নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোরোস্টেরিয়াজম বা জুরাস্ট্রজম, একটি প্রাচীন ধর্মের আত্মকথা।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩


জোরোস্টেরিয়াজম বা জুরাস্ট্রজম একটি প্রাচীন ধর্ম, যা সৃষ্টিকর্তাকে একাত্ববাদের প্রতীক হিসেবে আনুগত্য করা হয়। জুরাস্ট্রজম বিকশিত হয়েছিলো জারথুস্থ্রা স্পিটামা বা আশু জারথুশ্রা নামক একজন আত্মাধিক প্রবর্তক দ্বারা, এবং ভৌগলিক সীমারেখা ছিলো প্রাচীন পারস্য, গ্রিস এবং ভারত বর্ষ। জোরোস্টেরিয়ানিজম সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য দিক হলো একেশ্বরবাদী ঈশ্বরে বিশ্বাস, যেমন সৃষ্টিকর্তা একজন যিনি (আহুরা মাজদা) আমাদের ভালো মন্দ দেখেন, তিনি মৃত্যুর পর শেষ বিচার করবেন, তারপর কর্ম অনুযায়ী স্বর্গে অথবা নরকের প্রেরণ করবেন।


জোরোস্টেরিয়ানিজমের ধর্মীয় প্রধান প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থগুলো হলো Dēnkard, Bundahišn, Book of Arda Viraf, Book of Jamasp, Story of Sanjan, Chinvat Bridge, Zoroastrian cosmology । জুরাস্ট্র এর আগমনের সাথে জুরাস্ট্রবাদ সম্পর্কিত, যেমন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রসারে সাথে ঈসার সম্পর্ক বিদ্যমান। ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ হাজার শতকে জোরোস্ট্রিয়ানিজম পৃথিবীতে আগমন করে এবং খ্রিস্টপূর্বে ৫ম শতকে বর্হিবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। জোরাস্ট্রবাদ সাধারণত পারস্য, গ্রিস এবং ভারত বর্ষে বিকশিত হয়েছে। এটি একটি Mithraic Median প্রোটোটাইপ এবং একটি Zurvanist Sassanid। জুরাস্ট্রবাদ এক হাজার বছর পর্যন্ত পারস্যের রাজ ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলো। সপ্তম শতকে পারস্যে ইসলাম প্রবেশের সাথে সাথে জোরোস্টেরিয়ানিজমের বিলুপ্ত ঘটতে থাকে। পারস্যের ৬৩৩-৬৫৪ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম শাসনের পর ৭ শতকের শুরুতে জোরোস্টেরিয়ানবাদের প্রভাব একে বারে কমে যায়। অনেক জুরাস্ট্রিয়ান অনুসারী ইসলাম, ইহুদি এবং ইয়াজিদি ধর্মের সাথে মিশে যান। ইরাকের কুর্দিস্তানে ইয়াজিদীরা জুরাস্ট্রবাদ ধর্ম পালন করে থাকেন।


জোরাস্ট্রবাদে প্রধানত আহুরা মাজদা বা ওহরামজাদ, আহরামাজাদ, ঘোড়াজাদ, হরমাজাদ বা হারজু এবং হরমুজ নামে একজন একক ঈশ্বরে বিশ্বাস করা হয়। আহুরা মাজদা পুরাতন ফারসিতে যাকে আহুরমজদা, পার্থ, আরমাজাদ, পহল, ওহর্মজাদ / হর্মিজড, এনপির্স ওর্মাজড ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। ইহা ছাড়া তার আরেকটি নাম আছে যাকে বলা হয় আবেস্তান, এই আবেস্তান নামটি ছিল প্রাচীন ইরানীয় ধর্মের এক মহান ঈশ্বরত্বের উপাধি, যাকে পরবর্তীতে ঈশ্বর হিসাবে ঘোষণা করা হয়। আবাস্তানের বিপরীতে ভারতীয় অসুর কে ভাবা হয়, যা ঋগ্ববেদে উল্লেখ আছে; কিন্তু এটি যে ভারতীয় অসুরের ভার্সন তা সর্বজন স্বীকৃত নয়।

‘আশার’ আবেস্তান জুরাস্ট্রজম ধর্মতত্ত্ব ও মতবাদের একটি প্রধানতম ধারণা, এটি একটি নৈতিক ধারণা, যা আদর্শের মানদন্ডে বিচার করা হয়, ইংরেজিতে যাকে "the decisive confessional concept of Zoroastrianism" বলা হয়। আবেস্তন এশার বিপরীতে সাধারণত দুরজ, "প্রতারণা, মিথ্যাবাদ" কে বুঝানো হয়। আবেস্তান নামের ব্যাকরণগত রূপটি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কিছু পণ্ডিত আবার আবাস্তান কে মাজদা এবং অন্যদের কে মাজদাহা বলে অভিহিত করেছেন; কেউ কেউ আবাস্তানকে ব্যাখ্যা করেন, "প্রজ্ঞা,", "জ্ঞানী," এবং ক্ষেত্র বিশেষ"প্রভু" হিসাবে। প্রাচীন ধারণার মাজদা ছিলেন পার্থিব মহাযাজক (নবী), যিনি তাঁর জ্ঞান এবং আইনের মাধ্যমে পরামর্শ ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এবং তার আইনকে সর্বজনীন আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালিয়েছেন; প্রত্নতাত্ত্বিক একটি নির্দেশনে তাঁর উপাসকরা মাজদাকে অতিপ্রাকৃতিক শক্তি (মায়া) হিসাবে স্বীকার করেছেন।


মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম বিজয় পরে শেষ অবধি শেষ পর্যন্ত Ahura মাজদ Zoroastrianism এর উপাসনাকে সর্বোচ্চ বা পবিত্র আত্মা হিসাবে বর্ণনা করা হতো এবং তাকে ঈশ্বরজ্ঞানে পূজা করা হতো। Ahura এর আক্ষরিক অর্থ "পরাক্রমশালী" বা "প্রভু", এবং মাজদ হয় "জ্ঞান" অর্থাৎ প্রভু অসীম জ্ঞানের অধিকারী। আহুরা মাজদ সম্পর্কে জানা যায় দেরিয়াস এর বীস্তন শিলালিপি মাধ্যমে যার সময়কাল ছিলো Achaemenid 550-330 খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ।

জুরাস্ট্রজম ধর্ম তর্ত্ত্বে সুখ নিশ্চিত করতে এবং বিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ভাল কাজের উপর অধিক জোড় দেয়া হয় এবং জীবনকে সক্রিয় রাখতে ভালো কাজের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়। ‘ভালো কাজ’ করা হলো জোরেস্ট্রবাদে মুক্ত ইচ্ছার বা চিন্তার একটি কেন্দ্রীয় উপাদান। জোরাস্ট্রিবিজ্ঞান সকল ধরনের সন্ন্যাসবাদ প্রত্যাখ্যান করে। আহুরা মাজদ শেষ পর্যন্ত মন্দ কে (শয়তান কে) পরাজিত করবেন। শয়তান পরাজিত করার পর তিনি মহাবিশ্ব একটি মহাজাগতিক আদর্শ পৃথিবী পুনঃনির্মাণ করবেন, এই পুনঃ নির্মাণের মাধ্যমে দুনিয়ার আয়ূকাল শেষ হবে। দুনিয়ার আয়ূকাল শেষ হলে মৃতদের আত্মারা "অন্ধকার" থেকে অহুরা মাজাদের সাথে মিলিত হবে। অর্থাৎ মৃতকে পুনরুজ্জীবিত করে স্থায়ীভাবে পূর্ণবাসন করা হবে।

জোরোস্টেরিয়ানিজম, জল (এপো, আযান) এবং আগুন (আতার, আজার) হল নিয়তির বিশুদ্ধতার (পবিত্রতার) এজেন্ট বা প্রতিনিধি। জোরেশীয় মহাজাগতিক বস্তু যা জল এবং অগ্নি বা আদিম উপাদান , এই ধর্মে পানি ও অগ্নি উভয়ই জীবন-সমৃদ্ধ বলে বিবেচনা করা হয় এবং অগ্নি বা আগুণের মাধ্যমে মন্দিরে ঈশ্বরের খোঁজ করা হয়। জোরাস্ট্রিয়ানরা সাধারণত আগুনের উপস্থিতিতে উপাসনার নীতির
সর্বেোচ্চ পর্যায়ে একটি "জলের শক্তি" গঠন করেন যাতে আত্মা বিশুদ্ধ ও পবিত্র হয়। তাদের মতে, উপসনাকৃত অগ্নিটি একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। জুরাস্ট্রবাদে লাশ সমাহিত করার নির্দেশ রয়েছে


শেষ কথা: অনেক ঐতিহাসিক জোরোস্টেরিয়াজমে তাওহীদ (একত্ববাদ) পুনরুত্থান (হাশর), স্বর্গ, নরক, শয়তান ইত্যাদি উল্লেখ থাকার কারণে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মের উৎপত্তির সাথে এর উৎপত্তিগত মিল খুঁজতে থাকেন। প্রকৃত কথা হলো- ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মের প্রবর্তন ও উৎপত্তির সাথে জোরোস্টেরিয়াজমের উৎপত্তিগত কোন মিল নেই। ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্ম একই উৎস থেকে উৎসারিত হলেও জোরোস্টেরিয়াজম স্বতন্ত্রভাবে বিকশিত হয়েছে এবং স্বতন্ত্রভাবে দুনিয়া থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

( ছবি: অন্তজাল)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জোরোস্টেরিয়াজমের তাওহীদ (একত্ববাদ) পুনরুত্থান (হাশর),
স্বর্গ, নরক, শয়তান ইত্যাদি উল্লেখ থাকার কারণে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম ধর্মের উৎপত্তির সাথে
জুরস্ট্রবাদের মিল খুঁজতে থাকেন।

.........................................................................................................................
সমাজ,ধর্ম অস্তিত্ববাদ সকলই সময়ের তাগিদে আমাদের সামনে এসেছে,
অনেক কিছু ব্যাখ্যার অতীত হেতু , যুদ্ধ বিবাদ আর মারামারি মাঝে বিলীন
তাই বলতে হয় যা বর্তমান, তা এই সময়ের জন্য শ্রেষ্ঠ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পৃথিবীতে সময়ের সাথে অনেক ধর্মের ভার্সণ এসেছে যা সময়ের সাথে মানুষের আত্মিক চাহিদা মিটিয়েছে। প্রাচীনকালে অনেক মানুষ চন্দ্র ও সূর্যকে ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করত। কিন্তু বর্তমানে চন্দ্র ও সূর্য মানুষের জ্ঞানের পরিসীমার আওতাধীন। বিগত দিনে চন্দ্রের বুকে মানুষ পা-ও রেখেছেন।

অঞ্চলভেদে ধর্মের ভার্ষণের তারতম্য ঘটলেও কিছু ক্ষেত্রে মৌলিকত্ব অক্ষুন্ন থাকে। প্রাচীন ভারত বর্ষের হিন্দু ধর্ম বিভিন্ন সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে এসে ঠেকেছে। আবার ইব্রাহিমিক ধর্ম (ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং মুসলমান) আলাদা আলাদাভাবে স্বতন্ত্র টিকিয়ে রেখেছে।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



পারসিকরা বরাবরই আরবদের চেয়ে শিক্ষিত ছিলো

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পারসিয়ানরা অনেক আগে থেকেই গ্রেট স্টেট গঠন করেছিলো এবং প্রাচীন ইতিহাসে তারা পরাশক্তি। ধর্মের দিক থেকে আরবদের থেকে পারসিয়ানরা এগিয়ে ছিলো। ইসলাম আগমণ করে পারসিয়ানদের প্রতিপত্তি ও প্রভাব কমিয়ে দিয়েছে।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
ভালো আছেন?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জ্বি,
আমি ভালো আছি।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইসলাম ধর্মের সাথে প্রাচীন জরাথ্রুস্টবাদী ধর্মের মিল আছে
যেমন
একত্ববাদ - একঈশ্বর বাদ
পুনরুত্থান - (হাশর),
বেহেস্ত - স্বর্গ, নরক,
শয়তান, সেইম শয়তান।
জিব্রাইল - সারাওস ( Saraosh)
৫ বার নামাজ, আবেস্তাদেরও ৫ বার এবাদত
অজু। আবেস্তা গ্রন্থ পাঠের আগেও মুখ হাত পা তিনবার করে ধৌত করতে হয়, (প্রায় অজুর মত)
অজুর পানি না পেলে তায়ামুম - "ইয়াবাবা"।
এবং মেরাজের মত তাদের প্রফেট ইশ্বরের সাথে দেখা করে এসেছেন একজন স্বর্গের দূতের মারফতে।
এবং সেখান থেকে পাঁচবার উপাসনার আদেশ নিয়ে আসছেন, হুবুহু মহম্মদের (স) মত।

অনেক কিছুই যেমন
একত্ববাদ এক ঈশ্বর বাদ
পুনরুত্থান (হাশর),
বেহেস্ত - স্বর্গ, নরক,
শয়তান, সেইম।
জিব্রাইল - সারাওস ( Saraosh)
৫ বার নামাজ, আবেস্তাদেরও ৫ বার এবাদত
অজু। আবেস্তা গ্রন্থ পাঠের আগেও মুখ হাত পা তিনবার করে ধৌত করতে হয়, (প্রায় অজুর মত)
অজুর পানি না পেলে তায়ামুম - "ইয়াবাবা"।
এবং মেরাজের মত তাদের প্রফেট ইশ্বরের সাথে দেখা করে এসেছেন একজন স্বর্গের দূতের মারফতে।
এবং সেখান থেকে পাঁচবার উপাসনার আদেশ নিয়ে আসছেন, হুবুহু মহম্মদের (স) মত।

অনেক কিছুই ইসলামের আচারের সাথে মিলে যায়।

সালমান পার্শি। জন্ম ইরানের জরাথ্রুস্ট প্রধান ইস্পাহান এলাকার জায়্য নগরীত। তার পিতা ছিলেন একজন প্রাচীন জরাথ্রুস্টবাদী ধর্মের। তিনিও সেই ধর্মের। তবে আরবে এসে হজরত মোহম্মদের সহচর হওয়ার সময় নিজেকে খ্রিষ্টান দাবি করে গেছেন।
কিন্তু সেই এলাকার লোক সালমান পার্শির সাথে বন্ধুত্ব। একজন অনারব ভিন্নধর্মি হওয়ার পরেও পার্শি নবী মুহম্মদ (স) এর উপর বেশ প্রভাব বিস্তারকারি এবং ক্ষমতাবান একজন বিখ্যাত প্রকৌশলী সাহাবী ও যুদ্ধ বিসারদ। ইসলাম আবির্ভাবের সবটা সময়ই হজরতের মৃতুর শেষদিন পর্যন্ত নবীর সংগে ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাকে সালমান আল খায়র খেতাব প্রদান করেছিলেন।র আচারের সাথে মিলে যায়।

সালমান পার্শি। জন্ম ইরানের জরাথ্রুস্ট প্রধান ইস্পাহান এলাকার জায়্য নগরীত। তার পিতা ছিলেন একজন প্রাচীন জরাথ্রুস্টবাদী ধর্মের। তিনিও সেই ধর্মের। তবে আরবে এসে হজরত মোহম্মদের সহচর হওয়ার সময় নিজেকে খ্রিষ্টান দাবি করে গেছেন।
কিন্তু সেই এলাকার লোক সালমান পার্শির সাথে বন্ধুত্ব। একজন অনারব ভিন্নধর্মি হওয়ার পরেও পার্শি নবী মুহম্মদ (স) এর উপর বেশ প্রভাব বিস্তারকারি এবং ক্ষমতাবান একজন বিখ্যাত প্রকৌশলী সাহাবী ও যুদ্ধ বিসারদ। ইসলাম আবির্ভাবের সবটা সময়ই হজরতের মৃতুর শেষদিন পর্যন্ত নবীর সংগে ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাকে সালমান আল খায়র খেতাব প্রদান করেছিলেন।
ওনার মাধ্যমেও ইসলামে জরাথ্রুস্ট প্রভাব হতে পারে। বা ভিন্ন কারনেও হতে পারে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:

লেখক বলেছেন: বয়বৃদ্ধ সাহাবী সালমান পার্শি নবী মুহাম্মদ ( সা: ) এর সাথে মিলিত হওয়ার আগেই আরবের মুহাম্মদ নিজেকে নবী ও রাসূল হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তিনি একত্ববাদ (তাওহীদ), নামাজ, আসমানী কিতাব বা ওহি, ফেরেস্তা, আল্লাহ ইত্যাদি সহ ধর্মের অনেক মৌলিক কর্মপন্থা চালু করেন। তবে বয়বৃদ্ধ সাহাবী হিসেবে সালমান পার্শির পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্ত্বের সাথে হযরত মুহাম্মদ (সা ) বিবেচনা করতেন। যেমন মদিনা প্রতিরক্ষা ট্রেঞ্জ তারই মরামর্শে খনন করা হয়েছিলো।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শের শায়রীর পর আপনার পোস্টটা পড়লাম। অনেক চিন্তার খোরাক দিল। ধন্যবাদ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধর্ম মানুষের মন ও আত্মা পবিত্র করে। মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.