![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি শফি মোঃ ওমর ফারুক
আত্নার ঠিক কতোটা দূরে, বিবর্তন রেখা, অগ্রন্থিত সভ্যতা
সুন্দর কতোখানি অনুসন্ধান চালায় অসংগতি, তাণ্ডব, আর হিংস্রতার হৃদপিণ্ডে
শুয়ে আছে অনন্তকাল, দৃষ্টির ঠিক আড়ালে, অসহায় নেত্রে
আহাঃ কতোটা না সুখময় কীর্তন খোলার অপর পাড়, সুভ্রতার কাশবন
ছুটন্ত অশ্বের পেছন কতোটা ধাবিত হতে পারে "মানবতা"
সূক্ষন চিন্তায় নয়, মতো ভেদে, বিবর্তনে বিরান বনভুমি, জ্বলে পুড়ে ছারখার ।।
বাজ পাখির চোখে, শালবনের নির্জনতা, মনোমুগ্ধকর ময়ূর নৃত্য, পবিত্রতার উল্লাস
সুখকর সন্ধ্যায় প্রেম ভালবাসার সে কি ? কলাকুলি, পরম নির্যাসে
অতঃপর, মরুঝড়ে লণ্ড-ভণ্ড সব, হায় ! হলুদ বসন্ত ব্যর্থ গান শোনালো তাদের
জীবন বোধ সে কভে উবে গেছে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে সময় বেড়ে যায়
কাজল দীঘির জলে কি সুখ বিলালে ? হে, কাজল সুন্দর, উজান ভাটি মাঝির কণ্ঠে সুর নেই
চিন্তার খুব সন্নিকটে বিদগ্ধ মানবতা, আত্নার উচ্ছাস, আত্নার আবর্জনায় ডুবে আছে নিল সাগর অরণ্য
কাঁদা মাটির দেহে সুঘ্রাণ নেই, নদের পাড়ে পাড়ে উৎসব, তন্দ্রার খুব কাছে প্রতিশোধের দ্রোহ
ঝোপ-জঙ্গল ভিন্ন, মননে দেখি, অদ্ভুদ এক যোগ ফল, কাব্যের মগ্ন চৈতন্যে মারাত্বক এক বিষথলি
বিষাদ কি অলৌকিক ভাসায় কথা বলে, রোদ্দুরের ছায়া পথ খুব বেশী দূরে নয়
প্রশ্নহীন মানবতার উত্তাপ, আজ স্মৃতি কথা; কান্নারও বিলাপ নয়
মানবতার হৃদপিণ্ডে বসত গড়ে, নিসিথি এক শীত কাল; উষ্ণতা ছাড়া
জীবন জাত্রা-পালার দংশনে হৃদপিণ্ড চুরি চালায় মানবতার বক্ষে ।।
যদি পাতাঝরা বসন্ত আসে, আত্নার ভেতর বাস করবে নিমজ্জিত একটি শীতকাল
রক্তের উত্তাপে পোড়ে জলন্ত কড়াই; উত্ত্রাধিকার সুত্রের স্পন্দিত মানবতার কর্ণে
ধ্যানের সঙ্গীতে কোমলতা নয়, নুড়ি পাথরের কাঠিন্য, তলোয়ার তোলে মনন
ভিন্ন এক ভাষায়, ভিন্ন এক স্বপ্নে,
চন্দ্রমণি; বৃষ্টির বিষণ্ণতায় সঙ্গম শেষে মুছে গেছে নিষিদ্ধ নদের জল
ক্ষুদ্র এ জীবন কতোটা মানবে, সুদ কষার এমন ফল ।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৭
শফি মোঃ ওমরর ফারুক বলেছেন: আদম সুরত
শফি মোঃ ওমর ফারুক
মহা জগত, মহা কালে, “মানুষ” মহা জগতিক বিশ্ময় ।
অবিনশ্বর জগতের নিঃশব্দময় মহা নিরবতা ।
অনাদিকালের ইচ্ছায় দ্ব্যর্থহীন প্রলাপ বলে মানুষ আজো,
অনড় প্রকৃতি সাক্ষ্য দিলেও দৃষ্টি গোচরে আসেনি সে সব যুগের ক্ষত ।
অবচেতনে সুন্দর তাঁর স্ব-মহিমা ঘোষণা করে ।
ক্রমশ বুভুক্ষ মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হচ্ছে
দৃষ্টি নন্দন বিশ্বাস অ-গ্রন্থিত থেকেছে হিমালয় পর্বত চূড়ায় ।
মগ্নতায় নিঃসঙ্গ আবাদ, বর্ণবাদ, বিবেদ, মগজের লুণ্ঠন
অন্ধকার আরও গাড় হয়, ঘনীভূত চীৎকারে মানবতা কাঁদে
অলৌকিক মহিমায় প্রস্তর যুগ ইতিহাস টানেনি ।
সভ্যতা; মানব সভ্যতা গাঁথুনি গেড়েছে মধ্যযুগে
ঘ্রাণে অ-ঘ্রানে, কুকুরও খুজে পায় না কিছু
জলজ পাথুরে সুবাস খোঁজে ক্রুশবিদ্ধ বিপ্লবী যুবক।
নীলাকাশ কি শান্ত নির্মল ?
দুঃখের বিলাপ সুখ খোঁজে না, বেঁচে থাকে সঙ্গোপনে
যেন অবিনশ্বর জগতের নিঃশব্দ নীরবতা ।
পানশালা থেকে এখনো উঠে আসেনি দৃশ্যমান ভালবাসা
ফুল দীর্ঘ সুবাস ছড়ায় না বেলা শেষে
প্রজাপতির ডানায় স্বর্গরেনু নেই, নেই ভালবাসা
পাপ পুণ্যের পরশায় দীর্ঘ বিরতি নেই ।
নীল প্রজাতির সাপ বিষ ছড়ায় মনস্থ নীলকণ্ঠে
মেঘের সাগর দীর্ঘ দুঃখের ঘুড্ডি উড়ায় নাটাই ছাড়া
মগজের লুণ্ঠন দীর্ঘ করছে মনুষত্বের পরাজয়
কবি কি ভাসায় কথা বলবে ?
কলম ভারী পদযুগলে স্তদ্ধ নিঃশ্বাস ফেলে
নিঃশব্দ নীরবতা –মহাকালে
মহাকাল, মহা জগত, মানুষ মহা জাগতিক বিস্ময় ।।