![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন পাড়ার লোকদের শয়তানে (ভূত-পেত্মীতে) আছর করলে বাড়িতে ফকির এনে ঝাঁড়ফুক দেয়া দেয়া হতো। ঝাঁড়ফুকের সময় ফকির ব্যাটা মুখে বিড়বিড় করে মন্ত্র পাঠ করতেন এবং ভূতে ধরা মানুষকে বিভিন্ন রকম ছাওয়াল জবাব করতেন। ছাওয়াল জবাবের সময় আছরকৃত ব্যক্তি থেকে বিভিন্ন রকম গুপ্ত কথা প্রকাশ পেত। লোকে বিশ্বাস করত, এই গুপ্ত কথা হলো শয়তানের। এখানে ভূতে ধরা ব্যক্তিটি মাধ্যম হিসেব কাজ করেছে। গুপ্ত কথা প্রকাশের সময় উপস্থিত দর্শকদের মাঝে হাসির রোল উঠত, তবে কিছু সংখ্যক ভয়ও পেতেন অবশ্য ।
ভূত-পেত্মীর মাঝে কিছু কিছু দুর্বল প্রকৃতির ভূত আছে, যারা ফকির ব্যাটাকে দেখা মাত্রই পেরেশানীতে ভুগতেন। তাদের নিয়ে ফকিরের তেমন কোনো সমস্যা ছিলোনা। তবে কিছু ঝাউড়া প্রকৃতির ভূত ছিল, যাদেরকে ফকির ব্যাটা সহজে বাগে আনতে পারতো না। কোন উপায় না দেখে ফকির ব্যাটা ভূতকে বশে আনার জন্য ভোগের লোভ দেখাতো । শয়তান ভোগের লোভে ইলিশ মাছের বায়না ধরত। ফকির এক বাক্যে তাতে রাজী হয়ে যেতেন।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রোগীর আত্মীয় স্বজন বা ফকির আমাবশ্যার রাতে বাঁশঝাড়ে, তিন রাস্তার মোড়ে, বিলের মাঝে কিংবা কালভার্টে ইলিশ মাছ ভাজা রেখে আসতেন। ভোগ পেয়ে সব শয়তান যে খুশি হতো এমন কিন্তু না। কিছু শয়তান ছিল যারা অধিক ভোগের আশায় দ্বিতীয় বার রোগীর উপর আক্রমণ করত। ফলে পরিবারের লোকজন পুনরায় আবার ভোগ দিতেন। এভাবে কিছু দিন চলার পর এরে হেরে দেখানো হতো কিন্ত রোগী আর ভালো হতো না। উপায় না দেখে পরিবারের লোকজন ভালো হওয়ার আশা প্রকৃতির উপর ছেড়ে দিতেন । ফলে শিকল বন্ধী অথবা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ছিল তার শেষ পরিণতি ।
কিন্তু ফকির ব্যাটা গ্রামে গ্রামে শয়তান ছাড়ানোর নামে ভোগপূর্ণ জীবন যাপন করতেন, তার সাথেসাথে পাব্লিককে ভূতের লম্বা হাতের কথা বিভিন্ন এঙ্গেলে বুঝাইত। পাব্লিক বেশি বুঝতে চাইলে ভয় দেখাতেন। বেশি বুঝা পাব্লিকের কেউ কেউ আবার ঘুমের শিকার হয়েছেন ।
মাঝেমধ্যে শয়তানের ঘাড় একটু বাঁকা হলেই ফকিরের জন্য ভোগ দেওয়াটা ছিল বাধ্যতামূলক। এখানে শয়তান আর ফকির ছিল পরীক্ষীত বন্ধু। অনেকটা স্বামী-স্ত্রীর মতো। আমরা পাব্লিকরা না বুইঝাই ভূতের বিরোধিতা করছি। মাফ কইরা দে ভূত ভাই।
ছবিঃ অনলাইন থেকে নেওয়া।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ দুধ দিয়ে কালসাপ পালে। সেই সাপ যখন সুযোগ পায় তখন ফসফস করে। সুযোগ বেশি পেলে ছোবল মারতে ভুল করেনা।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: একসময় ফকির ওঝার অনেক দাম ছিলো। মানুষ সচেতন হয়েছে আর ওদের কেরামতি কমেছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ শিক্ষা, দীক্ষায় একদিকে যেমন সচেতন হচ্ছে অন্যদিকে নিজেরা আত্মভোলা ও স্বার্থপরের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: স্বামীকে শয়তান ধরছে স্ত্রী ইলিশে পেয়াজ দিতে দিবে না । এমনি রান্না হবে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমরা পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়েগেছি, যা কাম্য নয়। আমাদের বিকল্প মার্কেট খোঁজ করা উচিত।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: বহু দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জি, ব্লগে সদস্যপদ রক্ষার জন্য পোস্ট দিছি।
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঝড়ে বক মরে।
ফকির ব্যাটার কেরামতি বাড়ে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হয়ত, উপমহাদেশের মানুষ প্রেতাত্মায় বিশ্বাস করে।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)
শেষের প্যারায় বাজীমাৎ।
মা.হাসান এর মন্তব্যে সহমত।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের ভাগ্য আরেকজনের উপরব সমার্পন করা উচিত নয়। তারপরেও আমরা অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: দিন পাল্টাইছে।
এখন আর মানুষ এসব বিশ্বাস করেনা।
আপনাকে অনেক দিন পর পেলাম, কেমন আছেন জনাব?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জি ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন নিশ্চয়ই।
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্বাবলম্বী না হইলে আত্ম বিশ্বাস না থাকলে কতভাবে ভোগান্তি।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ অন্ধকার এবং কুসংস্কারের একটি বহুতল লেভেল পার করে এসেছে। কুসংস্কারের নিম্নতল লেভেল বর্তমান প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। শিক্ষা এবং প্রযুক্তি যদি আরো এগিয়ে যায় তাহলে কুসংস্কার নিম্নতম লেভেল চলে যাবে নিশ্চয়ই।
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিক্ষার প্রসারের সাথে সাথে কুসংস্কারের অবসান হবে। পল্লী বিদ্যুতায়নও এ ব্যাপারে অবদান রাখবে।
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জ্বি স্যার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০১
মা.হাসান বলেছেন: শয়তান আর ফকির ব্যাটা ছিলো পরীক্ষিত বন্ধু । অনেকটা স্বামী-স্ত্রীর মতো।
আমার মাথার উপ্রে দিয় গেলো কি?
যা হোক, মন্দ চলিতেছে না দুজনের সংসার। এর ভোগ ও খাইতে থাকুক। গোল্লায় যাউক গ্রামবাসী।