![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নের গভীরতা যতো জীবনের হতাশা ততো
গ্রিক Παλλας αθηνα প্যালেস্টাইন, গ্রীক ও রোমানদেবী। প্যালেস্টাইন ও গ্রীক নাম এথেনা কিন্তু রোমান নাম মিনার্ভা। এথেনার নাম ও জন্ম নিয়ে নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। যেমন-
১. প্যালেস্টাইন পুরাণ অনুসারে ইনি জন্মেছিলেন লিবিয়ার ট্রাইটনস হ্রদের ধারে। এখানে লিবিয়ার তিনটি পরী দ্বারা প্রতিপালিত হন। এই সময় ইনি ছাগলের চামড় পরিধান করতেন। এঁর শৈশবের খেলার সাথী ছিলেন প্যালাস। দুর্ঘটনাক্রমে এথেনার হাতে প্যালাস-এর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ইনি অত্যন্ত দুঃখিত হন। এবং তাঁর এই বন্ধুর নামটি নিজের নামের আগে জুড়ে দেন।
২. এথেনের পিতা ছিলেন প্যালাস। এঁর পিতা নামানুসারে তাঁর নামকরণ করা হয় প্যালাস এথেনে।
৩. হোমারের মতে, ইনি জন্মেছিলেন জিউসের মাথা থেকে পূর্ণযৌবনা এবং যুদ্ধের সাজে উৎপন্ন হন। ইনি ছিলেন জিউসের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান।
৪. অন্য মতে- একবার জিউস জলপরী মেটিসকে দেখে তীব্র কামাসক্ত হয়ে পড়েন। মেটিস নিজেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন রূপ ধরে পালাতে থাকেন। অবশেষে ইনি জিউসের ভোগের শিকার হন। এরপর গেইয়া ভবিষ্যৎবাণীতে জিউসকে জানান যে, জিউসের ঔরসে মেটিস একটি শক্তিশালিনী কন্যার জন্ম দেবে। কিন্তু জিউস যদি তাঁর সাথে পুনরায় মিলিত হন, তবে তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করবেন। এই পুত্র সন্তানটি জিউসের চেয়ে শক্তিশালী হবে এবং সে জিউসকে পরাজিত করে দেবরাজ্য দখল করবে। এই ভবিষ্যৎ বাণী শোনার পর জিউস ভয়ে মেটিসকে গিলে ফেলেন। কিন্তু প্রথমবার মিলনের ফলে মেটিস গর্ভবতী হয়েছিলেন। এই অবস্থায় মেটিস জিউসের পেটেই রয়ে গেলেন। জিউসের পেটে থাকা অবস্থায় মেটিস একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন। এই কন্যাই গ্রীকের বিখ্যাত দেবী এথেনা।
পরে এথেনা জিউসের পেটে বর্শা ও মস্তকাবরণসহ জন্মেছিলেন। এথেনা জিউসের পেট থেকে বের হওয়ার জন্য, তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করলে, ইনি ব্যথায় কাতর হয়ে পড়েন। এই কন্যা ট্রাইটন হ্রদের ধারে জিয়াসের মাথা ফেটে বের হন। গ্রিক পৌরাণিক কাহিনি মতে– এথেনা যুদ্ধ সাজে সশস্ত্র অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিলজিউসের সবচেয়ে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা।
৫. হেরোডোটাস মতে- ইনি ছিলেন সমুদ্র দেবতা পসাইডোনের কন্যা। জিউস পোসাইডোনের কাছ থেকে এথিনাকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করেন। ধারণা করা হয়, প্যালেস্টাইন দেবী প্যালাস এথেনা গ্রিক পৌরাণিক কাহিনীতে প্রবেশ করেছিল। গ্রিক পুরাণেও ইনি অযোনীসম্ভবা হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকেন। তবে গ্রিক পুরাণে ইনি জিউসের কন্যা হিসাবে সর্বাধিক পরিচিতা।
এথেনা ছিলেন শুদ্ধতমা কুমারী দেবী। এমনকি তাঁর নামে সামান্যতম বদনামও পাওয়া যাবে না। যুদ্ধসাজে ভয়ঙ্কর অবস্থায় তাঁর বিভিন্ন গ্রিক পৌরাণিক কাহিনীতে পাওয়া গেলেও, ইনি ছিলেন মূলত জ্ঞান, ন্যায়বিচার, পবিত্রতার দেবী। এছাড়া তাঁকে নগরলক্ষ্মী বা নগরের দেবী হিসাবে বিবেচনা করা হতো। তাঁর মাথায় ছিল শিরস্ত্রাণ, গায়ে বর্ম ও হাতে তরোয়াল। আবার শান্তির প্রতীক হিসাবে ইনি ধারণ করতেন জলপাই গাছের ডাল। উল্লেখ্য ইনি জলপাই গাছ সৃষ্টি করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে পুরো গ্রিকক পৌরাণিক কাহিনীতে তাঁর মতো সাহসী দেবতা বা দেবী দেখা যায় না। দেবতাদের সাথে দৈত্যদের যুদ্ধে সকল দেবতা পালিয়ে গেলেও অনেক সময় একা যুদ্ধক্ষেত্রে রয়ে গেছেন।
গ্রিক পুরাণে বর্ণিত বিখ্যাত ট্রয় যুদ্ধের পিছনে ইনি জড়িত ছিলেন। একবার এথেনা, হেরা ও এ্যাফ্রিদাইতে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে প্যারিসের কাছে উপস্থিত হলে, প্যারিস এ্যাফ্রিদাইতেকে সর্বশ্রেষ্ঠা সুন্দরী ঘোষণা করেন। এরপর ইনি প্যারিসের উপর খুশি হয়ে, পৃথিবীর শ্রেষ্ট সুন্দরী হেলেনেকে উপহার দেন এবং প্যারিস কর্তৃক হেলেনের অপহরণে সাহায্য করলে ট্রয়যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এই কারণে, হেরা ও এথেনা ট্রয় যুদ্ধে গ্রিকদের সহায়তা করেছিলেন।
এথেনার এক মন্দিরে পোসেইডোনের সাথে মেডুসা সহবাস করলে এথেনা অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হন। শক্তিশালী পোসেইডোনের বিরুদ্ধাচারণ করা ক্ষমতা এথেনার ছিল না। তাই তিনি মেডুসাকে দানবীতে পরিণত করেন। এই কারণে পার্সেয়ুস যখন মেডুসার মাথা সংগ্রহের উদ্যোগ নেন, তখন এথেনা তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। যেহেতুমেডুসার মুখের দিকে যে কেউ তাকালে পাথরে পরিণত হয়ে যায়, তাই এথেনা তাঁকে দিলেন আয়নার মতো একটি উজ্জ্বল ঢাল। যাতে পার্সেউস সরাসরি মেডুসার মুখের দিকে না তাকিয়ে, ঢালের উপর পতিত মেডুসার ছবি দেখে তাকে হত্যা করতে পারেন।
সূত্রঃ
* http://www.paleothea.com/
* greek myth/Robert Graves, cassel & comoany, fourth edition 1995
* Mythology/Edith Hamilton/New American Library, 1969
* Click This Link
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
পোস্টটি দেখেছি ও পড়েছি । তবে একদমই নতুন ব্লগার হিসেবে আমি সেভ হবার পর আমার দুটি পোস্ট নির্বাচিত পাতায় স্থান পেলো। আমি আপনাদের ও এই ব্লগ প্ল্যাটফরমটির উপর কৃতজ্ঞ রইলাম। মনে হচ্ছে সত্যি এখানে আসা সার্থক হয়েছে।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মিথ পড়তে ভালোই লাগে।
আরও বিস্তারিত হলে পড়ে আরাম পেতাম। ভালো থাকুন।
শুভকামনা আপনার জন্য।
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
বিস্তারিত লেখার সময় ও ধীরতা আমার মাঝে নেই। তবে চেষ্টা থাকবে আপনার পরামর্শ অনুযায়ী এখন হতে মিথগুলো আরও বিস্তারিত প্রকাশ করার। তবে এই ব্লগে দেখলাম আরও অনেকেই মিথ নিয়ে এর আগেও বহু পোস্ট দিয়েছে তাই মিথ নিয়ে পোস্ট কম দেয়াই বোধ করি ভালো হবে।
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চমৎকার পোষ্ট +++
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
একবারেই এই ব্লগটিতে নতুন হিসেবে আপনাদের মন্তব্য সত্যি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন।
৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকেই এ প্রসঙ্গে হয়তো পোস্ট দিয়েছে। তবে একেক জনের মূল্যায়ন , লেখার ধরণ একেক রকম হয়। একেক জনের দেখার আর বোঝার ধরণ যেহেতু ভিন্ন সে হিসেবে আপনি আপনার মতো পারেন লিখতে। সেটা সমস্যার হবে না আশা করি। সময় নিয়েই লিখুন।
শুভকামনা থাকবে সাথে।
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
মন আমার নৈশ রাতে যূথচারী নক্ষত্র
হেথায় আজ পূর্ণ হল শত বাসনা
সময় নিয়ে লিখব তাহলে কথা দিচ্ছি। আপনার মিথ ভালো লাগে জেনে মিথের পোস্ট দেয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেলো।
আপনার জন্য দোয়া রইবে।
৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
মশিকুর বলেছেন:
চমৎকার। +++++++++
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
চমৎকৃত করতে পারায় আনন্দিত
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নীল বরফ বলেছেন: পড়ে অনেক ভাল লাগ্ল।চালিয়ে যান, পাশে রয়েছি সর্বদা।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
নীল বরফ আপনাকে পাশে পেয়ে খুশি হলাম। এমন পোস্ট আরও কিছু দেয়ার ইচ্ছে আছে।
৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৭
ক্যাটম্যান বলেছেন: আমার সবচেয়ে পছন্দের গ্রিক দেবী। যদিও রূপের অহংকার আর হিংসা তার নিষ্ঠুর রূপকে বের করে আনে। জয়তু হোমার
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
আপনার সাথে আমার পছন্দ মিলে গেলো। শুভ কামনা রইল ক্যাটম্যান
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো। আশা করি সামনে আরো পোস্ট পাব মিথ নিয়ে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
আপনার সংকলনে স্থান পাওয়ার ইচ্ছে রইল।
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অত্যাধিক মাত্রায় অলসতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছি ভাইয়া। তাই আপনার পোস্ট সংযোজন করতে দেরী হচ্ছে। তবে আপনার পোস্ট আমি বুকমার্ক করে রেখেছি প্রথম কমেন্ট করার সাথে সাথেই। আশা করছি খুব শীঘ্রই সংযুক্ত করে দেব।
বিলম্ব সংযোজনের জন্য লজ্জিত :!> :!> :!>
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
এবার থেকে নিয়মিত তবে পোস্ট দিব ভাবছি মীথ নিয়ে। :#>
কৃতজ্ঞতা জানবেন মহামহোপাধ্যায় ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গুড পোষ্ট! প্লাস দিলাম

আপনি যদি মীথ ভালোবাসেন, তাহলে আপনার জন্য আমি কিছু ভালো পোষ্টের কালেকশন নিয়ে এসেছি। ব্লগার মহামহোপাধ্যায় সম্প্রতি একটি সংকলন করেছেন, যেখানে আপনি অনেক ভালো ভালো কিছু লেখা পাবেন।
গ্রীক পুরাণ সমগ্রঃ সামহ্যোয়ার ইন ব্লগের গ্রীক মিথ সংকলন
আশা করি আপনার ভালো লাগবে।