![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি শফি মোঃ ওমর ফারুক
কিছু গুচ্ছ কবিতা
শ ফি মোঃ ওমর ফারুক
শ্রাবন্তি
শফি মোঃ ওমর ফারুক
হে, শ্রাবন্তি ; তুই কেন গেলি মরে, এমন অবেলায়
নিসুতি রাতের কাব্যে জমে আছে মধু
সন্ধ্যামালতি কেন ধুতরাও মুখ দেয়নি মধুচাকে
অশান্ত জলাশয়;
নদীর দেহে প্রবল স্রোত
গুল্ম, তৃণ ফোঁটায়নি শতাব্দীর পাতায় কোন রক্ত জবা
প্রতীক্ষিত তুলির আঁচড়ে ধীরে ধীরে জমা হয় গভীর রাত্রি
উব্দেগ বা বুকের কম্পন, তোমাকে খোঁজে "চক্ষূদ্বয়ে"
কোমল হৃদয় গলে যাচ্ছে মোমের মতো
রক্ত, শিরায় টের পাচ্ছি, তুমি চঞ্চল হরিণীর মতো ।।
কম্বল
জীবন একটা ছোট কম্বল
ডানে টানলে বামে খালি
উপরে টানলে নীচে খালি
জীবন একটা ছোট কম্বল ।।
ডাটা
গোলাপের ডাটায় ভাল অর্থনীতি না থাকলে
সে গোলাপ ভাল সূগন্ধি ছড়ায় না ।।
মুক্তি
মনের মুক্তি দাও
সে চিনিয়ে নেবে তোমার গন্তব্যে ।
আত্না
আত্না আলোটা জ্বালিয়ে, জানতে চায়
তরু ল্ তার ভাজে কতোটা দুঃখ লুকিয়ে ।
মুজিব
হে, মুজিব, তুমি স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলে বলে
আজ আমি কবি ।।
সভ্যতা
কাব্য বা সাহিত্য সভ্যতার দর্পণ
গ্রন্থ সভ্যতার মেরুদণ্ড
কবি, সভ্যতার চিত্রকর ।।
নিন্দা কাব্য
শফি মোঃ ওমর ফারুক
বসন্ত আসবে বলে শীতকে গাঁয়ে মুড়ি দেইনি
বৃষ্টি এসেছিল সকালে, ঋতু বর্ষা নয়
প্লাবন সুখী পড়ন্ত বেলার বর্ষা,
দূর থেকে ফুলের উদ্যান অনেক বেশী সুন্দর ও আকর্ষণীয় ।
অদ্ভুদ পথ চলায় চোখের কাজল শুকিয়ে যায়
কুয়াশার জ্বালায় জোছনা কোন সুর তোলেনি বীণায়
সে শিউলি ফুলের মতোই নিবৃতচারি,
কখনো নিন্দাকাব্যেও নান্দনিকতা ও ছন্দ ফুটে উঠে
এখনো কোন শিল্পী চিত্তে রং এর স্পর্শ দেয়নি, এমন ফাগুন বেলায়
থাক, বসন্ত তুমি না হয় আবার ফিরে এসো পড়ন্ত বেলায়,
মনের ঔদার্যে না হয় তুলে রাখলাম হেমত্নকে ।।
২১/১০/২০১৭, ১/২, লার মিনি ষ্ট্রীট, ওয়ারী, সকাল ০৯.১২
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫
শফি মোঃ ওমরর ফারুক বলেছেন: গ্রন্থিত কাব্যের কোলাহল
শফি মোঃ ওমর ফারুক তাং ১৮/১০/২০১৭
হে, বাংলা; রূপসী রাজ কন্যা, চিত্তে তোমার কেন এতো উব্দেল প্রেমের বন্যা !
বৃষ্টির বন্দনায় যতো চৈতালি নেশা, আবহমান বাংলার প্রকৃতির হাসিতে ততো হিল্লোল দোলা
শব্দহীন শব্দে বাজে ফুল তরঙ্গের উত্তাপি সৌরব, গৌরব ।
প্রস্ফুটিত শত অগ্নি কুসুম, রৌদ্র কমল, নিরন্তর নিপুণ প্রণয় গড়ে জলজ মাঠে শাপলা শালূক
অনুভুতির পূর্ণতায়, জলের আড়াল থেকে ভেসে উঠে, কাশবন, সাদা বক, সারস পাখি, তরল মুগ্ধতায় জুড়ে যায় আখি
নিষিদ্ধ জীবন স্রোতে ভাসতে নয়, গ্রন্থিত কাব্যের কোলাহল ছেড়ে; ছুটে এলাম শব্দহীন শিমূল, পারুল বাংলায় ।।
ও, হেমলতা,-- এ কোন মোহনীয় শিহরণ, স্পর্শহীন গোলাপের সৌন্দর্যে ক্লান্তিহীন উষ্ণতা, মুগ্ধতা
প্রতি সকালের ওষ্ঠে হেসে উঠে এক টুকরো রৌদ্রুর, রৌদ্রুরের দেহে আনন্দ, আনন্দের উচ্ছলতায় মুগ্ধ সৌন্দর্য
পত্র- পল্লবে; সে কি ? আলোর উৎসব, এ যেন এক ঐশ্বরিক বন্দনা ।
বিবর্ণ শীতে নয়, বৃষ্টি মুষল বর্ষায়, রসিক চোখে সুজন হাসে, নির্যাসে নিসর্গ সংগীতে
ও, চাঁদ সুন্দর; এ কি ? পূর্ণতায় গড়লে নিবিড় সুবাস, স্বপ্নের লাল সেতুতে সে কি বৃষ্টি বিলাস, ছন্দের তালে নৃত্যের উল্লাস
সাধিকা সংগীতের মুগ্ধতায় নয়, পলি, কাঁকর, প্রবাল, বৃক্ষের দৃশ্যত স্থবির জীবনে বসন্ত এসে চুমু খায় ।।
উষ্ণ অনুরাগে, কংস পাড়ে; বর্ষা এলে, ডুব দিতে ইচ্ছে জাগে স্মৃতিতে, শরত এলে শিউলির গন্ধ সুধা শুকতে
জলের ক্রন্দন নয় স্বপ্নের জাগরণ, একখণ্ড রুপ কথার কৃষ্ণকলি, অদ্ভুদ স্বপ্নের ভেতর জাগো তুমি বাংলা আত্নার অতলে
মাটির গন্ধ বিভাজনে নয়, স্বপ্নের অলিন্দে; লাবন্যে, জোছনার উল্ল্যাসে প্রেমের জলপ্রপাত, ভাঙ্গে গড়ে বৃষ্টি রিমঝিম উত্তাল স্রোত ।
শেকড়ে, সমূলে ক্রমাগত শ্রাবন্তির উত্তাল চেতনা, সুজলা-সুফলা, মন নাচে উতলা, মাটির ঔরসে গড়ল প্রকৃতির পাঠশালা
দুর্গ, ---- এ এক অন্য মানুষ, বাউল কণ্ঠে সুরের হিরক খণ্ড,
বসন্ত উৎসবে, পদ্মাসনে নানা মুল্যে কেনা আমার মুগ্ধতা আত্নার দ্যুতি খানি ।
কোকিল কণ্ঠে উব্দেল হৃদয় খানি, স্বপ্নের অস্থিত্বে কাব্যিক্তার ঝড়, প্লাবন সুখে উদ্ভাসিত মাটির ভাস্কর্য
তুমি, পাণ্ডুলিপি নাও হাতে; আমি আলো ছড়াব, বাংলার আলোর তীব্রতায় তাড়িত করে, দেখাব তোমায় এক বিরল জীবন,
বসন্ত মৌনতার সঙ্গম শেষে, বাংলার রুপে আমি এ কি ? এক বিস্ময়কর রুপ দেখতে পেলাম, এ কি তার উচ্চকিত প্লাবন সুখ ।।
১/২, লার মিনি ষ্ট্রীট, ওয়ারী, রাত ২.৩২ ।।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
শামচুল হক বলেছেন: দারুণ