নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

``যে দিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে...

আমি তরুণ। নিয়ম মানতে ভাল লাগেনা...

চোখেরবালি

``কেন কবি খালি খালি হলিরে চোখের বালি, কাঁদাতে গিয়ে অবশেষে নিজেই কাঁদিলি...''

চোখেরবালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুব মনে পড়ে আপনার কথা.

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

সুমের (আমার মেয়ের ডাকনাম) বয়স তখন ৩-৪/৫ মাস হবে। আমার চাকুরী নাই। মেয়ের জন্য এক কৌটা দুধ কিনবো তারও সাধ্য নেই। প্রতিদিন ভোরে ডিইপিজেডে গিয়ে ঘুরাঘুরি করতাম, কোন ফ্যাক্টরীতে নতুন লোক নিবে কিনা সেই আশায়। প্রথম প্রথম খোঁজতাম অফিসিয়াল কোন পোষ্টে জয়েন করার কথা চিন্তা করে। যখন দেখলাম নাহ্ কোনভাবেই পাওয়া যাচ্ছে না, তখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে কোন কাজ হোক জয়েন করে ফেলবো। কিন্তু সেটাও হলো না। এভাবে সময় কেটে গেল প্রায় এক মাস। অবশেষে ঘুরতে ঘুরতে একদিন বিরক্ত হয়ে গেলাম। নাহ্ এভাবে এখানে আর আসবো না। প্রধান ফটক দিয়ে বের হতেই একটি বিজ্ঞাপনে আমার চোখ আটকে গেল। যেখানে লেখা ছিল; একজন দক্ষ কম্পিউটার অপারেটর প্রয়োজন। আমি ঐ বিজ্ঞাপনে দেয়া নং এ কল দিলাম। লোকটা ইপিজেডের কাষ্টমসে জব করেন পাশাপাশি ব্যবসা। আমাকে তার অফিসে ডাকলেন। পর পর দু'দফা ইন্টারভিউ নেওয়ার পর বল্লেন, আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে। বলেন, বেতন কত নিবেন? তার আগে বলে নেই, দোকানে কাজ করতে হবে সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। কোন ছুটি নাই। তবে বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে আগেরদিন জানাবেন, আমি ম্যানেজ করবো। আমি সব শর্তে রাজি হলাম। বেতন ধরা হলো ৯,৪০০টাকা।

যাইহোক, আমি জয়েন করলাম দোকানে। ওখানে গিয়ে দেখলাম, যারা দোকানে কাজ করে, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বড়জোড় এইট/এসএসসি। শুরু হলো আমার ডিউটি। সকালে সাধারনত আমার কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। সামান্য কিছু খেয়েই দোকানে চলে আসতাম।সাদিয়া প্রতিদিন ছোট একটা ব্যাগে করে আমার জন্য কিছু একটা করে দিয়ে দিত। আর বলতো, সময় করে খেয়ে নিও। দেখা যেত দোকানে যেদিন খুব ভীড় হতো, সেদিন ঐ খাবার তেমনই থাকতো, খাওয়া হতো না। এভাবে চলতে থাকলো, আমি মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করতে থাকলাম; হে আল্লাহ! তুমি সর্বশক্তিমান, আমাকে তুমি উত্তম কিছু দান করো। দীর্ঘ ছয়মাস পর আল্লাহ আমার মনের বাসনা পূর্ণ করলেন। আমি আগে যে অফিসে, যেই বসের আন্ডারে চাকুরী করতাম, সেই বস আমাকে কল করলেন আর বল্লেন, আপনি চলে আসুন। আমি দোকানের মালিকের সাথে সব ঝামেলা চুকিয়ে সেই অফিসে জয়েন করলাম। জয়েন করে আমার চোখতো ছানাবড়া...! আমার বস আমাকে প্রমোশন দিয়ে জয়েন করিয়েছেন। চির কৃতজ্ঞ আমি তার কাছে। খুব ইচ্ছে হয় তাকে বড় ভাই বলে ডাকি। কিন্তু কোনদিন সাহসে কুলায়নি। এখন আমি স্যারের কাছ থেকে অনেক দুরে। এতদুরে থেকেও বলতে চাই স্যার! আমার জন্য দোয়া করবেন। খুব মনে পড়ে আপনার কথা। আপনার দেয়া পরামর্শগুলোর কথা। যা আমার সারা জীবনের চলার পথের হাতিয়ার। আমিও সবসময় আপনার ও রুহিনের জন্য দোয়া করি। রুহিনকে মাঝে মাঝে খুব মিস করি। ভাল থাকা হয় যেন সবার। শুভ রাত্রি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৪

প্রামানিক বলেছেন: পড়লাম আপনার দুখের এবং সুখের কাহিনী। ধন্যবাদ

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:২৬

আজমান আন্দালিব বলেছেন: মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে শোকর আলহামদুলিল্লাহ।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: তো এখন কি আপনি সেই কোম্পানিতে নেই?

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: তো এখন কি আপনি সেই কোম্পানিতে নেই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.