![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি শফি মোঃ ওমর ফারুক
বিদ্রোহী
কাজী নজরুল ইসলাম
বল বীর --
বল উন্নত মম শির
শির নেহারি আমারি, নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির
বল বীর
বল মহা বিশ্বের মহাকাশ ফাঁড়ি
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন "আরশ" ছেদিয়া
উঠিয়াছি চির বিস্ময় আমি বিশ্ব বিধাত্রির!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটিকা দীপ্ত জয়শ্রীর ।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সস্মান রেখে ওনার এই কবিতাটি বিশ্লেষণ করে দেখছি,
উক্ত কবিতার পাঁচ ও ছয় নাম্বার লাইনে এসে দাঁড়ালাম, বল মহা বিশ্বের মহাকাশ ফাঁড়ি,
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
এই দুইটি লাইন বিশ্লেষণ করে দেখে আমরা কি পাই, মহা বিশ্বের মহাকাশ ফাঁড়ি, আদতে কোন মানুষের দ্বারা মহাকাশ কেন মহাবিশ্ব ও অতিক্রম করে যাওয়া এখনো সম্ভব হয়নি । মহাকাশ বলতে উনি কি বুঝিয়েছেন ? নবী করিম (সঃ) ছাড়া এ পৃথিবির কোন মানবের পক্ষে এ যাবত সূর্য পর্যন্ত পোঁছা বা যাওয়া সম্ভব হয়নি, ভবিষ্যতে ও হবে বলে মনে হয় না । গ্রহ তারা তো দূরের কথা, অবশ্য কল্পনায় মানুষ অনেক দূর যেতে পারে । তারপর আসি, সপ্তম, অষ্টম ও নবম লাইনে, --
ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন "আরশ" ছেদিয়া
উঠিয়াছি চির বিস্ময় আমি বিশ্ব বিধাত্রির !
ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া, উনি এখানেও না হয় পার পেলেন কিন্তু খোদার আসন "আরশ" ছেদিয়া, এই লাইনটির মানে, কি ?
খোদার আসন বা "আরশ" ছেদ করা তো দূরে থাক কোন নবী রাসুল এমন কি আমাদের নবী করিম (সঃ)ও (যিনি মহা মানব ছিলেন) ওনার, আল্লাহ্র আরশ বা আসন ছেদ তো দূরের কথা, ছুয়েও দেখতে পারেননি। মেরাজের সময় নবী করিম (সঃ) ও আল্লাহর মাঝে সত্তুর হাজার নুরের পর্দা ছিল, সেখানে আমাদের কবি, কিভাবে আল্লাহ্র আসন বা আরশ ছেদ করার স্বপ্ন দেখেন। ছেদ তো দূরে থাক এমন স্বপ্ন দেখাও শুধু পাপই নয়, মহা পাপ। ইহা ক্ল্পনা করাও উচিত নয়। আমাদের কবি কি স্ব-ঞ্জানে না অ-ঞ্জানে এমনটি করেছেন তা বিধাতাই ভাল জানেন। ইহা শুধু মুসলমান কেন ? যে কোন মানুষের জন্য কল্পনা করাও উচিত নয়। ইহা স্পষ্ট শিরক হয়ে দাড়ায় । শিরকের কোন ক্ষমা আল্লাহ্র দরবারে নেই। সমগ্র পৃথিবী পরিমাণ পাপ আল্লাহ্ চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন, কিন্তু এক ছটাক শিরকের ছাড় বিধাতা কাউকেই দেবেন না। এবং ইহা স্পষ্ট । কবি কবিতাটির এই ক্য় লাইনে অমরত্ব এর আভাস দিয়েছেন, কিন্তু উনি চিরত্ব বা অমরত্ব দূরে থাক বেঁচে আছেন কি ? পৃথিবিতে কোন মানুষই চির দিন কেন ? এক দিনও বেশী বেচে থাকতে পারবে না ? তবে আমরা কেন ? কবির এই শিরকের সাথে সম্পৃক্ত হব। আমরা আমাদের পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে আমাদের ছেলে মেয়েদের শিরকের সাথে সম্পৃক্ত করব ?
পাঠ্য বই থেকে কি এই কবিতাটি পরিহার করা উচিত নয় ? এক জন মুসলমান হিসেবে যে মৃত্যুকে বিশ্বাস করে সে এই শিরক থেকে নিজকেও মুক্ত রাখবে এবং নিজ সন্তান ও দেশ জাতিকেও মুক্ত রাখবে। আল্লা কবিকে ক্ষমা করুন। স্বপ্ন বা কল্পনায় এই জাতীয় বাক্য থেকে দূরে থাকা উচিত সবাইকে । আমিন। ভাল থাকুন সবাই । শুধু এখানেই নয় উক্ত কবিতাটির আরও অনেক অংশে উনি শিরক হয় এমন কথা বার্তা লিখেছেন। ইনসআল্লা একদিন বিসদ আলোচনার মাধ্যমে ইহা প্রমান করে দেব।
©somewhere in net ltd.