নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালি মুসলিম সমাজের কুরবানী। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬



ঈদুল আজহার দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। গ্রাম পাড়া মহল্লায় এবং কি রাজধানীতে বসেছে এক বিরাট গরু ছাগলের হাট! আমাদের দেশে কুরবানী ধর্মীয় উৎসবের সাথে সামাজিক ও সাংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। এমন অনেক পরিবার আছে যারা নেসাব পরিমান সম্পদ না থাকা সত্ত্বেও কুরবানী দেন শুধুমাত্র সামাজিক স্টাটাস বজায় রাখার জন্য।

কুরবানী মুসলমানদের একটি ধর্মীয় বিধান(ওয়াজিব), যা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কোন মুসলমানদের কাছে শর্তাধীন পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার জন্য কুরবানি দেয়া ওয়াজিব। আমাদের দেশে অনেক ইসলামী স্কলারগণ বলে থাকেন, "হালাল রুজীর টাকা ছাড়া কুরবানি আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না"। তাই নাকি!

এবার আসুন জেনে নিই বাংলাদেশে কুরবাণীর কারা দেয় এবং কিভাবে দেয়।

আমাদের দেশে সাধারণত তিন শ্রেণির মানুষ কুরবানি দেয়:-
এক: নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার।
দুই: মধ্যবিত্ত পরিবার।
তিন: উচ্চবিত্ত পরিবার।

এক: নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার: এই ধরণের পরিবার সাধারণত গ্রাম ও শহর উভয় যায়গায় দেখা যায়। তবে গ্রামে এদের আধিক্য বেশি। তারা কোন রকম খেয়ে পুড়ে বেঁচে আছেন। পরিবারের ছেলেপেলেরা টাকায় গার্মেন্টসে, উৎপাদনশীল ফ্যাক্টরিতে, বিভিন্ন কল কারখানায় কাজ করেন।পরিবার কর্তা (বাবা) গ্রামে গাই গেরস্তি করেন। ঈদ আসলে তিনি তিন থেকে সাত শরিক মিলে একটি গরু কুরবানী দেন। কুরবানীর টাকা যোগান দেয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের ঈদের আনুষঙ্গিক বাজেট কমিয়ে দিতে হয়। এই পরিবারের সন্তানেরা কুরবানী ঈদে নতুন জামা কিনলেও রোজার ঈদের প্যান্ট দিয়ে চালিয়ে দেন। আমার আইকিউ মতে, বাংলাদেশে তাদের উপার্জণ তুলণামূলক সবচেয়ে হালাল।তাদের কুরবানী আল্লাহর কাছে তাড়াতাড়ি পৌঁছায়।

দুই মধ্যবিত্ত পরিবার: এই ধরণের পরিবার সাধারণত পূর্ব পুরুষ থেকে কিছু সম্পত্তি পেয়ে থাকে এবং পরিবারের প্রধান কর্তা হয়ত সরকারী বা বেসরকারী অফিসে চাকুরী করেন, এবং কারো কারো কারবারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এই পরিবারের সদস্যরদের জীবনের নানা পরতে পরতে হাসি কান্না জড়িয়ে আছে। অনেকের চাওয়া পাওয়া হিসাবে গড়মিল থাকে। কুরবানী আসলে তারা চেষ্টা করেন একাই একটি গরু কুরবানী দিতে। কুরবানীর হাটে যাওয়ার আগে পকেটের টাকা তিনবার গুনে দেখেন, চেষ্টা করেন বাজেট একটু বাড়ানোর জন্য। কিন্তু ছেলের স্কুল খরচ, স্ত্রীর চিকিৎসার কথা চিন্তা করে আর বাড়ানো হয়না। গরুর হাটে গিয়ে এদিক সেদিক হেঁটে বিভিন্ন সাইজের গরু দেখেন, মাঝেমধ্যে বড় গরু পছন্দ করে দর-দাম জিঙ্গেস করেন, কিন্তু দাম শুনে বাজেটের সাথে হিসাব মিলাতে পারেন না। অবশেষে মাঝারি সাইজের একটি গরু কিনে তৃপ্তি সহকারে বাসায় ফিরে আসেন। বাসায় এসে গরুকে নিজ হাতে খৈল, ভূষি, কূটা এবং ভাতের ফেন খাওয়ান, গরুর গলায় হাত দিয়ে চুলকায়ে শৈশবের স্মৃতি রোমান্থ করেন। ঈদের দিন ইমাম সাহেব গরুর গলায় ছুরি চালানোর আগে নাম জিঙ্গেস করলে তিনি বাবা মায়ের নাম বলে নিজেকে হাল্কা করেন। গোস্ত কাটাকুটি শেষ হলে নিজের হাতে গরীব ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে গোস্ত বিতরণ করেন। এদের কুরবানী আল্লাহর কাছে তারাতাড়ি পৌছানো দরকার।

তিন, উচ্চবিত্ত পরিবার: বাংলাদেশের অধিকাংশ উচ্চবিত্ত পরিবার কিভাবে এই কাতারে গিয়েছে তার সংজ্ঞা না দেয়াই ভালো। দিলে চাকুরী থাকবেনা। পরিবারের প্রধান কর্তা হয়ত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, আর এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের চরিত্র না বলাই ভালো, তবুও একটু গুনর্কীর্তণ গাই, এরা ওজনে কম দেয়, পন্যের ভেঁজাল মিশান, কৃত্রিম সংকট তৈরী করে দাম বাড়ান, শ্রমিকদের রক্ত চুষে পঁয়সা কামান, সবচেয়ে বড় কথা হলো, এরা রমজান মাসে পণ্যের অহেতুক দাম বাড়িয়ে গরীব ও মধ্যবিত্ত রোজাদার ফ্যামিলিকে কষ্ট দেন, আর এই কষ্ট দেয়া লোকগুলোই ধর্মকামীর কাতারে নাম লিখার জন্য ঈদুল আজহায় ঢাক ডোল পিটিয়ে কুরবাণী দেন। তারা গরুর ছাগলের হাটে গিয়ে বড় সাইজের কয়েকটি গরু কিনেন, অত:পর বাসার কাজের লোককে গরু বাধার রশ্মি বুঝিয়ে দিয়ে এসি গাড়িতে করে বাড়ি ফিরেন। রাস্তায় উৎসুক জনতা যখন জিঙ্গেস করে “এই গরু কোন স্যারের এবং দাম কত”? তখন কাজের লোকটি জোড়ে জোড়ে গলা ছেড়ে বলেন “এগুলো মকবুল স্যার কিনছেন, চারটির দাম পড়েছে সোয়া ছয় লাখ টাকা!” লোকে দাম শুনে টাস্কি খায়, ভাবে মকবুল সাহেব একজন ধর্ম ভীরু এবং অনেক বড় মনের মানুষ।

ইহা ছাড়াও আরেক শ্রেণি আছে; সরকারী আমলা বা অফিসের বড় কর্মকর্তা। তারা সারা জীবন ঘুষ, দুর্ণীতি এবং অবৈধভাবে দু’হাতে টাকা কামিয়ে ঢাকাতে গাড়ি ও ফ্ল্যাট কিনেন, শেষ বয়সে এসে পবিত্র হজ্জ করতে দয়াল রসূলের দেশে যান। হজ্জ থেকে যখন ফিরে আসেন তখন তাদের মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি দেখা যায়, কিছু দিন পর তাতে মেহেদি দিয়ে রঙ লাগান। অফিসে বসে সৌদির পেট্র ডলারের বড় বড় উন্নয়ন প্রজেক্ট, বড় জোব্বা আর খুরমা খাজুরের গল্প করেন। একদিন বোতলে করে ইব্রাহিমি কূয়ার পানি এনে সবাইকে পান করতে দেন। সবাই রোগ, শোক, খাহি, গজবী, হাওয়াই, আসমানী বালা মুছিবতের মুক্তির নিয়তে কয়েক ঢোক পানি গিলেন। মাঝেমধ্যে তারা সহকর্মীদের তসবিহ গিফট করেন, কখনো কখনো তাদের বয়ান ছাড়তে দেখা যায়, অধ:স্তনদের নামাজ পড়তে আদেশ করেন, অফিসের মধ্যে প্রায় ধ্যানস্থ হন। এই ধ্যান হয়ত তাদের কে অতীতে কাড়িকাড়ি টাকা ইনকামের সুখ স্মৃতি দেয়। আপনি যদি কখনো বড় কোন সরকারী অফিসে যান, আর সামনে যদি তাদের কে দেখেন, তখন আপনার মনে হবে ‘মাশাল্লা দরবেশ বাবাজি’র চেহারা নূরে তাজাল্লিতে আলোকিত হয়েছে’, ইতিমধ্যে তারা নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ লাগিয়েছেন। আপনার হয়ত তখন তাকে কদমবুসি করতে ইচ্ছে করবে। কিন্তু ঘোর ভাঙ্গতে বেশিক্ষণ সময় লাগবেনা, যখন কোন দরকারী কাজের জন্য তার হাতে টাকার বান্ডিল তুলে দিতে হবে! তখন শান্তনা কাটবেন এই বলে যে, কি আর করা, পুরানো অভ্যাস তাই ছাড়তে পারছেন না। এই সমস্ত লোকদের বাবা মা যদি বেঁচে থাকেন; তাহলে তাদের হর হামেশা অযন্ত আর অবহেলার শিকার হতে হয়। বিল্ডিংয়ের এক কোণে বুড়া আর বুড়ি অ্যাকুরিয়ামের প্রাণীর মতো কোন রকম খেয়ে বেঁচে থাকেন মরণের আশায়। এই আমলারা ঈদুল আজহায় কুরবানীর গরু ছাগলের হাটে গিয়ে বড় সাইজের একটি গরু কিনে বাড়ি ফিরেন। বাড়িতে এসে ছেলে মেয়েদের কাছে ছোট বয়সের গরু পালনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, আমাদের একটা লাল গাভী ছিলো, একটা তেজা---- বাছুর।আমি ঘাস কেটে খাওয়াতাম…….। ছেলেপুলেরা এই কাহিনী শুনে নিজেদের জাত নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। কিছুক্ষণ পড় তারা 5জি মোবাইলে ডুবে গিয়ে জাত পাত ভুলে যান। মাঝেমধ্যে তারা পরিচিতদের ফোন দিয়ে বলে.. হ্যালো, আমি প্রিন্স রোহান বলছি, আজিমদ্দিন চৌধুরী বড় ছেলে----- হ্যালো--- আমি প্রিন্স রোহান উদ্দিন চৌধুরী।

ঈদের দিন রোহান সাহেবরা গরু কুরবানী দিয়ে মাংসের বিভিন্ন প্যাকেট করেন গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। প্যাকেটের গায়ে কালো মার্কারী দিয়ে লিখে দেন আজিমুদ্দিন চৌধুরী-----। তারপর গ্রামে মা-বাবা কিংবা ভাই ব্রাদাররা এই মাংস পেয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও পুলকিত হন। রান্না করে যখন এই মাংস তারা মুখে দেন তখন পুরানো দিনের কথা মনে করে ভাবাবেগ হারিয়ে ফেলেন। এই তো, এইতো সেদিন কামলা খেটে, হালচাষ করে আজিমদ্দিনের জন্য পড়ার খরচ পাঠিয়েছি। আজিমদ্দিন অনেক দিন পর আমাদের জন্য কুরবানির মাংস পাঠিয়েছে----। বাবা আজিমদ্দিন----।

ইহা আজিমদ্দিনের কুরবানী।

ছবিঃ অনলাইন।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

বিজন রয় বলেছেন: ধর্ম যার যার উৎসব সবার।............... অনেকেই এটা মানতে চাইবে না।

ঈদ মোবারক!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধর্ম যার যার উৎসব সবার।.. এটা এখন প্রায় জাতীয় শ্লোগানের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। যার ইচ্ছে মানবে যার ইচ্ছে মানবেনা, তবে কাউকে এবিষয়ে জোর করানো যাবে না।

দাদা আপনাকেও ঈদ মোবাররক।।।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



একদম আমার মনের কথাগুলো বলেছেন শাহাদাৎ ভাই......... ++++++++++++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কুরবানী মানে আত্মত্যাগ। এই ত্যাগ যারা সঠিকভাবে করতে পারেনা না তাদের অহেতুক কুরবানী দিয়ে সংখ্যা বাড়ানোর কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করিনা। সুবিধাবাদীদের কুরবানীর নামে পশুর গলায় ছুরি চালানো বাদ দিয়ে আগে নিজের আত্মাকে দমন করতে হবে, তারপর কুরবানী দিতে হবে।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: কে কিভাবে কুরবানী দেয় সেটা তাঁর ইচ্ছা; কেউ ঘুষ খেয়ে দিল তাকে বাধা কে দেবে?? তার বিবেক যদি না দেয়; এর সাথে স্কলার এর বক্তব্য আর আজিমুদ্দিনের কোরবানী কি এক হল??

-- কোরবানির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানেন - আর আপনার শিরোনামও অপ্রাসঙ্গিক- যদি তাই হলে তাহলে আপনার অন্য ধর্মের বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে ঈদের জামাতেও যাবেন আর বাসায় এসে গোশত্ ও খাওয়াবেন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি এখানে কুরবানীর বিভিন্ন চিত্র তুলণামূলক আলোচনা করতে চেয়েছি। আমার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছি। বিষয়টির সাথে সবাই একমত নাও হতে পারে। আর এখানে শুধু আজিমদ্দিনের কথা বলা হয়নি উপরের আরো দুই তিন শ্রেণীর কথা বলা হয়েছে। স্কলারদের বক্তব্যের সাথে আজিমদ্দিনের চরিত্রের মিল আছে। আজিমদ্দিনরা সুদ ঘুষের টাকায় কুরবানী দেয়।

ধর্ম যার যার উৎসব সবার।।- এই বক্তব্যের সাথে অনেকেই একমত হবেন না। যারা হবেন না তাদের মতের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

আমার অন্য ধর্মের বন্ধুদেরকে ঈদের জামায়াত এবং মাংস খাওয়ার অফার না করলেও মোবাইলে ম্যাসেজে ঈদ শুভেচ্ছা জানাই।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: শিরোনামের সাথে লেখার মিল পেলাম না। অবশ্যই হালাল ইনকামের চেষ্টা করতে হবে এবং তা দিয়ে কুরবানী দিতে হবে। যারা হারাম পথে কোরবানী দেয় তাদের টা কবুল হবে না এটা নিশ্চিত। কিন্তু কুরবানী দেওয়া র ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: শিরোনামে দুটি অংশ রয়েছে, এক. বাঙালি মুসলিম সমাজের কুরবানী। এটার সাথে লেখা প্রাসঙ্গিক। ২য় শিরোনামের //শ্লোগানের
( ধর্ম যার যার উৎসব সবার।। ) মিল নেই এবং এই শ্লোগানটা অনেকের আপত্তি লাগবে, এটা স্বাভাবিক।

আর কুরবানীতে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। সবাই যার যার মত ধর্ম পালন করবে।

মমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: কুরবাণী এখন যতটা না ধর্মীয় তারচেয়ে লোকদেখানো বিধান হয়ে গেছে। এর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে।


এবার শুনলাম 'বাহাদুর'র দাম আটাশ লাখ টাকা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কুরবানী বলতে যা বুঝায় তা বাঙালি উচ্চ মহল/সমাজ থেকে বিদায় নিয়েছে। এখন তারা যেটা পালন করে তাহলো কালচা।।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: সব তো পুরোন কথা শাহদাত ভাই।
নতুন কিছু পেলাম।

রাগ করলেন?

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সব কিছু নতুন করে ফিরে আসে। রি সাইক্লিং হয়।

রাগ করার কথা বলছেন কেন? এখানে রাগ করার কি আছে।

এবারের কোরবানির গরু কত দিয়ে নিবেন?

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ লেখক মোবাইলে মেসেজ পাঠানো টা কে উৎসব সবার বলে না; যাক পুরানো ক্যাচাল প্রতি ঈদেই কেউ না কেউ পোস্ট করে এবার আপনে করলেন এই যা;

=----ঘুষ বানিজ্য, দূনীর্তি--- -ইত্যাদির বন্দের জন্য তো কেউ আন্দোলন করে না; এসব নীতি ব্লগ লেখে এ গুলো বন্ধ করা যাবে না;

আর এই গুলোর সাথে কোরবানির গুরুত্বের তুলনা চলে না; দুই শ্রেনি আর চার শ্রেনি কি দেশে এখন পয়সাওয়ালা আর পয়সা ছাড়া এই দুই শ্রেনিই আছে। যেখানে কনভেনশনাল আর নন-কনভেনশাল ইনকাম সমান সেখানে আপনার তথা কথিত শ্রেনি শুধু -- মহেশ এর সময়কার!
-- তবে ৫ নং বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন করছি।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কি বলে আর কি বলেনা তা আপনার শিখাইতে হবেনা। আপনি লেখার মূল থিম বুঝতে না পেরে এমনিতেই চিক্কুর বাক্কুর পারতেছেন। ব্লগ মত প্রকাশের মাধ্যম। এখানে যারা মত প্রকাশ করে তারা কোন ব্যক্তির মাধ্যমে প্ররোচিত হন না। এখানে যার যার মত নিজস্ব।

আপ্নারা কথা অনুযায়ী অসৎপথের টাকা দিয়ে কুরবানী করা যায়েজ! তাহলে আপনি মদ খাবেন আর গরু কুরবানী দিবেন, এতে বহুত ফয়দা হবে?

আপনার মত সংখ্যা দিয়ে সব কিছু বিচার করিনা। নিষ্ঠা ও তাক ওয়া দিয়ে সব কিছু বিচার করতে হয়। আপনারা সংখ্যা দিয়ে বিচার করেন বলেই এক কোটি ইহুদিরা একশো কোটি মুসলমানদের উষ্ঠায়।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: * 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' - এই স্লোগান সুবিধাবাদী মুসলমান হিসেবে শুধু দুর্গাপূজা ও দোল পূজার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর হিন্দু হিসেবে ঈদুল ফিতরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য(ঈদুল আজহাতে এই মন্তব্য কইরা আপনি অনুভূতিতে আঘাত করেছেন)। খেয়াল কইরা...

* কোরবানী ওয়াজিব না সুন্নত এটা নিয়ে আলেমরা বিভক্ত। সর্বশেষ আমি জানতে পেরেছি নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকার পরও যদি কেউ কোরবানী না দেয় তাহলে তার গুনাহ হবে না। তবে কোরবানীর মত বড় একটা সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন তিনি...

* মধ্যবিত্তদের ব্যপারে আপনি বলেছেন, তারা ছোট গরু কোরবানী দেয়। আসলে মধ্যবিত্তরাও এখন শেয়ারে গরু কোরবানী দিয়ে থাকে। একা গরু এখন উচ্চবিত্তদের বিষয় হয়ে গিয়েছে...

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: : আমি কারো অনুভূতিতে আঘাত করিনি। আমি আমার মতামত ব্যক্ত করিছি। উৎসব যদি সবার হয় তাহলে সেখানে আবার কিছু সংখ্য সংখ্যক উৎসব চালানি দিয়ে খাস করা হবে কেন? হয় এই শ্লোগান বাতিল করা হবে না হয় নতুন শ্লোগান হবে, ধর্ম যার যার উৎসব তার তার।

কে কুরবানী দিলো আর কে না দিলো সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এখানে যেহেতু ধর্রমীয় রং লেগে আছে সেহেতু ভালো মন্দ উপস্থাপন করার অধিকার আমাদের আছে। কুরবানীতে ফজিলত যা থাকুক না কেন এতে গরীব মানুষরা ফ্রিতে মাংস পায়। দেশে এখন মাংসের যা দাম তাতে গরীব দু'চার দিন মাংস দিয়ে খেতে পারবেন। সোয়াব আল্লাহ যাকে ইচ্ছে দিবেন যাকে ইচ্ছে হয় দিবেন না।।

মধ্যবিত্তরা শেয়ার করে কুরবানী দেয়, আপনার কথা সঠিক।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!

ঈদ মোবারক !:#P

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।

ঈদ মোবারক।

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৯

বলেছেন: পৃথিবীতে হাজার হাজার শিশু মারা যায় খাদ্যের অভাবে।
আবার
কোথাও চলছে বাহারি খাদ্যের মহোৎসব।
ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ কত কিছু করছে,
মাটি কাটা থেকে শুরু করে অনেক ধর্মপ্রচারকের কাজ করছে।
মা তার আদরের সন্তান বিক্রি করছে।
নারী তার ইজ্জত বিক্রি করছে।
শরীরের অঙ্গও বিক্রি করছে কেউ কেউ।
যে বস্তিতে শত-শত মানুষ সারা দিনে একবেলা খাবার পায়না, আর তার পাশেই অট্টালিকায় কেউ পাঁচহাজার টাকার নাস্তা সাজায় টেবিলের উপর।

সর্বশক্তিমান আমাদের কোরবানীর প্রধান থিম টা বুঝার তওফিক দেন,,,,

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমিন।।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৩২

সোহানী বলেছেন: ধর্ম যার যার উৎসব সবার।..... নতুন বিতর্ক বটে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধর্ম যার যার উৎসব সবার।..... নতুন বিতর্ক বটে। - ঈদ আসলে কিন্তু এই শ্লোগান শুনিনা। তাই আমি ব্লগে চিক্কুর বাক্কুর দিলা।

ধন্যবাদ আপা।

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ আপনার মত বুঝধার জ্ঞানী লেখক ইউটিউবে ওয়াজ শুরু করেন; বহুত টাকা কামাইতে পারবেন। আমি কোথাও লিখিনি যে অসৎ পথে কামানো টাকা দিয়ে কুরবানী করা যায়েজ; বির্তক লিখবেন আবার মাথাও গরম করবেন; ----------------
ব্লগ লিখেন মার্জিত শব্দের ব্যবহারও জানেন না; -- পেইড রাইটার নাকি?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার ভাষা খুব খাসা।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ জ্বী আপনার নতুন ওয়াজের অপেক্ষায় আছি!

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। + +
দ্বিতীয় শ্রেণীতে উল্লেখিত বিবরণ পড়ে নিজের কথাই মনে হচ্ছিল।
তবে সবচেয়ে জবরদস্ত হয়েছে আজিমুদ্দিনের কুরবাণী উপাখ্যান।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.