নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লিখা কবিতা, উপন্যাস, ছোট গল্প, গান । আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

শফি মোঃ ওমরর ফারুক

কবি শফি মোঃ ওমর ফারুক

শফি মোঃ ওমরর ফারুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা - মনুষত্ব না অমরত্ব

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬




হায়ঃ --
বিভিধ বিধান রচনায় সঞ্চালিত অভিধায় কি ? অমরত্ব দান করলে; হে খোদা ।
সকল মহত্ব, অমরত্ব, মহিমা তোমার; যুগের নিঃশ্চূপ, নীরবতায়
বিবেকের দংশনে; মনুষত্ব কি জাগ্রত নয় ?
যুগের সংলাপে; "সূ-ক্ষণ চিন্তা" নীল গিরির কোন চূড়ায় থাকবে ?
রাজনীতির সূ- ক্ষণ চালে আত্না ধৈর্যশীল না পচনশীল ?
রাজ সভায়, তপতীরা কোন অভিধায় মগজ চালায়; আত্নায় সুগন্ধি না মেখে ?
শিশির দৌড়ে পালায় সূর্য উঠার আগে, পাখিদের সু-মিষ্ট গান না শুনে
অসংখ্য রোদ্দুরে চরম বিষাদ, বিষথলি, প্রণয়ের ছায়া বাদে
আলোটা জ্বালিয়ে রাখ আত্নায়, সভ্যতার উষ্ণতা বিনে
সৃষ্টি কি রহস্যের উজ্জলতা ছড়ায় তন্দ্রায় ।।

নিরুত্তাপ মোম গলে যায়, শিকড়ে ঊর্ধ্ব মুখী শ্বাস বা বিশ্বাস নেই; ঋষির নিমগ্ন ধ্যানে
সারস পাখি উড়ে যায় নিশ্চিত নিরাপদে, মানব শিশু নয় ।
শুভ্রতা পাশাপাশি শুয়ে আছে দীর্ঘকাল, আত্নার উঠোনে; শালবন, নদী চরাচরে
ও কাজল সুন্দর, বৃষ্টি মুষল মেঘে; চিঠির কি ভাষায় গোলাপের সু-গন্ধি মেখে দিলে ?
আত্নায় অসংখ্য মনুষত্বের বিবাদ, সর্প বিষাক্ত জিভ মেলে এমন বসন্ত দিনেও
সমর্পিত সুখ নেই অলৌকিক সাধিকা সংগীতে ।
কার আঁচলে কে মেখে দিল; বিবেকের দংশন
সুড়ঙ্গে স্পর্শের বিনয় নয়, রক্তের উত্তাপে জ্বলে জ্বলন্ত কড়াই
বোধের আঁধারে "মানবতা" কাঁদে, চরম বিলাপে, আলোর মন্দিরে
"তুমি" কেমন অতিথি, বিপন্ন বেলায় এসে ফেলছ বিষণ্ণ নিঃশ্বাস ।।

ঘামের সব চিহ্ন তোমার কপালে, বৃষ্টিপাতহীন ঋণ উদ্ভাসিত হয়নি সব রোদ্দুরে
অদৃশ্য সব শুষে নেয়, অনন্ত পেরিয়ে হেটে যায় ক্লান্ত পথিক; পড়ন্ত বেলার রোদে পাড় বুনে দিতে
অমরত্ব নদীর বূকের কোলাহল ছেড়ে, এসে দাঁড়ালাম নির্জনতার শালবনে ।
ধ্যান আত্নার চেয়ে খুব সন্নিকটে নয় ।
সিঁথির সিধুরে নিবিড় সুবাস নয়, জড়িয়ে আছে স্বপ্নের রক্তাক্ত জবা
কভে, বহুদূরের স্বপ্নিল রাজ সভায় আসন নেবে তুমি ? হে; "মানবতা" ?
দীপ্ত আলো নিয়ে অসংখ্য তারারা কি নেমে আসবে ধরায় ?
পুণ্য তীর্থ জল পাণ করেনি সৌন্দর্য তাঁর জীবন বোধে
মননে শিল্প শৈলী না বাড়িয়ে হেসেছে অস্থিত্বের সংকট ।
যুগের সংলাপে বাজে ক্রমাগত বিপন্ন বিলাপ, হে; "মানবতা" ।।

সভ্যতার ললাটে হাসছে এক টুকরো উজ্জল রোদ্দুর, ঝরে পড়ে হেথায় শিউলি ফুলের মতো
কবি পাড়ায়; রাস উৎসবে কভে আসবে শান্তির দুত ? শুভ্রতা ছড়াতে
ফল বেশী সুস্বাদু হলে চিড়ে খায় সকল মৌমাছি; হে জাতি স্বত্বা
বৈশ্বিক ভাবনা সব নদীতে পা ধোয় না, ঘুমের রাজ্যে জম্মেছ তুমি, হে; মানবতা ।
নিয়মের জাল ছিন্ন করে আবেগ ডানা ঝাঁপটায়, জীবন চলার পথে সত্য ও সুন্দর সাথে নিয়ো
সত্য বসতি গড়েনি ডালিম ফাটা বাংলায়, দুঃখ, দুর্দশা মেলে বাজার বসিয়েছে ।
হৃদয় কানন ঢেকে যায় মেঘের অরণ্যে, দ্ব্যর্থহীন বাচায় নয়
দৃষ্টির আড়ালে ঢাকে পুণ্য, প্রলাপে বাজে সুরবিহিন সংকেত বাঁশি ।
আত্নায় মেখো রোদ্দুরের ন্যায় শীতলতা, আনন্দ ও উজ্জলতার মুগ্ধ সৌন্দর্যের অমরত্ব ।
পড়ন্ত বেলায় হলেও; চলো, ফিরে যাই আদিম গুহায়, ঢাল; তলোয়ার ও সভ্যতার আলো বিনে, ঘুমন্ত শিশু, কলিজায়
জড়িয়ে নিঃশ্চিন্তে ঘুমাই ।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৬

ওমেরা বলেছেন: কবিতাটা একটু বড় ভাষাটাও কঠিন । প্রথমে কি পড়লাম শেষে এসে মনে নাই । অবশ্য ব্লগে সবাই এরকমই লিখে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.