নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লিখা কবিতা, উপন্যাস, ছোট গল্প, গান । আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

শফি মোঃ ওমরর ফারুক

কবি শফি মোঃ ওমর ফারুক

শফি মোঃ ওমরর ফারুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু গুচ্ছ কবতিা

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৩৩

১। মনুষত্ব না অমরত্ব
শ ফি মোঃ ওমর ফারুক তাং ০৩/১০/২০১৭

হায়ঃ --
বিভিধ বিধান রচনায় সঞ্চালিত অভিধায় কি ? অমরত্ব দান করলে; হে খোদা ।
সকল মহত্ব, অমরত্ব, মহিমা তোমার; যুগের নিঃশ্চূপ, নীরবতায়
বিবেকের দংশনে; মনুষত্ব কি জাগ্রত নয় ?
যুগের সংলাপে; "সূ-ক্ষণ চিন্তা" নীল গিরির কোন চূড়ায় থাকবে ?
রাজনীতির সূ- ক্ষণ চালে আত্না ধৈর্যশীল না পচনশীল ?
রাজ সভায়, তপতীরা কোন অভিধায় মগজ চালায়; আত্নায় সুগন্ধি না মেখে ?
শিশির দৌড়ে পালায় সূর্য উঠার আগে, পাখিদের সু-মিষ্ট গান না শুনে
অসংখ্য রোদ্দুরে চরম বিষাদ, বিষথলি, প্রণয়ের ছায়া বাদে
আলোটা জ্বালিয়ে রাখ আত্নায়, সভ্যতার উষ্ণতা বিনে
সৃষ্টি কি রহস্যের উজ্জলতা ছড়ায় তন্দ্রায় ।।

নিরুত্তাপ মোম গলে যায়, শিকড়ে ঊর্ধ্ব মুখী শ্বাস বা বিশ্বাস নেই; ঋষির নিমগ্ন ধ্যানে
সারস পাখি উড়ে যায় নিশ্চিত নিরাপদে, মানব শিশু নয় ।
শুভ্রতা পাশাপাশি শুয়ে আছে দীর্ঘকাল, আত্নার উঠোনে; শালবন, নদী চরাচরে
ও কাজল সুন্দর, বৃষ্টি মুষল মেঘে; চিঠির কি ভাষায় গোলাপের সু-গন্ধি মেখে দিলে ?
আত্নায় অসংখ্য মনুষত্বের বিবাদ, সর্প বিষাক্ত জিভ মেলে এমন বসন্ত দিনেও
সমর্পিত সুখ নেই অলৌকিক সাধিকা সংগীতে ।
কার আঁচলে কে মেখে দিল; বিবেকের দংশন
সুড়ঙ্গে স্পর্শের বিনয় নয়, রক্তের উত্তাপে জ্বলে জ্বলন্ত কড়াই
বোধের আঁধারে "মানবতা" কাঁদে, চরম বিলাপে, আলোর মন্দিরে
"তুমি" কেমন অতিথি, বিপন্ন বেলায় এসে ফেলছ বিষণ্ণ নিঃশ্বাস ।।

ঘামের সব চিহ্ন তোমার কপালে, বৃষ্টিপাতহীন ঋণ উদ্ভাসিত হয়নি সব রোদ্দুরে
অদৃশ্য সব শুষে নেয়, অনন্ত পেরিয়ে হেটে যায় ক্লান্ত পথিক; পড়ন্ত বেলার রোদে পাড় বুনে দিতে
অমরত্ব নদীর বূকের কোলাহল ছেড়ে, এসে দাঁড়ালাম নির্জনতার শালবনে ।
ধ্যান আত্নার চেয়ে খুব সন্নিকটে নয় ।
সিঁথির সিধুরে নিবিড় সুবাস নয়, জড়িয়ে আছে স্বপ্নের রক্তাক্ত জবা
কভে, বহুদূরের স্বপ্নিল রাজ সভায় আসন নেবে তুমি ? হে; "মানবতা" ?
দীপ্ত আলো নিয়ে অসংখ্য তারারা কি নেমে আসবে ধরায় ?
পুণ্য তীর্থ জল পাণ করেনি সৌন্দর্য তাঁর জীবন বোধে
মননে শিল্প শৈলী না বাড়িয়ে হেসেছে অস্থিত্বের সংকট ।
যুগের সংলাপে বাজে ক্রমাগত বিপন্ন বিলাপ, হে; "মানবতা" ।।

সভ্যতার ললাটে হাসছে এক টুকরো উজ্জল রোদ্দুর, ঝরে পড়ে হেথায় শিউলি ফুলের মতো
কবি পাড়ায়; রাস উৎসবে কভে আসবে শান্তির দুত ? শুভ্রতা ছড়াতে
ফল বেশী সুস্বাদু হলে চিড়ে খায় সকল মৌমাছি; হে জাতি স্বত্বা
বৈশ্বিক ভাবনা সব নদীতে পা ধোয় না, ঘুমের রাজ্যে জম্মেছ তুমি, হে; মানবতা ।
নিয়মের জাল ছিন্ন করে আবেগ ডানা ঝাঁপটায়, জীবন চলার পথে সত্য ও সুন্দর সাথে নিয়ো
সত্য বসতি গড়েনি ডালিম ফাটা বাংলায়, দুঃখ, দুর্দশা মেলে বাজার বসিয়েছে ।
হৃদয় কানন ঢেকে যায় মেঘের অরণ্যে, দ্ব্যর্থহীন বাচায় নয়
দৃষ্টির আড়ালে ঢাকে পুণ্য, প্রলাপে বাজে সুরবিহিন সংকেত বাঁশি ।
আত্নায় মেখো রোদ্দুরের ন্যায় শীতলতা, আনন্দ ও উজ্জলতার মুগ্ধ সৌন্দর্যের অমরত্ব ।
পড়ন্ত বেলায় হলেও; চলো, ফিরে যাই আদিম গুহায়, ঢাল; তলোয়ার ও সভ্যতার আলো বিনে, ঘুমন্ত শিশু,
কলিজায় জড়িয়ে নিঃশ্চিন্তে ঘুমাই ।।



২. বিবর্তন রেখা
শফি মোঃ ওমর ফারুক তাং- ০১/১০/২০১৭

আত্নার ঠিক কতোটা দূরে, বিবর্তন রেখা, অগ্রন্থিত সভ্যতা
সুন্দর কতোখানি অনুসন্ধান চালায় অসংগতি, তাণ্ডব, আর হিংস্রতার হৃদপিণ্ডে
শুয়ে আছে অনন্তকাল, দৃষ্টির ঠিক আড়ালে, অসহায় নেত্রে
আহাঃ কতোটা না সুখময় কীর্তন খোলার অপর পাড়, সুভ্রতার কাশবন
ছুটন্ত অশ্বের পেছন কতোটা ধাবিত হতে পারে "মানবতা"
সূক্ষন চিন্তায় নয়, মতো ভেদে, বিবর্তনে বিরান বনভুমি, জ্বলে পুড়ে ছারখার ।।

বাজ পাখির চোখে, শালবনের নির্জনতা, মনোমুগ্ধকর ময়ূর নৃত্য, পবিত্রতার উল্লাস
সুখকর সন্ধ্যায় প্রেম ভালবাসার সে কি ? কলাকুলি, পরম নির্যাসে
অতঃপর, মরুঝড়ে লণ্ড-ভণ্ড সব, হায় ! হলুদ বসন্ত ব্যর্থ গান শোনালো তাদের
জীবন বোধ সে কভে উবে গেছে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে সময় বেড়ে যায়
কাজল দীঘির জলে কি সুখ বিলালে ? হে, কাজল সুন্দর, উজান ভাটি মাঝির কণ্ঠে সুর নেই
চিন্তার খুব সন্নিকটে বিদগ্ধ মানবতা, আত্নার উচ্ছাস, আত্নার আবর্জনায় ডুবে আছে নিল সাগর অরণ্য

কাঁদা মাটির দেহে সুঘ্রাণ নেই, নদের পাড়ে পাড়ে উৎসব, তন্দ্রার খুব কাছে প্রতিশোধের দ্রোহ
ঝোপ-জঙ্গল ভিন্ন, মননে দেখি, অদ্ভুদ এক যোগ ফল, কাব্যের মগ্ন চৈতন্যে মারাত্বক এক বিষথলি
বিষাদ কি অলৌকিক ভাসায় কথা বলে, রোদ্দুরের ছায়া পথ খুব বেশী দূরে নয়
প্রশ্নহীন মানবতার উত্তাপ, আজ স্মৃতি কথা; কান্নারও বিলাপ নয়
মানবতার হৃদপিণ্ডে বসত গড়ে, নিসিথি এক শীত কাল; উষ্ণতা ছাড়া
জীবন জাত্রা-পালার দংশনে হৃদপিণ্ড চুরি চালায় মানবতার বক্ষে ।।

যদি পাতাঝরা বসন্ত আসে, আত্নার ভেতর বাস করবে নিমজ্জিত একটি শীতকাল
রক্তের উত্তাপে পোড়ে জলন্ত কড়াই; উত্তরাধিকার সুত্রের স্পন্দিত মানবতার কর্ণে
ধ্যানের সঙ্গীতে কোমলতা নয়, নুড়ি পাথরের কাঠিন্য, তলোয়ার তোলে মনন
ভিন্ন এক ভাষায়, ভিন্ন এক স্বপ্নে,
চন্দ্রমণি; বৃষ্টির বিষণ্ণতায় সঙ্গম শেষে মুছে গেছে নিষিদ্ধ নদের জল
ক্ষুদ্র এ জীবন কতোটা মানবে, সুদ কষার এমন ফল ।।


৩. মনন শৈলী
শ ফি মোঃ ওমর ফারুক
তাং ৩০/০৯/২০১৭
মনন শিল্প শৈলীর চেয়ে, উচ্চ কোনো শিল্প হতে পারে ?
শৈবাল, জল, ও মাটির অবয়বে অনাবৃত বৃন্তের ঘ্রান নেই
মনন সুভ্রতার সুগন্ধি সেবনে স্রষ্টার কোন মহিমা ঘোষণা করে
পুস্পের কোন পাপড়িতে স্পর্শ বুলায়
মনন কি? শিল্প শৈলীর ঔদার্য ঘোষণা করে তাঁর পবিত্রতায়
মনন তাঁর আরতি আরাধনায় স্রষ্টার সাথে এ কোন পথের সংযোগ গড়ে তোলে ।।

মনন ---
চিত্র, রং, রস, রহস্য, তুলির স্পর্শে সভ্যতার কোন গাঁথুনি গেঁথে দেয়
শব্দের বিন্যাসে বা তুলির স্পর্শে নয়, মনন অফুরন্ত শক্তির আঁধারে ধ্যানের মগ্নতা বাড়ায়
মনন টেনে নেয়, মৃত্যুর নকশায়
মনন ভালবাসা লুণ্ঠনে হাজিরা দেয়
মনন অনুশোচনার বালি ঘাঁটাঘাঁটি করে, অতৃপ্ত প্রান্তরে, সঙ্গম, সৃষ্টি ও বিনাশে
অহংকার এসে হানা দেয়, দম্ভ, গর্ব, হুংকার, শুয়ে থাকে পলি মাটিতে
ত্রি-মাত্রিক জরিফ চালায় সিন্ধু প্রদেশে ।।

ক্ষুদ্র আছে বলেই বৃহতের গুরুত্ব আছে
কালি আছে বলেই কলমের গুরুত্ব বেড়েছে
মনন দ্রোহ, সৃষ্টি ও বিনাশের বিস্ফোরণ ঘটায়
সৃষ্টির শিল্প শৈলীতে প্রকৃতি তাঁর উজ্জলতায় ঐশ্বর্য ছড়ায়
মননের ক্রন্দনে রঙ্গিন জোছনা রংধনুর উত্তাপ ছড়ায়
কাঁকর, নুড়ি, পাথরে, স্বপ্ন গড়ে, ভাঙ্গে
মনন শিল্প শৈলীর রোদ্দুরে জ্যোতিময় উজ্জলতা ছড়ায় ।।

অবিন্যস্ত বিন্যাসে বৃক্ষের দৃশ্যত স্থবির নীরবতা সেবন করে
সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতিতে স্পর্শ বুলায়
মননের উচ্ছলতায় মগ্নতা নয়, ধারন করে শিল্প বোধ, জীবন বোধ, বেঁচে থাকা
শিউলি, শালিক রুপার কাঁসায় স্বপ্ন ভরে ঘুরে বেড়ায় পালকিতে করে
কৃষাণী ভাবনার জলে ডুব দিয়ে রুপ কথার গল্প বলে
বিপ্লবীরা যুগের রোদ্দুরে বিছানা ফেলে হেটে যায় স্ব- গৌরবে
কার আঁচলে কার বিবর্ণ শীতকাল বহে যায়, তা কেবল মননই জানে ।।


৪. বিবর্তন
শফি মোঃ ওমর ফারুক তাং ২৯/০৯/২০১৭

কার চেতনায় চিরন্তন স্বপ্নের বিবর্তন জাগ্রত নয় ?
অথৈই জলরাশি, ঢেউইয়ের পর ঢেউ একদিন চূড়ান্ত মহা প্রলয় আসবেই
অনুসারিদের বিবর্তনের চেতনায় মানব জাতি কেন ? কোমলমতি শিশুও নিরাপদ নয়
স্নিগ্ধ আত্নার সুবাস আজো খুজে পায়নি মানব জাতি এমন হলুদ বসন্তে
বিভক্ত আত্নাগুলো আজো প্রসারিত করেনি মানবতার সুগন্ধি
পাপের তাপে স্রষঠার রোষানলে নিমজ্জিত মানব জাতি ।।

চিত্ত শান্ত কেন ? অতৃপ্ত আত্নাগুলো এখনো জেগে উঠেনি শোধ নিতে
আত্নায় আরতি জ্বেলে কার আরাধনায় এগিয়ে এলো চির বসন্ত
আত্নার সুগন্ধি, কতোটা উচ্চতায় উঠতে শেখায় দৃষ্টির আড়ালে ?
কলম কি প্রসব বেদনায় বড্ড ক্লান্ত ?
সে সব চিত্তে কেন প্রশান্ত আলোর সুভ্রতায় শালবন নির্জনতা দান করেনি ?
কোন ধৈর্যহীনের গৃহে মৃত্যু হানা দেবে না ?

কবি বৃন্দ কবি সভায় কেন কোন রসদ রেখে যায়নি ?
আমি কি নিজকে সান্তনা দিতে পারছি আমি "মানব"
বিবর্তনের বিবাদ একটিও মিটে যায়নি পলি মাটিতে
দুঃখের পাহাড় অনেক বেশী সু-উচ্চ, পর্বত মালায়
শুকিয়ে কি গিয়েছে একটিও যুগের ক্ষত ?
আমি কি নিজকে সান্তনা দিতে পারছি আমি "মানব" ?

কুমারী চাঁদ জোছনার বিষণ্ণতা মাখেনি নিরন্তর রোদ্দুরে
ফুল পাখিদের কলরবে এ কোন ক্রন্দন শুনি ছেড়া নৈঃসর্গে
মানবতা এ কোন ধূসর দিনের মেধুরতায় মগ্ন
বৃষ্টি কি প্রত্নচর্চার পাঠশালায় তাদের স্বর্গ-সুধা সেবন করায়নি ?
সভ্যতার উষ্ণতায় নিমগ্ন দীর্ঘকাল ঘুমিয়ে যায়নি
গ্রন্থ কি বিনাশী গদ্যে পাণ করাবে সেই সব চিত্তে হিজল তমালের
চির- সুভ্রতা
বৈশ্বিক চিন্তা কি দৃষ্টি মেলে তাকাবে কোমল নেত্রে ।।




৫. আলোর মন্দিরে
শফি মোঃ ওমর ফারুক তাং ২৭/০৯/২০১৭

সভ্যতার উষ্ণতায় লুণ্ঠিত বিবেক ঘুমায় মরু প্রান্তরে
আলোর মন্দিরে জীবন পাশ ফিরে শোয় ধ্যানের মগ্নতায়
প্রকৃতি নিঃসঙ্গ জলের গল্প বলে বড্ড অসহায় নেত্রে
গ্রন্থ তুলে রাখে সকল দগ্ধ প্রতিকূলতা প্রত্ন পাথরে
অনুভূতিটা যেন জড় তুল্য এক খণ্ড শিলা পাথর ।

জল মাটির মাখা মাখিতে যে অনাসৃষ্টি ও বিনাশ তা বড় ভয়ংকর
জোছনার আলো থেকে রং ধনু আলাদা করা যেমন কঠিন
পিঁপড়ের স্বভাবটুকুও আয়ত্ব করতে পারেনি অভাগা মানুষ
জল সিঁড়ির নির্জনতায় জড়তুল্য পাথরে পা রেখে হাটে মানুষ
আত্নায় লণ্ঠন জ্বেলেও হাঁটতে শেখেনি ছন্দ হারা মানুষ
অদ্ভুদ সব বেঁচে থাকার মাঝে মানুষই মানুষের বড় শত্রু ।

অলৌকিক মুগ্ধতায় একাকী রোদ্দুর প্রণয়ের ছায়ায় মেখে দিল নিঃশব্দময় কান্না
বৃষ্টির বিষণ্ণতায় পায়ে পায়ে এগিয়ে এলো মানব দল
মৌনতার চোখে লজ্জা ও জল মেখে হারিয়ে গেল "মানবতা"
স্পন্দিত সূর্যের কর্ণে জীবনের ছন্দ নেই, নেই পুণ্য তীর্থ জল
নয় সুখের নিনাদে মায়াজাল অন্তর আত্নায়
বুনো বিশ্বাসে আত্নার ক্ষয়, আত্নায় বিনাশের তীব্র উত্তাপ
সিঁথির নিম্ন দেশে।।


৬. আলোকিত নয় সে সম্প্রদায়
শফি মোঃ ওমর ফারুক

ভোগ আর লালসার থাবা থেকে বেচে উঠেনি দৃশ্যমান ভালবাসা
আলোকিত জোছনায় উৎভাসিত নয় মানব সম্প্রদায়
পৃথিবীর মিলন মেলায় উজ্জল সোনালী সকাল
মানব সম্প্রদায় স্ব-হাস্যে উজ্জল
প্রেমোময় ভাবধারায় উৎভাসিত তাদের অন্তর ।

সু-গন্ধিতে ভরা নয় তাদের অন্তর
দ্বিধাসূত্রে বিভাজিত তাদের বিবেক
গভীর সন্ধা ঘুম স্বপ্নে চমকে উঠে
তরুলতায় জড়াজড়ি করে আছে আবেগ
স্বপ্নগুলো হামাগুড়ি দিয় বিষন্ন দরজায়
নগ্ন থাবায় কলংকিত হলুদ বিকেল।।

অর্থহীন সে সব সংঘাত, সকল সমীকরন, ব্যায়াকরণ
তার উপর নির্ভরশীল নয় তারা পরস্পর
যৌবন একদিন থমকে দাড়ায় অন্ধকার রথে
আজ কোথায় তারা ?
ধৈর্যহীন সে সব সেনা নায়ক , হিটলার , নেপোলিয়ন ??
পাত কুয়োয় তাকিয়ে আছে চিত্তের প্রতিবিম্ব
যুগের প্রজ্জলিত শিখায় ডুবে গেছে সকল অন্ধকার।।
তবে কেন ?
কেন ? এতো বির্পযয় ?
বিবেদ- হানাহানি-সংঘাত-খুন
কোন সম্রাটই কি ? পেরেছে তার মৃত্যুটা ঠেকাতে
দীর্ঘশ্বাসের পায়চারিতে মলিন নয় সংঘাত।।

বিষধর সর্প ফণাতুলে বসে আছে প্রতি অন্তরে
ভালবাসায় ক্ষিপ্র নয় তারা যতোটা ক্ষিপ্র সংঘাতে
অবজ্ঞা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দীর্ঘকাল
সফর দীর্ঘ নয় খুবই সংক্ষিত ।।
যুগের গলিত লাভায় অন্ধকার নৃত্যরত
শিকারী বিবেক বুদ্বিমত্তায় হরণ করে অন্যের অধিকার
মেঘহীন রোদ্দুর পাঠ করে রক্তাক্ত প্রান্তর
আজো শকূন উড়ে; আবেগ বিস্মিত নয়
সংঘাতময় দৃশ্য চুম্বন করে কোমল হেমন্ত
সংঘাতের একটি চিনহ ও নেই পোড়া পলিতে।।

সময় ভ্রু-কুচকে শুনায় সকল কবিতা
শৈশব-কৌশর-যৌবন পুড়ে খায় বিদগ্ধ অন্তর
জটিল ধাধায় আবদ্ধ জীবনচক্র ব্যর্থ বিদ্রোহে লিপ্ত
দুংখ-দীর্ঘশ্বাস বাতাসের ভীড় ঠেলে খোজে ..
সূর্য হাসে; সময় শোনায় সকল করুণ দৃশ্য
হেথায়, মতোভেদে সম্প্রদায় গুলো পরস্পর হতে বিছিন্ন ও হিংস্র
সুগন্ধিভরা সোনালী সকাল তব তৃষ্ণার জল পাণ করায়নি আজো ।।



৭. আদম সুরত
শফি মোঃ ওমর ফারুক

মহা জগত, মহা কালে, “মানুষ” মহা জগতিক বিশ্ময় ।
অবিনশ্বর জগতের নিঃশব্দময় মহা নিরবতা ।
অনাদিকালের ইচ্ছায় দ্ব্যর্থহীন প্রলাপ বলে মানুষ আজো,
অনড় প্রকৃতি সাক্ষ্য দিলেও দৃষ্টি গোচরে আসেনি সে সব যুগের ক্ষত ।
অবচেতনে সুন্দর তাঁর স্ব-মহিমা ঘোষণা করে ।
ক্রমশ বুভুক্ষ মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হচ্ছে
দৃষ্টি নন্দন বিশ্বাস অ-গ্রন্থিত থেকেছে হিমালয় পর্বত চূড়ায় ।
মগ্নতায় নিঃসঙ্গ আবাদ, বর্ণবাদ, বিবেদ, মগজের লুণ্ঠন
অন্ধকার আরও গাড় হয়, ঘনীভূত চীৎকারে মানবতা কাঁদে
অলৌকিক মহিমায় প্রস্তর যুগ ইতিহাস টানেনি ।
সভ্যতা; মানব সভ্যতা গাঁথুনি গেড়েছে মধ্যযুগে
ঘ্রাণে অ-ঘ্রানে, কুকুরও খুজে পায় না কিছু
জলজ পাথুরে সুবাস খোঁজে ক্রুশবিদ্ধ বিপ্লবী যুবক।
নীলাকাশ কি শান্ত নির্মল ?
দুঃখের বিলাপ সুখ খোঁজে না, বেঁচে থাকে সঙ্গোপনে
যেন অবিনশ্বর জগতের নিঃশব্দ নীরবতা ।
পানশালা থেকে এখনো উঠে আসেনি দৃশ্যমান ভালবাসা
ফুল দীর্ঘ সুবাস ছড়ায় না বেলা শেষে
প্রজাপতির ডানায় স্বর্গরেনু নেই, নেই ভালবাসা
পাপ পুণ্যের পরশায় দীর্ঘ বিরতি নেই ।
নীল প্রজাতির সাপ বিষ ছড়ায় মনস্থ নীলকণ্ঠে
মেঘের সাগর দীর্ঘ দুঃখের ঘুড্ডি উড়ায় নাটাই ছাড়া
মগজের লুণ্ঠন দীর্ঘ করছে মনুষত্বের পরাজয়
কবি কি ভাসায় কথা বলবে ?
কলম ভারী পদযুগলে স্তদ্ধ নিঃশ্বাস ফেলে
নিঃশব্দ নীরবতা –মহাকালে
মহাকাল, মহা জগত, মানুষ মহা জাগতিক বিস্ময় ।।

৮. সৃষ্টি ও রহস্য
শফি মোঃ ওমর ফারুক

সৃষ্টি কি ? রহস্যের উজ্জলতা ছড়ায় তন্দ্রায়
স্রষ্টার কি ? ঐশ্বরিক ঐশ্বর্য চয়ন করে ধরায়
অবিনশ্বর জগতের কি? নশ্বরতা বরন করে
ভালবাসার কি ? ঔদার্য এঁটে দেয় প্রকৃতি তাঁর নীরবতায় ।

প্রজ্ঞায় বিচ্ছুরিত আলোর মহত্ত্বে কেন ? ঐশ্বর্য নেই
অলৌকিক জ্ঞানে ধ্যানের মগ্নতা ভেঙ্গে কেন উঠে দাড়ায়নি মানবতা
সৃষ্টি রহস্য ভেদী কোন গল্প বা কাব্য নয় - হেথায়
যেথায় লক্ষ্যভেদী কাব্যের আবৃতি করে থাকে প্রকৃতি, দুদণ্ড দাড়িয়ে নয় ।

দো- দণ্ড প্রতাপে ছুটে গিয়েও যুগের ওষ্ঠ স্পর্শ করতে পারেনি অশ্ব
সভ্যতার পচা -দুর্গন্ধময় রহস্য ভেসে আসে বাতাসে
ধেয়ে আসে পরাজিত লক্ষ মানুষের কলরব, আর্তনাদ
হিংস্রতা, বোঝেনি কোমলমতি শিশুর মলিন চেহেরা
পলিমাটিতে ঘর বাঁধেনি পোকামাকড়, কাশবন, শালবন নদীতীরে।

উত্তর আকাশে এ এক বিশাল শূন্যতার নীরবতা
সৃষ্টিশীল কি ? সভ্যতার গাঁথুনি গেঁথে যায়নি নিঃসচুপ নীরবে
মানব মৃত্তিকা কোন সে রহস্য ? ভেদ করেনি ?
চিত্ত কোন সে অশ্লীল বিভাজনে ধ্যানের মগ্নতা ভেঙ্গে উঠে দাড়ায়নি ?
পরাজয় নয়, নশ্বরতা নয়, চির অমৃত দান করে প্রকৃতি তাঁর নীরবতায় ।

শুধু হার নয়, এ এক বড় পরাজয় বা বিস্ময়
সভ্যতা বা ইতিহাসের ঋণ কভু শোধাবার নয়
মাটি কাব্যের তন্দ্রায় হাড়, গোড় , খুলি রেখে মিশিয়ে নিলো সব
খুটে - খুঁড়ে একটিও পাবে না তুমি মানবতার জয়, পরাজয় বা বিপর্যয়
মানব ইতিহাস কোন সে পরাজয়ের গল্প বলে,
কাল্পনিক নয়, চিরন্তন সত্য, সে এক রহস্যময়ী "স্বপ্ন" ।।



৯. হে ক্ষণিকের অথিতি
শফি মোঃ ওমর ফারুক

জোয়ার না আসিতেই ভাটা পড়ল, পলি মাটিতে
বেলা না গড়াতেই ফুল শুকাল, পাপড়ি ছিঁড়ল না
নদের স্রোত তাঁর খর স্রোতা গতি হারাল, পাড় ভাঙ্গল না
যৌবন তাঁর দেবদারু গাছে না উঠেই কাঁদল, মন ভিজালো না
দৃষ্টির আড়ালে মন কাঁদল, চিরত্বের অপেক্ষায় থাকলো না ।

সব ঋতুতে মন পুড়ল বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকলো না
বসন্ত এলো, হু হু করে চলে গেল, বসতি গড়ল না
মন ঝিনুক কুড়াল, প্রিয়ার দৃষ্টি থেকে, দৃষ্টি মেলল না
বৃষ্টি সিঁথিতে সিধুর মাখল, সঞ্চয় গড়ল না
কোকিল ডাকল, রহস্যের গল্প বলল না
দৃষ্টির আড়ালে মন কাঁদল, চিরত্বের অপেক্ষায় থাকলো না ।

যৌবন পদ্ম পাতায় শ্রাবণ পুড়ল, অভিমান করল না
হলুদ ফাগুণ অমৃত সেবন করল, চিরত্বের অপেক্ষায় থাকল না
হাঁটুর নীচে নেমে পড়ল যৌবন, নাইউর নিল না
বৃষ্টি কাব্য লিখল, ঝন ঝন শব্দ করল না
দৃষ্টির আড়ালে মন কাঁদল, চিরত্বের অপেক্ষায় থাকলো না ।

কলম প্রসব বেদনা সইল, উহু করল না
যৌবন কালের গহ্বরে হারিয়ে গেল, চির বসন্তের গান গাহিল না
কাশবন চির সুভ্রতা ছড়াল, নদের পাড় ছাড়ল না
শালবন চির প্রশান্তি ছড়াল, নীরবতা হারাল না
দৃষ্টির আড়ালে মন কাঁদল, চিরত্বের অপেক্ষায় থাকলো না ।

যৌবন অনন্ত পথে হাঁটল, তাঁর দেবদারু গাছে উঠল না
চির সবুজ তাঁর নিল খোঁপায় চিঠি লিখল, মগ্নতা ছাড়ল না
দৃষ্টি তাঁর চোখে জল গড়াল, হাউ মাউ করল না
অশ্ব তীব্র গতিতে দৌড়াল, যুগের ওষ্ঠ ছুঁইতে পারল না
দৃষ্টির আড়ালে মন কাঁদল, চিরত্বের অপেক্ষায় থাকলো না ।



১১. বিদ্রোহী
কাজী নজরুল ইসলাম তাং ০৪/১০/২০১৭


বল বীর --
বল উন্নত মম শির
শির নেহারি আমারি, নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির
বল বীর
বল মহা বিশ্বের মহাকাশ ফাঁড়ি
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন "আরশ" ছেদিয়া
উঠিয়াছি চির বিস্ময় আমি বিশ্ব বিধাত্রির!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটিকা দীপ্ত জয়শ্রীর ।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সস্মান রেখে ওনার এই কবিতাটি বিশ্লেষণ করে দেখছি,
উক্ত কবিতার পাঁচ ও ছয় নাম্বার লাইনে এসে দাঁড়ালাম, বল মহা বিশ্বের মহাকাশ ফাঁড়ি,
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি

এই দুইটি লাইন বিশ্লেষণ করে দেখে আমরা কি পাই, মহা বিশ্বের মহাকাশ ফাঁড়ি, আদতে কোন মানুষের দ্বারা মহাকাশ কেন মহাবিশ্ব ও অতিক্রম করে যাওয়া এখনো সম্ভব হয়নি । মহাকাশ বলতে উনি কি বুঝিয়েছেন ? নবী করিম (সঃ) ছাড়া এ পৃথিবির কোন মানবের পক্ষে এ যাবত সূর্য পর্যন্ত পোঁছা বা যাওয়া সম্ভব হয়নি, ভবিষ্যতে ও হবে বলে মনে হয় না । গ্রহ তারা তো দূরের কথা, অবশ্য কল্পনায় মানুষ অনেক দূর যেতে পারে । তারপর আসি, সপ্তম, অষ্টম ও নবম লাইনে, --
ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন "আরশ" ছেদিয়া
উঠিয়াছি চির বিস্ময় আমি বিশ্ব বিধাত্রির !
ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া, উনি এখানেও না হয় পার পেলেন কিন্তু খোদার আসন "আরশ" ছেদিয়া, এই লাইনটির মানে, কি ?
খোদার আসন বা "আরশ" ছেদ করা তো দূরে থাক কোন নবী রাসুল এমন কি আমাদের নবী করিম (সঃ)ও (যিনি মহা মানব ছিলেন) ওনার, আল্লাহ্‌র আরশ বা আসন ছেদ তো দূরের কথা, ছুয়েও দেখতে পারেননি। মেরাজের সময় নবী করিম (সঃ) ও আল্লাহর মাঝে সত্তুর হাজার নুরের পর্দা ছিল, সেখানে আমাদের কবি, কিভাবে আল্লাহ্‌র আসন বা আরশ ছেদ করার স্বপ্ন দেখেন। ছেদ তো দূরে থাক এমন স্বপ্ন দেখাও শুধু পাপই নয়, মহা পাপ। ইহা ক্ল্পনা করাও উচিত নয়। আমাদের কবি কি স্ব-ঞ্জানে না অ-ঞ্জানে এমনটি করেছেন তা বিধাতাই ভাল জানেন। ইহা শুধু মুসলমান কেন ? যে কোন মানুষের জন্য কল্পনা করাও উচিত নয়। ইহা স্পষ্ট শিরক হয়ে দাড়ায় । শিরকের কোন ক্ষমা আল্লাহ্‌র দরবারে নেই। সমগ্র পৃথিবী পরিমাণ পাপ আল্লাহ্‌ চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন, কিন্তু এক ছটাক শিরকের ছাড় বিধাতা কাউকেই দেবেন না। এবং ইহা স্পষ্ট । কবি কবিতাটির এই ক্য় লাইনে অমরত্ব এর আভাস দিয়েছেন, কিন্তু উনি চিরত্ব বা অমরত্ব দূরে থাক বেঁচে আছেন কি ? পৃথিবিতে কোন মানুষই চির দিন কেন ? এক দিনও বেশী বেচে থাকতে পারবে না ? তবে আমরা কেন ? কবির এই শিরকের সাথে সম্পৃক্ত হব। আমরা আমাদের পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে আমাদের ছেলে মেয়েদের শিরকের সাথে সম্পৃক্ত করব ?
পাঠ্য বই থেকে কি এই কবিতাটি পরিহার করা উচিত নয় ? এক জন মুসলমান হিসেবে যে মৃত্যুকে বিশ্বাস করে সে এই শিরক থেকে নিজকেও মুক্ত রাখবে এবং নিজ সন্তান ও দেশ জাতিকেও মুক্ত রাখবে। আল্লা কবিকে ক্ষমা করুন। স্বপ্ন বা কল্পনায় এই জাতীয় বাক্য থেকে দূরে থাকা উচিত সবাইকে । আমিন । ভাল থাকুন সবাই ।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৯

শফি মোঃ ওমরর ফারুক বলেছেন: অনিন্দিতা
শফি মোঃ ওমর ফারুক তাং ঃ ১২/১০/ ২০১৭ ইং
হে, কীর্তনখোলা; তুমি কি শুনতে পাও আমার আত্নার গোপন কথা ?
অনুচ্চারিত মেঘ বালিকার শব্দ মালা ?
রিক্ত হ্রদে অস্পষ্ট বিষণ্ণতা; রোদ নামে অবনত অনন্ত দূরে
নৃতত্ত্বে কতোখানি ব্যথার বৈরাগ, বৃষ্টি মুষল সন্ধ্যায় ?
চির বসন্তগুলো নিরচুপ নিরবে খসে পড়ে জীবন বৃন্ত থেকে
কাকে তুমি আলো বল ? আলোর জলসায় নিষিক্ত আষাঢ় ।।

বৃষ্টি মুগ্ধ প্রহর গুলো; চর্যবৃত্তির মোহ নিদ্রায় ঘুমন্ত নয়
চিত্রকর কি ? রং খুজছে, তোমার কাছে, পড়ন্ত বেলায়, বসন্ত আসিবার তরে
শান্ত জলাশয় কি ? চির বসন্তের কথা বলে, হে; কীর্তনখোলা ?
শৈল্পিক ভঙ্গিতে নড়ে চড়ে না তীর্থজল, নৈবেদ্য দাবানলে, কৌঁসুলি আড় চোখে
হে; কীর্তনখোলা, বর্ষা নুপুর কি ? ঝংকার খোঁজে তোমার বুকে ?
জল থেকে চোখের জল বা কাজল আলাদা করা যায় না ।।

কংস পাড়ের পাপড়িতে পুস্প রেনু কি পরাগায়নে ব্যপ্ত ?
শব্দ মন্দিরা; মোহনিদ্রায়, ব্রতী; নব্য অভিধায় চিত্ত ধোয়
দুর্বিনীত অহনীশে এ কোন মোহমুগ্ধতা এঁকে দিলে, হে; কীর্তনখোলা ?
খড়কুটো নিসর্গে চোখের কাজল, সিঁথিতে সিধুর
রহস্য পিয়াসী চৈতালি মাঠে বুনোলতা
আত্নায় আত্নিক শৈলী, অনিন্দিতার দু'চোখে, হে; কীর্তনখোলা ।।
স্থান ঃ ১/২, লার মিনি ষ্ট্রীট, ওয়ারী, ঢাকা
তাং ঃ ১২/১০/২০১৭ ইং



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.