।
প্রথম সুলাইমানের শাসনের সমাপ্ত হওয়ার সময় সাম্রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫,০০০,০০০ এবং তিন মহাদেশব্যপী সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। উপরন্তু সাম্রাজ্য একটি শক্তিশালী নৌ শক্তি হয়ে উঠে। ভূমধ্যসাগরের অধিকাংশ এলাকা উসমানীয়রা নিয়ন্ত্রণ করত। এই সময় নাগাদ উসমানীয় সাম্রাজ্য ইউরোপের রাজনৈতিক পরিমন্ডলের বৃহৎ অংশ হয়ে উঠে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব রোমান সাম্রাজ্যেরসাথে তুলনা করা হয়।

সূত্র: ইউকিপিডিয়া এবং অন্যন্য সাইট থেকে নেয়া।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রত্যেক পত্রিকা প্রকাশের পিছনে একটি দর্শণ (প্রে-পাগান্ডা) থাকে এবং সে দশর্ণের ভাবধারা প্রচার করতে গিয়ে মাঝে মাঝে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে। ;)

+++

৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে উৎসাহ এবং অনুপ্রাণিত হলাম।

২| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

রাজসিংহ বলেছেন: প্রত্যেক পত্রিকা প্রকাশের পিছনে একটি দর্শণ (প্রে-পাগান্ডা) থাকে এবং সে দশর্ণের ভাবধারা প্রচার করতে গিয়ে মাঝে মাঝে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে।
DW পত্রিকার প্রো -পাগান্ডা আমরা নিশ্চয়ই বুঝে গেছি এতোদিনে।

৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ দিন দিন শিক্ষিত ও আধুনিক হয়ে উঠছে। এখন ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাস বিকৃত করে সব মানুষ কে গিলানো সম্ভব নয়।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কত পত্রিকায় তো মিথ্যা লেখে আমাদের চোখে কয়টাই বা পড়ে।

৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মিডিয়ার মিথ্যা গিলানো নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়য় সাধারণ জনগন মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নতুন করে ভাবতে হবে।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: অটোমান সম্রাজ্য নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট দিচ্ছি যেখানে অটোমানদের ইয়োরপ জয় ও শাসন নিয়ে অনেক তথ্য আছে, চাইলে নজর বুলাতে পারেন

৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমি আপনার পোষ্ট ধারাবাহিকভাবে পড়ি এবং মন্তব্য না করতে পারলেও লাইক দিয়ে যায়।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো যে, আপনি খেয়াল করেছেন; না হয় অটোম্যনাদের কোটী কোটী ট্যাক্স ডলার হাতছাড়া হয়ে যাবার অবস্হা হয়েছে।

৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখন আর ইউরোপের বিশাল অংশ অটোমান দের নিয়ন্ত্রণে নেই তাই ট্যাক্স আর ডলারের প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু ইউরোপীয়নরা কৌশলে ইউরোপে এক সময়কার প্রতাপশালী অটোমান সাম্রাজ্য কে অস্বীকার করতে চায়। যা এক প্রকার ইতিহাস বিকৃতির সামিল।

৬| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:২০

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ইতিহাস বিকৃত করতে চাইলেও তা তাদের নিজেদের কাছেই বিকৃত থাকবে। আর মাঝে মাঝে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া এটা কোন ধরনের দর্শন?
এমন দর্শনধারীরা পরিত্যাজ্য নয় কি?
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই

৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখন আর মানুষ আঠার কিংবা উনিশ শতকে নেই, তারা (ইউরোপীয়রা) যা ইচ্ছা মনগড়া প্রকাশ করবে আর পাব্লিক সেগুলো গিলতে থাকবে। এখন প্রত্যেক মানুষের কাছে একটি মিডিয়া আছে, সেটি সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে তারা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এখন আর বিকৃত করে ইতিহাস বলার সুযোগ নেই। কারো না কারো কাছে তা ধরা পড়বেই। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০০

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: উসমান বে যখন তারা সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন তখন ইউরোপ মধ্যযুগের অন্ধকারে আচ্ছন্ন,কোন্দল,
ধর্মান্ধতা,কুসংস্কার,মূর্খতা,অসুস্থতা তাদের আষ্টেপ্ঋষ্টে জড়িয়ে ফেলেছে।
উসমানের সন্তানদের আগে মুসলিমরা কখনোই সত্যিকার ভাবে ইউরোপে প্রবেশ করতে পারে নাই,স্পেন বিজয় ছিল বলতে গেলে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা,ভৌগোলিকভাবে স্পেন ইউরোপের একটা কর্নারে অবস্থিত,ইউরোপের রাজধানী ছিল পূর্বে,কনস্টান্
টিনোপলে,ইউরোপের মস্তিষ্ক ছিল রোমে,ইউরোপের দরজা ছিল ভিয়েনাতে।
একদল যাযাবর থেকে উসমানীয়রা ধীরে ধীরে পুর্ব ইউরোপের কব্জা নিয়ে নিল মাত্র ৯৭ বছরের ভেতর,তারপর তাইমুরের লোহার মত হাত তাদের গুড়িয়ে দিয়ে ফিরে গেল,৯৭ বছরের গড়া সাম্রাজ্যকে আবার দাড় করাতে উসমানের সন্তানদের সময় লাগলো ৪৯ বছর।
তারপরের ১১৫ বছরে তারা ইউরোপের তিনভাগের এক ভাগ নিজেদের পায়ের তলায় নিয়ে এসেছিল,ওদিকে আফ্রিকার গোটা সভ্য অন্ঞল,মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্র ছিল তাদের পতাকার নিচে,উমাইয়া খিলাফতে বা আব্বাসীয় খিলাফতের মত সুবিশাল না হলেও নিজেদের সাফল্যের শিখরে উসমানীয় খিলাফত ছিল দুনিয়ার কেন্দ্রীয় চরিত্র,চ্যাম্পিয়ন সুপারপাওয়ার।
কিন্তু ক্ষমতার শীর্ষে উঠার পরপরই বিলাসিতা ছেকে ধরে তাদের,উসমানীয় সুলতানরা যখন প্রাসাদ নির্মান করছিলেন,ইউরোপ তখন ক্রুসেডের ছাই থেকে জেগে উঠে রেনেসা শুরু করেছে।
সুলেইমান আলীশানের পরবর্তী সুলতানরা যখন মদ আর নারীতে ডুবে গিয়ে একটু একটু করে নিজেদের সাথে সাথে মুসলিমদের কবর খুড়েছে,তখন ইউরোপ রেনেসার আলোতে আলোকিত হয়ে একে একে জন্ম দিয়েছে কেপলার,গ্যালিলি
ও,নিউটন,বয়েল আর ওয়াট দের।অটোমানদের ইতিহাস পর্যবেক্ষন করলে বোঝা যায় কিভাবে একটা জাতির উত্থান ও পতন ঘটে,কিভাবে আমেরিকার উপকূল থেকে শুরু করে ফিলিপাইন পর্যন্ত ভেসে বেড়ানো এক দুর্ধর্ষ নৌ শক্তি একটু একটু করে একটা সময়ে নিজের রাজধানী রক্ষা করতেও অক্ষম হয়ে পড়ে,কিভাবে শিল্পের চাইতে বিজ্ঞান গুরুত্বপুর্ন হয়ে ওঠে,কিভাবে সাম্রাজ্যবাদের যুগ শেষ হয়ে উপনিবেশবাদ,পুজিবাদ ও শেষে জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে।
অটোমানদের শাসনপদ্ধতি পর্যবেক্ষন করে বোঝা যায় কিভাবে একটা শাসনের অধীনে অন্তত বিশটা ভিন্ন ভিন্ন সংস্ক্ঋতির লোকের জন্য ন্যায়বিচার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছিল,এবং কিভাবে তা ধীরে ধীরে সেকেলে হয়ে গেছিল শুধুমাত্র চিন্তার জগতে মুসলিমদের ব্যর্থতার কারনে।
বর্তমান দুনিয়ার ভূ-রাজনীতি বুঝতে হলেও আপনাকে অটোমানদের ইতিহাস জানতে হবে।যারা জেরুসালেমের ক্রুসেডকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ইউরোপের একেবারে বুকের ওপর,যাদের পতন গত একশো বছর ধরে প্ঋথিবীকে বাধ্য করেছে পরাশক্তির ভোগবিলাসের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে।
ফিলিস্তিন সমস্যা,মধ্যপ্রাচ্যের ভুরাজনীতি এবং ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়া-আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য নীতি বুঝতে হলেও,অটোমানদের কাছে আপনাকে আসতেই হবে।

#উসমানীয়া_খিলাফত
#Ottoman_Empire

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ, এখানে অনেকগুলো নতুন তথ্য উপস্হাপন করেছেন।

৯| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ, এখানে অনেকগুলো নতুন তথ্য উপস্হাপন করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.