নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লিখা কবিতা, উপন্যাস, ছোট গল্প, গান । আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

শফি মোঃ ওমরর ফারুক

কবি শফি মোঃ ওমর ফারুক

শফি মোঃ ওমরর ফারুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১০

সভ্যতার দপণ
কবি, শফি মোঃ ওমর ফারুক

১. বঙ্গাব্দে প্রকৃতি ও প্রেম
তব, তুলনা কি ? দেব বাংলার প্রকৃতি ও রুপে
হার নয় তব চির প্রেমে সুন্দরের উল্ল্যাস বিভায়
স্নিগ্ধ মনোলোভা উম্মাতাল ফাগুনে, ফুল,কাননে
স্বগ চক্ষুসম তম এ রুপ কভু নয় পরাহত
বঙ্গাব্দে যতো বিবিধ রতন; নয় কভু ম্রিয়-ম্লান তব চির উজ্জল
বৈষয়িক রুপে নয় শুধু যাদু; অন্তর আত্নায় রহিয়াছে ততো মধু ।।

কালের গর্ভে নত নয় এ প্রকৃতি শোভা
তব আনন্দ্যলোকে চির বসন্তের নৃত্য প্রতিমা
মম বিমুগ্ধ-মুগ্ধ অমৃত অবিনশ্বর এ রুপের ছায়া
এতো রুপে সাজিয়েছে বাংলা; বাড়লো শুধু মায়া
বাংলার যতো সৌর্ন্দয্য জ্যোতি; হয় রুপের অধিপতি
আর্তি ঝরা মায়ায় এ রুপ শোভা; বাড়বে শুধু অতি ।।

২. ঐশ্বরিক ঐর্শ্বয্য

তুখোড় বৃষ্টি শেষের সকাল
মৃদু কন্ঠি নদী আলিঙ্গন দেয়
শোক সে কি? দীপ্ত দৃঢ় কন্ঠী শক্তি
যে মর্মে দুঃখ অন্নেষণ, প্রেমো দাহন
পুস্পিত দ্রোহে নিয়তির সবর্স্ব কাঁদায়
ঘণ তুষার জমা মেঘের ডানায় ।

কাব্য বিদ্রোহী পদভারে নত নয়
সবুজে সবুজে চিত্রিত বেদনার ঝড়
নক্ষত্ররা, জীবন্ত কিবংদন্তী মহাকালে
আনন্দ সূধা, গৌরব যতো দিলো তারা মোদের
নয়, নব দূত, সু-গন্ধি ছড়ানো তাদের জয়
বাহুলীলা অপরুপ মোর প্রেয়সী বাংলা
অমৃত উৎস ধারা, ধন রতন ভান্ডার; আত্নহারা বিস্ময়
নদী দেহের আত্নহারা আঁকা-বাকা প্রাচুর্যের নিঃপ্রভ বাংলায়
নিগূঢ় আত্নারা রয়েছে চেয়ে, নিঃশব্দে
নূতনের মাঝে হারানো প্রজম্মের ঝাঝালো ঘ্রাণ শূকি
নিঃপ্রাণ শিলার তৃষ্ণার জল গোছাতে নয় ।

সূর্য্য থেকে বুড়ো, আর কোন সূর্য্য হয় ?
বঙ্গাব্দে কথা শোন; ঐশ্বরিক ঐশ্বর্য্য
প্রজ্জলিত বিপ্লবের উল্ল্যাস মুখরিত তন্দ্রায়
চেতনায় রাতজয়ী দীপিকা বসন্তে;
নক্ষত্র পুঞ্জের ছায়া বেয়ে
পায়ে পায়ে হেটে এলো, ঐশ্বরিক “একুশ”
ষোড়শী আবেগ, সু-গন্ধির অশ্রুঝরা প্রভাতে
আলোকিত প্রেমের বাসন্তি বসন্তে
ভালবাসার উচ্ছাসী উৎসবে; দগ্ধ তাঁরায়।

কি ? মুগ্ধতায় গড়া তোমার গঠন শৈলী, অবয়ব ?
তৃষ্ণা কি ? মেটে মোর ? এ গৌরবময় স্তম্বে দাড়িয়ে ?
মূঢ় বাস্তবতায়...
উলশেগুড়ি বৃষ্টি প্রণয় পদে দগ্ধ
নূড়ি, পাথরে গড়া বেদী তাকিয়ে;
রিক্তে আমার দ্রোহের আগুন, প্রণয় পদে দগ্ধ; ক্রন্দনে প্রলুদ্ধ ।
বৃষ্টি এসে, অদৃশ্যতার দেহে মিষ্টি হাসে
পত্র পল্লবে, একুশের ঘ্রাণ, হ্রদ-সম
একদিন, নূতন দেশে মোদের ঘুম ভাঙ্গবে
মধূর সুরে; স্নিগ্ধ হবে নগরী
ঐশ্বরিক ঐশ্বর্য্যের “একুশের –তটে ।।


৩. বঙ্গ মাতা
হে, বঙ্গ মাতা; বঙ্গাব্দে যতো বীর রতণ
সময়ে করোনি তব যতন,
উদরে; দার্শনিক রসদ যতো
ফোটেনি তব; নীলপদ্দ ততো ।
শাপলা-শালূক ফুল যতো
কাঁকর –কলি-অলি, মালতির মতো
সন্ধা তারা সব চেয়ে
প্রাচূর্য্য আর মমতা দিয়ে, করো তাদের আলিঙ্গন ।।

তেজ বা উদ্দীপ্ত নক্ষত্র যতো
বঙ্গাব্দে তারা জম্মিলো ততো
করিনু স্মরন; করিনু বরণ
উদরে যতো মানিকো রতণ ।।
মহাকাব্য তপের উপবাস হেরি
উজ্জল নক্ষত্ররা মহাকালে রহিলো গাড়ি
বঙ্গাব্দে জ্যোতি যতো মহারথী
মূণি রিষি; চির প্রণম্য তারা, হৃদয়ে ততো ।।
শীতল আছল পলি,
ফুল পাখি কাকর অলি
খুলে শাঁখা মন; ডাকে সারাক্ষণ
স্বপ্ন ডালে; পাকা মেলে
রাজকীয় সম্ভাষণ ।।
তৃষ্ণা হেরি সোপোনো খুলিয়া
মাতৃভূমি রহিয়াছে পড়িয়া
আহত পাখি ঝাপটে ডানা
তীব্র দ্রোহে মাতৃভূমি গড়িয়াছে পড়িয়া ।।
উদরে উদর ঢাকি
আলোতে আলো মাখি ।
স্নেহশীল প্রেমে
ধানের শিষে শিশির এসে
তৃষ্ণা মেটয়ে ক্রমে ।।

পরীযায়ী মন জ্বালায় সারাক্ষণ
বুনো শান্তির দেহে, শব্দের কাতরতা মেখে
অতি দূর যতনে রাখিব তাদের
মাখিব সু-গন্ধি যেন থাকে সারাক্ষণ
পদ্দাবতী হ্রদে; শান্ত জলে শান্ত আঁখি মেলে
ছাড়িয়ে যায়নি তাঁরা; তাদের দৈঘ প্রস্থ খুলে
তব, স্নপ্ন বীজ বুনে; পাখি ডাকে নিঃশব্দ ভৈারে ।।
নিঃশব্দ শান্তির পথে; বেহুলা বাজায় তাদের জয়োগান
শিশিরের লজ্জা মেখে কবি দান করে, সভ্যতার গাঁথূনি ।।

৪. জীবন ও রসদ

কালি; কলমের সাথে ফিস ফিসিয়ে কথা বলে
কালি শেষে, কলমের কি মূল্য থাকে ?
কাগজ কলমকে প্রশ্ন ছোড়ে, কি ? ওদার্য্য এঁটে দিলে মোর দেহে ???
কলম কাগজকে প্রশ্ন ছোড়ে...
আমাদের তিনের সমন্বয় বিনে, জীবনের কি মূল্য থাকে ?
তব; অন্ধকার কি ? আলোর দেহে শূয়ে থাকে ?


৫. কম্বল

জীবন একটা ছোট্র কম্বল
উপরে টানলে নীচে খালি
বয়ে টানলে ডানে খালি
জীবন একটি ছোট্র কম্বল ।।

৬.

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

শফি মোঃ ওমরর ফারুক বলেছেন: অনিন্দিতা
শফি মোঃ ওমর ফারুক তাং ঃ ১২/১০/ ২০১৭ ইং
হে, কীর্তনখোলা; তুমি কি শুনতে পাও আমার আত্নার গোপন কথা ?
অনুচ্চারিত মেঘ বালিকার শব্দ মালা ?
রিক্ত হ্রদে অস্পষ্ট বিষণ্ণতা; রোদ নামে অবনত অনন্ত দূরে
নৃতত্ত্বে কতোখানি ব্যথার বৈরাগ, বৃষ্টি মুষল সন্ধ্যায় ?
চির বসন্তগুলো নিরচুপ নিরবে খসে পড়ে জীবন বৃন্ত থেকে
কাকে তুমি আলো বল ? আলোর জলসায় নিষিক্ত আষাঢ় ।।

বৃষ্টি মুগ্ধ প্রহর গুলো; চর্যবৃত্তির মোহ নিদ্রায় ঘুমন্ত নয়
চিত্রকর কি ? রং খুজছে, তোমার কাছে, পড়ন্ত বেলায়, বসন্ত আসিবার তরে
শান্ত জলাশয় কি ? চির বসন্তের কথা বলে, হে; কীর্তনখোলা ?
শৈল্পিক ভঙ্গিতে নড়ে চড়ে না তীর্থজল, নৈবেদ্য দাবানলে, কৌঁসুলি আড় চোখে
হে; কীর্তনখোলা, বর্ষা নুপুর কি ? ঝংকার খোঁজে তোমার বুকে ?
জল থেকে চোখের জল বা কাজল আলাদা করা যায় না ।।

কংস পাড়ের পাপড়িতে পুস্প রেনু কি পরাগায়নে ব্যপ্ত ?
শব্দ মন্দিরা; মোহনিদ্রায়, ব্রতী; নব্য অভিধায় চিত্ত ধোয়
দুর্বিনীত অহনীশে এ কোন মোহমুগ্ধতা এঁকে দিলে, হে; কীর্তনখোলা ?
খড়কুটো নিসর্গে চোখের কাজল, সিঁথিতে সিধুর
রহস্য পিয়াসী চৈতালি মাঠে বুনোলতা
আত্নায় আত্নিক শৈলী, অনিন্দিতার দু'চোখে, হে; কীর্তনখোলা ।।
স্থান ঃ ১/২, লার মিনি ষ্ট্রীট, ওয়ারী, ঢাকা
তাং ঃ ১২/১০/২০১৭ ইং



২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

শফি মোঃ ওমরর ফারুক বলেছেন: ভাল থাকা ভাল দায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.