নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে। ঘুরে বেড়াতে চাই আর একটা মুক্তি...

সাদিকুর রহমান নয়ন

ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে। ঘুরে বেড়াতে চাই আর একটা মুক্তি...

সাদিকুর রহমান নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি রঘব বোয়াল আপনার এথিকস ঠিক আছে, আমার এথিকসে সমস্যা!

০১ লা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮


গ্রাম্য একটি প্রবাদ আছে কাটাকে কাটা দিয়েই উঠাতে হয়। মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক ঠিক এই কাজটিই করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটি প্রশংসার দাবিদার। তবে প্রতিবেদনে ১৮ বছরের কম বয়সীদের চেহারা দেখানো হয়তো একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু একটু ভুল কাজ করেও যদি বড় কোনো ক্ষতকে প্রকাশ করা যায় তবে সেটাই কি ভালো নয়?

ফেসবুকে দেখলাম একজন একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। সেখানে দেখা যায়, ভিডিও আপলোড করা লোকটি যে ছেলেগুলো প্রতিবেদনে সাক্ষাৎকার দিয়েছে তাদের মধ্যে একজনের বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলেছেন। মূলত ভিডিওটি দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে প্রতিবেদনটি পুরোটাই সাজানো ছিল। ওকে। গুড জব...। খবরের পেছনের খবর প্রকাশ করে আপনি নিজের স্মার্টনেস ও সচেতনতারই পরিচয় দিয়েছেন। ভিডিওটির শেষে কুরুচিকর কিছু শব্দ ব্যবহার করে সাংবাদিক সমাজকে গালিও দিয়েছেন। শিক্ষা ব্যাবস্থার ১২টা বাজার যে চিত্র প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে সেটি এড়িয়ে গিয়ে একটু কি নিজেকে ক্ষ্যাত হিসেবেই উপস্থাপন করলেন না?
সাধারণ মানুষ হিসেবে সমালোচনা আপনি করতেই পারেন। তবে সে সমালোচনার ধরণটাও মার্জিত হওয়া উচিত বৈকি।

অনেক সিনিয়র সাংবাদিকরাও এথিকস নিয়ে সমালোচনা করেছেন। যিনি প্রতিবেদন করেছেন সেই সাংবাদিক অনেকটাই অপরিচিত। চুনোপুটিও বলা চলে। তবে ওই প্রতিবেদনের এথিকস নিয়ে বুলি আওয়াচ্ছেন যেসব রাঘব বোয়াল সাংবাদিকরা তাদের এথিকস কোথায় থাকে যখন সত্য বলার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সত্যকে চেপে যান আর মিথ্যাকে সত্য বানান! মাসের পর মাস একজন প্রতিবেদককে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে টাকা পরিশোধের সময় তালবাহানা করেন! দায়সাড়া ভাব দেখান! প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রম শোষণ করেন!
এটা তো এথিক্যাল। তাই না দাদা?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

স্টাইলিশ বয় বলেছেন:


বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার করলে আপনার পোস্ট এবং পোস্ট সংশ্লিষ্ট কথাগুলো খুবই সুন্দর! এমনকি আপনার উল্লেখিত কথার সাথে আমি সহমতও। কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা আমরা করতেই পারি। তবে যতটা সম্ভব সেটা শালীনতা বজায় রেখে করাটাই ঠিক হবে। পক্ষে বিপক্ষে নিজেদের মতামত দিয়ে গিয়ে যদি উগ্রতার আশ্রয় নিই, তাহলে তো সেই সমস্যার কোনদিনও সমাধান হবে না।

এখন আমার প্রশ্ন, ফেসবুকে যিনি পাল্টা ভিডিও আপলোড করেছেন সেটা সত্যি তো? নাকি সেটাও সাজানো নাটক? যদি সত্যিও হয় তাহলে আমরা কিভাবে বুঝবো যে সেই ভিডিওটা সত্যি? এমন ভিডিও তো যে কেউ যে কোন সময় ধারন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়তে পারে?

ভিডিওর লিংকটা যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে প্রতিউত্তরে একটু জানাইয়া দিয়েন! নইলে পোস্ট আপডেট করে সেখানে দিলেও চলবে।

ধন্যবাদ!

২| ০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: মাছরাঙ্গাকে ধন্যবাদ জানাই সেই সাহসী প্রতিবেদনের জন্য।

৩| ০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

গোলাম আলী রুবেল বলেছেন: আমিও মনে করি এ ধরনের রিপোর্টের ভীষণ দরকার ছিল। শুধু শিক্ষার্থীদের চেহারাটা ব্লার করে দিলে ভালো হত। এখানে শিক্ষার্থীরা ভীষণ অপমানিত হয়েছে। তারাতো জিপিএ ৫ কেড়ে আনেনি, তাদেরকে দেয়া হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে। কিন্তু অপমানিত তারাই হচ্ছে। চেহারা ব্লার করে দিলে এ সমস্যা হতনা। এটা ছাড়া ভীডিওটির জন্য ধন্যবাদ দিতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.