নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ কার জন্য?

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩১


মানুষের নিত্য নতুন আবিস্কারের নেশা সেই আদিকাল থেকেই। আবিস্কারের বন্ধ জানালা খুলতে খুলতে আমরা এখন অত্যাধুনিক যুগে আছি। সামনে হয়ত অজানার নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। কিন্তু মানুষ তার নিজেকে নিজের আবিস্কারের যে মহৎ দায়িত্বটা রয়েছে তা রয়ে যাবে সেই আদিকালের পথে। আচ্ছা বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আপনি নিজেকে নিজে কতটুকু আবিস্কার করেছেন? উত্তর যা আসবে তা হলো "কিঞ্চিৎ" । এমনো মানুষ রয়েছে যারা তার সহধর্মীনীর সাথে চল্লিশ বছর এক সাথে ঘর সংসার করার পরেও তাকে নতুন করে প্রতিনিয়ত আবিস্কার করতে হয়, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ধাঁধায় পরতে হয়। এ যেন চোখের প্রস্ফুটিত আলোর পাশে বিশাল কৃষ্ণ গহব্বর।

মানুষ নিজেকে নিজে আবিস্কার না করার কারণেই পৃথিবীতে ধর্মের আগমন ঘটেছে। ধর্মগুরুরা নিজেকে আবিস্কার করতে গিয়ে ধর্মের পথ ও মত খুঁজে পেয়েছেন। তারা এই..ও খুঁজে পেয়েছে যে, দুনিয়াতে নিজেকে পুরাপুরি আবিস্কার করা সম্ভব নয়, নিজেকে পুরাপুরি আবিস্কার করতে হলে আত্মাকে পরকালের প্রতি ডাইভারশন করতে হবে। সেজন্য আল্লাহ, খোদা বা ঈশ্বরকে অলীক, অচিন্তনীয় মেনে নিয়ে তাকে সর্বময় ক্ষমতার উৎস ভাবতে হবে। এবং সেই ঈশ্বরের রুটিন মেনে চললে বা না চললে পরকালে নিজেকে দুইভাগে আবিস্কার করবে-
এক. জান্নাতি।
দুই. জাহান্নামী ।

বিপরীত দিকে,
বাস্তুবাদী নাস্তিকরা আবার এই "ঈশ্বর তত্ত্বের" ঘোর বিরোধী । তাদের প্রধান যুক্তি হলো, কাউকে না দেখে, না বুজে, না প্রমাণ করে, তাকে সৃষ্টকর্তা, পালনকর্তা এবং সর্বময় শক্তির উৎস ভাবা নিরর্থক ও বোকামী । এবং ঈশ্বরের নাযিলকৃত কল্পিত বিধিবিধান ফ্যান্টাসি । এগুলো যারা পালন করে তারা বোকার রাজ্যে বসবাস করে। তাদের সবচেয়ে তীব্র আপত্তি হলো পরকালীন জীবন যেমন- কিয়ামত, শেষ বিচার, জান্নাত এবং জাহান্নাম। তাদের মতে, কিয়ামত, হাশর, পুলসিরাত, জান্নাত বা জাহান্নাম রুপকথা । এই রুপকথা যারা অন্তরে ধারণ করবে তারা দুনিয়া থেকে গাফেল হয়ে যাবে, যা একজন মানুষের জন্মকে নিরর্থক করে দেয়।

অপর দিকে, ধর্মকামীরা মনে করে, মানব জন্মের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ঈশ্বরকে জানা এবং তারা ইবাদত করা। যারা ঈশ্বর কে অস্বীকার করবে তারা দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এবার আসুন জেনে নেই এই সম্পর্কে সত্যের ছায়া কি জানেঃ

নাস্তিকদের পরকালীন জীবন সম্পর্কে আলোকপাতঃ
নাস্তকদের কথায় ধরে নিলাম সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই। তাই সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করে জীবন যাপন করলাম। তারপর একদিন মৃত্যু বরণ করলাম। মৃত্যুবরণ করার পর যদি দেখি সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই তাহলে আমি বেঁচে গেলাম। আর যদি মৃত্যুবরণ করার পর দেখি সত্যি সত্যি একজন সৃষ্টিকর্তা আছে এবং তিনি আমাকে বিচারের মুখোমুখি দাড় করিয়েছেন, তখন আমার কি অবস্থা হবে? তখন কি নাস্তিকরা আমাকে তার (খোদার) হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন? বা তারা কোন উপকারে আসবে? তাই সৃষ্টিকর্তা থাকার সম্ভাবনা যদি এক পারসেন্টও সত্যি হয় তাহলে তাকে বিশাস করতে হবে।

সাধারণ ধর্মকামীদের সম্পর্কে আলোকপাতঃ
ধর্মকামীরা প্রায় ডেলিভারী দেয়, "দুনিয়াতে যারা ঈশ্বর কে অস্বীকার করবে তার দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।" ইহা আংশিক বাদে পুরোটা গাঁজাখুরি কথা। কারণ, অবিশ্বাসীদের জন্যই পৃথিবী, তারা দুনিয়াতে খেয়ে দেয়ে আমোদ ফূর্তি করে বেড়াবে। ঈশ্বরের আইন কে থোরাইকেয়ার করবে, সীমালংঘন করবে। সীমালংঘন করার মাঝেই দুনিয়াতে প্রকৃত সুখ নিহিত । আর প্রকৃত সুখ মানেই জান্নাত। সুতরাং, ধর্মকামীরা যে আবাল ডেলিভারি দেয় তা সম্পূর্ণ অজ্ঞতার ফল।
অর্থাৎ, অবিশ্বাসীদের জন্যই পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত নয় ।

এখন বলতে পারেন কাদের জন্য পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত?
উত্তর হবে, যারা আল্লাকে বিশ্বাস করার পরেও তার হুকুম আহকাম ঠিকমতো পালন না করে তাদের জন্য দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় ক্ষতিগ্রস্ত ।

আপ্নারা কি বলেন?

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০১

কানিজ রিনা বলেছেন: আমি তুমি নই, তুমি থেকে আলাদা ও নই।
আমি তোমা হতে এসেছি আবার তোমাতেই
ফিরতে হবে। কেন এসেছি, কি তার কারন,
কেনইবা ফিরে যেতে হবে।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যারা জানে এবং যারা জানেনা তারা সমান নয়। অপর দিকে একজনের দেখিয়ে দেয়া পথ আরেক জনে মানতে বাধ্য নয়। সমস্যা হলো আমরা পরস্পর বিরুদ্ধাচরণ করি, যা মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তারক্তি ঘটাচ্ছে।

সব আত্মাই অসীমের সন্ধানে থাকে। আর মানব আত্মা সব সময় পরম আত্মার জন্য ব্যাকুলতা প্রকাশ করে, পরম আত্মার সাথে বিলীন হতে চায়। এই বিলীন হতে গিয়ে মানুষ নানা পথ ও মতের সৃষ্টি করেছে। কেউ আবার সে পথে নিজের ব্যক্তি উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য নানা উপগ্রুপের সৃষ্টি করছে। ফলে মানুষ দিন দিন সন্দিহান হচ্ছে আল্লাহ কোন পথে?

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৬

বলেছেন: আপনার লেখাটা মনকে স্পর্শ করলো। খুব তীব্র কিছু অনুভূতি খুব সহজ ভাষায় বলেছেন

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নাস্তিকদের নিকট সৃষ্টিকর্রতা একটি তাত্ত্বিক ধারণ আর আস্তিকদের নিকট সব কিছু। সমস্যা হলো উভয় মতই প্রমান সাপেক্ষ নয়। আস্তিকরা আল্লাহ কে মেনে নিয়ে উপলদ্ধি করে আর নাস্তিকরা তাকে অবিশ্বাস করে অনুভূতিহীন থাকে। আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কোন পথে থাকবো ।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুনিয়াতে আস্তিক/নাস্তিক দুই পক্ষের জন্যই সুখ/দুঃখ/ঝামেলা/বিপদ বিদ্যমান। এগুলো ব্যাখ্যাহীন। মাথা ঘুরাবে...

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিশ্বাস আর অবিশ্বাস পরস্পর বিপরীতমুখী। সুখ এবং দুখ আবেগ এবং অনুভূতির বিষয় । এগুলো পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর নির্রভর করে। ঝামেলা এবং বিপদ আপদ কিছু মানুষের এবং কিছু প্রকৃতির বা খোদাতালার সৃষ্টি ।

মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে সত্যকে জানার।

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার

ভাইয়ের সাথে সহমত।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি সুখী মানুষ। অন্যের মতের উপর সহমত জানানো কম কথা নয়। তাছাড়া সহ মতে সবায় এক হতে পারেনা।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৩

শামচুল হক বলেছেন: যারা আল্লাকে বিশ্বাস করার পরেও তার হুকুম আহকাম ঠিকমতো পালন না করে, তাদের জন্য দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় ক্ষতিগ্রস্ত । কথা ঠিক

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের বুঝতে হবে দুনিয়াতে কিসের মূল্য রয়েছে বা দুনিয়ায় মানবাত্মা কিসের জন্য পাগল। একজন আস্তিকের মন, হাত, পা বাঁধা থাকে ফলে চাইলেই সে সব কিছু করতে পারেনা বা ঈশ্বরের আদেশ লঙ্ঘন করতে পারেন । অপর দিকে নাস্তিকরা চাইলেই ঈশ্বরের আদেশ লঙ্ঘন করে ইচ্ছামত চলাফেরা করতে পারে। ফলে দুনিয়াতে সে মানব সীমারেখার মধ্যে অসীম স্বাধীনতা ভোগ করে।
তাই ধার্রমিক হলে পুরোপুরি ধার্রমিক হও, যাতে তুমি পরকাল বলতে যদি কিছু পাও তাতে তুমি অসীম স্বাধীনতা ভোগ করতে পারো।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৮

হযবরলঃ বলেছেন: তাই সৃষ্টিকর্তা থাকার সম্ভাবনা যদি এক পারসেন্টও সত্যি হয় তাহলে তাকে বিশাস করতে হবে।

বিশ্বাস হলো মনের ব্যাপার, তাই চাইলেই কি বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করা যায়?

যদিও ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাসের ব্যাপার। কিন্তু আপনার ভালমতই জানা আছে এই পৃথবীর ৯০% বা তারও বেশি মানুষের ধর্ম উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত।
কাজেই মুসলমান ব্যাতিত অন্য কোন ধর্মের মানুষ তার জন্মগত সূত্রে প্রাপ্ত সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করলে পরপারে নাস্তিকের চেয়ে কতটুকু বেশি উপকৃত হবে?

একজন মুসলিম হিসাবে এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?

১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মুসলিম দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বিচার করি তাহলে আমাকে বলতে হবে, পৃথিবীতে যদি কোন আদম সন্তান একজন সৃষ্টি কর্তাকে বিশ্বাস করলে এবং তার অনুগত্য করলো তাহলে তার জন্য সৃষ্টি কর্তা নাযাতের ব্যবস্থা করবেন। তবে ইসলামিক দৃ্র্ষ্টিকোণ থেকে সৃষ্টিকর্তার কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন: তিনি কারো সৃষ্টি নন, তাকে কেউ সৃষ্টি করেনি, তিনি কারো পিতা নন অথবা কারো সন্তানও নয়। তিনি একজন তার কোন অংশীদার বা শরীক নাই। এগুলোও মানতে হবে। বিষয়টি সূরা ইখলাসে বর্ণিত আছে।

যারা আল্লাহ্ কে অস্বীকার করলো (নাস্তিক) বা যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করলো (বিধর্মী) তারা উভয়েই মহা ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যারা আল্লাহ্র সাথে বিরোধিতায় লিপ্ত হবে এবং তার বিরুদ্ধাচারণ করবে তাদের কে আল্লাহ্ অবশ্যই পাকড়াও করবেন এবং তাদের প্রাপ্য হিসাব বুঝিয়ে দিবেন।



বিষয়টি অনেকটা দেশ মদ আর বিদেশী মদ খিলার মতো।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
'নাসটিকো' দের চিন্তা বাদ দিয়ে ধার্মিকরা আগে নিজেরা একটি সিদ্ধান্তে স্থির হোক।

সর্বশক্তিমান একজন, আল্লা বা ঈশ্বর।
কিন্তু মানবজাতির সভ্যতার আগেই যারা একটু বুদ্ধিমান তারাই বুজুর্গি করে বিভিন্ন এলাকায় লোকজন জড় করে ঈশ্বরের নামে ধ্যানে বসে গেছে, সেটাই পরে ধর্ম হয়ে গেছে।
যাদের শক্তি বেশী বা যুদ্ধে জয়লাভ হয়ে বসতে পেরেছে, টিকতে পেরেছে, সেটাই ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ছোট বড় মিলে ৪-৫ হাজার ধর্ম। ঈশ্বর নিজে কোন ধর্ম সত্য বলেন নি।
বান্দারা বা ধার্মিক বান্দারা যার যার ধর্মপুস্তকের মাধ্যমে নিজেদের পিতৃ ধর্ম কে ঈশ্বরের একমাত্র সত্য ধর্ম বলে দাবি করে।

আমার পিতামাতার ধর্ম ইসলাম। ছোটথেকে জেনে এসেছি ইসলামই সত্য। শ্রেষ্ঠ। সেভাবেই মেনে চলেছি চলছি, বাচ্চারাও সেভাবে চলছে।

কিন্তু এখন আর পারছি না,
কারন এখন শুনছি ইসলাম বিভক্ত।
আগে বলতাম 'খোদা হাফেজ', এখন বলে হারাম, হবে 'আল্লাহ হাফেজ'। জাজাকাল্লার উদয় কুনদিক দিয়ে এখনো বুঝিনি।
মিলাদ হারাম, এজতেমা হারাম, ঈদের নামাজও হারাম হওয়ার পথে (সিরিয়া-ইরাকে পাকিস্তানে শুরু হয়ে গেছে)

নবীর আমলেই নাকি ৭৩ ভাগে বিভক্ত ছিল, এখন শুধু সুন্নি মুসিলিমরাই ৭৩ এর বেশী ভাগ হয়ে গেছে। শিয়ারাও অনুরুপ।
আন্তাজি কোনটা না কোনটা মাইন্না পরে জাহান্নামি হব?

রসুল (স) নিজেই বলে গেছেন - এদের যে কোন একটি সহি। বাকিরা জাহান্নামি।
কোনটি সহি স্পষ্ট করেন নি।
সাহাবিরা অনেক চাপাচাপি করার পর বলেছেন - " সুধু আমার অনুসারিরাই সহি"
এটা অস্পষ্ট জবাব। এতে বিভক্তি আরো বেড়েছে।
কারন বিভক্ত ১৬৫ গোত্র সবাই ১০০% মোহম্মদ (স) অনুসারি।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভিন্নমত, ভিন্ন চিন্তা এগুলো মানুষের মজ্জাগত। ধর্ম বিভক্তি মানুষের স্বার্থগত। অন্য ধর্মের কথা বলতে পারবোন কিন্তু ইসলাম ধর্মে মানুষ নিজেদের গোষ্ঠীগত আলাদা বুঝাতে, নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে এবং নিজেদের পান্ডিত্য জাহির করার জন্য ধর্মগত পার্থক্য তৈরী করেছে। যার ফল এখন ভোগ করছে।

ধর্ম কে ঈশ্বর বিভিন্ন সময় আপডেট দিয়েছেন। এজন্য তিনি তিনি বিভিন্ন যুগে তার মনোনীত পুরুষদের (নবী ও রাসূল) পাঠিয়েছেন। মানুষ সে আপডেট গ্রহণ করার পর আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেত। ফলে এক সময় আল্লাহ্ তায়ালা সর্বশেষ আপডেট দিয়ে নবী মুহাম্মদ (স: ) কে পাঠিয়েছন এবং সাথে বলে দিয়েছেন এটাই (কুরআন) ফাইনাল ভার্সন, এটা আর আপডেট করা হবে না। হয় তোমরা গ্রহণ কর না হয় তোমরা বর্জণ করো।

ধর্ম একটি প্রতিষ্ঠিত রেওয়াজ, কালচার যা পারিবার থেকে শৈববে পেয়ে থাকে। যেহেতু এই শিক্ষা পরিবার থেকে পেয়ে থাকে সেহেতু এর মূল মানুষের গভীরে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। তাছাড়া ধর্মের সাথে যেহেতু বিশ্বাস জড়িত সেহেতু সে চাইলেও অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ কে মেনে নিতে পারেনা। এক্ষেত্রে মানুষিক সীমাবদ্ধতা কাজ করে। তবে মানুষ চাইলে অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে পারে এবং ধর্ম এটা শিক্ষা দিয়ে থাকে।

নবীর আমলে 73 ভাগে বিভক্ত ছিলো একথা ঠিক না। তিনি বলেছেন, 72 ভাগে বিভক্ত হবে (ভবিষ্যৎ)। আমরা বর্তমানে সেটাই দেখতে পাচ্ছি। আবার তিনি বলেছেন; এর মধ্যে একটা শ্রেণি থাকবে ফার্স্ট ক্লাস। যারা জান্নাতী হবে। বাকীগুলো জাহান্নামী কাতারে নাম লিখাবে। তবে তিনি একথা বলেননি যে, বাকীকাতার গুলো চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে। হয়ত তাদের কৃত কর্মের পর আল্লাহ্ মাফ করে দিতে পারেন।

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



ভাই, অন্য টপিক ছিল না?

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভাই ছিলো। লিখতে ইচ্ছে করে অনেক কিছু। হাতে সময় করে লিখব।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৫৩

নতুন বলেছেন: খৃস্টান ধম` অনেকটাই রাজনিতিক সৃস্টি....

যীষু খৃস্ট ঐতিহাসিক চরিত্র না.... তাকে সমসাময়িক ইতিহাসে পাওয়া যায়না... খৃস্টান ধমীয় কাহিনিতে তাকে পাওয়া যায়...

তার ধম`কে রাজনিতিক ভাবে ব্যবহার করে এখন বিশ্বের ১ নং বানিয়ে ফেলেছে...

রাসুল সা: শান্তি/সাম্যের বানী নিয়ে এসেছিলেন.... কিন্তু উনার মারা যাবার পরে ক্ষমতার লড়াইয়ের কারনেই ইসলামের পিছিয়ে গিয়েছে এবং খৃস্টান ধম` উপরে রয়ে গিয়েছে...

নাস্তিকতার কথা বললে আপনিও ৯৯% ধম`কে অস্বীকার করেন..... আর একজন নাস্তিক ১০০% ধম`কে অবিশ্বাস করে...

আপনি বলছেন বিশ্বের ২১ মানুষ আসল সৃস্টিকতার মননিত ধম বিশ্বাসের উপরে আছে... আর বাকী ৭৯% মানুষই ভুল পথে আছে????

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যিশু খ্রিষ্ট কোন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, বা তিনি ধর্মের সাথে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেননি। তিনি যখন আকাশে চলে যান বা ক্রসবিদ্ধ হন তখনো তার সাথে কমবেশি বারোজন হাওয়াজিন (সাহাবী ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে তার অনুসারীরা ব্যক্তিস্বার্থে বা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য ধর্মের সাথে রাজনৈতিক মিশে ফেলেন। এক্ষেত্রে চার্চগুলো স্ব-উদ্যোগে এগিয়ে আসে। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অংশীদারিত্ব লাভ করে বা করতে চেয়েছে।

ইসলাম ধর্ম পিছিয়ে গেছে বলা ঠিক হবেনা। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে হানাহানি এবং জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা না করার জন্য তুলণামূলক বিশ্বে পিছে রয়েছে। ধর্ম ধর্মের যায়গায় আছে।

ধর্মে বা নাস্তিকতায় সংখ্যা কোন ফ্যাক্টর নয়। নাস্তিক্যবাদ ধর্মের জন্য হুমকি নয়। হুমকি হলো নাস্তিকতার অভিনয় করে ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করা। আবার ধর্ম মানব জাতির জন্য হুমকি নয়। হুমকি হলো উগ্রবাদ।

১০| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
লেখা ভাল লেগেছে। কিন্তু লেখার সাথে ছবিটা কোনভাবেই যায়না।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ছবি সিলেকশন ভুল ছিলো ।

১১| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো কোনো ক্ষেত্রে আস্তিকের চেয়ে নাস্তিক ভালো।
নিজের চোখে দেখেছি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিন্তু প্রতিনিয়ত বদমাইশি করে। অন্য দিকে একজন নাস্তিকের কাছে পাই মানবতা।

অসাধু ব্যক্তিরা ধর্মকে ব্যবহার করে।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অসাধু বা খারাপ মানুষ সব মতের লোকদের মাঝে আছে। আমাদের দেশে আস্তিকের সংখ্যা খুবই বেশি। এই বেশি লোকদের মাঝে কিছু খারাপ লোক আছে। অন্যদিকে আমাদের দেশে নাস্তিকের সংখ্যা খুবই নগন্য। এই নগন্য সংখ্যার মাঝে আবার কিছু নব্য অভিনয়কারী আছে, খারাপ দুই চারজন আছে যাদের কে আপনি চিনেন না।

১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: শুধু ইসলাম ধর্মেই এত ভাগ! বাকী ধর্মগুলোর কথা বাদ দিলাম।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধর্রম এক জায়গায় আছে কিন্তু বিভেদকারীর সংখ্যা ব্যাঙ্গের ছাতার মতো বেড়ে চলছে। কথায় আছে, ফসলের চেয়ে আগাছা দ্রুত বাড়ে।

১৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন:

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইসলাম ধর্মে কাউয়া ঢুকে বিভেদের সূত্রপাত ঘটিয়েছে, যার ডালপালা মেলে চলছে।

১৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

রানা আমান বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে তার অর্থ বোঝার চাইতে মন ব্যস্ত হয়ে পড়ে লেখায় ব্যবহৃত ছবির সাথে লেখার বিষয়বস্তুর কি সম্পর্ক তা নির্ণয় করতে ।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আসলে ভাই ছবি মানান সই হয়নি। তবে ছবিটা মজার। মনে দাগ ফেলে।

১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটা ভাল লেগেছে, তবে ছবিটা নয়।
আপনার শেষের কথাটার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করার কোন অবকাশ নেই। একটা কঠিন বিষয়কে অনেকটা সহজ করে আলোচনা করেছেন। আপনার এ প্রয়াসকে সাধুবাদ। প্রতিমন্তব্যগুলোতে ধৈর্য আর পাঠকের প্রতি সৌজন্য দেখিয়েছেন, সেজন্যেও সাধুবাদ।
ধর্ম মানব জাতির জন্য হুমকি নয়। হুমকি হলো উগ্রবাদ (৯ নং প্রতিমন্তব্য) - ঠিক বলেছেন।

বিষয়টি অনেকটা দেশ মদ আর বিদেশী মদ খিলার মতো - :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.