![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি শফি মোঃ ওমর ফারুক
শিল্প, ধম, কম, সমান্তরাল কমের উপাখ্যান, রহস্য ভেদী কিছু নয়। বিচ্যুত ভালবাসা নষ্ট মিছিলের গল্প বলে।কাব্য কি ধৈর্য্যের সাক্ষী দেয় ? একদিন সব কিছু চলে যাবে নষ্টদের মিছিলে।লুন্ঠনের চেয়েও মগজের শোষণ মারাত্বক।রক্ত চক্ষুর ভয়ে নত জাতি মেরুদন্ডহীন।সভ্যতা সে কি, সাক্ষী দেয় কাব্যের দেহে ? সভ্যতার দ্রোহ, সভ্যতার কাব্য । কাব্য সভ্যতার দপন ।কাব্য—সভ্যতার বির্বতনের সাক্ষী । কাব্য প্রকাশ করে, সভ্যতার গাঁথুনি, দৃঢ় বা রুঢ়, মেদুরতার গল্প বা লিখনি ।।
কবি, শফি মোঃ ওমর ফারুক জম্ম সূত্রে, লক্ষীপুর জেলার, রামগঞ্জ থানার আলীপুর গ্রামের নিবাসী।জম্ম ১৯শে এপ্রিল, ১৯৭১ ।বর্তমানে ১/২, লারমিনি ষ্টিট, ওয়ারী, ঢাকা । পেশায় একজন সফল ব্যাবসায়ী হলেও শিক্ষা জীবন তার খুব বেশী দূর এগিয়ে যায়নি, তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৯৬ সালে ।রক্ষনশীল ও মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান হলেও তিনি থাকেন সাহিত্যের অনুরাগী।এটি তার দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ ও ষষ্ট গ্রন্থ ।দীঘ ত্শি বৎসর যাবৎ উনি নিরলস ভাবে সাহিত্য সাধনা করে গেছেন। পাহাড়, নদী, সাগর এ্ ি তিনের সম্বয়ে গড়া চাটগাঁয়ে কাটে তার শৈশব, কৈশর ও যৈাবন । সঙ্গত কারণে তিনি হয়ে উঠেন সাহিত্যের অনুরাগী ।এ তা্ ি তার ষষ্ট প্রকাশ । এ প্রকাশের সাথকতা কোথায় তা পাঠকের হাতে বির্চায ।।
সভ্যতার দপণ
কবি, শফি মোঃ ওমর ফারুক
১. সভ্যতার দপণ
ধূলিকণার বসতিহীন শূণ্যে, সভ্যতার কোন স্তরের কোন শেকড়ের নীড়ে “তুমি” ?
অনুশোচনার বালি ঘাটাঘাটি; স্মৃতির বৃষ্টিপাতে মনোহর মন্ত্রধ্বনি, জোছনা প্লাবিত প্রান্তর অনিদ্রায় বর্ণহীন ।
চোয়ানো অদ্ভুদ বিষাদ; নির্যাস;তুমুল দ্ধন্ধ, যুদ্ধ উষ্ণ ওষ্টাধারে; মাটির মমতায় আদ্র ।
জ্যোতি জগত থেকে মহাভারত, মহাকাল; মহা জগত ছাড়ি; আমি হেটে চলেছি- লবঙ্গ সাগরে, এতোটুকুন আশ্রয় মেলেনি।
দিক-বিদিক, কি ? দিবা স্বপ্নে; তম্ময় শিরার অতন্দ্র ধারায়, নোঙ্গরন গেড়েছি; শিশির বিছায়ে খুজেছি তোমায়; অতৃপ্ত আত্নায় ।
ফেলে আসা সংসার; জগৎ, মোহময় ধূলি ধূসর অস্পষ্ট মহাকালে; খুজেছি তোমায়, অনন্ত অন্তর যুদ্ধে ।
তুমুল উম্মাদনায়; হেসে উঠে, ”ঘাস ফুল” আয়ু কাঁদে নিয়ে এসে বলে, “তুমি যাবে মোর সাথে অনন্তে” অনন্ত সূরা পানে ? “
আদ্র শীতল পাটির শীতলতায় এলিয়ে দেহ, আবেগাপ্লুত তেপান্তরের গল্প শোনালে তুমি
গাঢ় বসন্তের প্রখর রৌদ্র উজ্জল তীব্র আমন্ত্রনে; মন কাঁদলে, খুজব জীবন; নিবিড় দৃষ্টিতে চিত্রিত আলোর বিচ্ছুরনে ।
বিস্ময়কর স্বপ্ন মেখে দুচোখে; জীবন গল্পের নকশী কাঁথা বুনে সভ্যতা; কোন জ্বরে ভোগে ? কোন সুরার কোন পাত্র পানে ?
দগ্ধ আলোর আত্নায়, শীতল বৃষ্টি; সু-ললিত কন্ঠ দোলায় “ পাখি” সুমিষ্ট গান, স্বগ সুষমার সরোবরে; অনন্ত পথে গেয়ে যায়, নিরন্তর ঘনীভূত অন্ধকারে ।
কোমল পালকের ভালবাসার র্স্পশ বুলিয়ে; অঙ্গ সায়িনী প্রেয়সীর; ঘুমন্ত কোমল মুখ খানি দেখনি, চিত্তে ? শীত পোহানো পৈাষের রাতে ?
হঠাৎ র্নিজন চাহনি শেষে,চাঁদের দেশে নিদারুন দুঃখ গিলে উঠে দাড়িয়েছি, ঘাসফুল দেশান্তরে ।
অন্ধ; অনুরাগের কেশরে এ ধরায় এতো টুকুন আশ্রয় মেলেনি; বাসন্তির বসন্ত সু-গন্ধি কেশর বিনে ।
২, নূর তথা ঞ্জানের আলো
কি বলে বর্ণনা দেব তার রুপের এমন বসন্ত দিনে ?
আসাদ্দুর জামান নুর, ঞ্জান গর্ভে আলোর উদ্যানের প্রতীক
সু-গন্ধি শ্রাবণে সত্য সুন্দরে সাদা মনের মানুষ
রাত্রির জঠরে ন্যায়ের উঠোনে বিপ্লবী সৈনিক
শুধু বাংলা তথা চর্য্যা পদে নয় তুখোড় অভিনয়ে সমগ্র ধরা চেয়ে রয়
জলপা্ িগুড়ি জম্মস্থান হলেও বুড়ি তিস্থা, সালকি, সরব মংলার প্রেমে আসক্ত থেকেছেন
এ শুধু পর্দাপণ্ ি নয়’ সাধনায় অপার সৃষ্টিতে বলিষ্ট অবদান তার বাংলায় ।।
নীল ফামারীর পলিতে তার নেশার নৃত্যে কতো মধূতান
ধরলা নয় শুধু, ্ছিামতি চিত্তে তার কোমল পরশ বুলায়
বন্ধনহীন নয়; তার সাধনায় তুলে আনা নির্যাস, যার রং ও গন্ধ আলাদা
পবিত্র মনে বিদ্রোহী দানার ভ্রুণ উজ্জল্য ছড়ায়
উত্তাল জীবন যুদ্ধের রণ সংগীত বিজয়ানন্দে আত্নহারা
জাতির মেরুদন্ডে নিঃশব্দ চরণ তার
চিন্তা বা দষর্নের সংঘর্ষে রাত্রির কামনা হারায়
নব এক পৃথিবীর সন্ধানে আত্না নয় অবসাদ ক্লিষ্ট তার
ঞ্জানের সন্ধানে প্রগাঢ় শ্রদ্ধায় গভীর তার উচ্ছাস
শিশিরের মগ্নতায়; ক্লান্ত স্মৃতি, মানুষ সমিল দীর্ঘ তার পদাবলী
নশ্বর নয়; অবিনাশী বিশ্বাস শব্দের পাজরে কাতর তার নিঃশ্বাস ।।
৩. বঙ্গাব্দে প্রকৃতি ও প্রেম
তব, তুলনা কি দেব বাংলার প্রকৃতি ও রুপে ?
হার নয় তব চির প্রেমে সুন্দরের উল্ল্যাস বিভায়
স্নিগ্ধ মনোলোভা উম্মাতাল ফাগুনে, ফুল,কাননে
র্স্বগ চক্ষুসম তম এ রুপ কভু নয় পরাহত
বঙ্গাব্দে যতো বিবিধ রতন; নয় কভু ম্রিয়-ম্লান তব চির উজ্জল
বৈষয়িক রুপে নয় শুধু যাদু; অন্তর আত্নায় রহিয়াছে ততো মধু ।।
কালের গর্ভে নত নয় এ প্রকৃতি শোভা
তব আনন্দ্যলোকে চির বসন্তের নৃত্য প্রতিমা
মম বিমুগ্ধ-মুগ্ধ অমৃত অবিনশ্বর এ রুপের ছায়া
এতো রুপে সাজিয়েছে বাংলা; বাড়লো শুধু মায়া
স্নিগ্ধ মুখশ্রীর অপরুপ; তরুলতায় ভরা
মুখ ফেরায়নি এক দন্ড; অপলক তাঁরা
বাংলার যতো সৌর্ন্দয্য জ্যোতি; হয় রুপের অধিপতি
আর্তি ঝরা মায়ায় এ রুপ শোভা; বাড়বে শুধু অতি ।।
৪. বাংলার রুপ রাজির ্তি কথা
কোন সে স্নিগ্ধ ছায়া; হাসির উচ্ছল উজ্জলতা
উদ্দীপ্ত যৈাবনে কোথায় এমন তারুণ্যের গৌরব গাঁথা ?
এতো শুধু র্স্বণ যুগ নয়, প্রেমে উত্তাল আনন্দ্য দোলার জয়
কি শীতল, কি শান্ত, কি উজ্জল মিলন রুপের শোভা ?
মিষ্ট বসন্তে গ্রথিত সন্নিবিষ্ট সুন্দরের সৌরভ তথা
সৃষ্টি তম, দৃষ্টি নন্দন সুন্দরে; বাংলার রুপ রাজির এতি কথা ।।
কাব্যিকতার এমন র্শীষে; অশরীরি বাংলা, রং তুলিতে স্মৃতির বেদনা নয়
নয় র্নিদয়; চির যৌবনা প্রাণের প্রসারে তার সংসার
হে, মোহিনিী; অদৃশ্য তাঁর বীণাখানি; সিঁধূর মাখিলো অধরে তোমার
এ নয় গ্রন্থিত; উল্লসিত সুখের নব সূচনা; চির শান্তির অনবিল আনন্দে, রৌদ্র মাখা সিঁধূর
আত্নার প্রশ্ন রেখা; বরেণ্য ব্যাকুল চিত্তে মন পবনের পাল তোলা নৈাকা ।।
কি রুপের বিশ্বরুপ; অপরুপ সৌর্ন্দয্য, চরণ ধূলার বদণ খানি; এ এক শীতল পাটি
মমতায় ক্লান্ত স্মৃতি, পড়ন্ত বিকেলে প্রথম প্রহরের উজ্জল সকাল হেসে রয়
মুখর সুষমায়; স্মৃতি শিখরে কাশবন নদী চরাচর বুনো চাঁদ হেসে রয়; নয় তার কভু পরাজয়
আক্ষেপ নয়, ছন্দের রন্ধে রন্ধে দ্রোহের স্নিগ্ধ বনে হবে তার জয় ।।
৫. একটি ফুলদানি
বাংলার মতো এমন একটি ফুলদানি এনে দাও বিশ্বময় ?
র্বিতক কি আছে ? বাংলার রুপে, প্রেমে,তব কোন উপমায়,চির বিস্ময় তার জয়
জননী জম্মভুমি মোর; কি ? তৃষ্ণা মেটাব তোমায় ?
প্রাণে নয় মোর প্রেমো খরা; চিত্ত ব্যাকুল আকুল করা
কোন সুদূরে তার সুর জোছনা, আর্য্য নয় শুধু সৃষ্টের জয়োধ্বনি তাঁরা
বাংলার মধূমতি তপের উপবাস হেরি; তৃষ্ণা যতো মোর রহিয়াছে চাহি ।।
যদি চিত্রকর হতাম; বাংলার উজ্জল মুখশ্রীটা বার বার একে রাখতাম
সমগ্র দেশ যেন নদের আল্পনায় আঁকা, সে কি এক উজ্জল লাবণ্য শোভা
উচ্চ শিখরের শেখর তুমি; হিমাদ্রির তীব্র জল রেখা ভূমি
মুকুলের উত্তাপ বনে, কুহ- কুঞ্জণ ধ্বনি; অদ্ভুদ আনন্দ খনি ।।
সৈন্দর্য্য জ্যোতি অতি, চিরঞ্জীব তার দ্যুতি; তীব্র রৌদ্দুরের ঝলকানিতে মাতি
আহাঃ সেকি অহংকার ! আরো দীপ্ত আঁখি যুগল
সমগ্র বাংলা যেন এক পদ্দময় কবিতা; আলো ছায়ার ভূবনে, নীরব পুস্পের অনুভবতা
নয় কলঙ্গ গান গাঁথা, বৃষ্টির শিশিরে অবিনশ্বর কোমল চপলতা
স্নিগ্ধ প্রেয়সী তুমি, উষ্ণ ঘাসের মাদুরে, পাহাড়ের পাদদেশে কৃষ্ণচূড়ার চাদরে ।।
দেওয়ালের চিত্রপটে আঁকা নয় শুধু বিশ্বাস, বিস্ময়ে চেয়ে রয় চির বসন্তের সব উচ্ছাস
প্লাবনে প্লাবিত জোছনা; মধুমতির র্স্বণ কেশর, আর্য্য নয় শুধু সৃষ্টের জয়োধ্বনি তাঁর
কি তোমার রুপের অপরুপ ভাস্কর্য্য, পলাতকা পিপিলিকা গায় গান , ছন্দ কি তার আশ্বার্য্য !!
রৌদ্র ভেজা এ চির অস্থিত্ব নয় কভু ম্লান, বৈশাখের নিবিড় আলিঙ্গনে রবে চির উজ্জল, অম্লান ।।
৬. ঐশ্বরিক ঐর্শ্বয্য
তুখোড় বৃষ্টি শেষের সকাল
মৃদু কন্ঠি নদী আলিঙ্গন দেয়
শোক সে কি? দীপ্ত দৃঢ় কন্ঠী শক্তি
যে মর্মে দুঃখ অন্নেষণ, প্রেমো দাহন
পুস্পিত দ্রোহে নিয়তির সবর্স্ব কাঁদায়
ঘণ তুষার জমা মেঘের ডানায় ।
কাব্য বিদ্রোহী পদভারে নত নয়
সবুজে সবুজে চিত্রিত বেদনার ঝড়
নক্ষত্ররা, জীবন্ত কিবংদন্তী মহাকালে
আনন্দ সূধা, গৌরব যতো দিলো তারা মোদের
নয়, নব দূত, সু-গন্ধি ছড়ানো তাদের জয়
বাহুলীলা অপরুপ মোর প্রেয়সী বাংলা
অমৃত উৎস ধারা, ধন রতন ভান্ডার; আত্নহারা বিস্ময়
নদী দেহের আত্নহারা আঁকা-বাকা প্রাচুর্যের নিঃপ্রভ বাংলায়
নিগূঢ় আত্নারা রয়েছে চেয়ে, নিঃশব্দে
নূতনের মাঝে হারানো প্রজম্মের ঝাঝালো ঘ্রাণ শূকি
নিঃপ্রাণ শিলার তৃষ্ণার জল গোছাতে নয় ।
সূর্য্য থেকে বুড়ো, আর কোন সূর্য্য হয় ?
বঙ্গাব্দে কথা শোন; ঐশ্বরিক ঐশ্বর্য্য
প্রজ্জলিত বিপ্লবের উল্ল্যাস মুখরিত তন্দ্রায়
চেতনায় রাতজয়ী দীপিকা বসন্তে;
নক্ষত্র পুঞ্জের ছায়া বেয়ে
পায়ে পায়ে হেটে এলো, ঐশ্বরিক “একুশ”
ষোড়শী আবেগ, সু-গন্ধির অশ্রুঝরা প্রভাতে
আলোকিত প্রেমের বাসন্তি বসন্তে
ভালবাসার উচ্ছাসী উৎসবে; দগ্ধ তাঁরায়।
কি ? মুগ্ধতায় গড়া তোমার গঠন শৈলী, অবয়ব ?
তৃষ্ণা কি ? মেটে মোর ? এ গৌরবময় স্তম্বে দাড়িয়ে ?
মূঢ় বাস্তবতায়...
উলশেগুড়ি বৃষ্টি প্রণয় পদে দগ্ধ
নূড়ি, পাথরে গড়া বেদী তাকিয়ে;
রিক্তে আমার দ্রোহের আগুন, প্রণয় পদে দগ্ধ; ক্রন্দনে প্রলুদ্ধ ।
বৃষ্টি এসে, অদৃশ্যতার দেহে মিষ্টি হাসে
পত্র পল্লবে, একুশের ঘ্রাণ, হ্রদ-সম
একদিন, নূতন দেশে মোদের ঘুম ভাঙ্গবে
মধূর সুরে; স্নিগ্ধ হবে নগরী
ঐশ্বরিক ঐশ্বর্য্যের “একুশের –তটে ।।
৭. বঙ্গ মাতা
হে, বঙ্গ মাতা; বঙ্গাব্দে যতো বীর রতণ
সময়ে করোনি তব যতন,
উদরে; দার্শনিক রসদ যতো
ফোটেনি তব; নীলপদ্দ ততো ।
শাপলা-শালূক ফুল যতো
কাঁকর –কলি-অলি, মালতির মতো
সন্ধা তারা সব চেয়ে
প্রাচূর্য্য আর মমতা দিয়ে, করো তাদের আলিঙ্গন ।।
তেজ বা উদ্দীপ্ত নক্ষত্র যতো
বঙ্গাব্দে তারা জম্মিলো ততো
করিনু স্মরন; করিনু বরণ
উদরে যতো মানিকো রতণ ।।
মহাকাব্য তপের উপবাস হেরি
উজ্জল নক্ষত্ররা মহাকালে রহিলো গাড়ি
বঙ্গাব্দে জ্যোতি যতো মহারথী
মূণি রিষি; চির প্রণম্য তারা, হৃদয়ে ততো ।।
শীতল আছল পলি,
ফুল পাখি কাকর অলি
খুলে শাঁখা মন; ডাকে সারাক্ষণ
স্বপ্ন ডালে; পাকা মেলে
রাজকীয় সম্ভাষণ ।।
তৃষ্ণা হেরি সোপোনো খুলিয়া
মাতৃভূমি রহিয়াছে পড়িয়া
আহত পাখি ঝাপটে ডানা
তীব্র দ্রোহে মাতৃভূমি গড়িয়াছে পড়িয়া ।।
উদরে উদর ঢাকি
আলোতে আলো মাখি ।
স্নেহশীল প্রেমে
ধানের শিষে শিশির এসে
তৃষ্ণা মেটয়ে ক্রমে ।।
পরীযায়ী মন জ্বালায় সারাক্ষণ
বুনো শান্তির দেহে, শব্দের কাতরতা মেখে
অতি দূর যতনে রাখিব তাদের
মাখিব সু-গন্ধি যেন থাকে সারাক্ষণ
পদ্দাবতী হ্রদে; শান্ত জলে শান্ত আঁখি মেলে
ছাড়িয়ে যায়নি তাঁরা; তাদের দৈঘ প্রস্থ খুলে
তব, স্নপ্ন বীজ বুনে; পাখি ডাকে নিঃশব্দ ভৈারে ।।
নিঃশব্দ শান্তির পথে; বেহুলা বাজায় তাদের জয়োগান
শিশিরের লজ্জা মেখে কবি দান করে, সভ্যতার গাঁথূনি ।।
৮. জীবন ও রসদ
কালি; কলমের সাথে ফিস ফিসিয়ে কথা বলে
কালি শেষে, কলমের কি মূল্য থাকে ?
কাগজ কলমকে প্রশ্ন ছোড়ে, কি ? ওদার্য্য এঁটে দিলে মোর দেহে ???
কলম কাগজকে প্রশ্ন ছোড়ে...
আমাদের তিনের সমন্বয় বিনে, জীবনের কি মূল্য থাকে ?
তব; অন্ধকার কি ? আলোর দেহে শূয়ে থাকে ?
৯. কম্বল
জীবন একটা ছোট্র কম্বল
উপরে টানলে নীচে খালি
বয়ে টানলে ডানে খালি
জীবন একটি ছোট্র কম্বল ।।
১০. একটি নীরব নীল পদ্দ
তোমার ঘুম ভাঙ্গেনি বলে
পশ্মিম আকাশে নিভলো আলো
ফিরে এসো...
ফিরে এসো, আবার অকৃতঞ্জ বাংলায়
র্প্রাথনার অনুমতি ছিলো না
অনুমতি ছিলো না অশ্রু আর দু:খের সংমিশ্রনের
তারা, কারা ছিলো ?
অকৃতঞ্জ বাঙ্গালী ?
যে বিশ্বাস একবাক্যে দিয়েছিলো
সাড়ে সাত কোটি মানুষ ।
তবে, এরা কারা ? ঝাঝরা করলো সমস্থ বিশ্বাস ?
অবলুন্ঠিত বাঙ্গালীর সকল ঐর্শ্বয্য
চিরকালের মতো কান্নায় মিশে দিলো ।
মহিমান্বিত তটভূমিতে এক ফোটা রক্তের দাগ
আজো মূছলো না ।
যুগের বাতাসে ধেয়ে আসলো, সে অকুতি
আমায় মারবে না তো ?
ঠিক,পাষাণ এজিদের মতো জানোয়ারটা ব্রাশ ফায়ার করলো
হায়,----
পাখিদের কলোরব থেমে গেলো
নিভৃত আলো যেন কেদে উঠলো
কোমল মতি শিশুরা জেগে উঠলো ।
তবে কি হায় ---
চৈত্রের দাগ শুকাতে না শুকাতে বৈশাখ এলো
বুকের সকল আর্তনাদ কেদে উঠলো
নির্জন অরণ্য লিখে নিলো
এক কলংকিত অধ্যায় ।
বিপ্লবের আবৃতিতে সে কি ? তুখোড় ছিলো না ?
আত্নত্যাগে তার চেয়ে কে ? বেশী এগিয়ে ?
আজ স্বাধিকার প্রশ্ন তোলে,
আমার সে, বজ্রশী কন্ঠস্বর আজ কোথায় ?
স্মরনে নিবিড় আলিঙ্গনে কেদে উঠে বুক ।
শোকে পুস্পমাল্য সু-গন্ধি ছড়ায় না
কলম কতোটা কালি দেবে রক্তাক্ত বেদনায়
বিষন্ন রৌদ্রের দ্রোহে তারা দ্বিধাবিভক্ত ছিলো কেন ?
মানবতা লিখে রাখরো একটি চিরকুট, “কি ? ছিলো তার অপরাধ”
স্বাধকিার কতোটা দিলো তাকে প্রতিদানের আলো ।
ণিমল আকাশটা টুকে নিলো রক্তের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিটি কণা
কান্নার করুণ মিনতি জেগে উঠে বললো , তবে কি ? নিমল আকাশটা
ঘুমিয়ে থাকবে, তার মৃত সন্তানদের বুকে নিয়ে ?
নিশ্চয়ই নয় ।
না হয় সে কাদে না, যুগের সাক্ষী দেয় ।
শতাব্দি থেকে শতাব্দির পরও উজ্জল হিমের মাঝে বর্ণীল আলো ছড়ালো সে,
অনাদিকালের আবহমান বাংলায় সেই “নীরব নীল পদ্দ” ফুটে রহিলো স্ব-মহিমায় ।
এ- কি ? ভালবাসার প্রতিদান দিলাম মোরা তাকে ???
রক্তের রিন কভূ শোধাবার নয় ।
কবিরা কি ? লিখেনি, তার গদ্য, একটি উজ্জল গোরবান্বিত তারকার কথা
বুকে উষ্ণ র্স্পশ পেলাম তার ।
ফিরে এসো
ফিরে এসো তোমার
অসমাপ্ত বাংলায় ।।
র্দূজয় সংকীর্ন মৃত্যু ভাসিয়ে নিলো সকল ভালোবাসা
আরো কতো বিষন্নতা মূছে গেছে খন্ডিত হাহাকারে ।
তবে কেন ? তার কপালে আজো কালো কালিমা ?
হেমন্তের তরুরাজ্জি বারবার আর্শিবাদ জানায়
আশ্বিনীর গৌধূলীতে দীঘির কালো জলে অশ্রু বিসরজন দেয় স্বজন ।
যেন ভেঙ্গে যায় তাদের বুকের পাজর ।
বিয়োগলে বাজে করুন সুরের আর্তি ।
যেন শিলা পাহাড়ের হৃদ স্পন্দন থেমে গেলো মুহুর্তে
আজ হংসদল নেই সেই জলে ।
কবি কি ? তোমার আদরশ কাব্য আবৃতি করেনি ?
আজো বহে চলে মহাকাল, না হেসে তোমার সোনালী সকাল
তৃষ্ণারত পুকুর আজো কাদে, বৃষ্টির অপেক্ষায়,
তুমি ফিরে এসো
ফিরে এসো, তোমার সেই
অসমাপ্ত বাংলায় ।।
১১. ডাটা
গোলাপের ডাটায় ভাল অর্থনীতি না থাকলে
সে গোলাপ ভাল সু-গন্ধি ছড়ায় না ।।
১২. পর
পর আপন হয় না; রক্ত কাটলে লাল যায় না ।।
১৩. দরপণ
সাহিত্য সভ্যতার দরপণ
গ্রন্থ সভ্যতার মেরুদন্ড
কবি, সভ্যতার চিত্রকর ।।
১৪. গোমতীর বাঁকে
দৃষ্টির দীগন্ত হতে দূরে গোমতীর বাঁকে, দেখি; আমার শৈশব দাড়িয়ে
উড়ে যায় পাখি, বুকে করে রব, খুড়ে যায় হৃদয়ে ক্ষত
সুন্দরতম ফুল পাখি যতো ।।
জীবনের সব হিসেব নিকেষ শেষে, খেলা করে কবিতা, নদী চরাচর, গতি
হিসেব মেলেনি কিছু্, সব গন্ডগোল;
নিঃসৃত দুঃখগুলো আড়ি পেতে শোনে, দুঃস্বপ্নে পোহালো রাত; গড়ালো দিন,
প্রশ্নের বাকে হলুদ বিকেল শোনে দুটি শব্দ, প্রেম ও ফুল
লাল ফুল- লাল গোলাপ, আজো দাড়িয়ে গোমতীর বাঁকে ।।
১৫. বনবীথি জল
এখানে কি আছে ?
সুখের ছায়া বাদে; বনবীথি ঘাসফুল
হারায়ে হৃদয় আকুল,
ধানের শীষে, কদম্ব নীচে
চির বসন্ত রহিছে ব্যাকুল ।।
ঐ যে, সূদূর দূরে, ডাকিছে সুখের পাখি
আকিঁছে মোনালিসার আঁখি,
চির সুখী পবন, হাসিছে নীখিল ভূবন ।
বাঁশ ঝাড় নীল পদ্দ, লিখিছে সুখের গদ্য
কি লিখিব প্রেমের কথন, কুমারী মেঘের বাঁধন
বর্ষায় রহিয়াছে সরষের রোদন ।।
কাতর হৃদয় আকুল, সরষে সরষ ব্যাকুল
ফুটিছে কৃমারী কদম্ব ফুল ।।
বাজিছে প্রেমের সুমধূর সুর, নদীটা বহিছে দূর থেকে বহু দূর
পাখির কলোরব, ভেঙ্গে যায় হৃদয় সব
আকুল মেঘের কোল, ফুল পাখি সবি যেন দেয় দোল ।
ধান শালিক নীল কোমল; এসেছে বৈশাখী দোল
নেমেছে বর্ষার ঢল; ভিজিছে বনবীথি জল
আয় তোরা আয়, আমার সোনার বাংলায় আয় ।।
১৬. ঝরা পাতা
শানিতে চিত্রিতে নয় ঝরা পাতায়
কভে কোথায় হায়, মন ছুটে যায়
নীলে নীলের সখ্যতায়; নাচিতে চাহে হৃদয়
যাচিতে চায় সবুজে, শিমূল পারুল পাড়ায়
চরম কাটতি ক্ষণে; প্রেম আর ফাগুনে
ফুলে ফুলে কাননে কাননে; মন ছুটে যায়
ফিরে ফিরে চায়; নাহি যেতে চায় মন
ছেড়ে এ মনোহরা, কাটেনি হৃদয়ের ক্ষরা ।।
তব এ সন্ধা তাঁরা, ছাড়েনি আলোক ধারা
তবে কেন হায়, আমায় যেতে হয়, ছেড়ে এ ভূবন ধরা
এতো সুখী তাঁরা; ছাড়েনি ছন্দ ধারা
খড়কুটো জীবন, করেনি আমায় আপন
দুঃখ মোর জলকন্যা, বহেনি প্রেমের বন্যা
যা, কিছু সঞ্চয় মোর, রহিছে ঝরা পাতায় ।।
১৭. বিচ্ছেদ
চিত্ত ভিজে না মোর বিত্তের খাতায়
কতোটা বিস্তৃত সে আলোক পথ ?
যে মেঠো পথ সুদূরে হারায়; সে পথের শেষে
জোড়া শালিক কি গান গায় ? কাব্যের খাতায় কি বেদনা বাজায় ?
রাত্রির গহ্বরে কি বেহুলা সাঁজায় ?
ওগো; বিচ্ছেদ কেন আজ যুগের পাড়ায় ?
কতোটা যুগল পথ হেটেছি মোরা, ডালিম ফাঁটা বাংলোয়
ব্যথিত বিলীন পথে গেয়েছি কতো দূর্দান্ত প্রাণের ছেড়া কবিতা
সে সুরেলা ফাগুনে জোড়া শালিক কতো না মনোমুগ্ধকর গান গায়
আত্না রুপ কথার গল্প বলে স্বপ্নের দুয়ারে
জীবন গেয়ে উঠে; জীবনের পাতা ছিড়ে
পরাগায়নের রেনু ছড়িয়ে যায়, হলুদ পাড়ায় ফোটায় ফোটায়
সোনার কাঠি; রুপোলী চাঁদ ছোয় স্বপ্নের বিস্ময়ে
চৈত্রের রোদ শূকিয়ে নেয় ক্লান্তি কালের বৃষ্টি
জলাশয়ের দূরত্বে কেন ভেঙ্গে যায় বুকের পাজর ?
ওগো, বিচ্ছেদ কেন আজ যুগের পাড়ায় ?
জীবন কেন নষ্ট মিছিলের কথা বলে ?
এক ফসলা বৃষ্টির বদলে কেন ঘন বর্ষা নামে না ?
মনের উঠোনে জোছনার মিছিল নয় কেন ?
চাঁদের আলো কেন নিভে যেতে চায় নিরভে ?
কেন কথা দিলে ? চৈতালী রাতের ?
নদের কূল ভেঙ্গে জীবন আজ উষ্ণতা হারায়
ওগো, বিচ্ছেদ কেন আজ যুগের পাড়ায় ?
চিত্ত ভিজে না মোর বিত্তের খাতায়
বয়ে চলে মহাকাল না হেসে তোমার সোনালী সকাল
আলোক মেঠোপথ শূয়ে থাকে স্বপ্নহীন নিস্তেজ ক্লান্তিতে
সমস্থ চেতনার ঘ্রাণে খুজি দুঃখ সুখের পৃষ্ঠাগুলি
বিশ্বাসের আকাশ সবটুকু্ নীল, স্বপ্ন উলঙ্গ ভাষায় কথা বলে
ভায়োলিরে তারে তারে উঠে ঝড়, বেদর্নাত কলম খুজে নেয় কালো কালির দ্রাঘিমা, ভেঙ্গে যায় বুকের পাঁজর
ওগো, বিচ্ছেদ কেন আজ যুগের পাড়ায় ?
চিত্ত ভিজে না মোর বিত্তের খাতায়
কেন দৃষ্টি হারিয়ে যায়, ব্যাথিত জোছনার তীব্র প্লাবনে ?
উর্ধ্ব আকাশ গগণ ছাড়িয়া, কেন হাহাকার থাকে সমস্থ সত্তা জুড়িয়া ?
কেন চিরত্বের সুন্দরে অমরত্বের মর্যদায় বিস্ময় নয় ?
শূণ্যতার মলাট জুড়ে কাব্যের সবটুকু বৃষ্টি কেঁদে কয়, ওগো, বিচ্ছেদ কেন আজ যুগের পাড়ায় ?
১৮. সন্যাসী
অনুভূতির জলসায় নিমগ্ন “অসূরী”
অবিচলিত রিনঝিন স্পন্দন; নয় অবসন্ন
আলোক বর্টিকা আরাধনা যার হাজার বছর
আশয় লালিত্য; সন্যাসী প্রলয় আনন্দ
বর্ষাতি নয়; ভব সূচনায় ভিখ তার ।।
মনঃস্থ, মনোহরা মনরথ যবনিকায় ধৈয়
শীলিত শয়নে; দু’বিন্দু অশ্রুর নীরব প্রস্থান
মহান সৃষ্টে শ্বাসত নূড়ি-পথ্য. বহমান
শোণিত ধারা জাগিয়া এখনো অতন্দ্র
শ্রদ্ধায় ন্যূয়মান; আজো নিমগ্ন অসূরী ।।
১৯. এসো
হে, মানব; জেগে উঠ, সীমান্ত বেশ দূরে নয়
ভাগ্যান্নাসনে প্রান্তরেখা পাড়ি দিতে হয়
অগ্র যাত্রায় বিশ্বাসী নন্দ বলীয়ান হয়
নব জম্মা ; অষ্টমে কাশি বিচ্যুত নয় ।।
নিষন্ন দ্রাবিড় দাড়িয়ে নয় নিথর
র্চূণ বির্চুণ হবে, ধ্রুম্র অনাসৃষ্ট পাথর
দ্বীপ জ্বেলে; শিখা জ্বেলে, দাড়াবার নয়
আত্নার বন্ধন সূদৃঢ় সে-; যেন হয়
অন্ত্যজ মেঘাছন্ন দূতে নয় ভয়
শিলা বৃষ্টে, বিশুদ্ধতায় মানুষ সুখ সঞ্চারী হয়
উচ্ছাসে-বিন্যাসে, তীব্র কাব্যে মহাপ্রলয় হয়
প্রদোষে; জোছনা কুল নিরন্তর মেদুরতায় জড়ো হয় ।।
২০. দুঃখ ন্
তোমার সকল প্রতিস্রুতি থেকে মুক্তি দিলাম তোমায়
অন্ধ কুঠিরে মূছে ফেলো না, র্দীঘ অপেক্ষমান বর্ণীল দিনগুলি
আগুনে বসবাস করা শিখিয়েছ, রক্তিম দিগন্তে চিরকালীন নারীর ক্রন্দন মেখেছ দু’চোখে
দুঃখ ন্ , ভাল থেকো ।।
সব অবঞ্জা, অবহেলা; ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়ো, ফেলে আসা দূরন্ত পথে
রক্ত তরঙ্গ উত্তাল হলে, তাকে নূতনত্বের স্বাদ দিয়ো
শূস্ক তপ্ত শুণ্য মরনে ছেড়ে দিয়ো না
দোহা্ ি তোমার ভাল থেকো
দুঃখ ন্্।।
২১. অনুক্ত বেদনা
শ্বশানে তুমি শিপ্রাদির শরীরের গন্ধটা আলাদা করতে পারলে না, অরিন্দম দা,
হাজার বছর গুরলে; বুকের সত্যটা চাঁপা দিয়ে রাখতে পারলে না
রক্তীম দিগন্তে; সূর্য্য কিরণ সহিলো না কপাল তোমার
এমনি হত ভাগা হলে, অনন্তের আহ্বানটা বুঝলে না, অরিন্দম দা
হাজার বছর গুরলে; বুকের সত্যটা চাপা দিয়ে রাখতে পারলে না ।।
সে, বুঝলে; চিরকালিন নারীর ক্রন্দন তখন দু’চোখে
দিকে দিকে, দিগন্তে ছুটলে স্থির হলে না
আত্নার কন্ঠকে ফাঁস লাগালে; হত্যা করতে পারলে না, অরিন্দম দা
হাজার বছর গুরলে, বুকের সত্যটা চাপা দিয়ে রাখতে পালে না ।।
২২. অপরুপা
সুর লহরী শীলিত পাড়ায় দেখি না্ি তারে
হিজল গাঁয়ে দৃষ্টি সীমা বেঁধে খুজিয়াছি যারে
হিল্লোল তরঙ্গ দোলায়, দুলিয়াছি সারা গাঁয়
উলুরনে পূঁজো দেব তোমারি নগ্ন পাঁয়
উষার রাহুগ্রাসে ঢেকে দেব সর্বাঙ্গ তোমার
উদ্বেল বাহুরনে বৈরাগী মন নাচবে আমার
কি দ্বারা সাজিয়েছে বিধাতা তোমায় অপরুপা কন্যা কিশোরী
শ্রীকৃষ্ণের রাধারেও রপ্ত রহস্যে তব, করিব না ঘরনী ।।
২৩. র্স্বণ কিশোরী
আলোর সবটুকুন বন্যা হয়নি মানব মৃত্তিকায়
র্দীঘ জোছনা রশ্নি ছড়ায়নি পিপাসার বালু চরে
খিল খিল হাসিতে পূড়লো না এ পোড়া মন
বৃষ্টির র্স্পশ ধূয়ে নিলো না এমন একটি ক্ষণ
যৌবনের দাবদারু গাছে উঠলো না এ শ্রাবণ ।।
কেন ? মানব ঐশ্বর্য্যে তাকায়নি তারা
যৌবন থমকে দাড়ানি. যুগের কোন নষ্ট পাড়ায়
মানব মৃতৃকা ঢালতে পারেনি সব সূরভী
যুগের পঁচা র্দূগন্ধ মাড়াতে মাড়াতে অনেক অন্ধকার পথ হেটে এসেছে র্স্বণ কিশোরী ।
মানব স্রোত থামেনি এক দন্ড, থামেনি যৌবনের মিছিল
যুগের সিড়ির শেষ ধাপটি কোথায় ? স্বপ্নের শেষ কোথায় ?
স্মৃতি ছলনাময়ী নয়, স্নায়ুর উপবাস সবি চায়
ভবিষ্যৎ পাপড়ির ডানায় ভর করে রৌদ্র উড়ে যায় কোথায় ?
মানব স্রোত কোথায় গিয়ে ঠেকে, হে, র্স্বণ কিশোরী ?
অন্তর রৌদ্রের নগ্ন উত্তাপ, দূরগন্ধ ছড়ায় যুগের পাড়ায়
নগ্ন রাতের পৈশাসিক উল্লাস, অশ্রু দেখে না সে সব পিচ্ছিল পথ
পৃথিবীর প্রথম যুবতী তুমি নও, পাতালে হেটে কি পেলে ? হে, যাদুকর ?
বহু আঁখি অন্নেষন করে ?
কি স্বপ্নে বিভোর ছিলো তারা ? মানব বক্ষের পদ্দ কোনটি ?
এখনো জানা হলো না ।।
তৃষ্ণার অতলে দৃষ্টির বাহিরে কোন স্নপ্ন স্রোত বহে ?
নিশ্বয়, শীত পাখির গীত গেয়ে কুটুম বাড়ি যাবে তুমি
হে, র্স্বণ কিশোরী ।।
কুটুম পাখিদের কামড়া কামড়িতে জেগে উঠে বঞ্চিত ক্ষুধা
বঞ্চিত ক্ষুধা, লাঞ্চিত মানবতা প্রতিটি বন্দরে
মন কি তৃষ্ণার নদীতে সাতার কেটে পিপাসার বন্দরে হেটেছে কভু ?
ও হে, যাদুকর , তুমি কি র্স্বণ কিশোরী চেনো ?
চেনো কি ? যুগের শেষ ষ্টেশান কোনটি ?
আমি বিহ্বল- বিভ্রান্ত; চিত্ত হয়নি কভু শান্ত
পাখির কল্লোলে, নদীর অবগাহনে, সুর লহরী শীলিত পাড়ায় হাঠোনি তুমি ?
কবি, সৃষিটর কথা বলে; আত্নার জয়োধ্বনি করে
অভিমানের দরজায় কড়া নেড়ে যায়, আলোর অহংকার দূরে সরে দাড়ায়
ঘন চুলের দুষ্ট --শারায় কেঁদেছিলো যুগের কদম্ব ফুল
তুমি কি ? ঝরা বকূলের মালা গাঁথো এখনো, মিষ্টি চুলের খোঁপায় ?
যৌবন কেন থমকে দাড়ায়নি, যুগের কোন নষ্ট পাড়ায় ?
তন্দ্রার ধারে; দ্বিতল ধাপে, মনটা কোথায় ?
দিবস অতিবাহিত হয়, নদীর কন্ঠস্বর থামে না
তৃষ্ণার সু-গন্ধি ছড়ায় নূতন সুর, এসো যৌবন নেমে পড়ি, র্বাধক্য শেষের শেষ ষ্টেশানে ।।
পরকালীন স্বপ্নে উঠে দাড়ায় চিত্ত, ধূসর দিগন্তে হানা দেয়, আদি দিগন্ত
নিদ্রাহীন আমি, সূর্য্যের ক্লান্ত পথে
তাদের দৃষ্টিতে যাদু নয়, স্বপ্ন নয়, লালসা দেখেছি
হে, র্স্বণ কিশোরী ।।
রাতের শরীরে সব ফাঁদ, বিশ্বাসের চিত্তে বাস করে অবিশ্বাস
প্রেমের শ্রাবণ শুকায়নি কখনো, লুকায়নি র্দীঘ রাতের রুপবতী চাঁদ
তব, আলোর ফোটায় রক্তের দাগ নে— একটিও
সূর্য্যালোকের আকাশ কতো র্নিমল সবুজ
চাঁদের জোছনায় তীব্র স্রোতে এক ফোটা র্দীঘশ্বাসও নে--
চিত্রকর কি একে রাখেনি একটি যুদ্ধও ?
হে, র্স্বণ কিশোরী ।।
ভূমিষ্ট শিশুর চিৎকারের ভাজে কোন গল্পটি লুকিয়ে ?
কেন ? যুগের ভাজে লুকানো সৌরভ না—
কেন ? প্রেমের চিঠি লিখে রেখে যায়নি আদি পুরুষ
কেন ? শেকড়ের সন্ধানে হাটে না নষ্ট পৃথিবী ?
কেন ? অন্তহীন নৈঃস্বর্গে বাসা বাঁধেনি জোড়া শালিক
কেন ? বিস্ময়কর যুগের ছবি আকেঁনি কবি
কেন ? পশুরা মানুষের চেযে উত্তম আচরন করে
কেন ? যৌবন শান্তির মিছিল করে না ?
হে, র্স্বণ . কিশোরী ।।
যুগের দারোয়ান কি ? জল ঢালেনি তব শূকনো যৌবনের ঢালে ?
দাম্বিক পাজরের একটি হাড়ও খুজে পাওয়া যায়নি বৃন্দাবনে
কেন ? যৌবন নতশীরে গেয়ে যায় যৌবনের গান
কেন ? কলম খাতা খুলে লিখে না সে সব শব্দ, নষ্ট পদ্য
কবি কেন ? খুজে বেড়ায় সৃষ্টির দেহের শিল্প
কেন ? আলোর দেহে সবটুকু সত্যের মিছিল না্.. ।।
কবি, কেন ? সাজানো গল্পে বলেনি যুগের শেষ ষ্টেশানটি কোথায় ?
হে. র্স্বণ কিশোরী ।।
কলম থেকে কালি হয়তো একদিন শূকিয়ে যাবে, শূকিয়ে যাবে মগজের ধার, আত্নার লিখনি
থামবে কি ? যুগের ট্রেনটি, যুগের শেষ ষ্টেশানে ?
হে, নষ্ট পৃথিবী, মনুষত্বের মৃত্যু দেখেছি সে কবে,
পবিত্র আত্নাগুলো বসন্ত খুজতে বের হয়নি, যুগের শেষ ঠিকানায়
কতোটা র্দীঘ হতে পারে যুগের জিহ্বা, কতোটা র্দীঘ হতে পারে একটি কবিতা
হে, র্স্বণ কিশোরী ।।
২৩. ধান শালিক
ধান শালিক নীল কোমল, এসেছে বৈশাখী দোল
নেমেছে বর্ষার ঢল; ভিজিছে বনবীথি জল ।।
২৪. বাংলার কৃষি ও কৃষক
বাংলার, কৃষি ও কৃষক শাইখ সিরাজ যার নাম
উদরে যার মাটির গন্ধ, কাঁদা মাটি
তামাটে যার গায়ের রং, ঘর্মাক্ত
কাঁদা মাটির ঘ্রাণ শুকে যে প্রশান্তি নেয়
মাটি ও মানুষের মাঝে যে গর্ব ও অহংকার গড়ে দেয় ।
বাংলা ভাণ্ডারে যতো মানিকো রতন
সে সবে, সে করিলো, রত্ন যতন
কতো পাখি গান গায়, কতো পাখি হিজল তমাল ডালে
সুখ সুধা বায় ।
ঘর্মাক্ত শ্রম ঘেঁটে, তীব্র তাপদাহ গায়ে মেখে, এগিয়ে যায় সে ।
“হৃদয়ে মাটি ও মানুষ” সে পদ চিহ্ন একে বুকে
পায়ে পায়ে এগিয়ে এলো সে ।।
সেই নির্ভীক বিপ্লবীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখো
কি? স্বপ্ন জ্বল জ্বল করে জ্বলছে
কেমন রুপের বাংলা তার চোখে ?
উল্লাসী তাপ দাহের সুখ সুধা মেখে
নদী চরাচরে হেঁটেছে সে এঁকেবেঁকে ।।
কৃষাণীর চোখে তৃপ্ত রেখা যদি দেখতে চাও
তবে, শাইখের দিখে ফিরে ফিরে তাকাও
রোদে পোড়া তামাটে সে দেহে দেখ,
আত্নায় যার রন্ধ রন্ধ বাংলার প্রেমাসম্পদ ।।
নিঃশ্বাস তার এসে,
বাংলার ধুলি কণা; কাকরের সাথে মিশে
ধানের শিষে সে হৃদয়ের সুধা বাঁটে ।।
শালিক ডাকে –--
শাইখ চিত্তে তাঁর বাংলার কৃষকের চিত্র আঁকে
মস্তিস্ক তাঁর কাঁদা মাটিতে হাটে
সবুজ গহন আরণ্য অবধি ।
শাপলা; শালূক; মালতি-আলতি থাকে যদি
কুমার, সন্ধ্যা, ধানসিঁড়ি নদী অবধি
দুঃখ গোছাতো সে, সুখ নিরবধি ।
কতো রত্নের হরিণী –
তরুলতা; বীজতলা; তাঁর অবিনাশী কাব্য খেলা ।।
কি ঘন শ্যামল ছায়া; কি ছবি ? কি রবিতে তাঁর কতো মায়া
কি মাল্যে, তপবনে; প্রতি প্রত্যুষে
কি ভূষণ, মূষণে; হাসাবো তাকে
সহনশীলতা যার অসীম; চির প্রণম্য ।।
২৫. মৃত্যু
মৃত্যু তুমি আলিঙ্গন করো মানব চিত্ত
মৃত্যু তুমি আলিঙ্গন করো হৃদয় বিত্ত
তোমার বাহুবল, খুরধার গুনর্কীতন কি ? করেনি কোন কবি ?
মৃত্যু তুমি সৃষ্টির ঐর্শ্বযে সুন্দরতম বিনাশ ।।
কি আদি ? কি অন্ত
কোন সে দিগন্ত
কোথায় নেই তোমার জয়োগান ?
পৃথিবীর কোন সম্রাটই কি ? তোমায় জয় করতে পেরেছে ?
কি ? ক্ষুদ্র, কি ? বৃহৎ, সুরম্য প্রাসাদ কি ? কুড়ে ঘর ?
কোথায় নেই তোমার বিচক্ষণ পদচারনা ।
পরাজিত সকল আদশিক বিপ্লবী সৈনিক কি ? আদশ রেখে গেছে
মানব সম্প্রদায়ের চিত্তে ?
কবি কি ? জানে সে ব্যাথা ?
জীবন হেরে যায় ।
তব, কবির কবিত্ব কি ? বিফলে যায় ?
কি দ্রোহে ? কি মোহে ?
কবি ধাবিত হয়— হে, মৃত্যু ।
নিশ্চয়ই তিনি—তুলে রেখেছেন অতি উত্তম ও ভাল কিছু ।
মৃতু তুমি কি ? তাদের পরীক্ষার ফলাফল কিছু কি ? ঘোষনা করেছ ?
না –কি ? শূন্য হাতেই নিয়ে গেলে তাদের ।
অনন্ত কালের কি ? সূধা পান করালে তাদের ?
মৃত্যু তুমি রহিত করনের কোনো ঘোষনা কি ? দেবে ?
ভেবে দেখ,
মানব চিত্তে খই ফুটবে, সেই সংবাদে ।
তুমি কি ? তাদের পাকড়াও করোনি যারা দাম্বিকতা দেখিয়েছে ?
তব, মানব চিত্তের সুধায় কেন নেই, সেই স্লোগান ।
কি ? ফুল, কতো আকুল
নদী ভেঙ্গে গড়ে আবার দু.কূল ।।
নয়নে নয়নে জীবনের বিচরণ, ব্যাথাতুর জীবন
শয়নে নয়নে কতো স্বপ্নের আলিঙ্গন ।
হে, মৃত্যু – ক্ষুধা অন্ন চায়
কতো চঞ্চলো , আঁখিজল ছায়া মাখা ঢালে
কতো রণ, কতো পণ, নিবিড় প্রেমে ।
কি ? পাখি কোন গান গায়
মাতৃগর্ভ—মাটির গন্ধ পায় ।
মৃত্যু সে গন্ধটা বহন করে নিয়ে যায় ।
তরুলতা অনন্তে হাত বাড়ায় ।
ছন্নছাড়া জীবন করেছে তোমায় শুধু আপনন ।
নীখিলের ছায়া, অনন্ত সূর্যের মায়া করেনি কি ? কিছু বপন ।
উত্তপ্ত ভূ-মন্ডল --, ন্যায্য অধিকার চায় ।।
মম সুন্দরো হে, কি ? দেখিবো তোমারি এতো রুপ শোভা ?
মৃত্যু তুমি শ্বাসত সুন্দর, আরো সুন্দর এ প্রকৃতি শোভা ।
ও হে, মৃত্যু, জয় তোমার জয়
নাহি কোন ক্ষয়
যতো ক্ষয় অবক্ষয় মানব সম্প্রদায়ে ।
চেতনায় জাগিয়ে রেখো সব সুরভী মানব সম্প্রদায়ে ।।
২৬. সু-গন্ধি শ্রাবণে
হে; কালিগঙ্গা, কি দ্বারা বিঁধোতিত করলে চিত্ত তাঁর
মরমি হস্থে; ছেউডিয়ার সাধক বাউল সম্রাট আধ্যাত্মিক গুরু ফকির লালন সাহের ।
সাইজি হাটে ভাবের হাটে, নদের দুকূলে কি সুধা বাটে ?
আরাধনায় নয় শুধু যাদু ; দৈব বাণীর বৈষয়িক সুরে রয়েছে কতো মদু ।
মনন চর্চায় ব্যপ্ত তাঁর গোপন কান্না
চদ্রালোকের জোছনায় তাঁর অবিনশ্বর কাব্য খেলা ।।
প্রকৃতি তাঁর কানে কানে কি শিক্ষা শিখিয়েছেন ?
বসন্তের উৎসব বারতা বৈভবে
স্বপ্ন জয়ী পরশ মথিত আনন্দলোকে ?
এসো গো হে; শারদলক্ষ্মী, এসো শুভ্র মেঘের ছায়ায়
দগ্ধ আত্নায় পরশ মথিত চরম কিছু সুর সাধনায় এসো ।
ধ্যানে জ্ঞানে অদ্ভুদ আলোর এ এক তীক্ষ্ণ বিচ্ছুরণ ।
অনাসৃষ্টির সু-গন্ধি শ্রাবণে, চন্দনের স্মতি সুরভি সে শুধু নয়
সে ঐশ্বরিক আঁধারে প্লাবিত উজ্জ্ল সকল নক্ষত্রের ‘অশ্ব’ ।
সে, প্রেমাহত এক পাখি, সুর সাধনায় মুখর সুষমায় আহত এক কবি ।
প্রেমাসম্পদে শুধু এক মুনি-ঋষি নয়,
সু-গন্ধি শ্রাবণে - নাড়ীর উৎসবে
ধ্যানে-জ্ঞানে –আলোর ঔজ্জলে
কাশবন – নদীতীর
বালু - চরাচর
ফুল- পাখি- অলির
পদ চিহ্ন, - তাঁর পদ ধূলায় ।।
বেদনার ব্যাবধানে সূচিত গদ্য; সভ্যতার মেরুদণ্ডে, ভালোবাসায়
সিক্ত ধ্বনিত তাঁর পদ্য ।
যোবন পুড়েছে, সীমাহীন সমীকরণে
এ ভাবে সত্য তাঁর পরিচয় দেয় ।
তারি তরে অন্তহীন ক্ষমা, স্মৃতির চঞ্চলো কফিনে ।
কবিতার দ্রোহে; শব্দের কাতরতা রাত্রির আঁচলে
সংসার আজম্র খরায়, নেশার নৃত্য নুপুরের উল্লসিত সঙ্গীতে
নিশীথিনী চাঁদ একাকী গায় তীব্র দ্রোহে নিভুল তাঁর পরিচয়
আজো জেগে রয় সাধনা তাঁর সাধক ধ্যানে অশরীরী আত্নায় ।।
২৭. ঐশ্বরিক প্রাচুর্য্য
প্রকৃতির এ অঙ্গশোভায় কোন কমতি কি আছে ঐশ্বরিক প্রাচুর্য্যের ?
তব, মানক চিত্ত কেন এ বিত্তে স্নিগ্ধ নয় ?
প্রকৃতি, তুমি সুন্দর আরো সুন্দর এ ভূমন্ডল
সৃষ্টি সুন্দর আরো সুন্দর তার “স্রষ্টা”
প্রকৃতি সুন্দর আরো সুন্দর তার প্রাচুর্য্য
আলোক সুন্দর আরো সুন্দর তার ঐশ্বর্য্য
চিত্ত সুন্দর আরো সুন্দর তার সৌন্দর্য্য ।।
সভ্যতা সুন্দর আরো সুন্দর তার গাঁথুনি
ঞ্জাণ সুন্দর আরো সুন্দর তার রাধূঁণি
হৃদয় সুন্দর আরো সুন্দর তার পাক পাখালি
জবিন সুন্দর আরো সুন্দর তার রাখালি ।।
প্রেম সুন্দর আরো সুন্দর তার প্রনালী
সবুজ সুন্দর আরো সুন্দর তার বনানী
দৃষ্টি সুন্দর আরো সুন্দর তার তাকানি
মানব সুন্দর আরো সুন্দর তার মানবী ।।
আকাশ সুন্দর আরো তার চন্দন
জগত সুন্দর আরো সুন্দর তার নন্দন
প্রাণ সুন্দর আরো সুন্দর তার স্পন্দন
সুরভী সুন্দর আরো সুন্দর তার ক্রন্দন ।।
র্স্বগ সুন্দর আরো সুন্দর তার অঞ্জলি
বন্ধন সুন্দর আরো সুন্দর তার প্রাঞ্জলি
মৃত্যু সুন্দর আরো সুন্দর তার সৌরভ
সৃষ্টি সুন্দর আরো সুন্দর তার গৌরব ।।
২৮. বর্ষার সোনা গাঁয়ে
আমাদের সোনা গাঁয়ে; সোনা ফল ফলে
বৃষ্টি থাকিতে বন্ধু এসো মোর ঘরে
এলো বর্ষা এলো, ঘন বর্ষা এলো
জলেতে সবুজ মাঠ ভরে গেলো ।।
স্বপ্নীল মেঠো পথে শীতল বৃষ্টি
আষাঢ়ে চৈতালী সুরের অপরুপ সৃষ্টি
বৃষ্টির আলিঙ্গনে ছোটে মোর মন
শিউলি সিঁধূর মেখে থাকে সারাক্ষণ ।।
শাপলা; শালূক তুলি, মাদকো মাদলে ভূলি
হিজল তমাল ঢালে, শীতল অলি উড়ে
কুসুমো কলি ফোটে, প্রভাতে রবি উঠে
আকাশে মেঘ উঠে, সরোঙ্গা তৈারী ছোটে ।।
কাজল কালো করা, দীঘি জলে ভরা
ব্যাকুল পাগল পারা, পাঁকা তাল, কাঠালের গন্ধে ভরা
ফুলে ফলে ভরা, আকুল ব্যাকুল করা
গাঢ় নীল প্রাচুর্য্য, দীঘির জলে উঠে সূর্য্য ।।
প্রণয় আলোয় ভরা; হৃদয় আকুল করা
তৃষ্ণা যতো থাকে, তরুলতায় তা কাটে
দোদুল বেণী দোলে, কলসী কাঁধে বঁধূ হাটে
কদম্ব ফুল ফোটে, সূর্য্য তার ডালের তাকে ।।
আমাদের সোনা গাঁয়ে সোন ফল ফলে
বৃষ্টি থাকিতে বন্ধু এসো মোর ঘরে
এসো বন্ধু এসো ;
ধান শালিকের নীড়ে, ধান সিড়ি নদীটির তীরে
ধান ভেঙ্গে খ্-ি দেব, বিন্নি ধানের মুড়ি দেব
এসো বন্ধু এসো; নিবিড় ঝিলে এসো
প্লাবনের কাশ বনে এসো, নিসূতি নিগূঢ়ে এসো ।।
কৃষ্ণ চূড়ার লাল প্রনালী, গাঢ় সবুজ সমারোহের বনানী
রৌদ্র নীল অতি সোনালী, অতুল ঐশ্বর্য্যের আমাদের বনানী ।।
শিমূল পারুল অবনী, তুমুল বিমূল ফালগুনি, আয় সখা আয়
শ্রাবণ চলে যায়, আয় সখা আয়, আমার সোনার গাঁয়ে আয় ।।
২৯. আত্নদান তারিখঃ ৩০/১১/২০১৬
মাটি কি তার ধৈয্যের পরীক্ষা দেবে ?
তারা সে দাবি নিয়ে এখনো আসেনি রেসকোস ময়দানে
জাতি কি ? মূল্যমানে শোধালো তাদের মহা ঋণ, শ্রেষ্ঠ ত্যাগ
মহিমান্বিত গৌরব গাঁথায় কি অবদান রাখল জাতি ?
এ ত্যাগের ঊর্ধ্বে কি? কোন ত্যাগ থাকতে পারে ?
কোন স্বপ্নের স্বদেশ গড়ল জাতি ?
কু-হৃদ কখনো বোঝেনি সুহৃদের ব্যাথা ।
দৃষ্টিতে হাসেনি মালতি আলতি, তরুলতা ।
জননীর দুগ্ধ পানে তারা কি স্বতন্ত্র স্বাধিকার চেয়েছিল সেদিন ?
জীবন গদ্যের ছন্দে ছন্দে সোনার কাঁকন পরাল যারা
পদ্য কাব্যের রন্ধে রন্ধে প্রাণের সম্ভার গড়ল তারা
নীলিমায় তাকিয়ে সুদুর গগনে আনন্দদোলা দিলো যারা
বেদনার জলাভূমি শুকিয়ে কাশবন নদী চরাচরে জীবনের রঙ লাগাল তারা
অনন্ত বিরহে ভালোবাসা কার্পণ্য করেনি সেদিন
আমাদের কবিতা গুলো – উচ্ছল; তরঙ্গিত জোছনার মতো;
পাল তোলা নৌকা, রাজ হংসের জলকেলি, উচ্ছল উচ্ছাসী তরুণী
বাংলার লাজুক কৃষাণী, হিজল তমাল ঢালের সুখ সারী গান ।
এ নগর আলো করে কোন গগনে যাচ্ছ তোমরা কাল্পনিক চির স্বপ্নের নগরে
চির বিষণ্ণ সুর বিউগলে, কি আশ্বায্য, ঐশ্বয্য তাদের
ব্যথ নয়, ---
কিছু প্রেম অপূর্ণ থাকেনি; যুগের সংলাপে
দূঃসাহসে নয় শুধু, সংসার আনন্দময় উৎসাহে বীরত্বপূর্ণ গৌরব গাঁথায় সত্য প্রতিষ্ঠা পায়
তারা ফেরত নিতে আসেনি আমাদের পৌরাণিক হাসি, সংলাপ
মনোমুগ্ধকর কল্পনা প্রবণ নয়, চির অমৃত তম সম – হে, স্বাধীনতা ।
হে, স্বাধীনতা; তুমি স্বাধিকার –
প্লাবিত জোছনার উল্লাসী রৌদ্রুরে কৃষ্ণচূড়ার লাল ।
তুমি স্বাধিকার— রঙ্গিলা নদে পাল তৌলা সকাল
তুমি স্বাধিকার – বঙ্গভূমে জম্মভুমির অধিকার
তুমি স্বাধিকার – বেদনার দহে জ্বলে উঠি বার বার
তুমি স্বাধিকার – রৌদ্রের দ্রোহে উদাস; স্নিগ্ধ; চিরকাল
তুমি স্বাধিকার- মুক্তি কাতর প্রেমের অহংকার
তুমি স্বাধিকার- বসন্ত দিনে উৎসব বারতায় ভালোবাসার দায়, শোধাবার
তুমি স্বাধিকার, রক্তে বারংবার বারুদ জ্বালাবার, হে, স্বাধিকার
কিংবদন্তির গলায় কি মাল্য পরালে তুমি, মহাকালে ? হে, স্বাধিকার
আর সংলাপ নয়, সময় এসেছে এবার,
দায় শোধাবার, হে স্বাধিকার ।
[email protected]
৩০. স্বাধীনতার জম্ম তাং ১৩/১২/২০১৬
স্বাধীনতা তোমার জম্ম, বিষন্ন বর্ষা বা বিবর্ণ কোন আষাঢ়ে হয়নি
বৃষ্টি ভেজা সকাল বা নিঃশব্দ নির্জন মধ্যরাতে নয়
নিঃসৃত পঙক্তিতে বা ঘৃণার কাব্যে নয়
জম্ম তোমার, মহাকাল; মহাপ্রলয়ে উদাস পদ্দানদের পাড়ে
লাল সূর্যের উম্মাদনায় মহিমান্বিত গৌরব গাঁথায়
ছায়া সু-নিবিড় দাবদারু বনবিথি তলে, কাশবন; ঝিলের জলের উল্লাসী জোছনায়।
কে বা কারা তোমায় দিলো এতো ভালবাসা? জলদুপুর নির্জনতা?
কি এমন তোমার উম্মাদনা, স্ব-আনন্দে বলি দিলো সহস্র জীবন
মৃত্যুর ভাষা বোঝেনি সেদিন, বাংলার দামাল ছেলেরা
অহংকার গর্ব ভরে উঠে দাড়ায়; দংশনির দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে
নগ্ন উল্লাসে কেঁপেছে সমগ্র বাংলা; ঝড় উঠেছে প্রলয় ঝড়
অগ্নির সঙ্গে দৃষ্টি নন্দনের বৈরী সব কিছু
দৃষ্টি নন্দন বীর্য পড়েনি বাংলার মাটিতে
সে দিন বসন্ত কি ভস্মিত হয়নি অগ্নির সঙ্গে সঙ্গমে?
দর্প, সর্পের বিষ মুছে উঠে দাঁড়াল বাংলা, স্মিত হাসি হেসে
সে, যেন এমন ডাক দিলো, ওরে উঠ--- ঝড় আসবে
মন্ত্র মোহে, তীব্র দ্রোহে সমগ্র জাতি সত্ত্বা জেগে উঠল
তুমি অমীমাংসিত রমণী নও, হে, বাংলা
সেই ঝড় থেমে বিজয়ের গান গাইল জাতি
পুস্পবিথিতে ভরে গেল সমগ্র জাতি সত্ত্বা
দৈন্যতার শেকড় পুড়ে এগিয়ে এলে তুমি হে, স্বাধীনতা
কৃষ্ণচূড়ার লালে লালে, ফুল পাখির মধুর কলতানে
কবি সভায় কবি, সভ্যতার স্মৃতি চিহ্ন মুছে তোমায় এগিয়ে নেয় হে, স্বাধীনতা
আজ; নিঃশব্দ মগ্নতায় হাত মুছল জাতি, নিঃশব্দ আরেকটি জম্ম দিনে তোমার হে, স্বাধীনতা ।।
৩১. বাংলার মধুমতি
আক্ষেপ নয়, নয় শুধু পরাজয়, দ্রোহের স্নিগ্ধ বনে হবে তার জয়
ধূসর প্রতিচ্ছবি, মুখর সুষমায়, স্মৃতি শিখরে ভেসে যাওয়া কাশবন নদী তীর
মমতায় ক্লান্ত স্মৃতি; পড়ন্ত বিকেলে প্রথম প্রহরের উজ্জল সকাল হেসে নয় তার ।
বাংলার মধুমতি
ঈশ্বরের ছায়ায় উজ্জল জ্যোতি
দিলরুবা খান চেহেরাটা যার কোমলমতি ।
পলাতকা পিপিলিকা গায় গান ছন্দ কি ? তার আর্চাযজ্য কবিতা
কি সুধার ? কি আঁচল ? আঁখি মেলে দেখল উৎপল
মুগ্ধ গগনে আত্নার দ্যুতি, নিঃশব্দে মিশে যায় উজ্জল জোতি ।
মাটি থেকে হল; সোনার কবিতা, অলক্কে বৃষ্টি হল, ঝরে গেলো গোলাপের পাপড়ির বারতা
কল্পনার মেঘ চিড়ে আমরা নামিনি বাস্তবতায়
ঝাউবনে ঢালিনী বিশ্বাস, ভালবাসা, বাঁচার আনন্দে প্রাণ ভরে নেইনি নিঃশ্বাস
মধ্য রাতের উল্লাসে, অরণ্যের মনিরত্ন ঘুমিয়ে নয়, স্বপ্ন স্রোতে হবে তার জয় ।
মানুষ হৃদয়ে ফোটা ফুল; সুন্দরকে পান করালো অমৃত শিশির
কি সুধা, কতো মধু; কণ্ঠে তার কতো ছন্দের যাদু
শান্ত নিখিল জলে, আঁখি যুগল ভাসল তার বড্ড নিরবে
বিনিময়ে নয়, ভালবাসার অভিমানে কাব্যের পাঁজরে নিঃশ্বাস মিশল তার আপন খেয়ায় ।
তুমি নিদ্রিতা নয়, অনাবৃতা পলিতে ফোটা ফুল; উজ্জল জোতি, বাংলার প্রানের চির মধুমতি ।।
৩২. বিপন্ন বুড়িগঙ্গা
জম্মই যেন আমার আজম্ম পাপ, আমি গঙ্গা, বুড়ি গঙ্গা ।
বিজনে কুহুজনে; আমি বহন করি কতো পাপের তাপের বাস্থবতা
জননীর শোণিতে এতো তরুলতা, জানিনি;
পর্বত চূড়ায় এতো কঠিন চুল চুল মগ্ন বাস্থবতা
আমি গঙ্গা; বুড়ি গঙ্গা
আমার সমস্থ অস্থিত্ব জুড়ে কতো চুল চুল রুঢ় নগ্ন বাস্থবতা ।।
আমি গঙ্গা---
অবহেলিত; লুন্ঠিত গল্পগুলো না হয় আমার পড়ে থাক
খরা দিনের মরা নদী হতাম যদি
এতো সুরের কালকন্ঠি গান গাহিতাম নাহি
পাখিসব করে রব, রাত্রি পোহালো
কাননে কুসুম কলির কবিরা সব কোথায় হারালো ?
কে ? মোর সোনার মন্দিরে, মগ্ন ঘন্টি-শাঁখা বাজালো ?
কে ? মোর উজ্জল মুখ পাতালে লুকালো ?
কে ? কলঙ্গ দিলো ? কে, মোর জৌলুস কেড়ে নিলো ?
কে ? মোর নির্জনতা হরণ করলো ? কে ? মোর দেহে জনপথ গড়লো
কে মোর চারু তলায় আরতি গাড়িলো ?
কে মোর চিত্ত বিত্ত সকলি লুটিলো ?
আমি গঙ্গা, বুড়ি গঙ্গা
আমার সমস্থ অঙ্গ জুড়ে চুল চুল মূঢ় বাস্থবতা ।।
কতো ভূলের; কতো পাপের তীক্ষনো জাল অঙ্গে মোর জড়ালো
কালের ভূগোলে; রবি ঠাকুরের চিঠি আর নাহি এলো
কি ? দাহনে; কি ? বাহনে অঙ্গ মোর পোড়ালো ??
আমি না হয় খরা দিনের মরা নদী
বঙ্গাব্দের; বন্ধু নাহি হতাম যদি ।।
স্নানাথীরা অগ্রজ অনুজ সবাই দিয়ে যাক শত দুঃখ
আমি না হয় মরা দিনের নাড়ী
যৌবনের উদ্দীপ্ত খোপায় পরিহিত উলঙ্গ শাড়ী ।।
গঙ্গা না হয়ে, হতাম যদি নারী
দেহ মোর ছিড়ে খেতো; খেতো মোর শাড়ী ।।
আমি গঙ্গা; বুড়ি গঙ্গা
আমার সমস্থ দেহ জুড়ে চুল চুল রুঢ় বাস্থবতা ।।
যৌবন এলো না মোর সু-দিনে
গাহিলো না কোন গান দূরদিনের !!
কোনো প্রেয়সী তাকায়নি তীব্র নেত্রে, লিখেনি চিঠি মোর তরে প্রেমপত্রে
মোর দেওয়ালে যৌবন সেটে দেয়নি; এটে দেয়নি অক্ষরের গায়ের নক্ষত্র ।
এঁকে দিলো কলঙ্গ; কোথায় মোর সোনার পালঙ্গ ??
সেটে দিলো মোর দেহে অসুরী অতৃপ্ত আত্না ।
আমি গঙ্গা, বুড়ি গঙ্গা
আমার সমস্থ দেহ জুড়ে চুল- চুল রুঢ় বাস্থবতা ।।
কি ? সুধায় কি ক্ষুধায় নন্দ্যলোকের কন্ঠধ্বনি কাপিলো
দৃশ্যের আড়ালে তেপান্তরের ঢেউ তোলে কেউ কি ? ঝাপিলো ??
আমি—
গহন গহন অতি; চির অমৃত জ্যোতি
তৃষ্ণা মোর মেটে না ; প্রাণে মোর যতো প্রকম্পিত ক্ষতি
আমি গঙ্গা; বুড়ি গঙ্গা
আমার সমস্থ অঙ্গ জুড়ে চুল-চুল নগ্ন বাস্থবতা ।।
শিউলি, মালতি, রজনী গন্ধা যদি হতাম
প্রখর সূয্যালোকে স্বর্গ সুধা নিতাম ।।
বিষাদ বা শোর্কাত দিনে নয়; প্রাণে মোর বৃষ্টি খরা
কোলাহলে ডুবে যায়; স্পর্শ গাঢ় যতো ঝরা
আমি গঙ্গা, বুড়ি গঙ্গা
আমার সমস্থ দেহ জুড়ে চুল-চুল মগ্ন বাস্থবতা ।।
অতি দূর রোমে; জম্ম হলো না কেন ? মোর ক্রমে
প্রেমো বাহুর সঙ্গমে; যদি কেহ পড়ে মোর প্রেমে ।।
অশ্লিল চোখে শিষ দিয়ো না, বক্ষের নাভিমূল খুলিতে
চক্ষু শূলে নাভিমূলের মাংস তুলে নিয়ো না; রবে না মোর; ভাল কিছু ঝুলিতে ।।
বিকলাঙ্গ শীতে এসো না ; হে প্রেমিক যৌবন থাকিতে
দীঘ সম-তম; সে প্রেমিক দুঃখ গোছাবে কি ? সব শেষে
আমি গঙ্গা; বুড়ি গঙ্গা
আমার সমস্থ দেহ জুড়ে চুল চুল রুঢ় নগ্ন বাস্থবতা ।।
স্মৃতি রুচিহীন প্রেমের গল্প তোলে
সারথী; মালতি; রজনীগন্ধা নয়
পাহাড় সম –তম অক্ষয় শীতল স্থির প্রেমের গল্প যেন হয় ।।
গদ্য ঝুলে না মোর পদ্যের খাতায়
দুঃখ গোছে না মোর তব চরম ব্যাথায়
লজ্জা শুধু মোর রমনীয় নয়; বেঁচে থাকায়ই যেন মোর ব্যাথাতুর রয় ।
অশ্লীল শিষ দেয়; সাকো পেরুতে যদি নয়
রোদের আঁচলে মোর প্রেমের দুঃখ দীঘ যেন না হয়
বেঁজে উঠে মোর ; আবার সেই চির চেনা সুর
স্মৃতি থেকে স্পশের অতি দূর ---
আমি গঙ্গা; বুড়ি গঙ্গা; দূশন আর শোষণ নয়
আমার সমস্থ দেহ জুড়ে চুল-চুল রুঢ় নগ্ন বাস্থবতা যেন নাহি হয় ।।
৩৪. মানবতা ও তার গঠন শৈলী
কি ? রুপে বর্ণনা দেব, তার অপরুপ সৌন্দর্য্যের
বিবেদ ধম কয়টি ? মানব ধম কিন্তু একটি
গঠন শৈলী ভিন্ন হলেও সব রক্ত লাল, চিত্ত একেক, ঞ্জাণ স্থর বিশিষ্ট
কোথায় লুকাবে ? এ অপরুপ মুখশ্রী, তব সৌভাগ্যের আনন্দ
উদ্বেল চন্দনের লাবণ্য; উজ্জল কারুকার্য্য খচিত অবয়ব তোমার
নত নয়; নয় নশ্বর, রহস্যময়ী ভাস্কর্য্য চির অমৃত অম্লান মুখশ্রী আমার ।।
৩৫. শিষ
নৈঃশব্দের মগ্নতায়, বিবর্ণ হেমন্তে
বৃষ্টি মুগ্ধ সুর; বিষন্ন দরজায়
জলকণ্যা কবিতার দেহে, পথের সারথী
শৈল গিরি ছূড়ায়; যুগ পুরুষ
নির্বাক বৃক্ষ চোখে ক্রুশবিদ্ধ যন্ত্রনা
পূন্যস্নানে র্বিবণ বসন্তে; দৃষ্টির অনতি দুরে
কে তুমি ? শিষ দাও
আমার সমস্থ বসন্ত জুড়ে তাহার র্স্পশ, কি করে তাকা্ ি তোমায় ।।
৩৭. বসুনিয়া
বসুনিয়া, তোরণে যার ফুলের শুভেচ্ছা নেই
জাতির মেরুদন্ডে যার কোন দায়বদ্ধতা নেই
জাতি কি দিলো, কি দিলো না, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়
সে কিন্তু জানটাই দিয়ে দিয়েছিলো ।
ভাষা শহীদরা তবু বেদিতে ফুলের শুভেচ্ছা পায়
জাতি শ্রদ্ধা ভরে হৃদয়ের আকুতি জানায়
তব, বসুনিয়া যারা বাংলার আনাছে কানাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
সময় কি আসেনি তাদের একটু স্মরণ করার ?
সে দায় ভার কার ?
সে প্রশ্ন উঠেনি কেন ?
কবি, কাব্য লিখেনি কেন ?
রঞ্জিত ময়দানে চিত্রকর চিত্র আকেনি কেন ?
কোন ভালবাসার প্রতিদান দিলাম মোরা তাদের ?
অসহায় আকুতি ছাড়া !!!
সত্য তার মানদন্ডে কি ? ছবি আঁকে ?
জাতি তার মেরুদন্ডে কি ? অবদান রাখে ?
তার সূর্য্য সন্তানরা কেন ঘুমিয়ে থাকে ?
হে; বসুদা---;
তুমি ঘুমিয়ে কেন ?
কোন পাড়ায় তোমার স্বপ্ন কাকলিরা কলোরব করে ??
৩৮. পলাশ দা- সমীকরণ
পলাশদা; ছিপ ছিপে তামাটে বর্ণের লোকটি
ঞ্জান গর্বে আলোর উদ্যানের প্রতীক
বুকে যার বাংলার কাঁদা মাটির গন্ধ
শিক্ষকতার নেশায় যে, বুদ-অন্ধ ।
পরিচয় যার; গোপালগঞ্জ হাজী লাল মিয়া সিটি কলেজের অধ্যক্ষ-মহাশয় ।
পলাশদা,-- তুখোড় ছাত্র নেতা ছিলেন একদিন ডি. ইউ- তে ।
উদরে যার যতো রসদ, সত্য সুন্দরে ঢাকা
উদ্দীপ্ত সোপানে দূর্দান্ত তৈল চিত্রে আঁকা ।
চিত্তে যার দূর গামী পাখিদের কলোরব
সোনালী সকালে যার বুকে প্রজ্জলিত দীপ্ত আলোক শিখা
প্রতি প্রত্যুষে প্রলেপ বুলায় যে জাতির মেরুদন্ডে
আলোক জ্বালিয়ে যে তরুলতার ভাজে খোজে দুঃখের উপসংহার
ইদ্রনীলে নয় ইন্দ্রজালে সে প্রতিমা পোড়ায়
অনুভবের প্রখরতায় মুখর দিনের ভৎসনা আঁটে
যার পদধ্বনি; কন্ঠস্বরে উত্তাল দিনের প্রতিধ্বনি ।
পদভারে নত নয়, নব উদ্যমে এগিয়ে যায়
ভেতরে যার উতাল পাতাল উদ্ভাসন
প্রথম প্রহরের আচ্ছন্নতা ঘুছলো সে প্রগাঢ় বিশুদ্ধতায়
রহস্যের ভাস্কর্যে প্রজাপ্রতিরা উড়ে বেড়ায় তার দেওয়ালে আপন খেয়ায়
জীবনের সঙ্গে তার গভীর দৃষ্টি বিনিময়
বসন্ত বাহারে কৈাকিলের মৌনতা পোড়ায় নম্র পাতার আড়ালে
ছায়া ঘেরা ক্লান্ত প্রহরের পংক্তি মালা আওড়ায় আপন বিভায়
উত্তাল দিনের মিছিলে দৃষ্টি তোমার কোথায় হাটে ?
প্রিয় পলাশদা ??
ক্রমে নয় প্রেমে যেন তার দীঘায়ু হয়
বেঁচে থাক করমো যেন তোমার মানুষের মাঝে অনন্তকাল
প্রিয় পলাশ দা ।।
৩৯. বয়স
মৃত্যুর কোন বয়স নে-- ।।
৪০. জীবন
জীবন কখনো সমান্তরাল নয়
পবত চূঁড়া বা মহা সাগরে নয়
সমান্তরাল জমিনে জীবন পাশ ফিরে শোয় ।।
©somewhere in net ltd.